আয়নাল হোসেন, ঢাকা
দেশে বর্তমানে ভোজ্যতেলের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। বাজারে অত্যাবশ্যকীয় এই পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন দেশ থেকে তেল আমদানি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এরই অংশ হিসেবে একটি নতুন কৌশল বাস্তবায়নের পথে সরকার।
দেশে উৎপাদিত রাইস ব্র্যান তেলের একটি বড় অংশ বিদেশি বাজারে রপ্তানি হয়ে যাচ্ছে। এতে দেশীয় ভোক্তার চাহিদা পূরণে সংকট তৈরি হচ্ছে। অল্প কয়েকজন উদ্যোক্তা বিদেশে এই তেল রপ্তানি করে বিপুল মুনাফা অর্জন করলেও দেশীয় ভোক্তারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, অপরিশোধিত রাইস ব্র্যান তেলের রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। রপ্তানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে দেশীয় বাজারে রাইস ব্র্যান তেলের সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারের এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো দেশীয় ভোজ্যতেলের সংকট লাঘব করা এবং স্থানীয় ভোক্তাদের প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া। এতে দেশীয় বাজারে তেলের মূল্য স্থিতিশীল হওয়া এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ১০ নভেম্বর এ বিষয়ে স্বার্থসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একটি প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান জানান, দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে ডলার ব্যয় করে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি করতে হচ্ছে, অথচ দেশের উৎপাদিত রাইস ব্র্যান তেল এবং এর কাঁচামাল বেশি দামে রপ্তানি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুল্কারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ৫ কোটি ৫০ লাখ টন ধান উৎপাদিত হয়, যার থেকে ৬-৭ লাখ টন রাইস ব্র্যান তেল উৎপাদন সম্ভব। বর্তমানে দেশের ২০টি রাইস মিল বছরে প্রায় ৪ লাখ ৫৩ হাজার টন তেল উৎপাদনের ক্ষমতা রাখে, যদিও বাস্তবে তারা ২ লাখ ৮৬ হাজার টন তেল পরিশোধন করে। অন্যদিকে, দেশের ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা ২২-২৩ লাখ টন, যার ৯০ শতাংশই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। অপরিশোধিত রাইস ব্র্যান তেল দেশেই প্রক্রিয়াজাত করা হলে ৭ লাখ ৫০ হাজার টন তেল উৎপাদন সম্ভব, যা দেশের চাহিদার ২৫-৩০ শতাংশ পূরণে সক্ষম।
রাইস ব্র্যান তেলের কাঁচামাল রপ্তানির ফলে দেশে তেলের ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভোমরা ও হিলি বন্দর দিয়ে ৬৪ হাজার ১৯ টন অপরিশোধিত রাইস ব্র্যান তেল রপ্তানি হয়েছে এবং ২০২২-২৩ সালে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছিল ৭ হাজার ২৮৯ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর রপ্তানি কিছুটা কমে এলেও বর্তমানে শুল্ক না থাকায় অপরিশোধিত তেলের রপ্তানি বেড়ে গেছে, যা দেশে সরবরাহে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, অক্টোবর মাসে অপরিশোধিত পাম তেলের আন্তর্জাতিক দাম ছিল ১ হাজার ৬০ ডলার, যা নভেম্বরে বেড়ে ১ হাজার ২৪৫ ডলারে পৌঁছেছে। একই সময় সয়াবিন তেলের দাম ১ হাজার ২৫ ডলার থেকে বেড়ে ১ হাজার ১৮০ ডলার হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব দেশের ভোজ্যতেলের বাজারে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় টিসিবি স্বল্পমূল্যে রাইস ব্র্যান তেল বিক্রি করছে, তবে অপরিশোধিত তেল রপ্তানির কারণে সরবরাহে ঘাটতি হচ্ছে।
রাইস ব্র্যান তেল রপ্তানি নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি সূর্যমুখী তেলের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে উৎসাহ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, কারণ এটি স্বাস্থ্যসম্মত এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। ট্যারিফ কমিশন জানায়, দেশে ২০১২ সাল থেকে রাইস ব্র্যান তেল উৎপাদন শুরু হয়েছে, তবে অপরিশোধিত তেলের কাঁচামাল রপ্তানি হওয়ায় দেশে পরিশোধনের সুযোগ কমে যাচ্ছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পোলট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সুপারিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এর ভিত্তিতে ট্যারিফ কমিশন একটি বিশ্লেষণ করে ২০২১-২৪ রপ্তানি নীতির আওতায় পরিশোধিত ও অপরিশোধিত রাইস ব্র্যান তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা, ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং বিশেষ অনুমতির শর্ত আরোপের সুপারিশ করেছে।
দেশে বর্তমানে ভোজ্যতেলের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। বাজারে অত্যাবশ্যকীয় এই পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন দেশ থেকে তেল আমদানি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এরই অংশ হিসেবে একটি নতুন কৌশল বাস্তবায়নের পথে সরকার।
দেশে উৎপাদিত রাইস ব্র্যান তেলের একটি বড় অংশ বিদেশি বাজারে রপ্তানি হয়ে যাচ্ছে। এতে দেশীয় ভোক্তার চাহিদা পূরণে সংকট তৈরি হচ্ছে। অল্প কয়েকজন উদ্যোক্তা বিদেশে এই তেল রপ্তানি করে বিপুল মুনাফা অর্জন করলেও দেশীয় ভোক্তারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, অপরিশোধিত রাইস ব্র্যান তেলের রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। রপ্তানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে দেশীয় বাজারে রাইস ব্র্যান তেলের সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারের এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো দেশীয় ভোজ্যতেলের সংকট লাঘব করা এবং স্থানীয় ভোক্তাদের প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া। এতে দেশীয় বাজারে তেলের মূল্য স্থিতিশীল হওয়া এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ১০ নভেম্বর এ বিষয়ে স্বার্থসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একটি প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান জানান, দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে ডলার ব্যয় করে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি করতে হচ্ছে, অথচ দেশের উৎপাদিত রাইস ব্র্যান তেল এবং এর কাঁচামাল বেশি দামে রপ্তানি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুল্কারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ৫ কোটি ৫০ লাখ টন ধান উৎপাদিত হয়, যার থেকে ৬-৭ লাখ টন রাইস ব্র্যান তেল উৎপাদন সম্ভব। বর্তমানে দেশের ২০টি রাইস মিল বছরে প্রায় ৪ লাখ ৫৩ হাজার টন তেল উৎপাদনের ক্ষমতা রাখে, যদিও বাস্তবে তারা ২ লাখ ৮৬ হাজার টন তেল পরিশোধন করে। অন্যদিকে, দেশের ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা ২২-২৩ লাখ টন, যার ৯০ শতাংশই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। অপরিশোধিত রাইস ব্র্যান তেল দেশেই প্রক্রিয়াজাত করা হলে ৭ লাখ ৫০ হাজার টন তেল উৎপাদন সম্ভব, যা দেশের চাহিদার ২৫-৩০ শতাংশ পূরণে সক্ষম।
রাইস ব্র্যান তেলের কাঁচামাল রপ্তানির ফলে দেশে তেলের ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভোমরা ও হিলি বন্দর দিয়ে ৬৪ হাজার ১৯ টন অপরিশোধিত রাইস ব্র্যান তেল রপ্তানি হয়েছে এবং ২০২২-২৩ সালে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছিল ৭ হাজার ২৮৯ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর রপ্তানি কিছুটা কমে এলেও বর্তমানে শুল্ক না থাকায় অপরিশোধিত তেলের রপ্তানি বেড়ে গেছে, যা দেশে সরবরাহে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, অক্টোবর মাসে অপরিশোধিত পাম তেলের আন্তর্জাতিক দাম ছিল ১ হাজার ৬০ ডলার, যা নভেম্বরে বেড়ে ১ হাজার ২৪৫ ডলারে পৌঁছেছে। একই সময় সয়াবিন তেলের দাম ১ হাজার ২৫ ডলার থেকে বেড়ে ১ হাজার ১৮০ ডলার হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব দেশের ভোজ্যতেলের বাজারে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় টিসিবি স্বল্পমূল্যে রাইস ব্র্যান তেল বিক্রি করছে, তবে অপরিশোধিত তেল রপ্তানির কারণে সরবরাহে ঘাটতি হচ্ছে।
রাইস ব্র্যান তেল রপ্তানি নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি সূর্যমুখী তেলের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে উৎসাহ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, কারণ এটি স্বাস্থ্যসম্মত এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। ট্যারিফ কমিশন জানায়, দেশে ২০১২ সাল থেকে রাইস ব্র্যান তেল উৎপাদন শুরু হয়েছে, তবে অপরিশোধিত তেলের কাঁচামাল রপ্তানি হওয়ায় দেশে পরিশোধনের সুযোগ কমে যাচ্ছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পোলট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সুপারিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এর ভিত্তিতে ট্যারিফ কমিশন একটি বিশ্লেষণ করে ২০২১-২৪ রপ্তানি নীতির আওতায় পরিশোধিত ও অপরিশোধিত রাইস ব্র্যান তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা, ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং বিশেষ অনুমতির শর্ত আরোপের সুপারিশ করেছে।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চলতি মাসের ২৭ এপ্রিল থেকে কার্গো অপারেশন চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আজ বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
১৮ ঘণ্টা আগেচলতি মাসে উচ্চপর্যায়ের একটি জার্মান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। এই প্রতিনিধিদলে জার্মান পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, দেশটির রপ্তানি ঋণ সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর
১ দিন আগেবিশ্বখ্যাত অডিট ফার্ম পিডব্লিউসি বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। বিশালাকার এই অ্যাকাউন্টিং ফার্মটির কর্তাব্যক্তিদের মতে, ছোট, ঝুঁকিপূর্ণ বা অলাভজনক বিবেচিত এক ডজনের বেশি দেশে ব্যবসা বন্ধ করেছে। কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি এড়াতেই তাদের এই পদক্ষেপ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল...
১ দিন আগেচলতি অর্থবছরের মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে এখনো খরচ করা বাকি রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য বলছে, জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে খরচ হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, যা মোট সংশোধিত এডিপির...
১ দিন আগে