Ajker Patrika

বাজেটে ৬২৬ আমদানি পণ্যে শুল্ক ছাড়

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০২ জুন ২০২৫, ১৬: ২৩
বাজেটে ৬২৬ আমদানি পণ্যে শুল্ক ছাড়

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে শুল্ক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য, একদিকে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাধারণ মানুষের জন্য একটি স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা। সেই সঙ্গে রপ্তানি পণ্যে শুল্ক ছাড়া পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপ শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে ছয় শতাধিক পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার অথবা ছাড়ের প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

শুল্ক কাঠামোর পুনর্বিন্যাস: নতুন স্তর ও সম্পূরক শুল্কহার

আগামী অর্থবছরে বিদ্যমান ছয় (০৬) স্তর বিশিষ্ট শুল্ক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করে একটি নতুন স্তর (৩ %) যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই পরিবর্তন দেশের আমদানি শুল্ক ব্যবস্থায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। একই সঙ্গে, আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান বারো (১২) স্তর বিশিষ্ট সম্পূরক শুল্কহারের পাশাপাশি নতুন একটি সম্পূরক শুল্কহার (৪০ %) নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কাঁচামালে শূন্য শুল্ক অপরিবর্তিত

সর্বসাধারণের সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং উৎপাদন খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পণ্যে বিদ্যমান শূন্য শুল্ক হার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, প্রধান প্রধান খাদ্যদ্রব্য, সার, বীজ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং তুলাসহ আরও কতিপয় শিল্পের কাঁচামাল। এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে এবং দেশীয় শিল্পের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করবে বলে আশা করছে সরকার।

শুল্ক-কর যৌক্তিকীকরণ: ব্যবসা ও বাণিজ্যের সুবিধা

আমদানি পণ্যের শুল্ক-কর হার পর্যায়ক্রমে হ্রাস করার একটি ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপগুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তাব অনুযায়ী, ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, ৬৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস, ৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ ছাড়া এ ছাড়া বর্তমানে বলবৎ ন্যূনতম ও ট্যারিফ মূল্য পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করার অংশ হিসেবে বিদ্যমান সব ট্যারিফ মূল্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৮৪ টি পণ্যের ন্যূনতম মূল্য প্রত্যাহার এবং ২৩টি পণ্যের ন্যূনতম মূল্য বৃদ্ধি করে শুল্ক মূল্য যৌক্তিক করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত তালিকায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মার্কিন পণ্যের ওপর ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় এখন থেকে বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩৭ শতাংশ নতুন অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ৯ এপ্রিল থেকে এই উচ্চতর শুল্ক কার্যকর করার কথা বললেও পরে তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আগে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে শুল্ক ছিল ১৫ শতাংশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত