খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতার মধ্যে চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ভারতের কঠোর সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের চালশিল্পের সংশ্লিষ্টরা। গড় সরবরাহের তিন-চতুর্থাংশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এর প্রভাবে এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে এই খাদ্যশস্যের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাগ্রিকালচার ডটকমের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ভারতের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের চাল ফেডারেশনের কর্মকর্তা ও লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের চালকল মালিক ববি হ্যাংকস। তিনি বলেন, ‘ভারত যে বিশ্বের খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে খেলছে—এটি তার আরেকটি উদাহরণ।’ গত সোমবার তিনি বলেছেন, ‘আমেরিকানদের যথেষ্ট চালের মজুত যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে।’
ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ। দুই সপ্তাহ আগে দেশটি চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাণিজ্য সংগঠন ইউএস রাইস ফেডারেশন বলছে, ভারতীয় চাল আমদানির ওপর নির্ভর করে—এমন দেশগুলোর খাদ্য সরবরাহকে ঝুঁকিতে ফেলে ‘অভ্যন্তরীণ বাজারকে শক্তিশালী করার অজুহাতে এমন নিষেধাজ্ঞা নিন্দনীয় কৌশল’।
আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইএফপিআরআই) বলছে, ৪২টি দেশ, বিশেষ করে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলো তাদের মোট চাহিদার অর্ধেকের বেশি চাল ভারত থেকে আমদানি করে। তাদের জন্য অন্য কোনো বৃহৎ রপ্তানিকারক দেশ সহজে বিকল্প হয়ে উঠতে পারবে না।
যুক্তরাষ্ট্র তুলনামূলক ছোট উৎপাদনকারী। দেশটিতে চলতি বছর আনুমানিক ৬৪ লাখ টন চাল উৎপাদিত হবে। এটি বিশ্বের মোট উৎপাদনের মাত্র ১ শতাংশ। তবে সচরাচর চাল রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় চতুর্থ বা পঞ্চম অবস্থানে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএসডিএর আন্তর্জাতিক বিক্রয় পূর্বাভাস অনুসারে, যা প্রায় আড়াই লাখ টন।
অন্যদিকে চীন বিশ্বের বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী দেশ। দেশটি বছরে প্রায় ১৪ দশমিক ৫ কোটি থেকে ১৫ কোটি টন চাল উৎপাদন করে। ভারত উৎপাদনকারীর দিক থেকে দ্বিতীয় হলেও বিশ্ববাজারে ৪০ শতাংশই সরবরাহ করে তারা।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য চালের রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। গত এক বছরে দেশটিতে চালের দাম প্রায় ১১ শতাংশ বেড়েছে। এই ঘোষণার পর থেকে কয়েকটি উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা থেকে শুরু করে ইউরোপ হয়ে অস্ট্রেলিয়া যেখানেই ভারতীয় উপমহাদেশের লোকজন রয়েছেন, কিংবা ভাত যাঁদের প্রধান খাবার—তাঁরা স্থানীয় দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন।
মিসিসিপির ধানচাষি এবং কৃষকদের সংগঠন ইউএসএ রাইসের সভাপতি কার্ক স্যাটারফিল্ড বলেন, ‘মার্কিন ভোক্তাদের জন্য যদি আরও চাল প্রয়োজন হয়, তবে আমাদের অনেক চাল আছে। যুক্তরাষ্ট্রে অনেক ধরনের চাল উৎপাদন হয়। ভোক্তারা লম্বা, মধ্যম, খাটো বা বাসমতী, জেসমিন—যে ধরনের ইচ্ছা কিনতে পারবেন। এসব যুক্তরাষ্ট্রেই উৎপাদিত হচ্ছে।’
লুইজিয়ানার চালকল মালিক ববি হ্যাংকস বলেন, ‘রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের জন্য মজুত যখন অনেক বেড়ে যাবে তখন ভারত আবার পানির দামে বিশ্ববাজারে চাল দেওয়া শুরু করবে। তখন আবার বিশ্ববাজার এবং বেশ অনিরাপদ দেশগুলোতে বিপর্যয় নেমে আসবে।’
ভারত গত ২০ জুলাই রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর থেকে বিশ্বে চালের দাম ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতার মধ্যে চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ভারতের কঠোর সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের চালশিল্পের সংশ্লিষ্টরা। গড় সরবরাহের তিন-চতুর্থাংশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এর প্রভাবে এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে এই খাদ্যশস্যের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাগ্রিকালচার ডটকমের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ভারতের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের চাল ফেডারেশনের কর্মকর্তা ও লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের চালকল মালিক ববি হ্যাংকস। তিনি বলেন, ‘ভারত যে বিশ্বের খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে খেলছে—এটি তার আরেকটি উদাহরণ।’ গত সোমবার তিনি বলেছেন, ‘আমেরিকানদের যথেষ্ট চালের মজুত যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে।’
ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ। দুই সপ্তাহ আগে দেশটি চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাণিজ্য সংগঠন ইউএস রাইস ফেডারেশন বলছে, ভারতীয় চাল আমদানির ওপর নির্ভর করে—এমন দেশগুলোর খাদ্য সরবরাহকে ঝুঁকিতে ফেলে ‘অভ্যন্তরীণ বাজারকে শক্তিশালী করার অজুহাতে এমন নিষেধাজ্ঞা নিন্দনীয় কৌশল’।
আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইএফপিআরআই) বলছে, ৪২টি দেশ, বিশেষ করে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলো তাদের মোট চাহিদার অর্ধেকের বেশি চাল ভারত থেকে আমদানি করে। তাদের জন্য অন্য কোনো বৃহৎ রপ্তানিকারক দেশ সহজে বিকল্প হয়ে উঠতে পারবে না।
যুক্তরাষ্ট্র তুলনামূলক ছোট উৎপাদনকারী। দেশটিতে চলতি বছর আনুমানিক ৬৪ লাখ টন চাল উৎপাদিত হবে। এটি বিশ্বের মোট উৎপাদনের মাত্র ১ শতাংশ। তবে সচরাচর চাল রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় চতুর্থ বা পঞ্চম অবস্থানে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএসডিএর আন্তর্জাতিক বিক্রয় পূর্বাভাস অনুসারে, যা প্রায় আড়াই লাখ টন।
অন্যদিকে চীন বিশ্বের বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী দেশ। দেশটি বছরে প্রায় ১৪ দশমিক ৫ কোটি থেকে ১৫ কোটি টন চাল উৎপাদন করে। ভারত উৎপাদনকারীর দিক থেকে দ্বিতীয় হলেও বিশ্ববাজারে ৪০ শতাংশই সরবরাহ করে তারা।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য চালের রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। গত এক বছরে দেশটিতে চালের দাম প্রায় ১১ শতাংশ বেড়েছে। এই ঘোষণার পর থেকে কয়েকটি উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা থেকে শুরু করে ইউরোপ হয়ে অস্ট্রেলিয়া যেখানেই ভারতীয় উপমহাদেশের লোকজন রয়েছেন, কিংবা ভাত যাঁদের প্রধান খাবার—তাঁরা স্থানীয় দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন।
মিসিসিপির ধানচাষি এবং কৃষকদের সংগঠন ইউএসএ রাইসের সভাপতি কার্ক স্যাটারফিল্ড বলেন, ‘মার্কিন ভোক্তাদের জন্য যদি আরও চাল প্রয়োজন হয়, তবে আমাদের অনেক চাল আছে। যুক্তরাষ্ট্রে অনেক ধরনের চাল উৎপাদন হয়। ভোক্তারা লম্বা, মধ্যম, খাটো বা বাসমতী, জেসমিন—যে ধরনের ইচ্ছা কিনতে পারবেন। এসব যুক্তরাষ্ট্রেই উৎপাদিত হচ্ছে।’
লুইজিয়ানার চালকল মালিক ববি হ্যাংকস বলেন, ‘রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের জন্য মজুত যখন অনেক বেড়ে যাবে তখন ভারত আবার পানির দামে বিশ্ববাজারে চাল দেওয়া শুরু করবে। তখন আবার বিশ্ববাজার এবং বেশ অনিরাপদ দেশগুলোতে বিপর্যয় নেমে আসবে।’
ভারত গত ২০ জুলাই রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর থেকে বিশ্বে চালের দাম ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সম্মেলন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অথচ এ দেশে আসা এক জাপানি বিনিয়োগকারী চরম প্রতারণা ও বিচারিক দীর্ঘসূত্রতার শিকার হয়ে বিনিয়োগ গুটিয়ে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন...
৪১ মিনিট আগেএবি ব্যাংকের ৮১৩তম বোর্ড সভায় বিশিষ্ট ব্যাংকার কাইজার এ. চৌধুরী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ. চৌধুরীর বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সিইও এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে কাজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার আলোচনা শুরুর আগে বাংলাদেশের ‘অভিযোগ প্রত্যাহার’ চেয়ে কূটনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছে কুয়ালালামপুর। মানব পাচার সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের র্যাংকিংয়ে উন্নতি আনতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশকে প্রেরিত এক চিঠিতে বলেছে, ঢাকা থেকে আসা অনেক অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন ও অসমর্থিত’..
২ ঘণ্টা আগেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নেমে এসেছে পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে, ৪,৭৮১ পয়েন্টে। ৯৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লাখো বিনিয়োগকারী। বাজারে আস্থা হারাচ্ছেন সবাই, বাড়ছে মার্জিন ঋণের সেল প্রেশার, আর সরকারের সিদ্ধান্তগুলো আস্থার পরিবর্তে বাড়াচ্ছে হতাশা।
৩ ঘণ্টা আগে