জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
ক্রেডিট কার্ড একসময় ছিল ঝুঁকিবিহীন ও আধুনিক লেনদেনের প্রতীক। ডিজিটাল যুগে এর ব্যবহার দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল দেশে। কিন্তু হঠাৎ সেই ধারায় ভাটা নেমেছে। দেশের মধ্যে খরচ কমেছে, বিদেশে বাংলাদেশিদের কার্ড ব্যবহার কমেছে। এমনকি বিদেশিরা বাংলাদেশে এসে খরচ করছেন কম। সব মিলিয়ে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের গতি যেন আচমকা থেমে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, জুন মাসে দেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে খরচ হয়েছিল ৩ হাজার ১১৪ কোটি টাকা; কিন্তু জুলাইয়ে সেই অঙ্ক নেমে আসে ৩ হাজার ৮৩ কোটিতে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দেশে ক্রেডিট কার্ড খরচ কমেছে ৩১ কোটি টাকা।
শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বাংলাদেশিদের খরচের প্রবণতা কমেছে। চলতি বছরের জুন মাসে বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশিরা খরচ করেছিলেন ৫৪৯ কোটি ৭ লাখ টাকা। তবে পরের মাসে সেই ব্যয় কিছুটা কমে। জুলাইয়ে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ হয়েছে ৪৭৯ কোটি ৩ লাখ টাকা। ফলে এক মাসের ব্যবধানে বিদেশে বাংলাদেশিদের কার্ডে লেনদেন কমেছে ৭০ কোটি ৪ লাখ টাকা।
আবার বিদেশিরা বাংলাদেশে এসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ কমিয়েছেন। জুনে তাঁদের খরচ হয়েছিল ১৯৫ কোটি টাকা, কিন্তু জুলাইয়ে তা নেমে এসেছে ১৮৮ কোটিতে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে বিদেশিরা বাংলাদেশে খরচ কমিয়েছেন ৭ কোটি টাকা।
অর্থ খরচের জনপ্রিয় মাধ্যমটিতে হঠাৎ এই ধাক্কা কেন, জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের পাশাপাশি বিদেশে কেনাকাটার জন্যও কার্ড ব্যবহৃত হয়। তবে কিছু ব্যাংকের গ্রাহকেরা কার্ড ব্যবহার করতে পারেননি। এতে লেনদেন কমেছে।
এ বিষয়ে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, দেশের ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও পরিবর্তিত পরিস্থিতির ধাক্কা এর জন্য দায়ী। তিনি জানান, কিছু ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে ঠিকমতো লেনদেন করা যায়নি। এ ছাড়া তারল্যসংকটে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে যথাযথভাবে টাকা তোলা যায়নি। ফলে অনেক মার্চেন্ট পিওএস পেমেন্ট বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। আবার সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলো ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ক্যাশ উত্তোলন বন্ধ রেখেছে। সব মিলিয়ে এর প্রভাব পড়েছে ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের গতিতে।
বিদেশে বাংলাদেশিদের ভ্রমণের প্রবণতা কমেছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা বলেন, ভ্রমণ, শিক্ষা, চিকিৎসা ও ব্যবসার কাজে এখন ভারতে ভ্রমণের সংখ্যা কমেছে। বিকল্প হিসেবে চীনে যাতায়াত বেড়েছে। তবে ভারতের তুলনায় সেই বৃদ্ধি এখনো কম। ফলে সামগ্রিক লেনদেন কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি বছরের জুলাইয়ে বিদেশে বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে; খরচ করেছেন ৭৯ কোটি ৪ লাখ টাকা। এরপর যুক্তরাজ্যে ৫৭ কোটি ৫ লাখ, থাইল্যান্ডে ৫১ কোটি ৯ লাখ, সিঙ্গাপুরে ৩৯ কোটি ৯ লাখ, মালয়েশিয়ায় ৩৮ কোটি ২ লাখ, ভারতে ২৭ কোটি ৯ লাখ, নেদারল্যান্ডসে ১৯ কোটি, সৌদি আরবে ১৫ কোটি, কানাডায় ২৫ কোটি, ইউএই ১৭ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ কোটি, আয়ারল্যান্ডে ১৪ কোটি এবং অন্যান্য দেশে ৭৬ কোটি টাকা খরচ করেছেন।
অন্যদিকে দেশে বিদেশি নাগরিকদের খরচের শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নাগরিকেরা বাংলাদেশে খরচ করেছেন ৪৪ কোটি টাকা। যুক্তরাজ্য ১৮ কোটি এবং তৃতীয় অবস্থানে ভারত ১৭ কোটি টাকা খরচ করেছে।
ক্রেডিট কার্ড একসময় ছিল ঝুঁকিবিহীন ও আধুনিক লেনদেনের প্রতীক। ডিজিটাল যুগে এর ব্যবহার দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল দেশে। কিন্তু হঠাৎ সেই ধারায় ভাটা নেমেছে। দেশের মধ্যে খরচ কমেছে, বিদেশে বাংলাদেশিদের কার্ড ব্যবহার কমেছে। এমনকি বিদেশিরা বাংলাদেশে এসে খরচ করছেন কম। সব মিলিয়ে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের গতি যেন আচমকা থেমে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, জুন মাসে দেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে খরচ হয়েছিল ৩ হাজার ১১৪ কোটি টাকা; কিন্তু জুলাইয়ে সেই অঙ্ক নেমে আসে ৩ হাজার ৮৩ কোটিতে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দেশে ক্রেডিট কার্ড খরচ কমেছে ৩১ কোটি টাকা।
শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বাংলাদেশিদের খরচের প্রবণতা কমেছে। চলতি বছরের জুন মাসে বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশিরা খরচ করেছিলেন ৫৪৯ কোটি ৭ লাখ টাকা। তবে পরের মাসে সেই ব্যয় কিছুটা কমে। জুলাইয়ে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ হয়েছে ৪৭৯ কোটি ৩ লাখ টাকা। ফলে এক মাসের ব্যবধানে বিদেশে বাংলাদেশিদের কার্ডে লেনদেন কমেছে ৭০ কোটি ৪ লাখ টাকা।
আবার বিদেশিরা বাংলাদেশে এসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ কমিয়েছেন। জুনে তাঁদের খরচ হয়েছিল ১৯৫ কোটি টাকা, কিন্তু জুলাইয়ে তা নেমে এসেছে ১৮৮ কোটিতে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে বিদেশিরা বাংলাদেশে খরচ কমিয়েছেন ৭ কোটি টাকা।
অর্থ খরচের জনপ্রিয় মাধ্যমটিতে হঠাৎ এই ধাক্কা কেন, জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের পাশাপাশি বিদেশে কেনাকাটার জন্যও কার্ড ব্যবহৃত হয়। তবে কিছু ব্যাংকের গ্রাহকেরা কার্ড ব্যবহার করতে পারেননি। এতে লেনদেন কমেছে।
এ বিষয়ে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, দেশের ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও পরিবর্তিত পরিস্থিতির ধাক্কা এর জন্য দায়ী। তিনি জানান, কিছু ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে ঠিকমতো লেনদেন করা যায়নি। এ ছাড়া তারল্যসংকটে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে যথাযথভাবে টাকা তোলা যায়নি। ফলে অনেক মার্চেন্ট পিওএস পেমেন্ট বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। আবার সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলো ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ক্যাশ উত্তোলন বন্ধ রেখেছে। সব মিলিয়ে এর প্রভাব পড়েছে ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের গতিতে।
বিদেশে বাংলাদেশিদের ভ্রমণের প্রবণতা কমেছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা বলেন, ভ্রমণ, শিক্ষা, চিকিৎসা ও ব্যবসার কাজে এখন ভারতে ভ্রমণের সংখ্যা কমেছে। বিকল্প হিসেবে চীনে যাতায়াত বেড়েছে। তবে ভারতের তুলনায় সেই বৃদ্ধি এখনো কম। ফলে সামগ্রিক লেনদেন কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি বছরের জুলাইয়ে বিদেশে বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে; খরচ করেছেন ৭৯ কোটি ৪ লাখ টাকা। এরপর যুক্তরাজ্যে ৫৭ কোটি ৫ লাখ, থাইল্যান্ডে ৫১ কোটি ৯ লাখ, সিঙ্গাপুরে ৩৯ কোটি ৯ লাখ, মালয়েশিয়ায় ৩৮ কোটি ২ লাখ, ভারতে ২৭ কোটি ৯ লাখ, নেদারল্যান্ডসে ১৯ কোটি, সৌদি আরবে ১৫ কোটি, কানাডায় ২৫ কোটি, ইউএই ১৭ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ কোটি, আয়ারল্যান্ডে ১৪ কোটি এবং অন্যান্য দেশে ৭৬ কোটি টাকা খরচ করেছেন।
অন্যদিকে দেশে বিদেশি নাগরিকদের খরচের শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নাগরিকেরা বাংলাদেশে খরচ করেছেন ৪৪ কোটি টাকা। যুক্তরাজ্য ১৮ কোটি এবং তৃতীয় অবস্থানে ভারত ১৭ কোটি টাকা খরচ করেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপ আরও কঠোর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারত রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে যাচ্ছে এবং ব্রিটেন রাশিয়ার শীর্ষ তেল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বসুন্ধরা এক্সপো ভিলেজে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টেরিয়র–ফার্নিচার–সাইনেজ টেকনোলজি এক্সপো ২০২৫ ’। আজ বৃহস্পতিবার এফ টাচ ইভেন্টস লিমিটেডের উদ্যোগে আয়োজিত প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের (আইএবি) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এম মাসুদ উর রশিদ।
৮ ঘণ্টা আগেব্যবসায়ীদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে বহুল আলোচিত বর্ধিত মাশুল কার্যকর হয়েছে। বুধবার থেকে এই নতুন হার অনুযায়ী বন্দর ফি আদায় শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ও মুখপাত্র ওমর ফারুক। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ...
১ দিন আগেউপদেষ্টা বলেন, প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড দিয়ে জেডিপিসির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৬ জন উদ্যোক্তার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করছি বাজারে পাটের একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে। পাটের স্কয়ার মিটার, মাইলেজের পরিধি বাড়াতে গবেষণার দরকার। র্যাপিং (মোড়ক) উপকরণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পাটের বিশাল বাজার আছে।
১ দিন আগে