Ajker Patrika

নিয়ম ভেঙে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের পরামর্শক ইসমাইল

  • ব্যাংকের হালনাগাদ প্রবিধিমালায় নেই চুক্তিতে নিয়োগের বিধান।
  • পুনরায় মেয়াদ বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন পরামর্শক মো. ইসমাইল মিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২২: ৫০
নিয়ম ভেঙে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের পরামর্শক ইসমাইল

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্পষ্ট আপত্তি থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মো. ইসমাইল মিয়াকে একাধিকবার চুক্তিতে নিয়োগ ও তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বিগত সরকারের আমলে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে সাময়িকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত এই পরামর্শক বর্তমানে ব্যাংকের অভ্যন্তরে আতঙ্কের প্রতীক হয়ে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বারবার বৃদ্ধি করেছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২০ আগস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আকরাম-আল হোসেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মো. জামিনুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন পরামর্শক মো. ইসমাইল মিয়া।

ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত বিআরপিডি সার্কুলার অনুযায়ী, কোনো ব্যাংকে পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন বাধ্যতামূলক হলেও ইসমাইল মিয়ার নিয়োগে তা মানা হয়নি। তাঁর নিয়োগ ও পরবর্তী মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নিজস্ব সাংগঠনিক কাঠামো বা প্রবিধিমালার কোনো ভিত্তি ছিল না; বরং ২০২২ সালের হালনাগাদ প্রবিধিমালায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ধারা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২০২১,২০২২ ও ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টিতে গুরুতর আপত্তি জানানো হয়েছে।

ইসমাইল মিয়া সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মো. জামিনুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। জানা যায়, ৬৬ বছর বয়সী এই সাবেক কর্মকর্তা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে পিআরএলে যাওয়ার পর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে সহকারী মহাব্যবস্থাপক মর্যাদায় কনসালট্যান্ট (পরামর্শক) হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর তাঁর চুক্তির মেয়াদ কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বহাল রাখা হয়েছে। আরেক দফা চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তিনি তদবির করছেন।

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তা আশঙ্কা করছেন, ইসমাইল মিয়ার চুক্তির মেয়াদ পুনরায় বাড়ানো হলে ব্যাংকের মধ্যে অস্থিরতা বাড়তে পারে এবং প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা হুমকির মুখে পড়বে। অপর সূত্রে জানা গেছে, চুক্তিভিত্তিক অন্য কোনো কর্মকর্তা বার্ষিক ইনসেন্টিভ বোনাস না পেলেও ইসমাইল মিয়া সেই বোনাস গ্রহণ করেছেন, যা বৈষম্যমূলক ও অনিয়মের দৃষ্টান্ত।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ইসমাইল মিয়া মিথ্যা দাবি করে ফোন কেটে দেন। পরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি। এরপর একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি জবাব দেননি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, কখনো কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয় না বাংলাদেশ ব্যাংক। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কোনো অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল দিল্লি

‘ক্রিকেটাররা আমাকে ন্যুড পাঠাত’, বিস্ফোরক ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল

নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

পারদর্শী হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, স্থিতিশীল হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক: ভারতীয় বিশেষজ্ঞ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত