Ajker Patrika

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে উৎসে কর ‘ক্ষুদ্র চাষির ওপর বোঝা’, প্রত্যাহারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬: ১৩
Thumbnail image

চাল, ডাল, গমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ পর্যায়ে ২ শতাংশ উৎস কর প্রত্যাহার চেয়েছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। পাশাপাশি ফেসবুক, গুগল ও ইউটিউবসহ বিদেশি ডিজিটাল কোম্পানি থেকে কর আদায়ে স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধান চেয়েছে সংগঠনটি।

আইসিএমএবি বলেছে, এসব কৃষিজাত ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে সরবরাহ পর্যায়ে ২ শতাংশ উৎসে কর কাটার বিধান রয়েছে। মূলত প্রান্তিক ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র চাষিদের কাছ থেকে এসব পণ্য কেনা হয়। উৎসে কর তাঁদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বোঝার মতো। এতে সাধারণ মানুষের ওপর দামের প্রভাব পড়ে। তাই এই উৎস কর প্রত্যাহার করা উচিত।

বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ২০২৩ সালের প্রাক্-বাজেট আলোচনায় করমুক্ত আয়সীমার দাবিও তোলা হয়। আইসিএমএবি ছাড়াও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) ও বাংলাদেশ ভ্যাট প্রোফেশনাল ফোরাম আলোচনায় অংশ নেয়।

এনবিআরের কাছে দেওয়া লিখিত প্রস্তাবে আইসিএমএবি বলেছে, চাল, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, ছোলা, বুট, ডাল, হলুদ, মরিচ, ভুট্টা, আটা, ময়দা, লবণ, ভোজ্যতেল, চিনিসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে সরবরাহ পর্যায়ে ২ শতাংশ উৎসে কর কাটার বিধান রয়েছে। মূলত প্রান্তিক ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র চাষিদের কাছ থেকে কৃষিজাত পণ্য কেনা হয়। উৎসে কর তাঁদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বোঝার মতো। এতে সাধারণ মানুষের ওপর দামের প্রভাব পড়ে। তাই এই উৎস কর প্রত্যাহার করা উচিত।

আইসিএমএবি বলছে, ঋণের সুদ হার কম হওয়ায় অনেক কোম্পানি বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নিচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ তাদের মোট সম্পদের চেয়ে অনেক বেশিই হচ্ছে, যা পরিশোধের সময় ডলারের ওপর চাপ বাড়াবে। এ জন্য বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানির মূলধন অনুপাতে ঋণপ্রাপ্তির হার বেঁধে দেওয়া উচিত।

ফেসবুক, গুগল ও ইউটিউবসহ বিদেশি ডিজিটাল কোম্পানি থেকে আয়কর আরোপের মত দিয়েছে আইসিএমএবি। সংগঠনটি বলেছে, আয়কর আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে স্থায়ী স্থাপনা না থাকলে কোনো বিদেশি কোম্পানিকে করের আওতায় আনার বিধান নেই। কিন্তু প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশে স্থায়ী স্থাপনা না রেখেও বিদেশি কোম্পানিগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবসা করে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ২০২৩ সালের প্রাক বাজেট আলোচনায় করমুক্ত আয়সীমার দাবিও তোলা হয়‘আয়কর আইনের মূলরীতি বজায় রেখে ভ্যাট আইনের মতোই স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধান করা হলে তাঁরাই বিদেশি কোম্পানির জন্য বাংলাদেশে স্থায়ী স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং কোম্পানির পক্ষে বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের ওপর কর আদায় করা যাবে।’

করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করা এবং সম্পদের ওপর সারচার্জমুক্ত সীমা ৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ কোটি টাকা করার কথা বলেছে আইসিএমএবি। এখন ৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদের ওপর ১০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত সারচার্জ আরোপের বিধান রয়েছে।

এসব প্রস্তাবের জবাবে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, কোনো নীতি জনগণের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে বরং ধীরে ধীরে সহনীয়ভাবে পরিবর্তন আনায় বিশ্বাস করে সরকার।

প্রাক্-বাজেট আলোচনায় উঠে আসা বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেন তিনি।

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত