Ajker Patrika

আমানত শাহ সিকিউরিটিজে প্রতারণা, গ্রাহকের ৩৩ লাখ টাকা লোকসান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২: ৫৩
আমানত শাহ সিকিউরিটিজে প্রতারণা, গ্রাহকের ৩৩ লাখ টাকা লোকসান

পুঁজিবাজারে ব্রোকারেজ হাউসের কিছু ট্রেডার বিনিয়োগকারীকে প্রলোভন দেখিয়ে বেশি দামে কারসাজির শেয়ার কিনতে উদ্বুদ্ধ করেন। বিনিয়োগকারীদের ওই সব শেয়ারে ঢুকিয়ে কারসাজিকারকেরা বেরিয়ে যান। কিছুদিন পরে সেসব শেয়ারের ক্রেতা থাকে না। লোকসানে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। এই পদ্ধতিকে শেয়ার ডাম্পিং বলা হয়। পুঁজিবাজারের জুয়াড়িদের এ কাজে সহায়তা করেন কিছু অসাধু ট্রেডার। এতে নিঃস্ব হন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। 

এমন প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন হযরত আমানত শাহ সিকিউরিটিজের গ্রাহক রিয়াজুল ইসলাম। ৮ সেপ্টেম্বর বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন। রিয়াজুলের অভিযোগ, হাউসটির ট্রেডার মো. ইমরান চৌধুরী তাঁর সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছেন। রিয়াজুলের সম্মতি ছাড়াই তাঁর বিও হিসাব থেকে নিয়মিত শেয়ার কেনাবেচা করেছেন। এতে করে রিয়াজুল ৩৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে শেষে ১ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন। এ অবস্থায় দোষীদের বিচার দাবি করেছেন রিয়াজুল ইসলাম। 

এ বিষয়ে রিয়াজুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইমরান আমার পূর্বপরিচিত ছিল। তাঁকে বিশ্বাস করে শেয়ার কিনেছি। আর নিষেধ করার পরেও সে আমার অনুমতি ছাড়া শেয়ার কেনাবেচা করেছে।’ 

বিএসইসিকে দেওয়া রিয়াজুলের চিঠি থেকে জানা যায়, ইমরানের পরামর্শে ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনেন রিয়াজুল। এরপর কয়েক মাস তিনি ব্যক্তিগত কাজে দেশে-বিদেশে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু এই সময়ে ইমরান অনুমতি ছাড়াই রিয়াজুলের বিও থেকে লেনদেন করেছেন। পাঁচ-ছয় মাস পর শেয়ার বিক্রি করে টাকা ফেরত চাইলে ইমরান মাত্র ১ লাখ ৫ হাজার টাকা রিয়াজুলকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানার জন্য ফোন করা হলেও ইমরান চৌধুরীর ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হযরত আমানত শাহ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হাসনাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রিয়াজুল ১০ বছর ধরে বাজারে আছে। প্রতিদিনের লেনদেনের মেসেজ সিডিবিএল থেকে তাঁর কাছে যায়। তিনি তিন মাস আগে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে এখন যদি অভিযোগ করেন, তাহলে কী বলবেন?’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত