
আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার অর্থনীতির ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একটি কালো দিন হয়ে থাকবে ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর। এদিনই বিদেশি মুদ্রায় চালু করার ইউরোবন্ডের বিপরীতে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ পরিশোধ করতে না পায় দেউলিয়া হয়ে যায় দেশটি। আফ্রিকার তৃতীয় দেশ হিসেবে জাম্বিয়া ও ঘানার পর দেউলিয়া হলো ইথিওপিয়া। ইথিওপিয়া মূলত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির ঋণের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে।
ইথিওপিয়ার ঋণের মূল জোগানদাতা মূলত বিশ্ব ব্যাংক ও চীন। এর বাইরে বিভিন্ন বন্ড ও স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন উৎস থেকেও ঋণ নিয়েছে দেশটি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্ব ব্যাংকে ইথিওপিয়ার ঋণ ছিল ২৮ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের মার্চ নাগাদ সেই ঋণ কিছুটা কমে দাঁড়ায় ২৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে। এর বাইরে, ২০২২ সাল নাগাদ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে নেওয়ার ঋণের পরিমাণ ছিল ১২৫ কোটি ডলার।
বিশ্ব ব্যাংকের বাইরে ইথিওপিয়া সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছিল চীনের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে চীনা ঋণদাতা/বিনিয়োগকারীরা আদ্দিস আবাবাকে ১৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অবশ্য এই প্রতিশ্রুতির কী পরিমাণ অর্থ চীন আদ্দিস আবাবাকে দিয়েছিল সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি বোস্টন ইউনিভার্সিটি। তবে সে সময়কালের কথা বলা হয়েছে, সে সময়টাতে চীনা বিনিয়োগকারীরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে অর্থ লগ্নি করেছে।
বিশ্বের ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়ার আন্তর্জাতিক ঋণ ক্রমেই বেড়েছে। তবে এই সময়ে দেশটি ঋণ পরিশোধে কখনো ব্যর্থ হয়নি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির পরের দুই বছরেও দেশটি বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার।
তবে ইথিওপিয়ার ঋণ ক্ষত বোধ হয় ব্যাপক আকার ধারণ করতে শুরু করে দুই বছর মেয়াদি গৃহযুদ্ধ ও একই সময়ে চলা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে। দেশটির ব্যাপক ও রক্ষ ক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শেষ হয় ২০২২ সালের নভেম্বরে। একই সঙ্গে দেশটির অর্থনীতি কোভিডের কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে বাস্তবিক অর্থে ইথিওপিয়ার ঋণের পাহাড় জমতে শুরু করে ২০০৮ সালের পর থেকে।
ইথিওপিয়ার সামনে আগামী দুটি বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ, এ সময় থেকেই দেশটিকে বৈদেশিক ঋণগুলো পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা ফিচের তথ্য বলছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাইয়ের মধ্যে দেশটিকে অন্তত ১০০ কোটি ডলার সুদাসল পরিশোধ করতে হবে। যে ইউরোবন্ডের সুদ পরিশোধ করতে পারেনি দেশটি সেই ইউরোবন্ডের মূলধনও পরিশোধ করতে হবে ২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ। এ ছাড়া ২০২৫ সালেও অতিরিক্ত ২০০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
অবশ্য ইথিওপিয়া দেউলিয়া হতে যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে আগেই অনেক অর্থনীতিবিদ সতর্ক করেছিলেন, দেশটি দেউলিয়া হতে যাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে দেশটি ২০২১ সালের শুরুর দিকে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশ জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর কাছে প্রথমবারের মতো ঋণের শর্ত শিথিল করার অনুরোধ জানায়। সেই অনুরোধের জবাবে চীন চলতি বছরের আগস্টে ইথিওপিয়ার কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের বিষয়টি স্থগিত করে।
চীনের এই বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই বিবেচনা করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের উপপরিচালক অ্যানেলিসা ফেদেলিনো। কিছুদিন আগে, মরক্কোর মারাকেশে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছিলেন, ‘চীনা এরই মধ্যে ইথিওপিয়াকে ঋণ পরিশোধের বিষয়টি থেকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে, ইথিওপিয়া অন্যান্য ঋণদাতাদের কাছেও অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাতে পারে। বিষয়টি খুবই উৎসাহজনক।’
ফেদেলিনো সে সময় জানিয়েছিলেন, ইথিওপিয়া আইএমএফের কাছ থেকেও ঋণ গ্রহণের আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলতে, ২৫ সেপ্টেম্বর আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল আদ্দিস আবাবা সফর করে। কিন্তু সেই সফর ইথিওপিয়ার জন্য কোনো সুখবর বয়ে আনেনি। তবে ভবিষ্যতে আইএমএফ এই ঋণের বিষয়টি নিয়ে আরও আলাপ চালাবে বলেও জানান ফেদেলিনো।
যাই হোক, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ইথিওপিয়ার জন্য সামনের বছরগুলো যে সহজ হবে না তা সাদা চোখেই বোঝা যায়। নিম্ন আয়ের এই দেশটির অবশ্য উল্লেখযোগ্য রপ্তানি পণ্য রয়েছে। যার মধ্যে কফি, তেলবীজ, সোনা, গ্যাস টারবাইন এবং বিভিন্ন ফল ও সবজি। দেশটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম কফি রপ্তানিকারক। অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ইথিওপিয়া অনেক কম দামে অনেক বেশি ভালো মানের কফি উৎপাদন করে থাকে।
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়ার রপ্তানি আয় ক্রমেই বেড়েছে। কিন্তু সেই অর্থের পরিমাণও খুব একটা বেশি নয়। কারণ, ২০২০ সালের পর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশটির আমদানির পরিমাণও যথেষ্ট ক্রমাগত বেড়েছে। ২০২০ সালে ৭ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে দেশটি আমদানি করেছে ১৭ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ২০২২ সালে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করেছে ২৪ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।
দেশটির রপ্তানি ও আমদানির তুলনামূলক চিত্র বলছে, দেশটির অর্থনৈতিক ভিত্তি ততটা শক্তিশালী নয়, যতটা শক্তিশালী হলে নিয়মিত ঋণ পরিশোধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর বাইরে, বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংকটসহ নানা কারণেই ইথিওপিয়ার অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে যা দেশটিকে ঋণ গ্রহণের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু সেই ঋণের বিপরীতে উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত না হওয়ায় সেই ঋণের পাহাড়েই চাপা পড়েছে দেশটি।
তথ্যসূত্র: বিশ্ব ব্যাংক, রয়টার্স ও ফিচ

আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার অর্থনীতির ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একটি কালো দিন হয়ে থাকবে ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর। এদিনই বিদেশি মুদ্রায় চালু করার ইউরোবন্ডের বিপরীতে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ পরিশোধ করতে না পায় দেউলিয়া হয়ে যায় দেশটি। আফ্রিকার তৃতীয় দেশ হিসেবে জাম্বিয়া ও ঘানার পর দেউলিয়া হলো ইথিওপিয়া। ইথিওপিয়া মূলত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির ঋণের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে।
ইথিওপিয়ার ঋণের মূল জোগানদাতা মূলত বিশ্ব ব্যাংক ও চীন। এর বাইরে বিভিন্ন বন্ড ও স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন উৎস থেকেও ঋণ নিয়েছে দেশটি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্ব ব্যাংকে ইথিওপিয়ার ঋণ ছিল ২৮ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের মার্চ নাগাদ সেই ঋণ কিছুটা কমে দাঁড়ায় ২৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে। এর বাইরে, ২০২২ সাল নাগাদ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে নেওয়ার ঋণের পরিমাণ ছিল ১২৫ কোটি ডলার।
বিশ্ব ব্যাংকের বাইরে ইথিওপিয়া সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছিল চীনের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে চীনা ঋণদাতা/বিনিয়োগকারীরা আদ্দিস আবাবাকে ১৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অবশ্য এই প্রতিশ্রুতির কী পরিমাণ অর্থ চীন আদ্দিস আবাবাকে দিয়েছিল সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি বোস্টন ইউনিভার্সিটি। তবে সে সময়কালের কথা বলা হয়েছে, সে সময়টাতে চীনা বিনিয়োগকারীরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে অর্থ লগ্নি করেছে।
বিশ্বের ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়ার আন্তর্জাতিক ঋণ ক্রমেই বেড়েছে। তবে এই সময়ে দেশটি ঋণ পরিশোধে কখনো ব্যর্থ হয়নি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির পরের দুই বছরেও দেশটি বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার।
তবে ইথিওপিয়ার ঋণ ক্ষত বোধ হয় ব্যাপক আকার ধারণ করতে শুরু করে দুই বছর মেয়াদি গৃহযুদ্ধ ও একই সময়ে চলা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে। দেশটির ব্যাপক ও রক্ষ ক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শেষ হয় ২০২২ সালের নভেম্বরে। একই সঙ্গে দেশটির অর্থনীতি কোভিডের কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে বাস্তবিক অর্থে ইথিওপিয়ার ঋণের পাহাড় জমতে শুরু করে ২০০৮ সালের পর থেকে।
ইথিওপিয়ার সামনে আগামী দুটি বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ, এ সময় থেকেই দেশটিকে বৈদেশিক ঋণগুলো পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা ফিচের তথ্য বলছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাইয়ের মধ্যে দেশটিকে অন্তত ১০০ কোটি ডলার সুদাসল পরিশোধ করতে হবে। যে ইউরোবন্ডের সুদ পরিশোধ করতে পারেনি দেশটি সেই ইউরোবন্ডের মূলধনও পরিশোধ করতে হবে ২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ। এ ছাড়া ২০২৫ সালেও অতিরিক্ত ২০০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
অবশ্য ইথিওপিয়া দেউলিয়া হতে যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে আগেই অনেক অর্থনীতিবিদ সতর্ক করেছিলেন, দেশটি দেউলিয়া হতে যাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে দেশটি ২০২১ সালের শুরুর দিকে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশ জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর কাছে প্রথমবারের মতো ঋণের শর্ত শিথিল করার অনুরোধ জানায়। সেই অনুরোধের জবাবে চীন চলতি বছরের আগস্টে ইথিওপিয়ার কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের বিষয়টি স্থগিত করে।
চীনের এই বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই বিবেচনা করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের উপপরিচালক অ্যানেলিসা ফেদেলিনো। কিছুদিন আগে, মরক্কোর মারাকেশে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছিলেন, ‘চীনা এরই মধ্যে ইথিওপিয়াকে ঋণ পরিশোধের বিষয়টি থেকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে, ইথিওপিয়া অন্যান্য ঋণদাতাদের কাছেও অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাতে পারে। বিষয়টি খুবই উৎসাহজনক।’
ফেদেলিনো সে সময় জানিয়েছিলেন, ইথিওপিয়া আইএমএফের কাছ থেকেও ঋণ গ্রহণের আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলতে, ২৫ সেপ্টেম্বর আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল আদ্দিস আবাবা সফর করে। কিন্তু সেই সফর ইথিওপিয়ার জন্য কোনো সুখবর বয়ে আনেনি। তবে ভবিষ্যতে আইএমএফ এই ঋণের বিষয়টি নিয়ে আরও আলাপ চালাবে বলেও জানান ফেদেলিনো।
যাই হোক, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ইথিওপিয়ার জন্য সামনের বছরগুলো যে সহজ হবে না তা সাদা চোখেই বোঝা যায়। নিম্ন আয়ের এই দেশটির অবশ্য উল্লেখযোগ্য রপ্তানি পণ্য রয়েছে। যার মধ্যে কফি, তেলবীজ, সোনা, গ্যাস টারবাইন এবং বিভিন্ন ফল ও সবজি। দেশটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম কফি রপ্তানিকারক। অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ইথিওপিয়া অনেক কম দামে অনেক বেশি ভালো মানের কফি উৎপাদন করে থাকে।
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়ার রপ্তানি আয় ক্রমেই বেড়েছে। কিন্তু সেই অর্থের পরিমাণও খুব একটা বেশি নয়। কারণ, ২০২০ সালের পর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশটির আমদানির পরিমাণও যথেষ্ট ক্রমাগত বেড়েছে। ২০২০ সালে ৭ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে দেশটি আমদানি করেছে ১৭ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ২০২২ সালে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করেছে ২৪ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।
দেশটির রপ্তানি ও আমদানির তুলনামূলক চিত্র বলছে, দেশটির অর্থনৈতিক ভিত্তি ততটা শক্তিশালী নয়, যতটা শক্তিশালী হলে নিয়মিত ঋণ পরিশোধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর বাইরে, বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংকটসহ নানা কারণেই ইথিওপিয়ার অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে যা দেশটিকে ঋণ গ্রহণের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু সেই ঋণের বিপরীতে উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত না হওয়ায় সেই ঋণের পাহাড়েই চাপা পড়েছে দেশটি।
তথ্যসূত্র: বিশ্ব ব্যাংক, রয়টার্স ও ফিচ

আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার অর্থনীতির ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একটি কালো দিন হয়ে থাকবে ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর। এদিনই বিদেশি মুদ্রায় চালু করার ইউরোবন্ডের বিপরীতে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ পরিশোধ করতে না পায় দেউলিয়া হয়ে যায় দেশটি। আফ্রিকার তৃতীয় দেশ হিসেবে জাম্বিয়া ও ঘানার পর দেউলিয়া হলো ইথিওপিয়া। ইথিওপিয়া মূলত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির ঋণের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে।
ইথিওপিয়ার ঋণের মূল জোগানদাতা মূলত বিশ্ব ব্যাংক ও চীন। এর বাইরে বিভিন্ন বন্ড ও স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন উৎস থেকেও ঋণ নিয়েছে দেশটি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্ব ব্যাংকে ইথিওপিয়ার ঋণ ছিল ২৮ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের মার্চ নাগাদ সেই ঋণ কিছুটা কমে দাঁড়ায় ২৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে। এর বাইরে, ২০২২ সাল নাগাদ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে নেওয়ার ঋণের পরিমাণ ছিল ১২৫ কোটি ডলার।
বিশ্ব ব্যাংকের বাইরে ইথিওপিয়া সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছিল চীনের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে চীনা ঋণদাতা/বিনিয়োগকারীরা আদ্দিস আবাবাকে ১৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অবশ্য এই প্রতিশ্রুতির কী পরিমাণ অর্থ চীন আদ্দিস আবাবাকে দিয়েছিল সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি বোস্টন ইউনিভার্সিটি। তবে সে সময়কালের কথা বলা হয়েছে, সে সময়টাতে চীনা বিনিয়োগকারীরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে অর্থ লগ্নি করেছে।
বিশ্বের ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়ার আন্তর্জাতিক ঋণ ক্রমেই বেড়েছে। তবে এই সময়ে দেশটি ঋণ পরিশোধে কখনো ব্যর্থ হয়নি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির পরের দুই বছরেও দেশটি বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার।
তবে ইথিওপিয়ার ঋণ ক্ষত বোধ হয় ব্যাপক আকার ধারণ করতে শুরু করে দুই বছর মেয়াদি গৃহযুদ্ধ ও একই সময়ে চলা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে। দেশটির ব্যাপক ও রক্ষ ক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শেষ হয় ২০২২ সালের নভেম্বরে। একই সঙ্গে দেশটির অর্থনীতি কোভিডের কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে বাস্তবিক অর্থে ইথিওপিয়ার ঋণের পাহাড় জমতে শুরু করে ২০০৮ সালের পর থেকে।
ইথিওপিয়ার সামনে আগামী দুটি বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ, এ সময় থেকেই দেশটিকে বৈদেশিক ঋণগুলো পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা ফিচের তথ্য বলছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাইয়ের মধ্যে দেশটিকে অন্তত ১০০ কোটি ডলার সুদাসল পরিশোধ করতে হবে। যে ইউরোবন্ডের সুদ পরিশোধ করতে পারেনি দেশটি সেই ইউরোবন্ডের মূলধনও পরিশোধ করতে হবে ২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ। এ ছাড়া ২০২৫ সালেও অতিরিক্ত ২০০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
অবশ্য ইথিওপিয়া দেউলিয়া হতে যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে আগেই অনেক অর্থনীতিবিদ সতর্ক করেছিলেন, দেশটি দেউলিয়া হতে যাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে দেশটি ২০২১ সালের শুরুর দিকে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশ জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর কাছে প্রথমবারের মতো ঋণের শর্ত শিথিল করার অনুরোধ জানায়। সেই অনুরোধের জবাবে চীন চলতি বছরের আগস্টে ইথিওপিয়ার কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের বিষয়টি স্থগিত করে।
চীনের এই বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই বিবেচনা করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের উপপরিচালক অ্যানেলিসা ফেদেলিনো। কিছুদিন আগে, মরক্কোর মারাকেশে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছিলেন, ‘চীনা এরই মধ্যে ইথিওপিয়াকে ঋণ পরিশোধের বিষয়টি থেকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে, ইথিওপিয়া অন্যান্য ঋণদাতাদের কাছেও অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাতে পারে। বিষয়টি খুবই উৎসাহজনক।’
ফেদেলিনো সে সময় জানিয়েছিলেন, ইথিওপিয়া আইএমএফের কাছ থেকেও ঋণ গ্রহণের আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলতে, ২৫ সেপ্টেম্বর আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল আদ্দিস আবাবা সফর করে। কিন্তু সেই সফর ইথিওপিয়ার জন্য কোনো সুখবর বয়ে আনেনি। তবে ভবিষ্যতে আইএমএফ এই ঋণের বিষয়টি নিয়ে আরও আলাপ চালাবে বলেও জানান ফেদেলিনো।
যাই হোক, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ইথিওপিয়ার জন্য সামনের বছরগুলো যে সহজ হবে না তা সাদা চোখেই বোঝা যায়। নিম্ন আয়ের এই দেশটির অবশ্য উল্লেখযোগ্য রপ্তানি পণ্য রয়েছে। যার মধ্যে কফি, তেলবীজ, সোনা, গ্যাস টারবাইন এবং বিভিন্ন ফল ও সবজি। দেশটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম কফি রপ্তানিকারক। অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ইথিওপিয়া অনেক কম দামে অনেক বেশি ভালো মানের কফি উৎপাদন করে থাকে।
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়ার রপ্তানি আয় ক্রমেই বেড়েছে। কিন্তু সেই অর্থের পরিমাণও খুব একটা বেশি নয়। কারণ, ২০২০ সালের পর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশটির আমদানির পরিমাণও যথেষ্ট ক্রমাগত বেড়েছে। ২০২০ সালে ৭ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে দেশটি আমদানি করেছে ১৭ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ২০২২ সালে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করেছে ২৪ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।
দেশটির রপ্তানি ও আমদানির তুলনামূলক চিত্র বলছে, দেশটির অর্থনৈতিক ভিত্তি ততটা শক্তিশালী নয়, যতটা শক্তিশালী হলে নিয়মিত ঋণ পরিশোধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর বাইরে, বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংকটসহ নানা কারণেই ইথিওপিয়ার অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে যা দেশটিকে ঋণ গ্রহণের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু সেই ঋণের বিপরীতে উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত না হওয়ায় সেই ঋণের পাহাড়েই চাপা পড়েছে দেশটি।
তথ্যসূত্র: বিশ্ব ব্যাংক, রয়টার্স ও ফিচ

আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার অর্থনীতির ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একটি কালো দিন হয়ে থাকবে ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর। এদিনই বিদেশি মুদ্রায় চালু করার ইউরোবন্ডের বিপরীতে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ পরিশোধ করতে না পায় দেউলিয়া হয়ে যায় দেশটি। আফ্রিকার তৃতীয় দেশ হিসেবে জাম্বিয়া ও ঘানার পর দেউলিয়া হলো ইথিওপিয়া। ইথিওপিয়া মূলত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির ঋণের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে।
ইথিওপিয়ার ঋণের মূল জোগানদাতা মূলত বিশ্ব ব্যাংক ও চীন। এর বাইরে বিভিন্ন বন্ড ও স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন উৎস থেকেও ঋণ নিয়েছে দেশটি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্ব ব্যাংকে ইথিওপিয়ার ঋণ ছিল ২৮ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের মার্চ নাগাদ সেই ঋণ কিছুটা কমে দাঁড়ায় ২৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে। এর বাইরে, ২০২২ সাল নাগাদ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে নেওয়ার ঋণের পরিমাণ ছিল ১২৫ কোটি ডলার।
বিশ্ব ব্যাংকের বাইরে ইথিওপিয়া সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছিল চীনের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে চীনা ঋণদাতা/বিনিয়োগকারীরা আদ্দিস আবাবাকে ১৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অবশ্য এই প্রতিশ্রুতির কী পরিমাণ অর্থ চীন আদ্দিস আবাবাকে দিয়েছিল সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি বোস্টন ইউনিভার্সিটি। তবে সে সময়কালের কথা বলা হয়েছে, সে সময়টাতে চীনা বিনিয়োগকারীরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে অর্থ লগ্নি করেছে।
বিশ্বের ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়ার আন্তর্জাতিক ঋণ ক্রমেই বেড়েছে। তবে এই সময়ে দেশটি ঋণ পরিশোধে কখনো ব্যর্থ হয়নি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির পরের দুই বছরেও দেশটি বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার।
তবে ইথিওপিয়ার ঋণ ক্ষত বোধ হয় ব্যাপক আকার ধারণ করতে শুরু করে দুই বছর মেয়াদি গৃহযুদ্ধ ও একই সময়ে চলা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে। দেশটির ব্যাপক ও রক্ষ ক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শেষ হয় ২০২২ সালের নভেম্বরে। একই সঙ্গে দেশটির অর্থনীতি কোভিডের কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে বাস্তবিক অর্থে ইথিওপিয়ার ঋণের পাহাড় জমতে শুরু করে ২০০৮ সালের পর থেকে।
ইথিওপিয়ার সামনে আগামী দুটি বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ, এ সময় থেকেই দেশটিকে বৈদেশিক ঋণগুলো পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা ফিচের তথ্য বলছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাইয়ের মধ্যে দেশটিকে অন্তত ১০০ কোটি ডলার সুদাসল পরিশোধ করতে হবে। যে ইউরোবন্ডের সুদ পরিশোধ করতে পারেনি দেশটি সেই ইউরোবন্ডের মূলধনও পরিশোধ করতে হবে ২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ। এ ছাড়া ২০২৫ সালেও অতিরিক্ত ২০০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
অবশ্য ইথিওপিয়া দেউলিয়া হতে যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে আগেই অনেক অর্থনীতিবিদ সতর্ক করেছিলেন, দেশটি দেউলিয়া হতে যাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে দেশটি ২০২১ সালের শুরুর দিকে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশ জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর কাছে প্রথমবারের মতো ঋণের শর্ত শিথিল করার অনুরোধ জানায়। সেই অনুরোধের জবাবে চীন চলতি বছরের আগস্টে ইথিওপিয়ার কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের বিষয়টি স্থগিত করে।
চীনের এই বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই বিবেচনা করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের উপপরিচালক অ্যানেলিসা ফেদেলিনো। কিছুদিন আগে, মরক্কোর মারাকেশে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছিলেন, ‘চীনা এরই মধ্যে ইথিওপিয়াকে ঋণ পরিশোধের বিষয়টি থেকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে, ইথিওপিয়া অন্যান্য ঋণদাতাদের কাছেও অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাতে পারে। বিষয়টি খুবই উৎসাহজনক।’
ফেদেলিনো সে সময় জানিয়েছিলেন, ইথিওপিয়া আইএমএফের কাছ থেকেও ঋণ গ্রহণের আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলতে, ২৫ সেপ্টেম্বর আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল আদ্দিস আবাবা সফর করে। কিন্তু সেই সফর ইথিওপিয়ার জন্য কোনো সুখবর বয়ে আনেনি। তবে ভবিষ্যতে আইএমএফ এই ঋণের বিষয়টি নিয়ে আরও আলাপ চালাবে বলেও জানান ফেদেলিনো।
যাই হোক, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ইথিওপিয়ার জন্য সামনের বছরগুলো যে সহজ হবে না তা সাদা চোখেই বোঝা যায়। নিম্ন আয়ের এই দেশটির অবশ্য উল্লেখযোগ্য রপ্তানি পণ্য রয়েছে। যার মধ্যে কফি, তেলবীজ, সোনা, গ্যাস টারবাইন এবং বিভিন্ন ফল ও সবজি। দেশটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম কফি রপ্তানিকারক। অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ইথিওপিয়া অনেক কম দামে অনেক বেশি ভালো মানের কফি উৎপাদন করে থাকে।
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়ার রপ্তানি আয় ক্রমেই বেড়েছে। কিন্তু সেই অর্থের পরিমাণও খুব একটা বেশি নয়। কারণ, ২০২০ সালের পর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশটির আমদানির পরিমাণও যথেষ্ট ক্রমাগত বেড়েছে। ২০২০ সালে ৭ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে দেশটি আমদানি করেছে ১৭ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ২০২২ সালে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করেছে ২৪ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।
দেশটির রপ্তানি ও আমদানির তুলনামূলক চিত্র বলছে, দেশটির অর্থনৈতিক ভিত্তি ততটা শক্তিশালী নয়, যতটা শক্তিশালী হলে নিয়মিত ঋণ পরিশোধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর বাইরে, বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংকটসহ নানা কারণেই ইথিওপিয়ার অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে যা দেশটিকে ঋণ গ্রহণের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু সেই ঋণের বিপরীতে উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত না হওয়ায় সেই ঋণের পাহাড়েই চাপা পড়েছে দেশটি।
তথ্যসূত্র: বিশ্ব ব্যাংক, রয়টার্স ও ফিচ

বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
১৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
কোনো পূর্বঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে, এই নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। ডলারের মান শক্তিশালী হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা কমে আসার ইঙ্গিত মেলার কারণে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত ধাতুটির চাহিদা কমে গেছে। এদিকে সপ্তাহের শেষভাগে বিশ্বের বড় কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী বৈঠককে ঘিরে দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
গ্রিনউইচ মান সময় সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত স্পট গোল্ড, অর্থাৎ তাৎক্ষণিকভাবে যেসব সোনা বিক্রি হবে তার দাম দশমিক ৮ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৭৭ দশমিক ১১ ডলারে দাঁড়ায়। ফিউচার গোল্ড, অর্থাৎ অদূর ভবিষ্যতে যেসব সোনা সরবরাহ করা হবে কিন্তু ক্রয়-বিক্রয় এখনই সম্পন্ন হবে—সেগুলোর দামও কিছুটা কমেছে। আগামী ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য সোনার দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৯০ দশমিক ৯০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ডলারের মান জাপানি মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেছে, ফলে অন্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
এদিকে, গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা এক বৈঠকে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া কাঠামো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বা আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে এ চুক্তি নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
ক্যাপিটাল ডটকমের বিশ্লেষক কাইল রডা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্ভাব্য এই বাণিজ্য চুক্তির খবরটা বেশ আকস্মিকভাবে এসেছে, তবে বাজারের জন্য এটি এক ইতিবাচক চমক। তবে এর উল্টো দিক হলো, এই পরিস্থিতি সোনার বাজারের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজার এখন কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে এসেছে এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবও স্বাভাবিক হচ্ছে। ভবিষ্যতে শিথিল আর্থিক ও মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে—এই প্রত্যাশাই স্বর্ণকে এখনো টিকিয়ে রেখেছে। যদি সেটি বজায় থাকে, স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে।’
ফেডারেল রিজার্ভের এই সপ্তাহের বৈঠকে সুদহার এক-চতুর্থাংশ শতাংশ কমানোর সম্ভাবনাই সবচেয়ে প্রবল। শুক্রবার প্রকাশিত প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের পর এ অনুমান আরও জোরদার হয়েছে। তবে এই হার কমানো বাজারে আগেই মূল্যায়িত হয়েছে। এখন বিনিয়োগকারীরা ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ভবিষ্যৎমুখী মন্তব্যের দিকেই তাকিয়ে আছেন।
সুদবিহীন সম্পদ হিসেবে স্বর্ণ সাধারণত নিম্ন সুদের পরিবেশে লাভবান হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ এক্সচেঞ্জ—ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্ট জানিয়েছে, শুক্রবার এর মজুত ১ হাজার ৫২ দশমিক ৩৭ টন থেকে কমে ১ হাজার ৪৬ দশমিক ৯৩ টনে নেমেছে, অর্থাৎ দশমিক ৫২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, স্পট সিলভারের দাম দশমিক ৬ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪৮ দশমিক ৩১ ডলার হয়। প্লাটিনামের দাম দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৬১৬ দশমিক ৩০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্যালাডিয়ামের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৪৩৫ দশমিক ৭৫ ডলারে উঠেছে।

বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। ডলারের মান শক্তিশালী হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা কমে আসার ইঙ্গিত মেলার কারণে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত ধাতুটির চাহিদা কমে গেছে। এদিকে সপ্তাহের শেষভাগে বিশ্বের বড় কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী বৈঠককে ঘিরে দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
গ্রিনউইচ মান সময় সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত স্পট গোল্ড, অর্থাৎ তাৎক্ষণিকভাবে যেসব সোনা বিক্রি হবে তার দাম দশমিক ৮ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৭৭ দশমিক ১১ ডলারে দাঁড়ায়। ফিউচার গোল্ড, অর্থাৎ অদূর ভবিষ্যতে যেসব সোনা সরবরাহ করা হবে কিন্তু ক্রয়-বিক্রয় এখনই সম্পন্ন হবে—সেগুলোর দামও কিছুটা কমেছে। আগামী ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য সোনার দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৯০ দশমিক ৯০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ডলারের মান জাপানি মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেছে, ফলে অন্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
এদিকে, গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা এক বৈঠকে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া কাঠামো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বা আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে এ চুক্তি নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
ক্যাপিটাল ডটকমের বিশ্লেষক কাইল রডা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্ভাব্য এই বাণিজ্য চুক্তির খবরটা বেশ আকস্মিকভাবে এসেছে, তবে বাজারের জন্য এটি এক ইতিবাচক চমক। তবে এর উল্টো দিক হলো, এই পরিস্থিতি সোনার বাজারের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজার এখন কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে এসেছে এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবও স্বাভাবিক হচ্ছে। ভবিষ্যতে শিথিল আর্থিক ও মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে—এই প্রত্যাশাই স্বর্ণকে এখনো টিকিয়ে রেখেছে। যদি সেটি বজায় থাকে, স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে।’
ফেডারেল রিজার্ভের এই সপ্তাহের বৈঠকে সুদহার এক-চতুর্থাংশ শতাংশ কমানোর সম্ভাবনাই সবচেয়ে প্রবল। শুক্রবার প্রকাশিত প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের পর এ অনুমান আরও জোরদার হয়েছে। তবে এই হার কমানো বাজারে আগেই মূল্যায়িত হয়েছে। এখন বিনিয়োগকারীরা ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ভবিষ্যৎমুখী মন্তব্যের দিকেই তাকিয়ে আছেন।
সুদবিহীন সম্পদ হিসেবে স্বর্ণ সাধারণত নিম্ন সুদের পরিবেশে লাভবান হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ এক্সচেঞ্জ—ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্ট জানিয়েছে, শুক্রবার এর মজুত ১ হাজার ৫২ দশমিক ৩৭ টন থেকে কমে ১ হাজার ৪৬ দশমিক ৯৩ টনে নেমেছে, অর্থাৎ দশমিক ৫২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, স্পট সিলভারের দাম দশমিক ৬ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪৮ দশমিক ৩১ ডলার হয়। প্লাটিনামের দাম দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৬১৬ দশমিক ৩০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্যালাডিয়ামের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৪৩৫ দশমিক ৭৫ ডলারে উঠেছে।

আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার অর্থনীতির ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একটি কালো দিন হয়ে থাকবে ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর। এদিনই বিদেশি মুদ্রায় চালু করার ইউরোবন্ডের বিপরীতে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ পরিশোধ করতে না পায় দেউলিয়া হয়ে যায় দেশটি। আফ্রিকার তৃতীয় দেশ হিসেবে জাম্বিয়া ও ঘানার পর দেউলিয়া হলো ইথিওপিয়া। ইথিওপিয়া মূলত আন্
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
১৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
কোনো পূর্বঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে, এই নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
১৩ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত এই প্রকল্পগুলো ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট, কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ ব্যবধানের কারণে শিল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা প্রায়ই সংকটে পড়ছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্প নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দিকেও মনোযোগী হওয়া উচিত। আগে দেখা গেছে, প্রকল্প শুরু হলেও সময়মতো শেষ হয় না। এমনটি যেন আর না ঘটে। তবে এর জন্য পরিকল্পনা কমিশন ও জ্বালানি বিভাগের আরও সক্রিয় নজরদারি জরুরি।’
২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয় প্রকল্প
প্রথম প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৫২০ কোটি, বাপেক্স নিজস্ব অর্থায়ন করবে ৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে, যার বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই রিগ কেনার মাধ্যমে বাপেক্স নতুন গ্যাস কূপ খননের সক্ষমতা বাড়াবে। বর্তমানে পুরোনো রিগের কারণে খনন কার্যক্রমে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের জন্যই নতুন প্রকল্প।
ভোলা ও শাহবাজপুরে পাঁচটি কূপ খনন
দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় ভোলা অঞ্চলে চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপ (শাহবাজপুর-৫ ও ৭, ভোলা নর্থ-৩ ও ৪) এবং একটি অনুসন্ধান কূপ (শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১) খনন করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে সরকার দেবে ১ হাজার ২৪৪ কোটি ৮০ লাখ, আর বাপেক্সের নিজস্ব অর্থায়ন ৩১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত।
পরিকল্পনা কমিশনের নথি অনুযায়ী, কূপ খননের পাশাপাশি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, কূপ পরীক্ষণ, উন্নয়নমূলক কাজ, সিমুলেশন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ক্রয়সহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। বাপেক্সের এমডি প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক জানান, কূপগুলোর মাধ্যমে নতুন গ্যাসের মজুত আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষণ সফল হলে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্যাস আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে। ভোলা অঞ্চলের নতুন গ্যাসক্ষেত্র বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই দুটি প্রকল্পের পাশাপাশি সিলেটে ১২নং কূপ খনন এবং হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৩ডি সাইসমিক জরিপের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যদিও প্রকল্পগুলো শুরু হওয়ার কথা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে, তবে এখনো তা একনেক সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি।

দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত এই প্রকল্পগুলো ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট, কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ ব্যবধানের কারণে শিল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা প্রায়ই সংকটে পড়ছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্প নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দিকেও মনোযোগী হওয়া উচিত। আগে দেখা গেছে, প্রকল্প শুরু হলেও সময়মতো শেষ হয় না। এমনটি যেন আর না ঘটে। তবে এর জন্য পরিকল্পনা কমিশন ও জ্বালানি বিভাগের আরও সক্রিয় নজরদারি জরুরি।’
২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয় প্রকল্প
প্রথম প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৫২০ কোটি, বাপেক্স নিজস্ব অর্থায়ন করবে ৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে, যার বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই রিগ কেনার মাধ্যমে বাপেক্স নতুন গ্যাস কূপ খননের সক্ষমতা বাড়াবে। বর্তমানে পুরোনো রিগের কারণে খনন কার্যক্রমে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের জন্যই নতুন প্রকল্প।
ভোলা ও শাহবাজপুরে পাঁচটি কূপ খনন
দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় ভোলা অঞ্চলে চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপ (শাহবাজপুর-৫ ও ৭, ভোলা নর্থ-৩ ও ৪) এবং একটি অনুসন্ধান কূপ (শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১) খনন করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে সরকার দেবে ১ হাজার ২৪৪ কোটি ৮০ লাখ, আর বাপেক্সের নিজস্ব অর্থায়ন ৩১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত।
পরিকল্পনা কমিশনের নথি অনুযায়ী, কূপ খননের পাশাপাশি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, কূপ পরীক্ষণ, উন্নয়নমূলক কাজ, সিমুলেশন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ক্রয়সহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। বাপেক্সের এমডি প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক জানান, কূপগুলোর মাধ্যমে নতুন গ্যাসের মজুত আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষণ সফল হলে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্যাস আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে। ভোলা অঞ্চলের নতুন গ্যাসক্ষেত্র বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই দুটি প্রকল্পের পাশাপাশি সিলেটে ১২নং কূপ খনন এবং হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৩ডি সাইসমিক জরিপের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যদিও প্রকল্পগুলো শুরু হওয়ার কথা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে, তবে এখনো তা একনেক সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি।

আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার অর্থনীতির ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একটি কালো দিন হয়ে থাকবে ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর। এদিনই বিদেশি মুদ্রায় চালু করার ইউরোবন্ডের বিপরীতে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ পরিশোধ করতে না পায় দেউলিয়া হয়ে যায় দেশটি। আফ্রিকার তৃতীয় দেশ হিসেবে জাম্বিয়া ও ঘানার পর দেউলিয়া হলো ইথিওপিয়া। ইথিওপিয়া মূলত আন্
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
কোনো পূর্বঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে, এই নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও কর্ণফুলী প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এর আগে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল থেকে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরো সময়টায় সার উৎপাদন বন্ধ থাকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইউএফএলএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টায় কারখানায় আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু হওয়ায় সার উৎপাদন প্রক্রিয়াও এখন স্টার্টআপ পর্যায়ে রয়েছে। উৎপাদন শুরু হলে কারখানার দৈনিক গ্যাস চাহিদা হবে ৪৫ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট। তিনি আশা প্রকাশ করছেন, ২৯ অথবা ৩০ অক্টোবরের দিকে কারখানা পুরোপুরি উৎপাদনে ফিরবে।
সিইউএফএল সচল থাকলে দৈনিক ১১ হাজার টন ইউরিয়া সার উৎপাদন সম্ভব, প্রতি টন ৩৮ হাজার টাকা হিসাবে যার মোট বাজারমূল্য ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া কারখানায় প্রতিদিন ৮০০ টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন হয়। তবে কয়েক বছর ধরেই যান্ত্রিক ত্রুটি, গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত এবং অন্যান্য জটিলতায় উৎপাদন অনেক সময় বন্ধ থাকছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কারখানাটি মাত্র ৫ দিন উৎপাদন করেছে। ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ ছিল, এরপর চালু হলেও ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি আবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সর্বশেষ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চালু হয় কারখানা। এরপর টানা উৎপাদন দেড় মাস চলার পর ১১ এপ্রিল আবারও বন্ধ হয়ে যায়। এ বছর ২৪০ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
এ অবস্থায় দেশের ইউরিয়া সারের চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে, যাতে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিইউএফএল স্থিতিশীলভাবে উৎপাদন চালু থাকলে সরকার কম খরচে দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। তবে নানা জটিলতায় বছরের পর বছর কারখানাটি নিয়মিত উৎপাদনে থাকতে পারছে না। পাশেই অবস্থিত বেসরকারি বহুজাতিক সার কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড (কাফকো) নিয়মিত গ্যাস পায় অথচ সরকারি প্রতিষ্ঠান সিইউএফএলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ও প্রশ্ন রয়েছে।
কারখানা চালু হলে দৈনিক উৎপাদিত ইউরিয়া এবং অ্যামোনিয়ার মাধ্যমে দেশের সার সরবরাহ নিশ্চিত হবে এবং সরকারের অর্থনৈতিক ক্ষতি কমবে। একই সঙ্গে, দেশের কৃষি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় সার সরবরাহে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সার রফতানি ও সরবরাহের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এর আগে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল থেকে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরো সময়টায় সার উৎপাদন বন্ধ থাকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইউএফএলএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টায় কারখানায় আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু হওয়ায় সার উৎপাদন প্রক্রিয়াও এখন স্টার্টআপ পর্যায়ে রয়েছে। উৎপাদন শুরু হলে কারখানার দৈনিক গ্যাস চাহিদা হবে ৪৫ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট। তিনি আশা প্রকাশ করছেন, ২৯ অথবা ৩০ অক্টোবরের দিকে কারখানা পুরোপুরি উৎপাদনে ফিরবে।
সিইউএফএল সচল থাকলে দৈনিক ১১ হাজার টন ইউরিয়া সার উৎপাদন সম্ভব, প্রতি টন ৩৮ হাজার টাকা হিসাবে যার মোট বাজারমূল্য ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া কারখানায় প্রতিদিন ৮০০ টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন হয়। তবে কয়েক বছর ধরেই যান্ত্রিক ত্রুটি, গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত এবং অন্যান্য জটিলতায় উৎপাদন অনেক সময় বন্ধ থাকছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কারখানাটি মাত্র ৫ দিন উৎপাদন করেছে। ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ ছিল, এরপর চালু হলেও ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি আবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সর্বশেষ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চালু হয় কারখানা। এরপর টানা উৎপাদন দেড় মাস চলার পর ১১ এপ্রিল আবারও বন্ধ হয়ে যায়। এ বছর ২৪০ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
এ অবস্থায় দেশের ইউরিয়া সারের চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে, যাতে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিইউএফএল স্থিতিশীলভাবে উৎপাদন চালু থাকলে সরকার কম খরচে দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। তবে নানা জটিলতায় বছরের পর বছর কারখানাটি নিয়মিত উৎপাদনে থাকতে পারছে না। পাশেই অবস্থিত বেসরকারি বহুজাতিক সার কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড (কাফকো) নিয়মিত গ্যাস পায় অথচ সরকারি প্রতিষ্ঠান সিইউএফএলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ও প্রশ্ন রয়েছে।
কারখানা চালু হলে দৈনিক উৎপাদিত ইউরিয়া এবং অ্যামোনিয়ার মাধ্যমে দেশের সার সরবরাহ নিশ্চিত হবে এবং সরকারের অর্থনৈতিক ক্ষতি কমবে। একই সঙ্গে, দেশের কৃষি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় সার সরবরাহে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সার রফতানি ও সরবরাহের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার অর্থনীতির ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একটি কালো দিন হয়ে থাকবে ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর। এদিনই বিদেশি মুদ্রায় চালু করার ইউরোবন্ডের বিপরীতে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ পরিশোধ করতে না পায় দেউলিয়া হয়ে যায় দেশটি। আফ্রিকার তৃতীয় দেশ হিসেবে জাম্বিয়া ও ঘানার পর দেউলিয়া হলো ইথিওপিয়া। ইথিওপিয়া মূলত আন্
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
১৩ ঘণ্টা আগে
কোনো পূর্বঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে, এই নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোনো পূর্বঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে, এই নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন জানায়, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে স্থলবন্দর দিয়ে আর কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যাচ্ছে না। এতে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক উভয় পক্ষই বিপাকে পড়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় পচনশীল পণ্যের ক্ষতির আশঙ্কাও বাড়ছে।
এ বিষয়ে গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) জানায়, চোরাচালান বা অবৈধ পণ্যের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তবে এর অজুহাতে সন্ধ্যার পর বন্দর কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়। ডিসিসিআই মনে করে, বৈধ বাণিজ্য সচল থাকলে বরং অবৈধ কার্যক্রম কমে আসবে। চেম্বারটি বলছে, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অধিকাংশ বাণিজ্য পরিচালিত হয়। এখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হলে তা সার্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তারা অবিলম্বে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করে ব্যবসা স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেনাপোল দিয়ে ২০ লাখ ১১ হাজার টন পণ্য আমদানি এবং ৪ লাখ ২১ হাজার টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই বিশাল বাণিজ্যপ্রবাহ সন্ধ্যার পর বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন, একই সঙ্গে রাজস্ব আয়েও ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। বন্দরের দুই পাশে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষায় থাকায় বিশেষ করে খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্য দ্রুত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত শুধু বাণিজ্য ব্যাহত করছে না, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের লিড টাইমও বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা দেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতা আরও দুর্বল করে তুলবে।

কোনো পূর্বঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে, এই নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন জানায়, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে স্থলবন্দর দিয়ে আর কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যাচ্ছে না। এতে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক উভয় পক্ষই বিপাকে পড়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় পচনশীল পণ্যের ক্ষতির আশঙ্কাও বাড়ছে।
এ বিষয়ে গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) জানায়, চোরাচালান বা অবৈধ পণ্যের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তবে এর অজুহাতে সন্ধ্যার পর বন্দর কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়। ডিসিসিআই মনে করে, বৈধ বাণিজ্য সচল থাকলে বরং অবৈধ কার্যক্রম কমে আসবে। চেম্বারটি বলছে, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অধিকাংশ বাণিজ্য পরিচালিত হয়। এখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হলে তা সার্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তারা অবিলম্বে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করে ব্যবসা স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেনাপোল দিয়ে ২০ লাখ ১১ হাজার টন পণ্য আমদানি এবং ৪ লাখ ২১ হাজার টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই বিশাল বাণিজ্যপ্রবাহ সন্ধ্যার পর বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন, একই সঙ্গে রাজস্ব আয়েও ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। বন্দরের দুই পাশে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষায় থাকায় বিশেষ করে খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্য দ্রুত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত শুধু বাণিজ্য ব্যাহত করছে না, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের লিড টাইমও বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা দেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতা আরও দুর্বল করে তুলবে।

আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার অর্থনীতির ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একটি কালো দিন হয়ে থাকবে ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর। এদিনই বিদেশি মুদ্রায় চালু করার ইউরোবন্ডের বিপরীতে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ পরিশোধ করতে না পায় দেউলিয়া হয়ে যায় দেশটি। আফ্রিকার তৃতীয় দেশ হিসেবে জাম্বিয়া ও ঘানার পর দেউলিয়া হলো ইথিওপিয়া। ইথিওপিয়া মূলত আন্
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
১৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে