ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের প্রভাব পড়েছে ধাতুর বাজারেও। গাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, এমন ধাতুর দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এ অবস্থায় গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পড়েছে শঙ্কায়। এর প্রভাব এমনকি গাড়িভাড়া থেকে শুরু করে সব স্তরে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এমন প্রায় সব ধাতুর দাম বাড়ছে। গাড়ির বাইরের আদল তৈরিতে ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম থেকে শুরু করে ক্যাটালাইটিক কনভার্টারে ব্যবহৃত প্যালাডিয়াম, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারিতে ব্যবহৃত নিকেল—সবকিছুর দাম বাড়তি। ফলে বাড়ছে গাড়ির উৎপাদন ব্যয়, যার দায় শেষ পর্যন্ত এসে পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে ধাতু এখনো এই তালিকার বাইরে। কিন্তু কিছু সরবরাহকারী এরই মধ্যে রুশ পণ্য সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এতে গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিপাকে পড়েছে, যারা এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্য ও চিপ স্বল্পতায় সংকটের মধ্যে ছিল।
বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্টেলান্টিসের প্রধান নির্বাহী কার্লোস তাভারেজ রয়টার্সের সঙ্গে আলাপকালে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতি থেকে আর কী হতে পারে? প্রথমেই যা ঘটবে তা হলো, গাড়ি তৈরির কাঁচামাল ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের ব্যবসায়িক মডেলের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হবে।’
রয়টার্স জানায়, গতকাল সোমবার অ্যালুমিনিয়াম ও প্যালাডিয়াম—উভয় ধাতু বিক্রি হয়েছে রেকর্ড দামে। আর মঙ্গলবার নিকেলের দাম প্রথমবারের মতো টনপ্রতি ১ লাখ মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।
নিকেল কিন্তু শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারিতেই ব্যবহৃত হয় না। এর একটা বড় অংশ যায় স্টেইনলেস স্টিল উৎপাদনে। ফলে এই দরবৃদ্ধির অনেক বড় প্রভাব পড়বে বাজারে। ধাতুর দর বৃদ্ধির বড় প্রভাব পড়বে সার্বিক শিল্প উৎপাদনে।
কতটা প্রভাব পড়ছে? সেটা জানা যাবে গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য অ্যালুমিনিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ডাই-কাস্ট তৈরি ও সরবরাহ করা প্রতিষ্ঠান অ্যালুডাইনের প্রধান নির্বাহীর আন্দ্রেস ওয়েলারের বক্তব্য থেকে। তিনি জানান, শুধু জ্বালানি ও অ্যালুমিনিয়ামের দাম বাড়ার কারণে গত চার মাসে তাঁদের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে ৬০ শতাংশ। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১২০ কোটি ডলারের পণ্য বিক্রি করে। গত চার মাসে তাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে কয়েক শ মিলিয়ন ডলার। এ অবস্থায় চুক্তি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে যেন পণ্য কেনা হয়, সে জন্য তাদের এমনকি কিছু ক্রেতাকে অনুরোধ করতে হয়েছে।
ওয়েলার বলেন, ‘আমাদের পক্ষে তাঁদের অনুরোধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কিন্তু সব ক্রেতা তো এক নয়। কেউ কেউ বিষয়গুলো বোঝেন এবং সহযোগিতা করেন।’
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ কী তবে? এ বিষয়ে স্টেলানটিসের প্রধান নির্বাহী রয়টার্সকে বলেন, ‘চিপ স্বল্পতা কমলে একটা পথ হয়তো বের হবে। সে ক্ষেত্রে গাড়ি উৎপাদকেরা জ্বালানি তেল ও ধাতুর উচ্চমূল্য কিছুটা সামাল দিতে পারবে। কিন্তু চিপ স্বল্পতা এ বছরে কাটবে বলে মনে হচ্ছে না।’
ক্রেতারা আগে থেকেই বিপদে আছেন। এমনকি ধাতুর দাম চড়ার আগে থেকেই চিপ স্বল্পতার জেরে গাড়ি উৎপাদন কমে গিয়েছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছিল বাজারে। ক্রেতাদের গাড়ি কিনতে উচ্চ মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে।
মার্কিন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এলএমসি অ্যান্ড জেডি পাওয়ারের তথ্যমতে, গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন একটি গাড়ির গড় দাম ছিল ৪৪ হাজার ৪৬০ ডলার, যা ২০২১ সালের একই মাসের তুলনায় ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
জার্মান গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফক্সওয়াগন ও বিএমডব্লিউর ওপর এরই মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের বড় প্রভাব পড়েছে। যুদ্ধের জেরে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ওয়্যার হারনেস উৎপাদনকারী কারখানাগুলোকে উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এ ওয়্যার হারনেস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি গাড়ি তৈরিতে গড়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের তার লাগে। আর এর বড় সরবরাহকারী দেশ ইউক্রেন। আর ধাতুর ক্ষেত্রে জার্মান গাড়ি উৎপাদকেরা রুশ সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। ২০২০ সালে তারা জার্মানির মোট নিকেল আমদানির ৪৪ শতাংশ, টাইটেনিয়ামের ৪১ ও প্যালাডিয়ামের ১৮ শতাংশই এসেছিল রাশিয়া থেকে।
লোহার আকরিক উৎপাদনে রাশিয়া বিশ্বে পঞ্চম। গত বছর দেশটি ১০ কোটি ৮০ লাখ টন লোহার আকরিক উৎপাদন করে। এর বড় অংশই যায় ইউরোপের দেশগুলোতে। এ অবস্থায় দেশগুলো এখন বিশেষত ধাতুর ভিন্ন উৎস খুঁজছে। ধাতু সরবরাহে রাশিয়ার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও কার্যত নিষেধাজ্ঞার মতোই অবস্থা বিরাজ করছে।
ধাতুর উচ্চমূল্য সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে কেন পণ্য কিনছে না জার্মানি—এমন প্রশ্নের উত্তরে জার্মান ধাতু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভস স্টেইনলেসের প্রধান নির্বাহী থর্সটেন স্টুডেমুন্ড রয়টার্সকে বলেন, ‘অ্যালুমিনিয়াম বা অন্য কোনো ধাতু নিষেধাজ্ঞার আওতায় না থাকলেও আমরা রাশিয়া থেকে এগুলো কেনা বন্ধ রেখেছি। কারণ, রাশিয়া এ খাত থেকে পাওয়া অর্থও যুদ্ধের পেছনে ব্যয় করবে।’
সব মিলিয়ে ধাতুর বাজারে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তা সামনের দিনে আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, এর প্রভাব বহুমুখী। গাড়ি উৎপাদনে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে, যা যাতায়াত খরচ থেকে শুরু করে জীবনের নানা ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া ধাতু থেকে তৈরি অন্য পণ্যের দামও বাড়বে এর প্রভাবে। নতুন শিল্প স্থাপন কঠিন হয়ে পড়বে। প্রভাব পড়বে অবকাঠামো খাতেও। আর এটি শুধু ইউরোপে নয়, গোটা বিশ্বে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের প্রভাব পড়েছে ধাতুর বাজারেও। গাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, এমন ধাতুর দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এ অবস্থায় গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পড়েছে শঙ্কায়। এর প্রভাব এমনকি গাড়িভাড়া থেকে শুরু করে সব স্তরে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এমন প্রায় সব ধাতুর দাম বাড়ছে। গাড়ির বাইরের আদল তৈরিতে ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম থেকে শুরু করে ক্যাটালাইটিক কনভার্টারে ব্যবহৃত প্যালাডিয়াম, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারিতে ব্যবহৃত নিকেল—সবকিছুর দাম বাড়তি। ফলে বাড়ছে গাড়ির উৎপাদন ব্যয়, যার দায় শেষ পর্যন্ত এসে পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে ধাতু এখনো এই তালিকার বাইরে। কিন্তু কিছু সরবরাহকারী এরই মধ্যে রুশ পণ্য সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এতে গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিপাকে পড়েছে, যারা এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্য ও চিপ স্বল্পতায় সংকটের মধ্যে ছিল।
বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্টেলান্টিসের প্রধান নির্বাহী কার্লোস তাভারেজ রয়টার্সের সঙ্গে আলাপকালে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতি থেকে আর কী হতে পারে? প্রথমেই যা ঘটবে তা হলো, গাড়ি তৈরির কাঁচামাল ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের ব্যবসায়িক মডেলের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হবে।’
রয়টার্স জানায়, গতকাল সোমবার অ্যালুমিনিয়াম ও প্যালাডিয়াম—উভয় ধাতু বিক্রি হয়েছে রেকর্ড দামে। আর মঙ্গলবার নিকেলের দাম প্রথমবারের মতো টনপ্রতি ১ লাখ মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।
নিকেল কিন্তু শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারিতেই ব্যবহৃত হয় না। এর একটা বড় অংশ যায় স্টেইনলেস স্টিল উৎপাদনে। ফলে এই দরবৃদ্ধির অনেক বড় প্রভাব পড়বে বাজারে। ধাতুর দর বৃদ্ধির বড় প্রভাব পড়বে সার্বিক শিল্প উৎপাদনে।
কতটা প্রভাব পড়ছে? সেটা জানা যাবে গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য অ্যালুমিনিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ডাই-কাস্ট তৈরি ও সরবরাহ করা প্রতিষ্ঠান অ্যালুডাইনের প্রধান নির্বাহীর আন্দ্রেস ওয়েলারের বক্তব্য থেকে। তিনি জানান, শুধু জ্বালানি ও অ্যালুমিনিয়ামের দাম বাড়ার কারণে গত চার মাসে তাঁদের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে ৬০ শতাংশ। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১২০ কোটি ডলারের পণ্য বিক্রি করে। গত চার মাসে তাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে কয়েক শ মিলিয়ন ডলার। এ অবস্থায় চুক্তি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে যেন পণ্য কেনা হয়, সে জন্য তাদের এমনকি কিছু ক্রেতাকে অনুরোধ করতে হয়েছে।
ওয়েলার বলেন, ‘আমাদের পক্ষে তাঁদের অনুরোধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কিন্তু সব ক্রেতা তো এক নয়। কেউ কেউ বিষয়গুলো বোঝেন এবং সহযোগিতা করেন।’
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ কী তবে? এ বিষয়ে স্টেলানটিসের প্রধান নির্বাহী রয়টার্সকে বলেন, ‘চিপ স্বল্পতা কমলে একটা পথ হয়তো বের হবে। সে ক্ষেত্রে গাড়ি উৎপাদকেরা জ্বালানি তেল ও ধাতুর উচ্চমূল্য কিছুটা সামাল দিতে পারবে। কিন্তু চিপ স্বল্পতা এ বছরে কাটবে বলে মনে হচ্ছে না।’
ক্রেতারা আগে থেকেই বিপদে আছেন। এমনকি ধাতুর দাম চড়ার আগে থেকেই চিপ স্বল্পতার জেরে গাড়ি উৎপাদন কমে গিয়েছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছিল বাজারে। ক্রেতাদের গাড়ি কিনতে উচ্চ মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে।
মার্কিন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এলএমসি অ্যান্ড জেডি পাওয়ারের তথ্যমতে, গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন একটি গাড়ির গড় দাম ছিল ৪৪ হাজার ৪৬০ ডলার, যা ২০২১ সালের একই মাসের তুলনায় ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
জার্মান গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফক্সওয়াগন ও বিএমডব্লিউর ওপর এরই মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের বড় প্রভাব পড়েছে। যুদ্ধের জেরে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ওয়্যার হারনেস উৎপাদনকারী কারখানাগুলোকে উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এ ওয়্যার হারনেস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি গাড়ি তৈরিতে গড়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের তার লাগে। আর এর বড় সরবরাহকারী দেশ ইউক্রেন। আর ধাতুর ক্ষেত্রে জার্মান গাড়ি উৎপাদকেরা রুশ সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। ২০২০ সালে তারা জার্মানির মোট নিকেল আমদানির ৪৪ শতাংশ, টাইটেনিয়ামের ৪১ ও প্যালাডিয়ামের ১৮ শতাংশই এসেছিল রাশিয়া থেকে।
লোহার আকরিক উৎপাদনে রাশিয়া বিশ্বে পঞ্চম। গত বছর দেশটি ১০ কোটি ৮০ লাখ টন লোহার আকরিক উৎপাদন করে। এর বড় অংশই যায় ইউরোপের দেশগুলোতে। এ অবস্থায় দেশগুলো এখন বিশেষত ধাতুর ভিন্ন উৎস খুঁজছে। ধাতু সরবরাহে রাশিয়ার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও কার্যত নিষেধাজ্ঞার মতোই অবস্থা বিরাজ করছে।
ধাতুর উচ্চমূল্য সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে কেন পণ্য কিনছে না জার্মানি—এমন প্রশ্নের উত্তরে জার্মান ধাতু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভস স্টেইনলেসের প্রধান নির্বাহী থর্সটেন স্টুডেমুন্ড রয়টার্সকে বলেন, ‘অ্যালুমিনিয়াম বা অন্য কোনো ধাতু নিষেধাজ্ঞার আওতায় না থাকলেও আমরা রাশিয়া থেকে এগুলো কেনা বন্ধ রেখেছি। কারণ, রাশিয়া এ খাত থেকে পাওয়া অর্থও যুদ্ধের পেছনে ব্যয় করবে।’
সব মিলিয়ে ধাতুর বাজারে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তা সামনের দিনে আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, এর প্রভাব বহুমুখী। গাড়ি উৎপাদনে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে, যা যাতায়াত খরচ থেকে শুরু করে জীবনের নানা ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া ধাতু থেকে তৈরি অন্য পণ্যের দামও বাড়বে এর প্রভাবে। নতুন শিল্প স্থাপন কঠিন হয়ে পড়বে। প্রভাব পড়বে অবকাঠামো খাতেও। আর এটি শুধু ইউরোপে নয়, গোটা বিশ্বে।
টানা ৯ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। রাজস্ব আদায়ে প্রতিবছর কিছুটা প্রবৃদ্ধি থাকলেও তা পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে থাকছে। প্রস্তাবিত ও সংশোধিত, উভয় লক্ষ্যেই তৈরি হচ্ছে বড় ফারাক। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের পর থেকে কোনো বছরই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি...
১০ ঘণ্টা আগে১১ বছরের সফল যাত্রা সম্পন্ন করল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। দেশের অন্যতম বেসরকারি এই বিমান সংস্থা গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ বছরে পা রাখল। ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা আজ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে বাংলাদেশের আকাশে একটি নির্ভরতার নাম হয়ে উঠেছে।
১০ ঘণ্টা আগে৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের চাপ এড়াতে বাণিজ্য ও অবাণিজ্য-সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে চাইছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আগামী রোববার মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরে (ইউএসটিআর) বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্র পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। এরপর বাংলাদেশের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র কতটুকু সাড়া দেয়...
১১ ঘণ্টা আগেজনতা ব্যাংকের প্রস্তাবিত নতুন পদোন্নতি নীতিমালায় চাকরির মোট মেয়াদকে প্রধান বিবেচনায় এনে নম্বর নির্ধারণ করায় গভীর অসন্তোষ দেখা দিয়েছে ব্যাংকের অভ্যন্তরে। বিশেষত, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে ২০১৯ সাল ও পরবর্তী সময়ে সরাসরি জ্যেষ্ঠ অফিসার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা...
১৩ ঘণ্টা আগে