অনলাইন ডেস্ক
উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আগের চেয়ে ৩৫ শতাংশ কম দামে তেল কিনছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর ফলে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। আগের সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে বেশি দামে জ্বালানি কিনতে হচ্ছে। আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এসব কথা বলেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, গ্রাহকেরা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় মূল্য ৮.৫৫ টাকা প্রদান করলেও সরকার কিনছে ১২-২৫ টাকায়। এলএনজি আমদানিতে ৭০ টাকা খরচ পড়লেও, শিল্প খাতে সরবরাহ করা হচ্ছে ৩০ টাকা হারে। দামের এ পার্থক্য সরকারকে ভর্তুকি হিসেবে দিতে হচ্ছে। জ্বালানি খাতে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। মাথাপিছু ভর্তুকির এ হার প্রায় তিন হাজার টাকা। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করে এই খরচ কমানো সম্ভব।
আজ শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘জ্বালানির সহনীয় মূল্য ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোলায় প্রায় ৭০ সিএমএফএফটি গ্যাস মজুত রয়েছে, যা উত্তোলনে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান জানানো হবে। এখন থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ছাড়া কোনো দরপত্র আহ্বান করা হবে না। তেল আমদানিতে উন্মুক্ত দরপত্রের কারণে আগের চেয়ে ৩৫ শতাংশ কম দামে পাওয়া গেছে, এর ফলে সাশ্রয় হবে ৩৭০ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ খাতে আইপিপির পরিবর্তে মার্চেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট ব্যবস্থা চালু হবে। আমাদের চার হাজার সিএমএফএফটি গ্যাসের প্রয়োজন, যদিও রয়েছে তিন হাজারের কম এবং ঘাটতি মেটাতে নিজেদের গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম বাড়াতে হবে। পর্যায়ক্রমে ৪০টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে এবং এ ধরনের প্রকল্পগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় জমির সংস্থান সরকার থেকে করা হবে।’
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ ও সহনীয় মূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। গত দুই দশকে আমাদের জ্বালানির ব্যবহার প্রায় ৪ গুণ বেড়ে ৪৫ মিলিয়ন টন অব অয়েল ইকুইভ্যালেন্টে (টিওই) পৌঁছেছে।’ শিল্প খাতে জ্বালানির চাহিদা মেটাতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি আমদানির কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জ্বালানি ব্যবহারে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ ব্যবহারিক হবে না, বরং এ ক্ষেত্রে তিন থেকে পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা অধিক কার্যকর হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন, কনফিডেন্স গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান করিম, বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউঅ্যাবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল আক্তারসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আগের চেয়ে ৩৫ শতাংশ কম দামে তেল কিনছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর ফলে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। আগের সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে বেশি দামে জ্বালানি কিনতে হচ্ছে। আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এসব কথা বলেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, গ্রাহকেরা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় মূল্য ৮.৫৫ টাকা প্রদান করলেও সরকার কিনছে ১২-২৫ টাকায়। এলএনজি আমদানিতে ৭০ টাকা খরচ পড়লেও, শিল্প খাতে সরবরাহ করা হচ্ছে ৩০ টাকা হারে। দামের এ পার্থক্য সরকারকে ভর্তুকি হিসেবে দিতে হচ্ছে। জ্বালানি খাতে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। মাথাপিছু ভর্তুকির এ হার প্রায় তিন হাজার টাকা। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করে এই খরচ কমানো সম্ভব।
আজ শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘জ্বালানির সহনীয় মূল্য ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোলায় প্রায় ৭০ সিএমএফএফটি গ্যাস মজুত রয়েছে, যা উত্তোলনে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান জানানো হবে। এখন থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ছাড়া কোনো দরপত্র আহ্বান করা হবে না। তেল আমদানিতে উন্মুক্ত দরপত্রের কারণে আগের চেয়ে ৩৫ শতাংশ কম দামে পাওয়া গেছে, এর ফলে সাশ্রয় হবে ৩৭০ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ খাতে আইপিপির পরিবর্তে মার্চেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট ব্যবস্থা চালু হবে। আমাদের চার হাজার সিএমএফএফটি গ্যাসের প্রয়োজন, যদিও রয়েছে তিন হাজারের কম এবং ঘাটতি মেটাতে নিজেদের গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম বাড়াতে হবে। পর্যায়ক্রমে ৪০টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে এবং এ ধরনের প্রকল্পগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় জমির সংস্থান সরকার থেকে করা হবে।’
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ ও সহনীয় মূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। গত দুই দশকে আমাদের জ্বালানির ব্যবহার প্রায় ৪ গুণ বেড়ে ৪৫ মিলিয়ন টন অব অয়েল ইকুইভ্যালেন্টে (টিওই) পৌঁছেছে।’ শিল্প খাতে জ্বালানির চাহিদা মেটাতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি আমদানির কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জ্বালানি ব্যবহারে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ ব্যবহারিক হবে না, বরং এ ক্ষেত্রে তিন থেকে পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা অধিক কার্যকর হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন, কনফিডেন্স গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান করিম, বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউঅ্যাবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল আক্তারসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
দেশের অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বর (বিআইএন) বা ভ্যাট নিবন্ধন নেই। ফলে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট আদায় সম্ভব হয় না। করযোগ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে টিআইএন গ্রহণ ও রিটার্ন দাখিলের আওতায় আনার পর এবার এনবিআর ভ্যাট বিভাগের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে...
৮ ঘণ্টা আগেইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (আইবিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মওলার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বরখাস্ত বা গ্রেপ্তার না করার পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে স্টার্ক ব্যাংকার্স ফোরাম বাংলাদেশ।
৮ ঘণ্টা আগেরোজাদারদের ইফতারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কম হওয়া নিয়ে এবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করা হচ্ছিল, আমদানি খরচ হ্রাস পাওয়া এবং গুটিকয়েক আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের অবসান হওয়া–এই দুই কারণে খেজুরের দাম কম থাকবে।
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ব্যাংক খাত এক নতুন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে, যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ব্যক্তির মন্তব্য আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সাধারণ গ্রাহক থেকে শুরু করে ব্যাংকারদের মধ্যেও। যখনই দেশের ব্যাংকিং খাত একটু স্থিতিশীলতার দিকে যেতে শুরু করে, তখনই গভর্নরের হঠাৎ করা মন্তব্য নতুন করে শঙ্কার জন্ম দেয়।
১০ ঘণ্টা আগে