নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পণ্য রপ্তানির চেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার টিসিবি ভবনে অবস্থিত বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) কনফারেন্স রুমে ‘বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি: বিবর্তন, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম এ কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কত টাকার পণ্য আমদানি করলাম, কত টাকার পণ্য রপ্তানি করলাম, সেটা বড় কথা নয়। আমরা কত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারলাম সেটি বড় কথা। আমরা যত বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারব, তত আমাদের মূল্য সংযোজন হবে।’
পণ্যের বহুমুখীকরণ প্রসঙ্গে আহসানুল ইসলাম বলেন, তৈরি পোশাক খাত যেসব সুবিধা পাচ্ছে, একইভাবে চামড়া ও পাটশিল্পও যেন সুবিধা পায়। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী এবার দায়িত্বের পর এই নির্দেশনা দিয়েছেন। দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগানো এবং চামড়া ও পাটশিল্পকে উন্নত করা গেলে দেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
আহসানুল ইসলাম আরও বলেন, রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে আমদানির বিকল্প নেই। যত কম মূল্য সংযোজন হোক, এই ভ্যালু চেইনটা যদি তৈরি করতে পারলেই শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। সেখানে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একাধিক দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রায় ২৬টি দেশের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। বর্তমানে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রচার করা হচ্ছে কিন্তু সেভাবে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে। চলতি বছর লজিস্টিক পলিসি চালু করা হয়েছে। এটাকে কীভাবে বৈশ্বিকভাবে লাভবান হওয়া যায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘একসময় আমাদের চা ও পাট ছাড়া কোনো রপ্তানিযোগ্য পণ্য ছিল না। সে জায়গা থেকে উত্তরণ করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের বাণিজ্যের জন্য ইলেকট্রনিকস পণ্য একটি বড় খাত হতে পারে। এটি শুধু অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানিরও একটি বড় সম্ভাবনাময় খাত হতে পারে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, পণ্য রপ্তানি করতে কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার সহায়তা দিচ্ছে। বিদেশে পণ্য বাজার থেকে বিদায় জানাতে হবে। এ জন্য নিজেদের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। ভূগর্ভস্থ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক তার এবং অপটিক্যাল ফাইবার তৈরি করা হচ্ছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, কমপ্লায়েন্স সমস্যার কারণে চামড়া রপ্তানিতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। সরকার এ খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন করতে কাঁচামাল আমদানি করতে হয়।
বাণিজ্যসচিব সেলিম উদ্দিন বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে হবে। পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে হবে। ট্যারিফ স্ট্রাকচার ঠিক করতে হবে। আমদানি-রপ্তানি উভয় দিকে নজর দিতে হবে। ক্ষুদ্র শিল্প এখনো রপ্তানিতে ভূমিকা রাখতে পারছে না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায় থার্ড জেনারেশন কাজ করছে।
বক্তারা বলেন, রপ্তানি বাড়াতে সরকারের সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এসব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় দরকার।
পণ্য রপ্তানির চেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার টিসিবি ভবনে অবস্থিত বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) কনফারেন্স রুমে ‘বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি: বিবর্তন, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম এ কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কত টাকার পণ্য আমদানি করলাম, কত টাকার পণ্য রপ্তানি করলাম, সেটা বড় কথা নয়। আমরা কত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারলাম সেটি বড় কথা। আমরা যত বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারব, তত আমাদের মূল্য সংযোজন হবে।’
পণ্যের বহুমুখীকরণ প্রসঙ্গে আহসানুল ইসলাম বলেন, তৈরি পোশাক খাত যেসব সুবিধা পাচ্ছে, একইভাবে চামড়া ও পাটশিল্পও যেন সুবিধা পায়। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী এবার দায়িত্বের পর এই নির্দেশনা দিয়েছেন। দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগানো এবং চামড়া ও পাটশিল্পকে উন্নত করা গেলে দেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
আহসানুল ইসলাম আরও বলেন, রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে আমদানির বিকল্প নেই। যত কম মূল্য সংযোজন হোক, এই ভ্যালু চেইনটা যদি তৈরি করতে পারলেই শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। সেখানে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একাধিক দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রায় ২৬টি দেশের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। বর্তমানে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রচার করা হচ্ছে কিন্তু সেভাবে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে। চলতি বছর লজিস্টিক পলিসি চালু করা হয়েছে। এটাকে কীভাবে বৈশ্বিকভাবে লাভবান হওয়া যায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘একসময় আমাদের চা ও পাট ছাড়া কোনো রপ্তানিযোগ্য পণ্য ছিল না। সে জায়গা থেকে উত্তরণ করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের বাণিজ্যের জন্য ইলেকট্রনিকস পণ্য একটি বড় খাত হতে পারে। এটি শুধু অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানিরও একটি বড় সম্ভাবনাময় খাত হতে পারে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, পণ্য রপ্তানি করতে কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার সহায়তা দিচ্ছে। বিদেশে পণ্য বাজার থেকে বিদায় জানাতে হবে। এ জন্য নিজেদের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। ভূগর্ভস্থ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক তার এবং অপটিক্যাল ফাইবার তৈরি করা হচ্ছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, কমপ্লায়েন্স সমস্যার কারণে চামড়া রপ্তানিতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। সরকার এ খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন করতে কাঁচামাল আমদানি করতে হয়।
বাণিজ্যসচিব সেলিম উদ্দিন বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে হবে। পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে হবে। ট্যারিফ স্ট্রাকচার ঠিক করতে হবে। আমদানি-রপ্তানি উভয় দিকে নজর দিতে হবে। ক্ষুদ্র শিল্প এখনো রপ্তানিতে ভূমিকা রাখতে পারছে না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায় থার্ড জেনারেশন কাজ করছে।
বক্তারা বলেন, রপ্তানি বাড়াতে সরকারের সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এসব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় দরকার।
কাগুজে ও ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে নেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে এস আলম গ্রুপ। পাচারের এই অর্থ ফেরাতে তোড়জোড় শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক।) দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএ
১০ ঘণ্টা আগেপশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেগার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
১ দিন আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
১ দিন আগে