নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অনিয়ম ও দুঃশাসনে পঙ্গু হয়ে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। এখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। পুঁজিবাজার পরিণত হয়েছে জুয়াখেলার ক্যাসিনোতে। যেখানে মুনাফা কেবল নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর, আর লোকসান সাধারণ বিনিয়োগকারীর। এর কারণ, পুঁজিবাজারে কারসাজির শাস্তি না হওয়া এবং রাজনৈতিকভাবে কেউ পুঁজিবাজারের দায়িত্ব (পলিটিক্যাল ওনারশিপ) গ্রহণ করেনি।
রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাল্টিপারপাস হলে গতকাল শনিবার পুঁজিবাজার নিয়ে এক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় পুঁজিবাজার: দর্শন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও আলোচক ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
গত সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে পুঁজিবাজারকে ক্যাসিনোতে পরিণত করা হয়েছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ক্যাসিনোতে পরিণত হয়েছে, এটা আর পুঁজিবাজার নেই। একটি গোষ্ঠী এই ক্যাসিনোর মালিক। আপনি ক্যাসিনোতে ঢুকবেন, খেলবেন, কিন্তু দিনের শেষে মুনাফা যাবে সেই মালিকের ঘরে।’
আগামী দিনে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি পুঁজিবাজারের দায়িত্ব (ওনারশিপ) নেবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘ক্যাপিটাল মার্কেটকে রাজনৈতিক মালিকানার আওতায় আনতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি। কিন্তু বাংলাদেশে কেউ এ জায়গাটাতে হাত দিতে চায় না। পুঁজিবাজারের যত সংস্কার, সব বিএনপির সময় হয়েছে। আগামী দিনে ক্ষমতায় গেলে আমরা পুঁজিবাজারের ওনারশিপ নেব।’
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ২০১০-১১ সালে পুঁজিবাজার থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন, যার মধ্যে অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে।
শাস্তি না হলে অন্যায় ও দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে দেবপ্রিয় আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি, ১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় শেয়ারবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ পথে বসেছে, অথচ সে সময়কার ঘটনার কোনো বিচার হয়নি। এটি ছিল পাপের সূত্রপাত।’
টোটকা ওষুধে পুঁজিবাজার ঠিক হবে না উল্লেখ করে দেবপ্রিয় বলেন, এই বাজারের ধাক্কা পুরো অর্থনীতিকে দুর্বল করে দিয়েছে।
পুঁজিবাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে দেবপ্রিয় বলেন, দিন আনে দিন খায়—এমন মানসিকতা পুঁজিবাজারের সঙ্গে যায় না। একে সচল করতে হলে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে, পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। তারপরও কাজ না হলে বুঝতে হবে, বড় ধরনের কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কমিশনার মোহসিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আইপিও প্রক্রিয়া সহজ করাসহ পুঁজিবাজারে বিভিন্ন মেয়াদে সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোবারক হোসেন বলেন, বাংলাদেশের বাজেটের ২৫ শতাংশ টাকা অনিয়মের মাধ্যমে ড্রেনেজে চলে যাচ্ছে। এটা রোধ করা গেলে দেশের অর্থনীতি ভালো হবে। পুঁজিবাজারসহ দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবিন বলেন, রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অর্থনীতি ও পুঁজিবাজার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সমস্যা সমাধানের অর্থনৈতিক থিওরি আছে, কিন্তু বাস্তবায়ন নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ও অর্থনীতিবিদ ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘আর্থিক কাঠামোর দুর্বলতার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী পায়নি পুঁজিবাজার। পৃথিবীর অন্যান্য পুঁজিবাজারে দরপতন হলে ঘুরে দাঁড়ায় (বাউন্স ব্যাক), কিন্তু আমাদের দেশে সেই কাঠামো কাজ করে না। এ ক্ষেত্রে যে কারসাজি আছে, সেখান থেকে আমরা উঠে আসতে পারিনি।’
ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। সেটা কীভাবে ফিরিয়ে আনব, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।’
সিএসইর চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সংকুচিত ছিল, আরও হয়ে আসছে। পুঁজিবাজার পতনের সংস্কৃতির পেছনের কারণ হলো আইনের প্রয়োগের অভাব।
পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ বলেন, ‘আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর খরা রয়েছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী আছে, সেটা খারাপ বলব না। কিন্তু এটা দিয়ে পুঁজিবাজার কোথাও দাঁড়ায় না। পুঁজিবাজার প্রতিদিনের ভিত্তিতে টাকা বানানোর জায়গা নয়। এটা দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন প্রক্রিয়া এবং সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী খুব প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইসিএমএবির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইফতি ইসলাম প্রমুখ।

অনিয়ম ও দুঃশাসনে পঙ্গু হয়ে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। এখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। পুঁজিবাজার পরিণত হয়েছে জুয়াখেলার ক্যাসিনোতে। যেখানে মুনাফা কেবল নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর, আর লোকসান সাধারণ বিনিয়োগকারীর। এর কারণ, পুঁজিবাজারে কারসাজির শাস্তি না হওয়া এবং রাজনৈতিকভাবে কেউ পুঁজিবাজারের দায়িত্ব (পলিটিক্যাল ওনারশিপ) গ্রহণ করেনি।
রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাল্টিপারপাস হলে গতকাল শনিবার পুঁজিবাজার নিয়ে এক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় পুঁজিবাজার: দর্শন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও আলোচক ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
গত সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে পুঁজিবাজারকে ক্যাসিনোতে পরিণত করা হয়েছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ক্যাসিনোতে পরিণত হয়েছে, এটা আর পুঁজিবাজার নেই। একটি গোষ্ঠী এই ক্যাসিনোর মালিক। আপনি ক্যাসিনোতে ঢুকবেন, খেলবেন, কিন্তু দিনের শেষে মুনাফা যাবে সেই মালিকের ঘরে।’
আগামী দিনে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি পুঁজিবাজারের দায়িত্ব (ওনারশিপ) নেবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘ক্যাপিটাল মার্কেটকে রাজনৈতিক মালিকানার আওতায় আনতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি। কিন্তু বাংলাদেশে কেউ এ জায়গাটাতে হাত দিতে চায় না। পুঁজিবাজারের যত সংস্কার, সব বিএনপির সময় হয়েছে। আগামী দিনে ক্ষমতায় গেলে আমরা পুঁজিবাজারের ওনারশিপ নেব।’
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ২০১০-১১ সালে পুঁজিবাজার থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন, যার মধ্যে অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে।
শাস্তি না হলে অন্যায় ও দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে দেবপ্রিয় আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি, ১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় শেয়ারবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ পথে বসেছে, অথচ সে সময়কার ঘটনার কোনো বিচার হয়নি। এটি ছিল পাপের সূত্রপাত।’
টোটকা ওষুধে পুঁজিবাজার ঠিক হবে না উল্লেখ করে দেবপ্রিয় বলেন, এই বাজারের ধাক্কা পুরো অর্থনীতিকে দুর্বল করে দিয়েছে।
পুঁজিবাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে দেবপ্রিয় বলেন, দিন আনে দিন খায়—এমন মানসিকতা পুঁজিবাজারের সঙ্গে যায় না। একে সচল করতে হলে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে, পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। তারপরও কাজ না হলে বুঝতে হবে, বড় ধরনের কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কমিশনার মোহসিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আইপিও প্রক্রিয়া সহজ করাসহ পুঁজিবাজারে বিভিন্ন মেয়াদে সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোবারক হোসেন বলেন, বাংলাদেশের বাজেটের ২৫ শতাংশ টাকা অনিয়মের মাধ্যমে ড্রেনেজে চলে যাচ্ছে। এটা রোধ করা গেলে দেশের অর্থনীতি ভালো হবে। পুঁজিবাজারসহ দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবিন বলেন, রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অর্থনীতি ও পুঁজিবাজার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সমস্যা সমাধানের অর্থনৈতিক থিওরি আছে, কিন্তু বাস্তবায়ন নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ও অর্থনীতিবিদ ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘আর্থিক কাঠামোর দুর্বলতার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী পায়নি পুঁজিবাজার। পৃথিবীর অন্যান্য পুঁজিবাজারে দরপতন হলে ঘুরে দাঁড়ায় (বাউন্স ব্যাক), কিন্তু আমাদের দেশে সেই কাঠামো কাজ করে না। এ ক্ষেত্রে যে কারসাজি আছে, সেখান থেকে আমরা উঠে আসতে পারিনি।’
ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। সেটা কীভাবে ফিরিয়ে আনব, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।’
সিএসইর চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সংকুচিত ছিল, আরও হয়ে আসছে। পুঁজিবাজার পতনের সংস্কৃতির পেছনের কারণ হলো আইনের প্রয়োগের অভাব।
পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ বলেন, ‘আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর খরা রয়েছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী আছে, সেটা খারাপ বলব না। কিন্তু এটা দিয়ে পুঁজিবাজার কোথাও দাঁড়ায় না। পুঁজিবাজার প্রতিদিনের ভিত্তিতে টাকা বানানোর জায়গা নয়। এটা দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন প্রক্রিয়া এবং সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী খুব প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইসিএমএবির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইফতি ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ‘অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হওয়া’ সম্পদ উদ্ধারের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে পারিবারিক ব্যবসা থেকে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সালিস আদালতে দাবি তুলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।
৩ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার কর-পরবর্তী একত্র নিট মুনাফা অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এই মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
৪ ঘণ্টা আগে
বিমা খাতে অ্যাকচুয়ারি কর্মী সংকট নিরসন ও দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ লক্ষ্যে গঠন করা হবে অ্যাকচুয়ারিয়াল ইনস্টিটিউট, অ্যাকচুয়ারিয়াল বোর্ড অব স্ট্যান্ডার্ড সেটিং ও অ্যাকচুয়ারিয়াল কাউন্সিল। এ-সংক্রান্ত ‘অ্যাকচুয়ারিয়াল অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এর খসড়া এর মধ্যে
৬ ঘণ্টা আগে
প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিসিএস। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ কথা জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ‘অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হওয়া’ সম্পদ উদ্ধারের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে পারিবারিক ব্যবসা থেকে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সালিস আদালতে দাবি তুলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।
এই শিল্পগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাঈফুল আলম (এস আলম) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের পক্ষে বিশ্বব্যাংকের সালিসি ট্রাইব্যুনাল ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটে (আইসিএসআইডি) সালিসি দাবিটি তুলেছেন কুইন ইম্যানুয়েল আর্কহার্ট অ্যান্ড সুলিভান নামের আইনি পরামর্শক সংস্থা। দাবির নথির বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এস আলম পরিবারে দাবি, ‘নির্বিচারে সম্পদ জব্দ, বাজেয়াপ্ত এবং কোম্পানির মূল্য ধ্বংসে’ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘লক্ষ্যভিত্তিক অভিযানের’ শিকার হয়েছে তাঁরা। খাদ্য, নির্মাণ, পোশাক ও ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতে বড় বিনিয়োগ আছে এস আলমের।
এস আলমের এই সালিসি মামলাকে বিদেশ থেকে পাচারের টাকা ফেরত আনতে ইউনূস সরকারের প্রচেষ্টার ওপর এক বড় ধাক্কা হিসেবে উল্লেখ করেছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস। গত ডিসেম্বর প্রকাশিত অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রে এই পাচারের মোট পরিমাণ আনুমানিক ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাচার অর্থ উদ্ধারে গঠিত টাস্কফোর্সের প্রধান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ. মনসুর অভিযোগ করেছেন, প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে এস আলম পরিবার। ‘কোনো ভিত্তি নেই’ বলে এ অভিযোগ বরাবর খারিজ করে আসছে এস আলম গ্রুপ।
এস আলম পরিবারের আইনজীবীরা গত ডিসেম্বরেই ইউনূস সরকারকে সতর্ক করে বলেন, যদি ছয় মাসের মধ্যে এই বিরোধ নিষ্পত্তি না হয়, তবে তাঁরা সালিসি মামলা করবেন।
কুইন ইম্যানুয়েল আর্কহার্ট অ্যান্ড সুলিভান অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তী সরকার এস আলম পরিবারের ব্যাংক হিসাব ও সম্পদ জব্দ করেছে, তাঁদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে ‘ভিত্তিহীন তদন্ত’ চালিয়েছে এবং পরিবারটির বিরুদ্ধে ‘উসকানিমূলক অপপ্রচার’ চালাচ্ছে।
সালিসি আবেদনে বলা হয়, এর ফলে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে এস আলম গ্রুপের। তবে ক্ষতিপূরণের দাবিতে নির্দিষ্ট অঙ্ক উল্লেখ করা হয়নি।
এস আলমের সালিসি আবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘যখন আমাদের কাছে এটি পৌঁছাবে, আমরা যথাযথভাবে জবাব দেব।’
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও এ বিষয়ে মন্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের হাতে আসা আইনি নথিতে উল্লেখ করা হয়, সালিসি মামলাটি বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ২০০৪ সালের দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় করা হয়েছে। এস আলম পরিবারের সদস্যরা ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নেন এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন।
এস আলম পরিবার এর আগেও দাবি করেছে, তাঁরা যেহেতু সিঙ্গাপুরের নাগরিক, তাই বাংলাদেশের ১৯৮০ সালের বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগ আইনে প্রদত্ত সুরক্ষা পাওয়ার যোগ্য।
আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, এস আলম পরিবার এবং তাদের সহযোগীরা সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় জোরপূর্বক ব্যাংক দখল করে ব্যাংকিং খাত থেকে অর্থ পাচার করেছে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, এস আলম ও তাঁদের সহযোগীরা কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীন ছয়টি ব্যাংকে ঋণ ও অতিমূল্যায়িত আমদানি চালানের মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছে।
মনসুর আরও বলেন, ‘তাঁরা কি পরিমাণ সম্পদ পাচার করেছে, আমরা তার অসংখ্য প্রমাণ পেয়েছি। এখন আমরা তাঁদের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কাজ করছি, যেগুলোর নিট সম্পদের পরিমাণ ঋণাত্মক এবং সরকারকেই সেগুলো উদ্ধার করতে হচ্ছে।’
অন্যদিকে, সালিসি মামলায় আলম পরিবার বলেছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারেনি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে মনসুর বলেছিলেন, যাঁরা দেশের অর্থ পাচার করেছেন বলে অভিযোগ আছে, তাঁদের সঙ্গে সালিসে নিষ্পত্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ‘অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হওয়া’ সম্পদ উদ্ধারের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে পারিবারিক ব্যবসা থেকে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সালিস আদালতে দাবি তুলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।
এই শিল্পগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাঈফুল আলম (এস আলম) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের পক্ষে বিশ্বব্যাংকের সালিসি ট্রাইব্যুনাল ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটে (আইসিএসআইডি) সালিসি দাবিটি তুলেছেন কুইন ইম্যানুয়েল আর্কহার্ট অ্যান্ড সুলিভান নামের আইনি পরামর্শক সংস্থা। দাবির নথির বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এস আলম পরিবারে দাবি, ‘নির্বিচারে সম্পদ জব্দ, বাজেয়াপ্ত এবং কোম্পানির মূল্য ধ্বংসে’ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘লক্ষ্যভিত্তিক অভিযানের’ শিকার হয়েছে তাঁরা। খাদ্য, নির্মাণ, পোশাক ও ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতে বড় বিনিয়োগ আছে এস আলমের।
এস আলমের এই সালিসি মামলাকে বিদেশ থেকে পাচারের টাকা ফেরত আনতে ইউনূস সরকারের প্রচেষ্টার ওপর এক বড় ধাক্কা হিসেবে উল্লেখ করেছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস। গত ডিসেম্বর প্রকাশিত অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রে এই পাচারের মোট পরিমাণ আনুমানিক ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাচার অর্থ উদ্ধারে গঠিত টাস্কফোর্সের প্রধান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ. মনসুর অভিযোগ করেছেন, প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে এস আলম পরিবার। ‘কোনো ভিত্তি নেই’ বলে এ অভিযোগ বরাবর খারিজ করে আসছে এস আলম গ্রুপ।
এস আলম পরিবারের আইনজীবীরা গত ডিসেম্বরেই ইউনূস সরকারকে সতর্ক করে বলেন, যদি ছয় মাসের মধ্যে এই বিরোধ নিষ্পত্তি না হয়, তবে তাঁরা সালিসি মামলা করবেন।
কুইন ইম্যানুয়েল আর্কহার্ট অ্যান্ড সুলিভান অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তী সরকার এস আলম পরিবারের ব্যাংক হিসাব ও সম্পদ জব্দ করেছে, তাঁদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে ‘ভিত্তিহীন তদন্ত’ চালিয়েছে এবং পরিবারটির বিরুদ্ধে ‘উসকানিমূলক অপপ্রচার’ চালাচ্ছে।
সালিসি আবেদনে বলা হয়, এর ফলে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে এস আলম গ্রুপের। তবে ক্ষতিপূরণের দাবিতে নির্দিষ্ট অঙ্ক উল্লেখ করা হয়নি।
এস আলমের সালিসি আবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘যখন আমাদের কাছে এটি পৌঁছাবে, আমরা যথাযথভাবে জবাব দেব।’
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও এ বিষয়ে মন্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের হাতে আসা আইনি নথিতে উল্লেখ করা হয়, সালিসি মামলাটি বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ২০০৪ সালের দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় করা হয়েছে। এস আলম পরিবারের সদস্যরা ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নেন এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন।
এস আলম পরিবার এর আগেও দাবি করেছে, তাঁরা যেহেতু সিঙ্গাপুরের নাগরিক, তাই বাংলাদেশের ১৯৮০ সালের বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগ আইনে প্রদত্ত সুরক্ষা পাওয়ার যোগ্য।
আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, এস আলম পরিবার এবং তাদের সহযোগীরা সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় জোরপূর্বক ব্যাংক দখল করে ব্যাংকিং খাত থেকে অর্থ পাচার করেছে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, এস আলম ও তাঁদের সহযোগীরা কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীন ছয়টি ব্যাংকে ঋণ ও অতিমূল্যায়িত আমদানি চালানের মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছে।
মনসুর আরও বলেন, ‘তাঁরা কি পরিমাণ সম্পদ পাচার করেছে, আমরা তার অসংখ্য প্রমাণ পেয়েছি। এখন আমরা তাঁদের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কাজ করছি, যেগুলোর নিট সম্পদের পরিমাণ ঋণাত্মক এবং সরকারকেই সেগুলো উদ্ধার করতে হচ্ছে।’
অন্যদিকে, সালিসি মামলায় আলম পরিবার বলেছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারেনি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে মনসুর বলেছিলেন, যাঁরা দেশের অর্থ পাচার করেছেন বলে অভিযোগ আছে, তাঁদের সঙ্গে সালিসে নিষ্পত্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

অনিয়ম ও দুঃশাসনে পঙ্গু হয়ে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। এখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। পুঁজিবাজার পরিণত হয়েছে জুয়াখেলার ক্যাসিনোতে। যেখানে মুনাফা কেবল নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর, আর লোকসান সাধারণ বিনিয়োগকারীর।
২৫ মে ২০২৫
২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার কর-পরবর্তী একত্র নিট মুনাফা অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এই মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
৪ ঘণ্টা আগে
বিমা খাতে অ্যাকচুয়ারি কর্মী সংকট নিরসন ও দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ লক্ষ্যে গঠন করা হবে অ্যাকচুয়ারিয়াল ইনস্টিটিউট, অ্যাকচুয়ারিয়াল বোর্ড অব স্ট্যান্ডার্ড সেটিং ও অ্যাকচুয়ারিয়াল কাউন্সিল। এ-সংক্রান্ত ‘অ্যাকচুয়ারিয়াল অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এর খসড়া এর মধ্যে
৬ ঘণ্টা আগে
প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিসিএস। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ কথা জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার কর-পরবর্তী একত্র নিট মুনাফা অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এই মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর-২০২৫ প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির একত্র মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেড়ে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.০৪ টাকায়। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে যা ছিল ২.৮৭ টাকা। একক (স্ট্যান্ডালোন) কর-পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ ১৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেড়েছে।
একক মেয়াদি আমানতের (টার্ম ডিপোজিট) পরিমাণ ২০২৪ সালের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪০৭ কোটি টাকায়। প্রতিষ্ঠানটির ঋণ পোর্টফোলিওর আকার ১২ হাজার ১৬৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, আইডিএলসি ফাইন্যান্স মূলত দক্ষ মূলধন ব্যবস্থাপনা এবং কার্যকর ব্যবসায়িক পদক্ষেপের জের ধরে এই সাফল্য অর্জন করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির একত্র রিটার্ন অন ইক্যুইটি (বার্ষিকীকৃত) বেড়ে ১১.৩৯ শতাংশ হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। একইভাবে একত্র রিটার্ন অন অ্যাসেটস গত বছরের ১.১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১.৪৮ শতাংশ।
মন্দ ঋণের অনুপাত ৪.৭১ শতাংশে স্থিতিশীল রয়েছে, যা শুধু গত বছরের একই সময়ের (৪.৯৮ শতাংশ) মন্দ ঋণ অনুপাতের চেয়ে কম নয়, সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতের গড় অনুপাতের তুলনায়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কম। একক প্রভিশন কভারেজ অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১০১.৭৫ শতাংশ, যা প্রতিষ্ঠানটির সতর্ক ও দক্ষ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রতিফলন ঘটায়।
আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আইডিএলসির সাফল্যের মূল সূত্র আমাদের অনন্য ব্যবসায়িক মডেল এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদের কঠিন শৃঙ্খলা ও দৃঢ়তা। দীর্ঘ মেয়াদে গ্রাহককেন্দ্রিক সমাধান তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে আইডিএলসি। আর্থিক লাভজনকতার নিশ্চয়তা এবং দায়িত্বশীল প্রশাসনিক পরিচালনা—এই দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য রেখে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
রাজধানীর গুলশানে আইডিএলসি করপোরেট হেড অফিসে অনুষ্ঠিত আইডিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৩৫৭তম সভায় ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনটি অনুমোদিত হয়।

২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার কর-পরবর্তী একত্র নিট মুনাফা অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এই মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর-২০২৫ প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির একত্র মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেড়ে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.০৪ টাকায়। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে যা ছিল ২.৮৭ টাকা। একক (স্ট্যান্ডালোন) কর-পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ ১৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেড়েছে।
একক মেয়াদি আমানতের (টার্ম ডিপোজিট) পরিমাণ ২০২৪ সালের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪০৭ কোটি টাকায়। প্রতিষ্ঠানটির ঋণ পোর্টফোলিওর আকার ১২ হাজার ১৬৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, আইডিএলসি ফাইন্যান্স মূলত দক্ষ মূলধন ব্যবস্থাপনা এবং কার্যকর ব্যবসায়িক পদক্ষেপের জের ধরে এই সাফল্য অর্জন করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির একত্র রিটার্ন অন ইক্যুইটি (বার্ষিকীকৃত) বেড়ে ১১.৩৯ শতাংশ হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। একইভাবে একত্র রিটার্ন অন অ্যাসেটস গত বছরের ১.১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১.৪৮ শতাংশ।
মন্দ ঋণের অনুপাত ৪.৭১ শতাংশে স্থিতিশীল রয়েছে, যা শুধু গত বছরের একই সময়ের (৪.৯৮ শতাংশ) মন্দ ঋণ অনুপাতের চেয়ে কম নয়, সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতের গড় অনুপাতের তুলনায়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কম। একক প্রভিশন কভারেজ অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১০১.৭৫ শতাংশ, যা প্রতিষ্ঠানটির সতর্ক ও দক্ষ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রতিফলন ঘটায়।
আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আইডিএলসির সাফল্যের মূল সূত্র আমাদের অনন্য ব্যবসায়িক মডেল এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদের কঠিন শৃঙ্খলা ও দৃঢ়তা। দীর্ঘ মেয়াদে গ্রাহককেন্দ্রিক সমাধান তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে আইডিএলসি। আর্থিক লাভজনকতার নিশ্চয়তা এবং দায়িত্বশীল প্রশাসনিক পরিচালনা—এই দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য রেখে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
রাজধানীর গুলশানে আইডিএলসি করপোরেট হেড অফিসে অনুষ্ঠিত আইডিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৩৫৭তম সভায় ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনটি অনুমোদিত হয়।

অনিয়ম ও দুঃশাসনে পঙ্গু হয়ে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। এখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। পুঁজিবাজার পরিণত হয়েছে জুয়াখেলার ক্যাসিনোতে। যেখানে মুনাফা কেবল নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর, আর লোকসান সাধারণ বিনিয়োগকারীর।
২৫ মে ২০২৫
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ‘অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হওয়া’ সম্পদ উদ্ধারের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে পারিবারিক ব্যবসা থেকে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সালিস আদালতে দাবি তুলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।
৩ ঘণ্টা আগে
বিমা খাতে অ্যাকচুয়ারি কর্মী সংকট নিরসন ও দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ লক্ষ্যে গঠন করা হবে অ্যাকচুয়ারিয়াল ইনস্টিটিউট, অ্যাকচুয়ারিয়াল বোর্ড অব স্ট্যান্ডার্ড সেটিং ও অ্যাকচুয়ারিয়াল কাউন্সিল। এ-সংক্রান্ত ‘অ্যাকচুয়ারিয়াল অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এর খসড়া এর মধ্যে
৬ ঘণ্টা আগে
প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিসিএস। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ কথা জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিমা খাতে অ্যাকচুয়ারি কর্মী সংকট নিরসন ও দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ লক্ষ্যে গঠন করা হবে অ্যাকচুয়ারিয়াল ইনস্টিটিউট, অ্যাকচুয়ারিয়াল বোর্ড অব স্ট্যান্ডার্ড সেটিং ও অ্যাকচুয়ারিয়াল কাউন্সিল। এ-সংক্রান্ত ‘অ্যাকচুয়ারিয়াল অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এর খসড়া এর মধ্যে তৈরি করে মতামত নেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) অনুমোদন দিলে নতুন এ কাঠামোর আওতায় তিনটি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে।
আজ বুধবার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনে আয়োজিত ‘বীমা শিল্পে তরুণদের কর্মসংস্থান: অ্যাকচুয়ারি পেশার বিকাশ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান আইডিআরএর চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম।
বর্তমানে পুরো বিমা সেক্টরে মাত্র চার থেকে পাঁচজন অ্যাকচুয়ারি কাজ করছেন। এর মধ্যে মাত্র দুজন দেশে অবস্থান করছেন, অন্যরা বিদেশে থেকে কাজ করছেন। বিষয়টি নিয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, বিমা খাতে টেকসই উন্নয়নের জন্য অ্যাকচুয়ারিয়াল পেশাজীবীদের কোনো বিকল্প নেই। এ পেশা শুধু বিমা খাত নয়, পুরো আর্থিক খাতের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে শক্ত ভিত্তি দেয়।
অ্যাকচুয়ারি পেশা হলো এমন একটি বিশেষায়িত ক্ষেত্র, যেখানে গণিত, পরিসংখ্যান ও অর্থনীতির মডেল ব্যবহার করে ভবিষ্যতের আর্থিক ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা (যেমন গাড়ি দুর্ঘটনা বা অসুস্থতা) পরিমাপ করা হয়। এটি মূলত বিমাশিল্প, পেনশন তহবিল ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্যতার বিশ্লেষণের মাধ্যমে অ্যাকচুয়ারিরা ভবিষ্যতের ঘটনাজনিত ঝুঁকি গাণিতিকভাবে নির্ধারণ করেন, যা নতুন বিমা পণ্য ডিজাইন, প্রিমিয়াম নির্ধারণ ও দাবি নিষ্পত্তিতে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি দেয়। উন্নত বিশ্বে অ্যাকচুয়ারিয়াল ডিগ্রিকে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও উচ্চ আয়সম্পন্ন পেশা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে আইডিআরএর সদস্য (প্রশাসন) মো. ফজলুল হক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মুখ্য আলোচক ছিলেন অ্যাকচুয়ারি ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাকচুয়ারি আফরিন হক, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ, এশিয়া ইনস্যুরেন্সের মো. ইমাম শাহীন, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম ইউসুফ আলী। এ ছাড়া বিমা খাতের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে অ্যাকচুয়ারি ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, অ্যাকচুয়ারি ছাড়া বিমাশিল্প চলতে পারে না। অথচ বর্তমানে কোম্পানিগুলো ক্লেইম ও প্রিমিয়ামের তথ্যের ওপর নির্ভর করে নিজেরাই অনুমাননির্ভর পণ্য তৈরি করছে। তিনি বলেন, ‘এর আগেও দেশে অ্যাকচুয়ারি তৈরির কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। অনেকে আমার সঙ্গে কাজও করেছেন। কিন্ত তাঁদের যথাযথ মূল্যায়ন ও চাকরির সুবিধা না দেওয়ায় তাঁরা দেশের বাইরে চলে গেছেন।’
আইডিআরএর বর্তমান উদ্যোগের বিষয়ে সোহরাব বলেন, সব বিমা কোম্পানি যদি আন্তরিকভাবে আইডিআরএকে সহযোগিতা করে, তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশে নতুন অনেক অ্যাকচুয়ারি তৈরি করা সম্ভব হবে।
দেশে কর্মরত একমাত্র তরুণ অ্যাকচুয়ারি আফরিন হক বলেন, স্কুল ও কলেজপর্যায়ে অ্যাকচুয়ারি বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বাবা-মায়েরা শুধু ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার পেশার প্রতিই গুরুত্ব দেন, ফলে অ্যাকচুয়ারি পেশা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হয়নি।
বর্তমান বিমা আইন, ২০১০ অনুযায়ী, জীবনবিমা খাতে অ্যাকচুয়ারির নিয়োগ বাধ্যতামূলক হলেও সাধারণ বিমা খাতে তা নয়। এ বিষয়ে ড. সোহরাব উদ্দীন বলেন, নন-লাইফ খাতেও অ্যাকচুয়ারি বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন, কারণ, এটি বিজ্ঞানভিত্তিক পণ্য ও প্রিমিয়াম নির্ধারণের জন্য অপরিহার্য।
আইডিআরএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব উদ্যোগে তিনজন অ্যাকচুয়ারি ট্রেইনি অফিসার তৈরির একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যা পরে তাঁদের অ্যাকচুয়ারি হতে সহায়তা করবে।

বিমা খাতে অ্যাকচুয়ারি কর্মী সংকট নিরসন ও দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ লক্ষ্যে গঠন করা হবে অ্যাকচুয়ারিয়াল ইনস্টিটিউট, অ্যাকচুয়ারিয়াল বোর্ড অব স্ট্যান্ডার্ড সেটিং ও অ্যাকচুয়ারিয়াল কাউন্সিল। এ-সংক্রান্ত ‘অ্যাকচুয়ারিয়াল অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এর খসড়া এর মধ্যে তৈরি করে মতামত নেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) অনুমোদন দিলে নতুন এ কাঠামোর আওতায় তিনটি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে।
আজ বুধবার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনে আয়োজিত ‘বীমা শিল্পে তরুণদের কর্মসংস্থান: অ্যাকচুয়ারি পেশার বিকাশ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান আইডিআরএর চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম।
বর্তমানে পুরো বিমা সেক্টরে মাত্র চার থেকে পাঁচজন অ্যাকচুয়ারি কাজ করছেন। এর মধ্যে মাত্র দুজন দেশে অবস্থান করছেন, অন্যরা বিদেশে থেকে কাজ করছেন। বিষয়টি নিয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, বিমা খাতে টেকসই উন্নয়নের জন্য অ্যাকচুয়ারিয়াল পেশাজীবীদের কোনো বিকল্প নেই। এ পেশা শুধু বিমা খাত নয়, পুরো আর্থিক খাতের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে শক্ত ভিত্তি দেয়।
অ্যাকচুয়ারি পেশা হলো এমন একটি বিশেষায়িত ক্ষেত্র, যেখানে গণিত, পরিসংখ্যান ও অর্থনীতির মডেল ব্যবহার করে ভবিষ্যতের আর্থিক ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা (যেমন গাড়ি দুর্ঘটনা বা অসুস্থতা) পরিমাপ করা হয়। এটি মূলত বিমাশিল্প, পেনশন তহবিল ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্যতার বিশ্লেষণের মাধ্যমে অ্যাকচুয়ারিরা ভবিষ্যতের ঘটনাজনিত ঝুঁকি গাণিতিকভাবে নির্ধারণ করেন, যা নতুন বিমা পণ্য ডিজাইন, প্রিমিয়াম নির্ধারণ ও দাবি নিষ্পত্তিতে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি দেয়। উন্নত বিশ্বে অ্যাকচুয়ারিয়াল ডিগ্রিকে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও উচ্চ আয়সম্পন্ন পেশা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে আইডিআরএর সদস্য (প্রশাসন) মো. ফজলুল হক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মুখ্য আলোচক ছিলেন অ্যাকচুয়ারি ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাকচুয়ারি আফরিন হক, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ, এশিয়া ইনস্যুরেন্সের মো. ইমাম শাহীন, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম ইউসুফ আলী। এ ছাড়া বিমা খাতের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে অ্যাকচুয়ারি ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, অ্যাকচুয়ারি ছাড়া বিমাশিল্প চলতে পারে না। অথচ বর্তমানে কোম্পানিগুলো ক্লেইম ও প্রিমিয়ামের তথ্যের ওপর নির্ভর করে নিজেরাই অনুমাননির্ভর পণ্য তৈরি করছে। তিনি বলেন, ‘এর আগেও দেশে অ্যাকচুয়ারি তৈরির কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। অনেকে আমার সঙ্গে কাজও করেছেন। কিন্ত তাঁদের যথাযথ মূল্যায়ন ও চাকরির সুবিধা না দেওয়ায় তাঁরা দেশের বাইরে চলে গেছেন।’
আইডিআরএর বর্তমান উদ্যোগের বিষয়ে সোহরাব বলেন, সব বিমা কোম্পানি যদি আন্তরিকভাবে আইডিআরএকে সহযোগিতা করে, তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশে নতুন অনেক অ্যাকচুয়ারি তৈরি করা সম্ভব হবে।
দেশে কর্মরত একমাত্র তরুণ অ্যাকচুয়ারি আফরিন হক বলেন, স্কুল ও কলেজপর্যায়ে অ্যাকচুয়ারি বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বাবা-মায়েরা শুধু ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার পেশার প্রতিই গুরুত্ব দেন, ফলে অ্যাকচুয়ারি পেশা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হয়নি।
বর্তমান বিমা আইন, ২০১০ অনুযায়ী, জীবনবিমা খাতে অ্যাকচুয়ারির নিয়োগ বাধ্যতামূলক হলেও সাধারণ বিমা খাতে তা নয়। এ বিষয়ে ড. সোহরাব উদ্দীন বলেন, নন-লাইফ খাতেও অ্যাকচুয়ারি বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন, কারণ, এটি বিজ্ঞানভিত্তিক পণ্য ও প্রিমিয়াম নির্ধারণের জন্য অপরিহার্য।
আইডিআরএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব উদ্যোগে তিনজন অ্যাকচুয়ারি ট্রেইনি অফিসার তৈরির একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যা পরে তাঁদের অ্যাকচুয়ারি হতে সহায়তা করবে।

অনিয়ম ও দুঃশাসনে পঙ্গু হয়ে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। এখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। পুঁজিবাজার পরিণত হয়েছে জুয়াখেলার ক্যাসিনোতে। যেখানে মুনাফা কেবল নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর, আর লোকসান সাধারণ বিনিয়োগকারীর।
২৫ মে ২০২৫
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ‘অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হওয়া’ সম্পদ উদ্ধারের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে পারিবারিক ব্যবসা থেকে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সালিস আদালতে দাবি তুলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।
৩ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার কর-পরবর্তী একত্র নিট মুনাফা অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এই মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিসিএস। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ কথা জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুনে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও হার্ডওয়্যার খাতের বিপুল ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানি করা বিপুল পরিমাণ প্রযুক্তিপণ্য এই আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিসিএস। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ কথা জানিয়েছে।
১৮ অক্টোবর দুর্ঘটনার পর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির প্রকৃত চিত্র নিরূপণের জন্য বিসিএস সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠায় এবং অনলাইনে তথ্য দেওয়ার জন্য একটি ফরম সরবরাহ করে। আজ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৫ কোটি বলে নির্ধারণ করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্মার্ট টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেড, ডাটাটেক কম্পিউটার, নিউটেক টেকনোলজি, দিহান এন্টারপ্রাইজ ও রিভ সিস্টেম।
এ প্রসঙ্গে বিসিএস সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। আমরা সদস্যদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি এরচেয়ে বেশি হতে পারে।’
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এই দুর্ঘটনা শুধু আমাদের সদস্যদের ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং পুরো আইসিটি খাতের জন্য বড় ধাক্কা। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের প্রযুক্তি সরবরাহব্যবস্থা। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করা পণ্য দেশে পৌঁছানোর পর এভাবে পুড়ে যাওয়ায় বড় আকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।’
উল্লেখ্য, ১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এয়ার এক্সপ্রেস অ্যাসোসিয়েশনের অনুমান, বিমানবন্দরের এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুনে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও হার্ডওয়্যার খাতের বিপুল ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানি করা বিপুল পরিমাণ প্রযুক্তিপণ্য এই আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিসিএস। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ কথা জানিয়েছে।
১৮ অক্টোবর দুর্ঘটনার পর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির প্রকৃত চিত্র নিরূপণের জন্য বিসিএস সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠায় এবং অনলাইনে তথ্য দেওয়ার জন্য একটি ফরম সরবরাহ করে। আজ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৫ কোটি বলে নির্ধারণ করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্মার্ট টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেড, ডাটাটেক কম্পিউটার, নিউটেক টেকনোলজি, দিহান এন্টারপ্রাইজ ও রিভ সিস্টেম।
এ প্রসঙ্গে বিসিএস সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। আমরা সদস্যদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি এরচেয়ে বেশি হতে পারে।’
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এই দুর্ঘটনা শুধু আমাদের সদস্যদের ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং পুরো আইসিটি খাতের জন্য বড় ধাক্কা। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের প্রযুক্তি সরবরাহব্যবস্থা। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করা পণ্য দেশে পৌঁছানোর পর এভাবে পুড়ে যাওয়ায় বড় আকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।’
উল্লেখ্য, ১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এয়ার এক্সপ্রেস অ্যাসোসিয়েশনের অনুমান, বিমানবন্দরের এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে।

অনিয়ম ও দুঃশাসনে পঙ্গু হয়ে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। এখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। পুঁজিবাজার পরিণত হয়েছে জুয়াখেলার ক্যাসিনোতে। যেখানে মুনাফা কেবল নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর, আর লোকসান সাধারণ বিনিয়োগকারীর।
২৫ মে ২০২৫
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ‘অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হওয়া’ সম্পদ উদ্ধারের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে পারিবারিক ব্যবসা থেকে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সালিস আদালতে দাবি তুলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।
৩ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার কর-পরবর্তী একত্র নিট মুনাফা অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এই মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
৪ ঘণ্টা আগে
বিমা খাতে অ্যাকচুয়ারি কর্মী সংকট নিরসন ও দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ লক্ষ্যে গঠন করা হবে অ্যাকচুয়ারিয়াল ইনস্টিটিউট, অ্যাকচুয়ারিয়াল বোর্ড অব স্ট্যান্ডার্ড সেটিং ও অ্যাকচুয়ারিয়াল কাউন্সিল। এ-সংক্রান্ত ‘অ্যাকচুয়ারিয়াল অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এর খসড়া এর মধ্যে
৬ ঘণ্টা আগে