নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভ্যাট নিবন্ধনহীন ২ হাজার ৩১০টি দোকানের তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। সমিতির পক্ষ থেকে আট বিভাগের ৪১ জেলা থেকে সংগ্রহ করা এই তালিকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া হয়। এর আগে বাজুসের পক্ষ থেকে ভ্যাট নিবন্ধনহীন দোকানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, দেশে মোট ৪০ হাজার জুয়েলারি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৮ হাজার দোকান ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা করে। বাকি ৩২ হাজার দোকান ভ্যাট দেয় না। এতে প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় ১২ মার্চ এই তালিকা এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের কাছে জমা দেন। এর আগে ঢাকা মহানগরের কর ও ভ্যাট নিবন্ধনবিহীন ২ হাজার ৩৩০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা এনবিআরকে দিয়েছিল জুয়েলার্স সমিতি।
সমিতির তালিকা অনুযায়ী, নওগাঁর ২২০ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের কর ও ভ্যাট নিবন্ধন নেই। অর্থাৎ এই প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসা করলেও সরকারকে ভ্যাট দেয় না। নওগাঁর পর সবচেয়ে বেশি রংপুর ও টাঙ্গাইলে—যথাক্রমে ২০২ ও ১৯৯টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান সরকারকে কোনো ভ্যাট দেয় না।
ঢাকা বিভাগের নরসিংদীর ৪৯টি, টাঙ্গাইলের ১৯৯, নারায়ণগঞ্জের ১২৪ ও গাজীপুরের ১৭টি জুয়েলার্সের ভ্যাট নিবন্ধন নেই। ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহের ৩৪টি, জামালপুরের ২৪, নেত্রকোনার ২৫ ও শেরপুরের ২৫টি জুয়েলারি দোকান ভ্যাটের কোনো নিবন্ধন নেয়নি।
চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৪৮টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন নেই। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১২০টি, চাঁদপুরে ১০০, রাঙামাটিতে ১৬, ফেনীতে ৫৮, খাগড়াছড়িতে ৪, নোয়াখালীতে ৯, লক্ষ্মীপুরে ১০৩ ও কুমিল্লায় ৩৮টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন নেই। রাজশাহী বিভাগের ভ্যাট নিবন্ধন নেই ৫৪১টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৫টি, রাজশাহীতে ৮০, নওগাঁয় ২২০, নাটোরে ৪৬, পাবনায় ৯৩, জয়পুরহাটে ৯ ও সিরাজগঞ্জে ১৮টি।
এ ছাড়া খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরায় ২৯টি, যশোরে ১২, মাগুরায় ৩৫, ঝিনাইদহে ২১ ও কুষ্টিয়ার ১১টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট দেয় না। রংপুর বিভাগের রংপুরে ২০২টি, দিনাজপুরে ১৫, গাইবান্ধায় ৬৭, কুড়িগ্রামে ৩৭ ও লালমনিরহাটে ১২টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট দেয় না। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জে ১১৩টি, সিলেটের ৪০ ও মৌলভীবাজারের ১০টি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন নেই।
অন্যদিকে বরিশাল বিভাগের বরিশাল সদরে ভ্যাট না দেওয়া জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০২। এর বাইরে ভোলায় ৩৩, পিরোজপুরে ১৭ ও ঝালকাঠিতে ৬৮টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা ভ্যাট দেয় না।
সারা দেশে প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ভ্যাট নিবন্ধন রয়েছে মাত্র ৮ হাজার বা ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। তার মানে, দেশের ৮০ শতাংশ গয়নার দোকানই ভ্যাট দিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছরের গোড়ার দিকে রাজস্ব আদায় বাড়াতে সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আনার পাশাপাশি ঢাকাসহ ১৮টি জেলার সব গয়নার দোকানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বা ভ্যাট মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর। এ জন্য জুয়েলার্স সমিতির কাছে এসব এলাকার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা চায় সংস্থাটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সমিতি ৪১ জেলার যেসব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট দেয় না, সেই তালিকা দিয়েছে।
কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আগে থেকে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রারের (ইসিআর) মাধ্যমে ভ্যাট আদায় করা হতো। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট ভ্যাট আদায় বাড়াতে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন বসানো শুরু হয়। করোনা মহামারির কারণে সেই কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। পরে কিছুটা গতি পেলেও প্রত্যাশিত হারে ভ্যাট আদায় হচ্ছিল না। ২০২৩ সালের আগস্টে ইএফডি মেশিন বসাতে জেনেক্স ইনফোসিসের মাধ্যমে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেয় এনবিআর। প্রথম বছরে ৬০ হাজার এবং পরের পাঁচ বছরে ৩ লাখ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এই মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল। তবে গত বছরের জুন পর্যন্ত মাত্র ১৬ হাজারের মতো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসানো হয়েছিল।
ভ্যাট নিবন্ধনহীন ২ হাজার ৩১০টি দোকানের তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। সমিতির পক্ষ থেকে আট বিভাগের ৪১ জেলা থেকে সংগ্রহ করা এই তালিকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া হয়। এর আগে বাজুসের পক্ষ থেকে ভ্যাট নিবন্ধনহীন দোকানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, দেশে মোট ৪০ হাজার জুয়েলারি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৮ হাজার দোকান ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা করে। বাকি ৩২ হাজার দোকান ভ্যাট দেয় না। এতে প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় ১২ মার্চ এই তালিকা এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের কাছে জমা দেন। এর আগে ঢাকা মহানগরের কর ও ভ্যাট নিবন্ধনবিহীন ২ হাজার ৩৩০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা এনবিআরকে দিয়েছিল জুয়েলার্স সমিতি।
সমিতির তালিকা অনুযায়ী, নওগাঁর ২২০ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের কর ও ভ্যাট নিবন্ধন নেই। অর্থাৎ এই প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসা করলেও সরকারকে ভ্যাট দেয় না। নওগাঁর পর সবচেয়ে বেশি রংপুর ও টাঙ্গাইলে—যথাক্রমে ২০২ ও ১৯৯টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান সরকারকে কোনো ভ্যাট দেয় না।
ঢাকা বিভাগের নরসিংদীর ৪৯টি, টাঙ্গাইলের ১৯৯, নারায়ণগঞ্জের ১২৪ ও গাজীপুরের ১৭টি জুয়েলার্সের ভ্যাট নিবন্ধন নেই। ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহের ৩৪টি, জামালপুরের ২৪, নেত্রকোনার ২৫ ও শেরপুরের ২৫টি জুয়েলারি দোকান ভ্যাটের কোনো নিবন্ধন নেয়নি।
চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৪৮টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন নেই। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১২০টি, চাঁদপুরে ১০০, রাঙামাটিতে ১৬, ফেনীতে ৫৮, খাগড়াছড়িতে ৪, নোয়াখালীতে ৯, লক্ষ্মীপুরে ১০৩ ও কুমিল্লায় ৩৮টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন নেই। রাজশাহী বিভাগের ভ্যাট নিবন্ধন নেই ৫৪১টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৫টি, রাজশাহীতে ৮০, নওগাঁয় ২২০, নাটোরে ৪৬, পাবনায় ৯৩, জয়পুরহাটে ৯ ও সিরাজগঞ্জে ১৮টি।
এ ছাড়া খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরায় ২৯টি, যশোরে ১২, মাগুরায় ৩৫, ঝিনাইদহে ২১ ও কুষ্টিয়ার ১১টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট দেয় না। রংপুর বিভাগের রংপুরে ২০২টি, দিনাজপুরে ১৫, গাইবান্ধায় ৬৭, কুড়িগ্রামে ৩৭ ও লালমনিরহাটে ১২টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট দেয় না। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জে ১১৩টি, সিলেটের ৪০ ও মৌলভীবাজারের ১০টি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন নেই।
অন্যদিকে বরিশাল বিভাগের বরিশাল সদরে ভ্যাট না দেওয়া জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০২। এর বাইরে ভোলায় ৩৩, পিরোজপুরে ১৭ ও ঝালকাঠিতে ৬৮টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা ভ্যাট দেয় না।
সারা দেশে প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ভ্যাট নিবন্ধন রয়েছে মাত্র ৮ হাজার বা ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। তার মানে, দেশের ৮০ শতাংশ গয়নার দোকানই ভ্যাট দিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছরের গোড়ার দিকে রাজস্ব আদায় বাড়াতে সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আনার পাশাপাশি ঢাকাসহ ১৮টি জেলার সব গয়নার দোকানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বা ভ্যাট মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর। এ জন্য জুয়েলার্স সমিতির কাছে এসব এলাকার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা চায় সংস্থাটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সমিতি ৪১ জেলার যেসব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট দেয় না, সেই তালিকা দিয়েছে।
কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আগে থেকে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রারের (ইসিআর) মাধ্যমে ভ্যাট আদায় করা হতো। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট ভ্যাট আদায় বাড়াতে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন বসানো শুরু হয়। করোনা মহামারির কারণে সেই কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। পরে কিছুটা গতি পেলেও প্রত্যাশিত হারে ভ্যাট আদায় হচ্ছিল না। ২০২৩ সালের আগস্টে ইএফডি মেশিন বসাতে জেনেক্স ইনফোসিসের মাধ্যমে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেয় এনবিআর। প্রথম বছরে ৬০ হাজার এবং পরের পাঁচ বছরে ৩ লাখ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এই মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল। তবে গত বছরের জুন পর্যন্ত মাত্র ১৬ হাজারের মতো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসানো হয়েছিল।
সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৯ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের এই পরিকল্পনায় আশায় বুক বাঁধছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ভারতীয় রপ্তানি...
১২ মিনিট আগেবাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সুযোগ থেকে এখনো বঞ্চিত কোটি কোটি মানুষ। আধুনিক ব্যাংকিং ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সুবিধা নিতে না পারার কারণে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী রয়েছে অর্থনৈতিক লেনদেনের আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থার বাইরে। বিশ্বব্যাংকের
৭ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল বা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডকে (সিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় লভ্যাংশ বিতরণকারী সংস্থা বা ‘ডিভিডেন্ড হাব’ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির আইনগত ভিত্তি জোরদার করা এবং কার্যপরিধি বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রাইম ব্যাংক পিএলসি, ইউরোমানি অ্যাওয়ার্ডস ফর এক্সিলেন্স ২০২৫-এ বাংলাদেশের ‘সেরা ইএসজি ব্যাংক’ (Best Bank for ESG) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। টানা তৃতীয়বারের মতো ব্যাংকটি এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করল।
১২ ঘণ্টা আগে