Ajker Patrika

উন্মুক্ত দরপত্রে কম দামে তেল কিনে সাশ্রয় হচ্ছে ৩৭০ কোটি টাকা: জ্বালানি উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২: ১২
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আগের চেয়ে ৩৫ শতাংশ কম দামে তেল কিনছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর ফলে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। আগের সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে বেশি দামে জ্বালানি কিনতে হচ্ছে। আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এসব কথা বলেন।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, গ্রাহকেরা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় মূল্য ৮.৫৫ টাকা প্রদান করলেও সরকার কিনছে ১২-২৫ টাকায়। এলএনজি আমদানিতে ৭০ টাকা খরচ পড়লেও, শিল্প খাতে সরবরাহ করা হচ্ছে ৩০ টাকা হারে। দামের এ পার্থক্য সরকারকে ভর্তুকি হিসেবে দিতে হচ্ছে। জ্বালানি খাতে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। মাথাপিছু ভর্তুকির এ হার প্রায় তিন হাজার টাকা। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করে এই খরচ কমানো সম্ভব।

আজ শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘জ্বালানির সহনীয় মূল্য ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোলায় প্রায় ৭০ সিএমএফএফটি গ্যাস মজুত রয়েছে, যা উত্তোলনে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান জানানো হবে। এখন থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ছাড়া কোনো দরপত্র আহ্বান করা হবে না। তেল আমদানিতে উন্মুক্ত দরপত্রের কারণে আগের চেয়ে ৩৫ শতাংশ কম দামে পাওয়া গেছে, এর ফলে সাশ্রয় হবে ৩৭০ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ খাতে আইপিপির পরিবর্তে মার্চেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট ব্যবস্থা চালু হবে। আমাদের চার হাজার সিএমএফএফটি গ্যাসের প্রয়োজন, যদিও রয়েছে তিন হাজারের কম এবং ঘাটতি মেটাতে নিজেদের গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম বাড়াতে হবে। পর্যায়ক্রমে ৪০টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে এবং এ ধরনের প্রকল্পগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় জমির সংস্থান সরকার থেকে করা হবে।’

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ ও সহনীয় মূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। গত দুই দশকে আমাদের জ্বালানির ব্যবহার প্রায় ৪ গুণ বেড়ে ৪৫ মিলিয়ন টন অব অয়েল ইকুইভ্যালেন্টে (টিওই) পৌঁছেছে।’ শিল্প খাতে জ্বালানির চাহিদা মেটাতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি আমদানির কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জ্বালানি ব্যবহারে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ ব্যবহারিক হবে না, বরং এ ক্ষেত্রে তিন থেকে পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা অধিক কার্যকর হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন, কনফিডেন্স গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান করিম, বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউঅ্যাবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল আক্তারসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নয়াদিল্লিতে নতুন হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ, ৩ মাস সময় নিল ভারত

এনসিপির কর্মীদের ঢাকায় আনতে সরকারের বাস রিকুইজিশন, সমালোচনার ঝড়

চাপে পড়ে ৫টি বাস রিকুইজিশন দিয়েছেন পিরোজপুরের ডিসি, সরকারের হস্তক্ষেপ নেই: প্রেস সচিব

রাতে স্বামীর জন্মদিন উদ্‌যাপন, সকালে নদীতে মিলল নববধূর লাশ

কলাবাগানে সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত