নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টানা ছয় মাস দেশের বাজারে মাসভিত্তিক তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে আসছে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কিন্তু বেঁধে দেওয়া দামে কখনোই এলপিজি কিনতে পারছেন না ভোক্তারা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে অন্তত ১০০-২০০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে তাঁদের।
চলতি মাসের জন্য ১২ কেজির এলপি গ্যাসের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য ১ হাজার ৩৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বিইআরসি। গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। ওই সময় বলা হয়, বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করা হবে। এপ্রিলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১২ কেজির সিলিন্ডারের এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয় ৯৭৫ টাকা। মে মাসে যা ছিল ৯০৬ টাকা, জুনে ৮৪২ টাকা, জুলাইয়ে ৮৯১ টাকা আর আগস্টে ৯৯৩ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার বাইরে গতকাল বুধবার ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হয়েছে ১১০০-১১৫০ টাকায়। ঢাকার কিছু এলাকায় তা ১২০০ টাকা পেরিয়ে গেছে।
বাড়তি দামে এলপিজি বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরাও। এ বিষয়ে ওমেরা এলপিজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল হক আহমেদ বলেছেন, বিইআরসির মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় সাতটি দুর্বলতা রয়েছে। এ কারণেই বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, মূল্য নির্ধারণের সময় বোতলজাতকরণ খরচ কমিয়ে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া পরিবেশক পর্যায়ে ৫০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৮০ টাকা মুনাফা দেওয়া যৌক্তিক। কিন্তু বিইআরসি এ দুই পর্যায়ে যথাক্রমে ২৪ ও ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে। এসব কারণে নির্ধারিত দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, ১২ কেজির এলপিজির জন্য বিইআরসির বেঁধে দেওয়া দামের সঙ্গে অন্তত ২০০ টাকার ফারাক রয়েছে ব্যবসায়ীদের হিসাবের।
এসব বিষয় তুলে ধরে এলপিজি বাজারজাতকারী ১৮টি প্রতিষ্ঠান মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া সংশোধনের দাবি জানিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ সেপ্টেম্বর গণশুনানির আয়োজন করছে বিইআরসি।
তবে ব্যবসায়ীদের দাবিকে আইনগতভাবে শুদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ভোক্তা অধিকার বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা কোনো প্রকার দালিলিক প্রমাণ দাখিল না করে নানা পর্যায়ে খরচের কথা বললে তা আইনগতভাবে বৈধ হতে পারে না। বিইআরসি দাম বেঁধে দেওয়ার পরও তা না মেনে ভোক্তাদের কাছ থেকে বেশি দাম নিয়ে এলপিজি ব্যবসায়ীরা অপরাধ করছেন। তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
বিইআরসি নিয়মিত দাম নির্ধারণ করে এলেও, বাজারে নির্ধারিত দামে বিক্রি নিশ্চিত করতে না পারার কারণ জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল জানান, দেশে ব্যবসা করতে হলে বিইআরসির আইন মানতে হবেই। কে বা কারা কমিশনের বেঁধে দেওয়া দাম মানছে না, তা সুনির্দিষ্ট করতে একটি কমিটি কাজ করছে। ৩১ আগস্টের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও, করোনার কারণে পারেনি। শিগগিরই তারা প্রতিবেদন দেবে। তিনি বলেন, ‘ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে কমিশনের আইন না মানার দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
আব্দুল জলিল আরও বলেন, সারা দেশে এলপিজি বিক্রির সঙ্গে জড়িত পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতাদের কেউই বিইআরসি থেকে ব্যবসা করার অনুমোদন নেননি। এ জন্য এলপিজি অপারেটরদের কাছে তাদের তালিকাভুক্ত পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের তালিকাও তলব করেছে কমিশন।
টানা ছয় মাস দেশের বাজারে মাসভিত্তিক তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে আসছে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কিন্তু বেঁধে দেওয়া দামে কখনোই এলপিজি কিনতে পারছেন না ভোক্তারা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে অন্তত ১০০-২০০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে তাঁদের।
চলতি মাসের জন্য ১২ কেজির এলপি গ্যাসের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য ১ হাজার ৩৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বিইআরসি। গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। ওই সময় বলা হয়, বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করা হবে। এপ্রিলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১২ কেজির সিলিন্ডারের এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয় ৯৭৫ টাকা। মে মাসে যা ছিল ৯০৬ টাকা, জুনে ৮৪২ টাকা, জুলাইয়ে ৮৯১ টাকা আর আগস্টে ৯৯৩ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার বাইরে গতকাল বুধবার ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হয়েছে ১১০০-১১৫০ টাকায়। ঢাকার কিছু এলাকায় তা ১২০০ টাকা পেরিয়ে গেছে।
বাড়তি দামে এলপিজি বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরাও। এ বিষয়ে ওমেরা এলপিজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল হক আহমেদ বলেছেন, বিইআরসির মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় সাতটি দুর্বলতা রয়েছে। এ কারণেই বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, মূল্য নির্ধারণের সময় বোতলজাতকরণ খরচ কমিয়ে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া পরিবেশক পর্যায়ে ৫০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৮০ টাকা মুনাফা দেওয়া যৌক্তিক। কিন্তু বিইআরসি এ দুই পর্যায়ে যথাক্রমে ২৪ ও ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে। এসব কারণে নির্ধারিত দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, ১২ কেজির এলপিজির জন্য বিইআরসির বেঁধে দেওয়া দামের সঙ্গে অন্তত ২০০ টাকার ফারাক রয়েছে ব্যবসায়ীদের হিসাবের।
এসব বিষয় তুলে ধরে এলপিজি বাজারজাতকারী ১৮টি প্রতিষ্ঠান মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া সংশোধনের দাবি জানিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ সেপ্টেম্বর গণশুনানির আয়োজন করছে বিইআরসি।
তবে ব্যবসায়ীদের দাবিকে আইনগতভাবে শুদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ভোক্তা অধিকার বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা কোনো প্রকার দালিলিক প্রমাণ দাখিল না করে নানা পর্যায়ে খরচের কথা বললে তা আইনগতভাবে বৈধ হতে পারে না। বিইআরসি দাম বেঁধে দেওয়ার পরও তা না মেনে ভোক্তাদের কাছ থেকে বেশি দাম নিয়ে এলপিজি ব্যবসায়ীরা অপরাধ করছেন। তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
বিইআরসি নিয়মিত দাম নির্ধারণ করে এলেও, বাজারে নির্ধারিত দামে বিক্রি নিশ্চিত করতে না পারার কারণ জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল জানান, দেশে ব্যবসা করতে হলে বিইআরসির আইন মানতে হবেই। কে বা কারা কমিশনের বেঁধে দেওয়া দাম মানছে না, তা সুনির্দিষ্ট করতে একটি কমিটি কাজ করছে। ৩১ আগস্টের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও, করোনার কারণে পারেনি। শিগগিরই তারা প্রতিবেদন দেবে। তিনি বলেন, ‘ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে কমিশনের আইন না মানার দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
আব্দুল জলিল আরও বলেন, সারা দেশে এলপিজি বিক্রির সঙ্গে জড়িত পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতাদের কেউই বিইআরসি থেকে ব্যবসা করার অনুমোদন নেননি। এ জন্য এলপিজি অপারেটরদের কাছে তাদের তালিকাভুক্ত পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের তালিকাও তলব করেছে কমিশন।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একাধিক বহুজাতিক কোম্পানি গত অর্থবছরের মুনাফার তুলনায় বেশি পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এতে প্রশ্ন উঠছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো কি বাংলাদেশে তাদের পুনর্বিনিয়োগের আগ্রহ হারাচ্ছে? পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি সরাসরি একটি ‘বিনিয়োগ প্রত্যাহার’-এর কৌশল, যা দেশের অর্থনীতি...
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক জটিলতা ও অস্থিরতা যখন নতুন চ্যালেঞ্জ, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি আরও বেড়েছে বাংলাদেশের। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৫ মাসে বাজারটিতে রপ্তানি হয়েছে ৯৬৮ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের পণ্য, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ৮২৩ কোটি...
৬ ঘণ্টা আগেদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে টানা তিন অর্থবছর ধরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১৪ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফল ও কৃষিপণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় এবং দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেস্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির ৫০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে