জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দুই মাস পার হলেও দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরেনি। তাই, নতুন করে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। বিনিয়োগে ভাটা পড়ায় ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ কমেছে। এতে অধিকাংশ ব্যাংকের বাড়তি তারল্য রয়েছে। কিছু ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি নিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে ধার করছে। ফলে আন্তব্যাংক লেনদেন বেশ কমে গেছে। এর প্রভাবে কলমানি মার্কেটে ধার নেওয়া কমেছে, চলছে খরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংক ১৬ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ধার নিয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ধার নিয়েছে। কিন্তু এর আগের মাসের একই সময়ে বা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ২৩ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা ধার দেওয়া-নেওয়া করেছিল ব্যাংকগুলো। এমনকি যে মাসে দেশের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ ছিল, সেই জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেও ২৪ হাজার ৩০২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল আন্তব্যাংকের (কলমানি) মধ্যে। কিন্তু সেই চাহিদা ক্রমেই কমে এসেছে। এদিকে চলতি বছরের আগস্ট শেষে দেশের সরকারি-বেসরকারি ৪৬ ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে, যার পরিমাণ ১ লাখ ৯০ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এখন বেশির ভাগ ব্যাংকের কাছেই অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগে উদাসীনতা দেখাচ্ছেন। এতে নতুন করে ব্যবসা সম্প্রসারণ হচ্ছে না। যেসব ব্যাংক দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তারাই ধার নিচ্ছে। এখন যেসব ব্যাংকের ধার প্রয়োজন, তাদের বেশির ভাগেরই পর্যাপ্ত জামানত নেই। তাই তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির দ্বারস্থ হয়েছে। ওই অর্থ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, পলিসি রেট বাড়ার প্রভাব কলমানি মার্কেটে পড়েছে। এখন ঋণের খরচ বেড়েছে; যার ফলে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিনিয়োগ কমায় ঋণের চাহিদা কমেছে এবং ব্যাংকগুলোতে তারল্য বেড়েছে। এ ছাড়া দুর্বল ব্যাংকগুলো নতুন তারল্য সহায়তা পাওয়ায় তারা কলমানিতে ধার কম নিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পলিসি রেট বৃদ্ধির পরদিনই প্রভাব পড়েছে আন্তব্যাংক লেনদেনের কলমানি মার্কেটে। গতকাল কলমানি মার্কেটে ১ থেকে ৯০ দিন মেয়াদি লেনদেনে গড় সুদের হার ছিল ১২ টাকা, ১৪ দিনব্যাপী মেয়াদে কলমানি রেট ছিল ১০ টাকা ৫০ পয়সা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলো তারল্য সুবিধা পাচ্ছে। এতে একটা বড় চাহিদা পূরণ হচ্ছে। সে জন্য কলমানিতে ধার কমেছে। পুরোটা বাজারের ওপর নির্ভর করে। চাহিদা বাড়লে ধার বাড়ে আবার চাহিদা কমলে ধার কমে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দুই মাস পার হলেও দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরেনি। তাই, নতুন করে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। বিনিয়োগে ভাটা পড়ায় ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ কমেছে। এতে অধিকাংশ ব্যাংকের বাড়তি তারল্য রয়েছে। কিছু ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি নিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে ধার করছে। ফলে আন্তব্যাংক লেনদেন বেশ কমে গেছে। এর প্রভাবে কলমানি মার্কেটে ধার নেওয়া কমেছে, চলছে খরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংক ১৬ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ধার নিয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ধার নিয়েছে। কিন্তু এর আগের মাসের একই সময়ে বা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ২৩ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা ধার দেওয়া-নেওয়া করেছিল ব্যাংকগুলো। এমনকি যে মাসে দেশের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ ছিল, সেই জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেও ২৪ হাজার ৩০২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল আন্তব্যাংকের (কলমানি) মধ্যে। কিন্তু সেই চাহিদা ক্রমেই কমে এসেছে। এদিকে চলতি বছরের আগস্ট শেষে দেশের সরকারি-বেসরকারি ৪৬ ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে, যার পরিমাণ ১ লাখ ৯০ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এখন বেশির ভাগ ব্যাংকের কাছেই অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগে উদাসীনতা দেখাচ্ছেন। এতে নতুন করে ব্যবসা সম্প্রসারণ হচ্ছে না। যেসব ব্যাংক দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তারাই ধার নিচ্ছে। এখন যেসব ব্যাংকের ধার প্রয়োজন, তাদের বেশির ভাগেরই পর্যাপ্ত জামানত নেই। তাই তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির দ্বারস্থ হয়েছে। ওই অর্থ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, পলিসি রেট বাড়ার প্রভাব কলমানি মার্কেটে পড়েছে। এখন ঋণের খরচ বেড়েছে; যার ফলে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিনিয়োগ কমায় ঋণের চাহিদা কমেছে এবং ব্যাংকগুলোতে তারল্য বেড়েছে। এ ছাড়া দুর্বল ব্যাংকগুলো নতুন তারল্য সহায়তা পাওয়ায় তারা কলমানিতে ধার কম নিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পলিসি রেট বৃদ্ধির পরদিনই প্রভাব পড়েছে আন্তব্যাংক লেনদেনের কলমানি মার্কেটে। গতকাল কলমানি মার্কেটে ১ থেকে ৯০ দিন মেয়াদি লেনদেনে গড় সুদের হার ছিল ১২ টাকা, ১৪ দিনব্যাপী মেয়াদে কলমানি রেট ছিল ১০ টাকা ৫০ পয়সা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলো তারল্য সুবিধা পাচ্ছে। এতে একটা বড় চাহিদা পূরণ হচ্ছে। সে জন্য কলমানিতে ধার কমেছে। পুরোটা বাজারের ওপর নির্ভর করে। চাহিদা বাড়লে ধার বাড়ে আবার চাহিদা কমলে ধার কমে।
শেয়ারের অস্বাভাবিক লেনদেন ও দরবৃদ্ধির বিষয়টি স্বাভাবিক মনে হয়নি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি জানতে চেয়ে ২৪ মার্চ কোম্পানির কাছে চিঠি দেয় ডিএসই কর্তৃপক্ষ। পরের দিন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জবাবে জানায়, তাদের কাছে অপ্রকাশিত এমন কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) নেই, যার কারণে শেয়ারদর বাড়তে পারে।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের আরও ৩০ লাখ মানুষের জীবনে নেমে আসতে পারে দারিদ্র্যের অন্ধকার। বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে, চলতি অর্থবছরেই এই বিপর্যয় সামনে আসছে। একসময় যে মানুষগুলো অল্প আয়ের ভেতরেও বুকভরা আশা নিয়ে দিন কাটাত, আজ তারা রুটি-রুজির টানাপোড়েনে নুয়ে পড়ছে।
১০ ঘণ্টা আগেদেশের ব্যাংকিং খাতে আবারও ঋণ পুনঃ তপসিলের হিড়িক পড়েছে। পুরোনো ধারাবাহিকতায় বছরের পর বছর ঋণ পুনঃ তপসিল করে আড়াল করা হচ্ছে প্রকৃত খেলাপি ঋণের চিত্র। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালে প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ পুনঃ তপসিল হয়েছে। এর বড় একটি অংশ, প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা পুনঃ তপসিল কর
১০ ঘণ্টা আগেগত এক দশকে বাংলাদেশের চামড়াশিল্প টানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যেখানে দেশের অন্যান্য রপ্তানিমুখী খাত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, সেখানে চামড়া খাত বিপরীত চিত্র দেখাচ্ছে। ২০১২ সালে এ খাত থেকে রাজস্ব আয় হয়েছিল ১১৩ কোটি মার্কিন ডলার, যা ২০২৪ সালে নেমে এসেছে ৯৭ কোটি ডলারে। অর্থাৎ ১০ বছরে বাৎসরিক আয়
১০ ঘণ্টা আগে