নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিগগির দেশে ইনক্লুসিভ ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট সিস্টেম (আইআইপিএস) সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এ সেবার মাধ্যমে মোবাইল ওয়ালেট, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একই নেটওয়ার্কে যুক্ত করে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী ডিজিটাল লেনদেন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) বাংলাদেশ ও গেটস ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনায় এ মন্তব্য করেন ড. আহসান এইচ মনসুর।
গভর্নর বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে আন্তসংযোগযোগ্য পেমেন্ট সিস্টেম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি চালু হলে সরকারি ভাতা, ভর্তুকি ও বেতন সরাসরি এবং স্বচ্ছভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি হবে, যা নতুন উদ্ভাবন ও সেবা সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।
গভর্নর আরও বলেন, বাংলাদেশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এখনো প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠী আনুষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থার বাইরে রয়েছে। শুধু কভারেজই নয়, বরং জনগণের গভীরভাবে আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়াই প্রকৃত অন্তর্ভুক্তির মানদণ্ড।
মাইক্রোক্রেডিট খাতকে প্রযুক্তিনির্ভর করে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিং খাত দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে, বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার এজেন্ট কাজ করছেন এবং সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তবে ঋণ বিতরণে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
নারীদের সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করে গভর্নর বলেন, এখন থেকে অন্তত ৫০ শতাংশ এজেন্ট নারী হতে হবে। নারীরা ঘরে ঘরে প্রবেশ করে গৃহিণী, কন্যা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দিতে পারবেন। এ ছাড়া ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে আগের সীমাবদ্ধতা তুলে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন থেকে ব্যাংকগুলো আরও বেশি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করতে পারবে। এটি শুধু গ্রাহকদের সুবিধাই দেবে না, বরং আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতার মাধ্যমে সরকারের রাজস্বও বাড়াবে।
মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রসঙ্গে গভর্নর জানান, ন্যানো লোনের সীমা ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে এবং তা আরও বাড়ানো হবে। তবে নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে মোবাইল ওয়ালেটে আসা টাকা যেন আবার নগদে উত্তোলিত না হয়, সে জন্য সারা দেশে ব্যবসায়ীদের ‘বাংলা কিউআর কোড’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গভর্নর আরও বলেন, প্রতিবছর দেশে নগদ টাকার চাহিদা ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এর ফলে ব্যাংক খাতকে বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ বহন করতে হচ্ছে এবং সরকারের সম্ভাব্য রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। তাই নগদনির্ভরতা কমিয়ে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ানো জরুরি।
আহসান এইচ মনসুর আরও জানান, ডিজিটাল ব্যাংক চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একটি সমন্বিত তাৎক্ষণিক পেমেন্ট সিস্টেমের আওতায় আনার পরিকল্পনা চলছে। আগের ব্যর্থ অভিজ্ঞতা কাটিয়ে এবার গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় পরীক্ষিত মডেল ‘মোজালুপ’ ব্যবহার করে এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, বর্তমানে দেশে ২০ কোটির বেশি নিবন্ধিত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট থাকলেও প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক এখনো আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার বাইরে। গ্রামীণ-শহর বৈষম্য, লিঙ্গভিত্তিক ব্যবধান ও বিভিন্ন সেবা প্রদানকারীর মধ্যে সীমিত আন্তসংযোগ এ খাতের বড় চ্যালেঞ্জ।
আলোচনায় তানজানিয়ার টিআইপিএস, পাকিস্তানের আরএএএসটি ও রুয়ান্ডার এনডিপিএস ২.০ উদাহরণ তুলে ধরে বলা হয়, এসব দেশে আন্তসংযোগযোগ্য পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু হওয়ায় খরচ কমেছে, দক্ষতা বেড়েছে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।
এ ছাড়া গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় তৈরি ওপেন-সোর্স প্ল্যাটফর্ম মোজালুপ নিয়েও আলোচনা হয়, যা প্রতারণা প্রতিরোধ, পরিচয় যাচাই ও সরকারি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সহজে বাস্তবায়নে সহায়তা করে।
আলোচনায় চারটি অগ্রাধিকার লক্ষ্য নির্ধারণ করা বিষয় হলো—বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া, বাংলাদেশের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফর্মে ঐকমত্য গড়া, ন্যায্য প্রতিযোগিতার জন্য নীতি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করা ও আইআইপিএস বাস্তবায়নের রোডম্যাপ প্রণয়ন।

শিগগির দেশে ইনক্লুসিভ ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট সিস্টেম (আইআইপিএস) সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এ সেবার মাধ্যমে মোবাইল ওয়ালেট, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একই নেটওয়ার্কে যুক্ত করে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী ডিজিটাল লেনদেন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) বাংলাদেশ ও গেটস ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনায় এ মন্তব্য করেন ড. আহসান এইচ মনসুর।
গভর্নর বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে আন্তসংযোগযোগ্য পেমেন্ট সিস্টেম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি চালু হলে সরকারি ভাতা, ভর্তুকি ও বেতন সরাসরি এবং স্বচ্ছভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি হবে, যা নতুন উদ্ভাবন ও সেবা সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।
গভর্নর আরও বলেন, বাংলাদেশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এখনো প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠী আনুষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থার বাইরে রয়েছে। শুধু কভারেজই নয়, বরং জনগণের গভীরভাবে আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়াই প্রকৃত অন্তর্ভুক্তির মানদণ্ড।
মাইক্রোক্রেডিট খাতকে প্রযুক্তিনির্ভর করে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিং খাত দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে, বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার এজেন্ট কাজ করছেন এবং সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তবে ঋণ বিতরণে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
নারীদের সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করে গভর্নর বলেন, এখন থেকে অন্তত ৫০ শতাংশ এজেন্ট নারী হতে হবে। নারীরা ঘরে ঘরে প্রবেশ করে গৃহিণী, কন্যা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দিতে পারবেন। এ ছাড়া ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে আগের সীমাবদ্ধতা তুলে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন থেকে ব্যাংকগুলো আরও বেশি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করতে পারবে। এটি শুধু গ্রাহকদের সুবিধাই দেবে না, বরং আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতার মাধ্যমে সরকারের রাজস্বও বাড়াবে।
মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রসঙ্গে গভর্নর জানান, ন্যানো লোনের সীমা ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে এবং তা আরও বাড়ানো হবে। তবে নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে মোবাইল ওয়ালেটে আসা টাকা যেন আবার নগদে উত্তোলিত না হয়, সে জন্য সারা দেশে ব্যবসায়ীদের ‘বাংলা কিউআর কোড’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গভর্নর আরও বলেন, প্রতিবছর দেশে নগদ টাকার চাহিদা ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এর ফলে ব্যাংক খাতকে বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ বহন করতে হচ্ছে এবং সরকারের সম্ভাব্য রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। তাই নগদনির্ভরতা কমিয়ে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ানো জরুরি।
আহসান এইচ মনসুর আরও জানান, ডিজিটাল ব্যাংক চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একটি সমন্বিত তাৎক্ষণিক পেমেন্ট সিস্টেমের আওতায় আনার পরিকল্পনা চলছে। আগের ব্যর্থ অভিজ্ঞতা কাটিয়ে এবার গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় পরীক্ষিত মডেল ‘মোজালুপ’ ব্যবহার করে এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, বর্তমানে দেশে ২০ কোটির বেশি নিবন্ধিত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট থাকলেও প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক এখনো আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার বাইরে। গ্রামীণ-শহর বৈষম্য, লিঙ্গভিত্তিক ব্যবধান ও বিভিন্ন সেবা প্রদানকারীর মধ্যে সীমিত আন্তসংযোগ এ খাতের বড় চ্যালেঞ্জ।
আলোচনায় তানজানিয়ার টিআইপিএস, পাকিস্তানের আরএএএসটি ও রুয়ান্ডার এনডিপিএস ২.০ উদাহরণ তুলে ধরে বলা হয়, এসব দেশে আন্তসংযোগযোগ্য পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু হওয়ায় খরচ কমেছে, দক্ষতা বেড়েছে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।
এ ছাড়া গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় তৈরি ওপেন-সোর্স প্ল্যাটফর্ম মোজালুপ নিয়েও আলোচনা হয়, যা প্রতারণা প্রতিরোধ, পরিচয় যাচাই ও সরকারি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সহজে বাস্তবায়নে সহায়তা করে।
আলোচনায় চারটি অগ্রাধিকার লক্ষ্য নির্ধারণ করা বিষয় হলো—বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া, বাংলাদেশের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফর্মে ঐকমত্য গড়া, ন্যায্য প্রতিযোগিতার জন্য নীতি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করা ও আইআইপিএস বাস্তবায়নের রোডম্যাপ প্রণয়ন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিগগির দেশে ইনক্লুসিভ ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট সিস্টেম (আইআইপিএস) সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এ সেবার মাধ্যমে মোবাইল ওয়ালেট, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একই নেটওয়ার্কে যুক্ত করে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী ডিজিটাল লেনদেন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) বাংলাদেশ ও গেটস ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনায় এ মন্তব্য করেন ড. আহসান এইচ মনসুর।
গভর্নর বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে আন্তসংযোগযোগ্য পেমেন্ট সিস্টেম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি চালু হলে সরকারি ভাতা, ভর্তুকি ও বেতন সরাসরি এবং স্বচ্ছভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি হবে, যা নতুন উদ্ভাবন ও সেবা সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।
গভর্নর আরও বলেন, বাংলাদেশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এখনো প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠী আনুষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থার বাইরে রয়েছে। শুধু কভারেজই নয়, বরং জনগণের গভীরভাবে আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়াই প্রকৃত অন্তর্ভুক্তির মানদণ্ড।
মাইক্রোক্রেডিট খাতকে প্রযুক্তিনির্ভর করে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিং খাত দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে, বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার এজেন্ট কাজ করছেন এবং সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তবে ঋণ বিতরণে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
নারীদের সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করে গভর্নর বলেন, এখন থেকে অন্তত ৫০ শতাংশ এজেন্ট নারী হতে হবে। নারীরা ঘরে ঘরে প্রবেশ করে গৃহিণী, কন্যা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দিতে পারবেন। এ ছাড়া ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে আগের সীমাবদ্ধতা তুলে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন থেকে ব্যাংকগুলো আরও বেশি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করতে পারবে। এটি শুধু গ্রাহকদের সুবিধাই দেবে না, বরং আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতার মাধ্যমে সরকারের রাজস্বও বাড়াবে।
মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রসঙ্গে গভর্নর জানান, ন্যানো লোনের সীমা ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে এবং তা আরও বাড়ানো হবে। তবে নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে মোবাইল ওয়ালেটে আসা টাকা যেন আবার নগদে উত্তোলিত না হয়, সে জন্য সারা দেশে ব্যবসায়ীদের ‘বাংলা কিউআর কোড’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গভর্নর আরও বলেন, প্রতিবছর দেশে নগদ টাকার চাহিদা ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এর ফলে ব্যাংক খাতকে বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ বহন করতে হচ্ছে এবং সরকারের সম্ভাব্য রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। তাই নগদনির্ভরতা কমিয়ে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ানো জরুরি।
আহসান এইচ মনসুর আরও জানান, ডিজিটাল ব্যাংক চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একটি সমন্বিত তাৎক্ষণিক পেমেন্ট সিস্টেমের আওতায় আনার পরিকল্পনা চলছে। আগের ব্যর্থ অভিজ্ঞতা কাটিয়ে এবার গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় পরীক্ষিত মডেল ‘মোজালুপ’ ব্যবহার করে এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, বর্তমানে দেশে ২০ কোটির বেশি নিবন্ধিত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট থাকলেও প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক এখনো আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার বাইরে। গ্রামীণ-শহর বৈষম্য, লিঙ্গভিত্তিক ব্যবধান ও বিভিন্ন সেবা প্রদানকারীর মধ্যে সীমিত আন্তসংযোগ এ খাতের বড় চ্যালেঞ্জ।
আলোচনায় তানজানিয়ার টিআইপিএস, পাকিস্তানের আরএএএসটি ও রুয়ান্ডার এনডিপিএস ২.০ উদাহরণ তুলে ধরে বলা হয়, এসব দেশে আন্তসংযোগযোগ্য পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু হওয়ায় খরচ কমেছে, দক্ষতা বেড়েছে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।
এ ছাড়া গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় তৈরি ওপেন-সোর্স প্ল্যাটফর্ম মোজালুপ নিয়েও আলোচনা হয়, যা প্রতারণা প্রতিরোধ, পরিচয় যাচাই ও সরকারি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সহজে বাস্তবায়নে সহায়তা করে।
আলোচনায় চারটি অগ্রাধিকার লক্ষ্য নির্ধারণ করা বিষয় হলো—বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া, বাংলাদেশের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফর্মে ঐকমত্য গড়া, ন্যায্য প্রতিযোগিতার জন্য নীতি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করা ও আইআইপিএস বাস্তবায়নের রোডম্যাপ প্রণয়ন।

শিগগির দেশে ইনক্লুসিভ ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট সিস্টেম (আইআইপিএস) সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এ সেবার মাধ্যমে মোবাইল ওয়ালেট, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একই নেটওয়ার্কে যুক্ত করে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী ডিজিটাল লেনদেন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) বাংলাদেশ ও গেটস ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনায় এ মন্তব্য করেন ড. আহসান এইচ মনসুর।
গভর্নর বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে আন্তসংযোগযোগ্য পেমেন্ট সিস্টেম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি চালু হলে সরকারি ভাতা, ভর্তুকি ও বেতন সরাসরি এবং স্বচ্ছভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি হবে, যা নতুন উদ্ভাবন ও সেবা সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।
গভর্নর আরও বলেন, বাংলাদেশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এখনো প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠী আনুষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থার বাইরে রয়েছে। শুধু কভারেজই নয়, বরং জনগণের গভীরভাবে আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়াই প্রকৃত অন্তর্ভুক্তির মানদণ্ড।
মাইক্রোক্রেডিট খাতকে প্রযুক্তিনির্ভর করে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিং খাত দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে, বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার এজেন্ট কাজ করছেন এবং সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তবে ঋণ বিতরণে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
নারীদের সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করে গভর্নর বলেন, এখন থেকে অন্তত ৫০ শতাংশ এজেন্ট নারী হতে হবে। নারীরা ঘরে ঘরে প্রবেশ করে গৃহিণী, কন্যা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দিতে পারবেন। এ ছাড়া ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে আগের সীমাবদ্ধতা তুলে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন থেকে ব্যাংকগুলো আরও বেশি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করতে পারবে। এটি শুধু গ্রাহকদের সুবিধাই দেবে না, বরং আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতার মাধ্যমে সরকারের রাজস্বও বাড়াবে।
মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রসঙ্গে গভর্নর জানান, ন্যানো লোনের সীমা ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে এবং তা আরও বাড়ানো হবে। তবে নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে মোবাইল ওয়ালেটে আসা টাকা যেন আবার নগদে উত্তোলিত না হয়, সে জন্য সারা দেশে ব্যবসায়ীদের ‘বাংলা কিউআর কোড’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গভর্নর আরও বলেন, প্রতিবছর দেশে নগদ টাকার চাহিদা ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এর ফলে ব্যাংক খাতকে বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ বহন করতে হচ্ছে এবং সরকারের সম্ভাব্য রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। তাই নগদনির্ভরতা কমিয়ে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ানো জরুরি।
আহসান এইচ মনসুর আরও জানান, ডিজিটাল ব্যাংক চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একটি সমন্বিত তাৎক্ষণিক পেমেন্ট সিস্টেমের আওতায় আনার পরিকল্পনা চলছে। আগের ব্যর্থ অভিজ্ঞতা কাটিয়ে এবার গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় পরীক্ষিত মডেল ‘মোজালুপ’ ব্যবহার করে এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, বর্তমানে দেশে ২০ কোটির বেশি নিবন্ধিত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট থাকলেও প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক এখনো আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার বাইরে। গ্রামীণ-শহর বৈষম্য, লিঙ্গভিত্তিক ব্যবধান ও বিভিন্ন সেবা প্রদানকারীর মধ্যে সীমিত আন্তসংযোগ এ খাতের বড় চ্যালেঞ্জ।
আলোচনায় তানজানিয়ার টিআইপিএস, পাকিস্তানের আরএএএসটি ও রুয়ান্ডার এনডিপিএস ২.০ উদাহরণ তুলে ধরে বলা হয়, এসব দেশে আন্তসংযোগযোগ্য পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু হওয়ায় খরচ কমেছে, দক্ষতা বেড়েছে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।
এ ছাড়া গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় তৈরি ওপেন-সোর্স প্ল্যাটফর্ম মোজালুপ নিয়েও আলোচনা হয়, যা প্রতারণা প্রতিরোধ, পরিচয় যাচাই ও সরকারি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সহজে বাস্তবায়নে সহায়তা করে।
আলোচনায় চারটি অগ্রাধিকার লক্ষ্য নির্ধারণ করা বিষয় হলো—বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া, বাংলাদেশের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফর্মে ঐকমত্য গড়া, ন্যায্য প্রতিযোগিতার জন্য নীতি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করা ও আইআইপিএস বাস্তবায়নের রোডম্যাপ প্রণয়ন।

দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি লাইন-৬) ব্যয় ৭৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা কমল। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে আরও তিন বছর।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১৬ হাজার ৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ের মোট ১৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ১০১ কোটি ১০ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ ৫ হাজার ৬০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাণিজ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে আমাদের পণ্যকে বৈচিত্র্যময় করা, সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।’
৫ ঘণ্টা আগে
সরকার পরিবর্তনের পর ঋণ দেওয়া-সংক্রান্ত শর্তাবলি শিথিল হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু সেই আমানত বিনিয়োগে রূপান্তরিত না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর হাতে জমা তারল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এই অতিরিক্ত তারল্য ৩ লাখ কোটি টাকার ওপর পৌঁছেছে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি লাইন-৬) ব্যয় ৭৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা কমল। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে আরও তিন বছর।
আজ সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘এমআরটি লাইন-৬’ প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদিত হয়েছে।
এই প্রস্তাবে প্রকল্প ব্যয় দ্বিতীয় সংশোধিত ডিপিপি থেকে ৭৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা কমিয়ে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ৭১৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
২০১২ সালে প্রকল্পের প্রস্তাবে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ১২ বছর মেয়াদি প্রকল্পটির মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত লাইন বাড়ানোর কারণে ২০২২ সালে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকায়। তবে সর্বশেষ সংশোধনে প্রকল্পের ব্যয়ে সরকারের অংশ কমে ১২ হাজার ৫২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা এবং জাইকার ঋণ বেড়ে ২০ হাজার ১৯৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকায় নির্ধারিত হয়েছে।
প্রস্তাবিত সংশোধন অনুযায়ী প্রকল্পের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়িয়ে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম ইনস্টলেশন, টেস্টিং, ডিফেক্ট নোটিফিকেশন পিরিয়ড ও নতুন ২৪টি ট্রেন সেটের মেজর ওভারহলিং সম্পন্ন করতে মেয়াদ বাড়ানো অপরিহার্য—ডিএমটিসিএল এমন ব্যাখ্যা দিয়েছে।
ব্যাখ্যা অনুসারে, মেট্রোরেলের বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে প্লাজার কথা ভাবা হয়েছিল। পরে পর্যালোচনায় লাভজনক নয় বলে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ বড় অঙ্কের টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
এ বিষয়ে মেট্রোরেল-৬ (দক্ষিণ)-এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল ওহাব বলেন, প্রকল্প পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাদ দেওয়া স্টেশন প্লাজাগুলোর খুব বেশি প্রয়োজন নেই।
গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব (আরডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে সংশোধন অনুমোদনের সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ গণপরিবহনব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে যানজট সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে বিধায় প্রকল্পটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ডিপিপিতে রোলিং স্টকস ও ইকুইপমেন্টে ৫৬১ কোটি ১৭ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে জেনারেল কনসালটেন্সি সার্ভিসে ২২০ কোটি ২৮ লাখ টাকা, ইঅ্যান্ডএম সিস্টেমে ২৮৮ কোটি ৬৭ লাখ, ডিপো ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বাবদ ৪৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্য দিকে বিজয় সরণি, ফার্মগেট, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মতিঝিল স্টেশন প্লাজা বাদ দেওয়ায় ভূমি অধিগ্রহণ খাতে ব্যয় কমেছে ১ হাজার ২১১ কোটি ৭১ লাখ টাকা, চারটি স্টেশন প্লাজার কাজ বাদ দেওয়ায় আরও ১৬৪ কোটি ৭২ লাখ, মেইন লাইনের সিভিল ও স্টেশন ওয়ার্কে (সিপি-০৬) ব্যয় কমেছে ১১৬ কোটি এবং ইআরএমসি (সিপি-০৯) ব্যয় কমেছে ৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত উত্তরা-মতিঝিল অংশের কাজের অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মতিঝিল-কমলাপুর অংশের অগ্রগতি ৬৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।

দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি লাইন-৬) ব্যয় ৭৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা কমল। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে আরও তিন বছর।
আজ সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘এমআরটি লাইন-৬’ প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদিত হয়েছে।
এই প্রস্তাবে প্রকল্প ব্যয় দ্বিতীয় সংশোধিত ডিপিপি থেকে ৭৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা কমিয়ে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ৭১৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
২০১২ সালে প্রকল্পের প্রস্তাবে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ১২ বছর মেয়াদি প্রকল্পটির মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত লাইন বাড়ানোর কারণে ২০২২ সালে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকায়। তবে সর্বশেষ সংশোধনে প্রকল্পের ব্যয়ে সরকারের অংশ কমে ১২ হাজার ৫২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা এবং জাইকার ঋণ বেড়ে ২০ হাজার ১৯৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকায় নির্ধারিত হয়েছে।
প্রস্তাবিত সংশোধন অনুযায়ী প্রকল্পের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়িয়ে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম ইনস্টলেশন, টেস্টিং, ডিফেক্ট নোটিফিকেশন পিরিয়ড ও নতুন ২৪টি ট্রেন সেটের মেজর ওভারহলিং সম্পন্ন করতে মেয়াদ বাড়ানো অপরিহার্য—ডিএমটিসিএল এমন ব্যাখ্যা দিয়েছে।
ব্যাখ্যা অনুসারে, মেট্রোরেলের বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে প্লাজার কথা ভাবা হয়েছিল। পরে পর্যালোচনায় লাভজনক নয় বলে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ বড় অঙ্কের টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
এ বিষয়ে মেট্রোরেল-৬ (দক্ষিণ)-এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল ওহাব বলেন, প্রকল্প পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাদ দেওয়া স্টেশন প্লাজাগুলোর খুব বেশি প্রয়োজন নেই।
গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব (আরডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে সংশোধন অনুমোদনের সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ গণপরিবহনব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে যানজট সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে বিধায় প্রকল্পটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ডিপিপিতে রোলিং স্টকস ও ইকুইপমেন্টে ৫৬১ কোটি ১৭ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে জেনারেল কনসালটেন্সি সার্ভিসে ২২০ কোটি ২৮ লাখ টাকা, ইঅ্যান্ডএম সিস্টেমে ২৮৮ কোটি ৬৭ লাখ, ডিপো ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বাবদ ৪৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্য দিকে বিজয় সরণি, ফার্মগেট, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মতিঝিল স্টেশন প্লাজা বাদ দেওয়ায় ভূমি অধিগ্রহণ খাতে ব্যয় কমেছে ১ হাজার ২১১ কোটি ৭১ লাখ টাকা, চারটি স্টেশন প্লাজার কাজ বাদ দেওয়ায় আরও ১৬৪ কোটি ৭২ লাখ, মেইন লাইনের সিভিল ও স্টেশন ওয়ার্কে (সিপি-০৬) ব্যয় কমেছে ১১৬ কোটি এবং ইআরএমসি (সিপি-০৯) ব্যয় কমেছে ৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত উত্তরা-মতিঝিল অংশের কাজের অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মতিঝিল-কমলাপুর অংশের অগ্রগতি ৬৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।

শিগগির দেশে ইনক্লুসিভ ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট সিস্টেম (আইআইপিএস) সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এ সেবার মাধ্যমে মোবাইল ওয়ালেট, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একই নেটওয়ার্কে যুক্ত করে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী ডিজিটাল লেনদেন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানান
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১৬ হাজার ৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ের মোট ১৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ১০১ কোটি ১০ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ ৫ হাজার ৬০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাণিজ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে আমাদের পণ্যকে বৈচিত্র্যময় করা, সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।’
৫ ঘণ্টা আগে
সরকার পরিবর্তনের পর ঋণ দেওয়া-সংক্রান্ত শর্তাবলি শিথিল হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু সেই আমানত বিনিয়োগে রূপান্তরিত না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর হাতে জমা তারল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এই অতিরিক্ত তারল্য ৩ লাখ কোটি টাকার ওপর পৌঁছেছে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১৬ হাজার ৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ের মোট ১৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ১০১ কোটি ১০ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ ৫ হাজার ৬০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
আজ সোমবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত ১৮টি প্রকল্পের মধ্যে ১৩টি নতুন এবং পাঁচটি সংশোধিত প্রকল্প। এটি চলতি অর্থবছরের ষষ্ঠ একনেক সভা।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন; খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; সমাজকল্যাণ ও নারী-শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ; স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প ও গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম; শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আজকের সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম কৃষি অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এবং মানসম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধিত সংস্করণ। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় তিনটি অনুসন্ধান কূপ খনন এবং সোনাগাজীতে ২২০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আজকের সভায় অনুমোদন পায়। এর মধ্যে রয়েছে মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-২০২৪-এ আহত বা কর্মক্ষমতা হারানো জুলাই যোদ্ধা পরিবারের জন্য ১ হাজার ৫৬০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ এবং একই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের জন্য ‘৩৬ জুলাই’ আবাসিক ফ্ল্যাট প্রকল্প। এ ছাড়া বাংলাদেশ সচিবালয় ও সংশ্লিষ্ট আবাসিক এলাকাগুলোর জন্য অগ্নিনিরাপত্তা আধুনিকায়ন এবং সচিবালয়ে নতুন ২১ তলা অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদিত হয়েছে।
সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা এমআরটি লাইন-৬-এর তৃতীয় সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প এবং সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ (চান্দাইকোনা) সড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় অনুমোদিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ গ্রিন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অটিজম ও এনডিডি সেবাদান কেন্দ্র প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের জাপান হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ অনুমোদিত হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকো-সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম সংশোধনও অনুমোদিত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক, কেন্দ্রীয় গবেষণাগারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প ক্লাইমেট রেসপন্স রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ অ্যান্ড পপুলেশন সার্ভিস ইম্প্রুভমেন্ট এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের অত্যাবশ্যক কার্যক্রম বাস্তবায়ন প্রকল্প সভায় অনুমোদন পেয়েছে।
এ ছাড়া সভায় আগে অনুমোদিত ১৫টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেককে অবহিত করা হয়। এসবের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র আধুনিকায়ন, বিভিন্ন জেলা স্টেডিয়াম উন্নয়ন, অটিজম একাডেমি, বিভিন্ন কলেজ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার, পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সবুজায়ন, নদী-খাল পুনর্খনন, দিনাজপুর পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নসহ আরও বেশ কিছু চলমান প্রকল্প।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১৬ হাজার ৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ের মোট ১৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ১০১ কোটি ১০ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ ৫ হাজার ৬০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
আজ সোমবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত ১৮টি প্রকল্পের মধ্যে ১৩টি নতুন এবং পাঁচটি সংশোধিত প্রকল্প। এটি চলতি অর্থবছরের ষষ্ঠ একনেক সভা।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন; খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; সমাজকল্যাণ ও নারী-শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ; স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প ও গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম; শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আজকের সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম কৃষি অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এবং মানসম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধিত সংস্করণ। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় তিনটি অনুসন্ধান কূপ খনন এবং সোনাগাজীতে ২২০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আজকের সভায় অনুমোদন পায়। এর মধ্যে রয়েছে মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-২০২৪-এ আহত বা কর্মক্ষমতা হারানো জুলাই যোদ্ধা পরিবারের জন্য ১ হাজার ৫৬০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ এবং একই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের জন্য ‘৩৬ জুলাই’ আবাসিক ফ্ল্যাট প্রকল্প। এ ছাড়া বাংলাদেশ সচিবালয় ও সংশ্লিষ্ট আবাসিক এলাকাগুলোর জন্য অগ্নিনিরাপত্তা আধুনিকায়ন এবং সচিবালয়ে নতুন ২১ তলা অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদিত হয়েছে।
সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা এমআরটি লাইন-৬-এর তৃতীয় সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প এবং সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ (চান্দাইকোনা) সড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় অনুমোদিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ গ্রিন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অটিজম ও এনডিডি সেবাদান কেন্দ্র প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের জাপান হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ অনুমোদিত হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকো-সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম সংশোধনও অনুমোদিত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক, কেন্দ্রীয় গবেষণাগারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প ক্লাইমেট রেসপন্স রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ অ্যান্ড পপুলেশন সার্ভিস ইম্প্রুভমেন্ট এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের অত্যাবশ্যক কার্যক্রম বাস্তবায়ন প্রকল্প সভায় অনুমোদন পেয়েছে।
এ ছাড়া সভায় আগে অনুমোদিত ১৫টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেককে অবহিত করা হয়। এসবের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র আধুনিকায়ন, বিভিন্ন জেলা স্টেডিয়াম উন্নয়ন, অটিজম একাডেমি, বিভিন্ন কলেজ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার, পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সবুজায়ন, নদী-খাল পুনর্খনন, দিনাজপুর পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নসহ আরও বেশ কিছু চলমান প্রকল্প।

শিগগির দেশে ইনক্লুসিভ ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট সিস্টেম (আইআইপিএস) সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এ সেবার মাধ্যমে মোবাইল ওয়ালেট, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একই নেটওয়ার্কে যুক্ত করে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী ডিজিটাল লেনদেন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানান
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি লাইন-৬) ব্যয় ৭৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা কমল। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে আরও তিন বছর।
১ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাণিজ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে আমাদের পণ্যকে বৈচিত্র্যময় করা, সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।’
৫ ঘণ্টা আগে
সরকার পরিবর্তনের পর ঋণ দেওয়া-সংক্রান্ত শর্তাবলি শিথিল হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু সেই আমানত বিনিয়োগে রূপান্তরিত না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর হাতে জমা তারল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এই অতিরিক্ত তারল্য ৩ লাখ কোটি টাকার ওপর পৌঁছেছে।
১৬ ঘণ্টা আগেদেশে প্রথম গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাণিজ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে আমাদের পণ্যকে বৈচিত্র্যময় করা, সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।’
আজ সোমবার সকালে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫ ঢাকা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ, নির্মাতা, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী এবং উদ্ভাবকদের আইডিয়া শেয়ার, অর্থপূর্ণ আলোচনা, সহযোগিতা এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক অংশীদারত্বের দ্বার উন্মুক্ত করবে।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ করতে চলেছে। এই মাইলফলক আমাদের অগ্রগতি তুলে ধরেছে। কিন্তু এটি নতুন চ্যালেঞ্জও নিয়ে এসেছে। আমরা বর্তমানে যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা এবং ছাড় সুবিধা ভোগ করছি তা ধীরে ধীরে হারাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই রূপান্তর সফলভাবে মোকাবিলার জন্য আমাদের পণ্য এবং রপ্তানি বাজার বৈচিত্র্যকরণ, প্রতিযোগিতা উন্নত করা এবং দূরদর্শী বাণিজ্য নীতি গ্রহণে দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো আয়োজন কেবল সময়োপযোগীই নয়; এটি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই-এর প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান এবং বিকেএমই-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনা তুলে ধরতে ঢাকায় প্রথমবারের মতো সরকারি উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো’।
আজ থেকে শুরু হয়ে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী আয়োজন করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এবারের সোর্সিং এক্সপোতে বাংলাদেশের আটটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতের পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। খাতগুলো হচ্ছে—তৈরিপোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি)। প্রদর্শনীতে এসব খাতের শতাধিক প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি, পাইকারি ব্যবসায়ী ও সরবরাহ খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
এক্সপোতে আফগানিস্তান, চীন, ইরান, জাপান, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতা, বিনিয়োগকারী ও সোর্সিং প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তারা পণ্য ও সেবা নিয়ে সভা (বিটুবি), পণ্য কেনা বেচা ও চুক্তি করতে পারবে। সোর্সিং এক্সপোতে বিষয়ভিত্তিক ১০টি বিশেষ সেমিনার, অনলাইন ও অফলাইন বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) বৈঠক, দেড় শতাধিক স্টল, নেটওয়ার্কিং, ফ্যাশন শোসহ নানা আয়োজন থাকছে।

বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাণিজ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে আমাদের পণ্যকে বৈচিত্র্যময় করা, সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।’
আজ সোমবার সকালে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫ ঢাকা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ, নির্মাতা, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী এবং উদ্ভাবকদের আইডিয়া শেয়ার, অর্থপূর্ণ আলোচনা, সহযোগিতা এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক অংশীদারত্বের দ্বার উন্মুক্ত করবে।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ করতে চলেছে। এই মাইলফলক আমাদের অগ্রগতি তুলে ধরেছে। কিন্তু এটি নতুন চ্যালেঞ্জও নিয়ে এসেছে। আমরা বর্তমানে যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা এবং ছাড় সুবিধা ভোগ করছি তা ধীরে ধীরে হারাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই রূপান্তর সফলভাবে মোকাবিলার জন্য আমাদের পণ্য এবং রপ্তানি বাজার বৈচিত্র্যকরণ, প্রতিযোগিতা উন্নত করা এবং দূরদর্শী বাণিজ্য নীতি গ্রহণে দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো আয়োজন কেবল সময়োপযোগীই নয়; এটি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই-এর প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান এবং বিকেএমই-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনা তুলে ধরতে ঢাকায় প্রথমবারের মতো সরকারি উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো’।
আজ থেকে শুরু হয়ে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী আয়োজন করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এবারের সোর্সিং এক্সপোতে বাংলাদেশের আটটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতের পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। খাতগুলো হচ্ছে—তৈরিপোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি)। প্রদর্শনীতে এসব খাতের শতাধিক প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি, পাইকারি ব্যবসায়ী ও সরবরাহ খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
এক্সপোতে আফগানিস্তান, চীন, ইরান, জাপান, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতা, বিনিয়োগকারী ও সোর্সিং প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তারা পণ্য ও সেবা নিয়ে সভা (বিটুবি), পণ্য কেনা বেচা ও চুক্তি করতে পারবে। সোর্সিং এক্সপোতে বিষয়ভিত্তিক ১০টি বিশেষ সেমিনার, অনলাইন ও অফলাইন বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) বৈঠক, দেড় শতাধিক স্টল, নেটওয়ার্কিং, ফ্যাশন শোসহ নানা আয়োজন থাকছে।

শিগগির দেশে ইনক্লুসিভ ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট সিস্টেম (আইআইপিএস) সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এ সেবার মাধ্যমে মোবাইল ওয়ালেট, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একই নেটওয়ার্কে যুক্ত করে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী ডিজিটাল লেনদেন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানান
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি লাইন-৬) ব্যয় ৭৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা কমল। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে আরও তিন বছর।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১৬ হাজার ৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ের মোট ১৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ১০১ কোটি ১০ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ ৫ হাজার ৬০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
সরকার পরিবর্তনের পর ঋণ দেওয়া-সংক্রান্ত শর্তাবলি শিথিল হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু সেই আমানত বিনিয়োগে রূপান্তরিত না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর হাতে জমা তারল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এই অতিরিক্ত তারল্য ৩ লাখ কোটি টাকার ওপর পৌঁছেছে।
১৬ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

সরকার পরিবর্তনের পর ঋণ দেওয়া-সংক্রান্ত শর্তাবলি শিথিল হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু সেই আমানত বিনিয়োগে রূপান্তরিত না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর হাতে জমা তারল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এই অতিরিক্ত তারল্য ৩ লাখ কোটি টাকার ওপর পৌঁছেছে। এ অবস্থায় ব্যাংকগুলো বাধ্য হয়ে আমানতকারীদের উচ্চ সুদ দিতে হচ্ছে, যা তাদের ব্যয়কে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যাংকগুলো এই অতিরিক্ত টাকা সঞ্চয়কারীদের ৮-১০ শতাংশ হারে সুদ প্রদানে ব্যয় করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের আগস্টে ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য পৌঁছেছে ৩ লাখ ৬ হাজার ১১২ কোটি টাকায়। একই সময়ে গত বছর এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি কিছু ব্যাংক প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত অর্থ সংরক্ষণ করায় মোট তারল্য দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা, যদিও আগস্টে প্রকৃত চাহিদা ছিল ২ লাখ ২৬ হাজার ৭০২ কোটি টাকা।
ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলেন, ‘সরকারের পালাবদলের পর ব্যাংক খাতে কিছু সংস্কার ও পদক্ষেপ নেওয়া হলেও দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ এখনো স্থিতিশীল হয়নি। উচ্চ সুদের হার, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বিনিয়োগের পূর্ব হিসাবনিকাশ মিলিয়ে অনেকে ঋণ নিতে সাহস পাচ্ছেন না। ফলে ব্যাংকে মোটা অঙ্কের টাকা অলস পড়ে রয়েছে। এসব টাকার কোনো অর্থনৈতিক বা উৎপাদনশীল ব্যবহার হচ্ছে না। অথচ গ্রাহকের অর্থ জমা হওয়ার বিপরীতে বা আমানতকারীদের ঠিকই সুদ দিতে বাধ্য ব্যাংকগুলো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, আশা করা যায়, সামনে ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙা হবে, তখন বিনিয়োগ বাড়বে। এতে ঋণের চাহিদা বাড়বে এবং তারল্য স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে। ব্যাংকের সুদদণ্ডও একটা পর্যায়ে আর থাকবে না।’
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আগস্ট শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৩ কোটি টাকা। প্রচলিত ধারার ৪৩ বেসরকারি ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। ১০টি ইসলামি ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য ৬ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা এবং ৯টি বিদেশি ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য ৩২ হাজার ১১৮ কোটি টাকা।
ব্যাংকভিত্তিক অবস্থান অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য সর্বোচ্চ ৬২ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের ১৮ হাজার ৮৭৭ কোটি, পূবালী ব্যাংকের ১৮ হাজার ৩৯৮ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকের ১৮ হাজার ৩৫১ কোটি, ব্যাংক এশিয়ার ১৭ হাজার ৯০৫ কোটি, ডাচ্-বাংলার ১৬ হাজার ২২০ কোটি, যমুনা ব্যাংকের ১৪ হাজার ৮০১ কোটি, রূপালী ব্যাংকের ১২ হাজার ৫৫৩ কোটি, সিটি ব্যাংকের ১২ হাজার ৪৮১ কোটি এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ১২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা।

অতিরিক্ত তারল্য হিসাব করা হয় স্ট্যাটুটরি লিকুইডিটি রেশিও (এসএলআর) এবং ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (সিআরআর) বজায় রাখার পর। ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকে মোট আমানতের ৪ শতাংশ নগদে এবং ১৩ শতাংশ ট্রেজারি বিল-বন্ডের মাধ্যমে রাখতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অপর হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের আগস্টে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আমানতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২ শতাংশ এবং ঋণে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ সময় ব্যাংকগুলো আমানতের বিপরীতে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দেয়। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৮৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিক বলেন, ‘বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কম হওয়ায় ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য বাড়ছে। যদিও তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিনিয়োগ অবস্থায় রয়েছে। ব্যাংকগুলো ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চেষ্টা করছে। একটা সময় পর বিনিয়োগ বাড়লে ঋণের প্রবৃদ্ধিও বাড়বে।’

পরিস্থিতি বদলালেই ঋণের চাহিদা বাড়বে, সুদ ব্যয় কমবে
মো. শওকত আলী খান
ব্যবস্থাপনা পরিচালক. সোনালী ব্যাংক
পরিস্থিতি বদলালেই উদ্যোক্তারা ঋণ নিতে আগ্রহী হবেন, এতে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের প্রবৃদ্ধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমবে অতিরিক্ত তারল্যের বোঝা। এভাবে ব্যাংক যখন স্বাভাবিক ঋণচক্রে ফিরে আসবে, তখন আমানতের বিপরীতে যে বড় অঙ্কের সুদ দিচ্ছে, সেই ব্যয়ও শূন্যে নেমে আসবে।
অন্যদিকে ব্যাংকের শক্তির মূল ভরসাই গ্রাহক। রাজনৈতিক পালাবদলের পর দুর্বল ব্যাংকগুলোর নানান দুর্বলতা প্রকাশ্যে চলে আসায় অনেক আমানতকারী তাঁদের টাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। ফলে এসব ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের আমানত সরতে থাকে এবং তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলোয় জমা হতে থাকে। এতে কম সময়ে ভালো ব্যাংকগুলোর তারল্য দ্রুত ফুলে ওঠে। কিন্তু এই প্রবাহ যত দ্রুত বাড়ছে, সেই গতিতে ঋণ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে যথাযথ যাচাই-বাছাই, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং ভালো গ্রাহক চিহ্নিত করতে সময় লাগে। এতে ঋণপ্রবাহ কিছুটা শ্লথ হলেও আমানত সংগ্রহের ধারাবাহিকতা কিন্তু থেমে থাকে না। সেই কারণে তারল্যের পাহাড় তৈরি হয়, যা বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ না থাকলে ব্যাংকের জন্য চাপ হয়ে দাঁড়ায়।
সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ব্যাংক ঋণ বিতরণ বাড়াতে না পারলেও অলস পড়ে থাকা আমানত যেন অকার্যকর না হয়, এ জন্য তারা অগ্রাধিকার খাতে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি সিকিউরিটিজ, ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করছে। কারণ, আমানতকারীদের সঞ্চয়ের অর্থ ব্যাংক যতক্ষণ ধরে রাখে, ততক্ষণই তাদের সুদ দিতে হয়। ফলে বিনিয়োগ স্থবির থাকলে এই সুদই পরিণত হয় ব্যাংকের বাড়তি ব্যয়ে।
তবে অর্থনীতিতে আবার গতি ফিরলে এবং বিনিয়োগের পরিবেশ পরিষ্কার হলে এখন ব্যাংকগুলোর হাতে জমে থাকা এই তারল্যই আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করবে। অতএব পরিস্থিতি বদলালে অর্থাৎ নতুন বিনিয়োগ এলে, ঋণের চাহিদা বাড়লে বর্তমান উদ্বৃত্ত তারল্য আর থাকবে না; বরং ব্যাংকিং খাতকে স্বস্তির জায়গায় ফিরিয়ে আনবে।

সরকার পরিবর্তনের পর ঋণ দেওয়া-সংক্রান্ত শর্তাবলি শিথিল হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু সেই আমানত বিনিয়োগে রূপান্তরিত না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর হাতে জমা তারল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এই অতিরিক্ত তারল্য ৩ লাখ কোটি টাকার ওপর পৌঁছেছে। এ অবস্থায় ব্যাংকগুলো বাধ্য হয়ে আমানতকারীদের উচ্চ সুদ দিতে হচ্ছে, যা তাদের ব্যয়কে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যাংকগুলো এই অতিরিক্ত টাকা সঞ্চয়কারীদের ৮-১০ শতাংশ হারে সুদ প্রদানে ব্যয় করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের আগস্টে ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য পৌঁছেছে ৩ লাখ ৬ হাজার ১১২ কোটি টাকায়। একই সময়ে গত বছর এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি কিছু ব্যাংক প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত অর্থ সংরক্ষণ করায় মোট তারল্য দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা, যদিও আগস্টে প্রকৃত চাহিদা ছিল ২ লাখ ২৬ হাজার ৭০২ কোটি টাকা।
ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলেন, ‘সরকারের পালাবদলের পর ব্যাংক খাতে কিছু সংস্কার ও পদক্ষেপ নেওয়া হলেও দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ এখনো স্থিতিশীল হয়নি। উচ্চ সুদের হার, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বিনিয়োগের পূর্ব হিসাবনিকাশ মিলিয়ে অনেকে ঋণ নিতে সাহস পাচ্ছেন না। ফলে ব্যাংকে মোটা অঙ্কের টাকা অলস পড়ে রয়েছে। এসব টাকার কোনো অর্থনৈতিক বা উৎপাদনশীল ব্যবহার হচ্ছে না। অথচ গ্রাহকের অর্থ জমা হওয়ার বিপরীতে বা আমানতকারীদের ঠিকই সুদ দিতে বাধ্য ব্যাংকগুলো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, আশা করা যায়, সামনে ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙা হবে, তখন বিনিয়োগ বাড়বে। এতে ঋণের চাহিদা বাড়বে এবং তারল্য স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে। ব্যাংকের সুদদণ্ডও একটা পর্যায়ে আর থাকবে না।’
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আগস্ট শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৩ কোটি টাকা। প্রচলিত ধারার ৪৩ বেসরকারি ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। ১০টি ইসলামি ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য ৬ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা এবং ৯টি বিদেশি ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য ৩২ হাজার ১১৮ কোটি টাকা।
ব্যাংকভিত্তিক অবস্থান অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য সর্বোচ্চ ৬২ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের ১৮ হাজার ৮৭৭ কোটি, পূবালী ব্যাংকের ১৮ হাজার ৩৯৮ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকের ১৮ হাজার ৩৫১ কোটি, ব্যাংক এশিয়ার ১৭ হাজার ৯০৫ কোটি, ডাচ্-বাংলার ১৬ হাজার ২২০ কোটি, যমুনা ব্যাংকের ১৪ হাজার ৮০১ কোটি, রূপালী ব্যাংকের ১২ হাজার ৫৫৩ কোটি, সিটি ব্যাংকের ১২ হাজার ৪৮১ কোটি এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ১২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা।

অতিরিক্ত তারল্য হিসাব করা হয় স্ট্যাটুটরি লিকুইডিটি রেশিও (এসএলআর) এবং ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (সিআরআর) বজায় রাখার পর। ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকে মোট আমানতের ৪ শতাংশ নগদে এবং ১৩ শতাংশ ট্রেজারি বিল-বন্ডের মাধ্যমে রাখতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অপর হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের আগস্টে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আমানতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২ শতাংশ এবং ঋণে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ সময় ব্যাংকগুলো আমানতের বিপরীতে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দেয়। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৮৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিক বলেন, ‘বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কম হওয়ায় ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য বাড়ছে। যদিও তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিনিয়োগ অবস্থায় রয়েছে। ব্যাংকগুলো ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চেষ্টা করছে। একটা সময় পর বিনিয়োগ বাড়লে ঋণের প্রবৃদ্ধিও বাড়বে।’

পরিস্থিতি বদলালেই ঋণের চাহিদা বাড়বে, সুদ ব্যয় কমবে
মো. শওকত আলী খান
ব্যবস্থাপনা পরিচালক. সোনালী ব্যাংক
পরিস্থিতি বদলালেই উদ্যোক্তারা ঋণ নিতে আগ্রহী হবেন, এতে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের প্রবৃদ্ধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমবে অতিরিক্ত তারল্যের বোঝা। এভাবে ব্যাংক যখন স্বাভাবিক ঋণচক্রে ফিরে আসবে, তখন আমানতের বিপরীতে যে বড় অঙ্কের সুদ দিচ্ছে, সেই ব্যয়ও শূন্যে নেমে আসবে।
অন্যদিকে ব্যাংকের শক্তির মূল ভরসাই গ্রাহক। রাজনৈতিক পালাবদলের পর দুর্বল ব্যাংকগুলোর নানান দুর্বলতা প্রকাশ্যে চলে আসায় অনেক আমানতকারী তাঁদের টাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। ফলে এসব ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের আমানত সরতে থাকে এবং তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলোয় জমা হতে থাকে। এতে কম সময়ে ভালো ব্যাংকগুলোর তারল্য দ্রুত ফুলে ওঠে। কিন্তু এই প্রবাহ যত দ্রুত বাড়ছে, সেই গতিতে ঋণ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে যথাযথ যাচাই-বাছাই, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং ভালো গ্রাহক চিহ্নিত করতে সময় লাগে। এতে ঋণপ্রবাহ কিছুটা শ্লথ হলেও আমানত সংগ্রহের ধারাবাহিকতা কিন্তু থেমে থাকে না। সেই কারণে তারল্যের পাহাড় তৈরি হয়, যা বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ না থাকলে ব্যাংকের জন্য চাপ হয়ে দাঁড়ায়।
সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ব্যাংক ঋণ বিতরণ বাড়াতে না পারলেও অলস পড়ে থাকা আমানত যেন অকার্যকর না হয়, এ জন্য তারা অগ্রাধিকার খাতে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি সিকিউরিটিজ, ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করছে। কারণ, আমানতকারীদের সঞ্চয়ের অর্থ ব্যাংক যতক্ষণ ধরে রাখে, ততক্ষণই তাদের সুদ দিতে হয়। ফলে বিনিয়োগ স্থবির থাকলে এই সুদই পরিণত হয় ব্যাংকের বাড়তি ব্যয়ে।
তবে অর্থনীতিতে আবার গতি ফিরলে এবং বিনিয়োগের পরিবেশ পরিষ্কার হলে এখন ব্যাংকগুলোর হাতে জমে থাকা এই তারল্যই আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করবে। অতএব পরিস্থিতি বদলালে অর্থাৎ নতুন বিনিয়োগ এলে, ঋণের চাহিদা বাড়লে বর্তমান উদ্বৃত্ত তারল্য আর থাকবে না; বরং ব্যাংকিং খাতকে স্বস্তির জায়গায় ফিরিয়ে আনবে।

শিগগির দেশে ইনক্লুসিভ ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট সিস্টেম (আইআইপিএস) সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এ সেবার মাধ্যমে মোবাইল ওয়ালেট, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একই নেটওয়ার্কে যুক্ত করে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী ডিজিটাল লেনদেন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানান
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি লাইন-৬) ব্যয় ৭৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা কমল। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে আরও তিন বছর।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১৬ হাজার ৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ের মোট ১৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ১০১ কোটি ১০ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ ৫ হাজার ৬০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাণিজ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে আমাদের পণ্যকে বৈচিত্র্যময় করা, সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।’
৫ ঘণ্টা আগে