আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

বিশ্বজুড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ হলেও দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এ খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা দূরে থাক, মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েই দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা হচ্ছে। এই বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনো ক্লোজ এন্ড বা মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আসতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া বিদ্যমান মিউচুয়াল ফান্ডগুলো যদি বাজারদর ধরে রাখতে না পারে, তাদেরও অবসায়নের দিকে যেতে হবে। এর ফলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ৬৯০ কোটি টাকার মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার আর থাকবে না।
সম্পদ ব্যবস্থাপকদের অনিয়ম, টাকার নয়-ছয় করা ও দুর্বল বিনিয়োগের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর প্রতি ইউনিটের দাম ফেসভ্যালু বা অভিহিত মূল্যের নিচে অবস্থান করছে। বিনিয়োগকারীরা চাইলেও ন্যায্য দামে ইউনিট বিক্রি করতে পারেন না। এতে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, যা সার্বিকভাবে এ খাতে চরম আস্থার সংকট তৈরি করেছে। তবে অ-মেয়াদি ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা চাইলে ফান্ড ম্যানেজারের কাছেই ইউনিট জমা বা সারেন্ডার করে টাকা তুলতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নতুন ‘মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে। ইতিমধ্যে বিধিমালাটির খসড়া বিএসইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে মতামত আহ্বান করা হয়েছে। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত যে কেউ এর ওপর পরামর্শ, মতামত জানাতে পারবেন।
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন বিধিমালার গেজেট হলে আগামীতে আর কোনো মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন দেওয়া হবে না। উন্নত দেশগুলো ওই চর্চায় যাচ্ছে, আমরাও তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেদিকে যাচ্ছি। তবে যেগুলো মেয়াদি আছে, সেগুলো মেয়াদ পর্যন্ত থাকবে।’
তবে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেয়াদ ফান্ড তুলে দিলে বাজারে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন প্রবাহ কমে যেতে পারে, যা বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁদের মতে, ফান্ড ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা ও স্বচ্ছতা না থাকা বড় সমস্যা। কাঠামো বাতিল নয়, বরং সুশাসন ও তদারকি জোরদার করাই হতে পারে টেকসই সমাধান।
রূপান্তর বা অবসায়নের বিধান
নতুন খসড়া বিধিমালায় বিদ্যমান মেয়াদি স্কিমগুলোর জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ বিধান। নতুন বিধিমালা গেজেট প্রকাশের ছয় মাসের মধ্যে কোনো স্কিমের ইউনিটপ্রতি গড় লেনদেনমূল্য যদি ঘোষিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) বা ক্রয়মূল্যের তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি কমে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ফান্ডের ট্রাস্টি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করতে পারবে। সেখানে তিন-চতুর্থাংশ ভোটে সিদ্ধান্ত হলে বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে ফান্ডটি বেমেয়াদিতে রূপান্তর বা অবসায়ন করা যাবে।
বিনিয়োগ নীতিমালা
প্রস্তাবিত বিধিমালায় ফান্ডগুলোর বিনিয়োগ ক্ষেত্রও সীমিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ফান্ডের অর্থ কেবল স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ, আইপিও, রাইট শেয়ার ও সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে। তালিকাচ্যুত, এসএমই বা এটিবি প্ল্যাটফর্মের শেয়ারে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ থাকবে। বিনিয়োগের পরে কোনো সিকিউরিটিজ মূল বোর্ড থেকে বাদ পড়লে ছয় মাসের মধ্যে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে হবে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত
গত এক দশকে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রায় হারিয়ে গেছে। ৫ হাজার ৬৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার তালিকাভুক্ত ৩৭টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৪টির ইউনিট দর অভিহিত মূল্য ১০ টাকার ওপরে, বাকি সব ফান্ড ৩ থেকে ৮ টাকার মধ্যে লেনদেন হচ্ছে। ২৭টি ফান্ডের রিজার্ভ ঘাটতি রয়েছে, সম্মিলিতভাবে যার পরিমাণ ৬৫৩ কোটি টাকার বেশি। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ঘাটতির পরিমাণ বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
ফান্ডগুলোর মধ্যে ছয়টি গত দুই বছর ধরে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে অনিয়মিত। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে নতুন করে অনিয়মিত হয়েছে আরও ১১টি। অর্থাৎ সর্বশেষ হিসাব বছরে ২০টি ফান্ডের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র চারটি সামান্য পরিমাণ মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি ১৬টি সর্বশেষ হিসাব বছরে লোকসান করেছে। যে ২০টি ফান্ডের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, এর মধ্যে মাত্র দুটির ইউনিটহোল্ডারদের জন্য সামান্য পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। বিপরীতে ১৮টির ইউনিটহোল্ডার লভ্যাংশ বঞ্চিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে ফান্ডগুলোর ইউনিট দর এখন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যের অর্ধেকের নিচে। সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানগুলো অতীতে যেভাবে অর্থ পাচার করেছে, তা উদ্ধার না হলে এই খাতের প্রতি বিশ্বাস ফেরানো সম্ভব নয়।’
নতুন কাঠামোয় স্বচ্ছতা বাড়বে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য আল-আমিন বলেন, ‘নতুন বিধিমালায় বিনিয়োগকে সীমিত করা হয়েছে কেবল “এ’’ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে। সম্পদ ব্যবস্থাপক ও ট্রাস্টিদের অর্থ স্থানান্তরের সুযোগও বন্ধ হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ মিউচুয়াল ফান্ড খাতকে ভবিষ্যতে আরও বিশ্বাসযোগ্য করতে সহায়ক হবে।’
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা এমন বিধান আনছি, যাতে ফান্ডগুলো নিট সম্পদমূল্যের কাছাকাছি দরে লেনদেন হয়। তবু যদি কোনো ফান্ড তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটি বেমেয়াদি ফান্ডে রূপান্তরিত হবে অথবা অবসায়নে যাবে।’
বিএসইসির পরিচালক আরও জানান, নতুন আইনে ট্রাস্টি, কাস্টডিয়ান ও সম্পদ ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব আলাদা করে নির্দিষ্ট করা হয়েছে, যাতে কেউ ফান্ডের অর্থ নিজেদের সম্পদ মনে করে অপব্যবহার করতে না পারে।
তবে মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়াই সঠিক সমাধান বলে মনে করেন না বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ। তিনি বলেন, মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের একটা সুবিধা আছে। সিকিউরড ইনভেস্টমেন্ট। কিন্তু আমাদের এখানে এক-তৃতীয়াংশ কম দামে বিক্রি হচ্ছে। কারণ, সম্পদ ব্যবস্থাপকেরা তহবিল তছরুপ করেছে, তাই আস্থা কমে গেছে। এ জন্য মেয়াদি ফান্ড একেবারে বন্ধ করে দেওয়াটা কি সমাধান? আমার সেটা মনে হয় না।

বিশ্বজুড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ হলেও দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এ খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা দূরে থাক, মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েই দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা হচ্ছে। এই বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনো ক্লোজ এন্ড বা মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আসতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া বিদ্যমান মিউচুয়াল ফান্ডগুলো যদি বাজারদর ধরে রাখতে না পারে, তাদেরও অবসায়নের দিকে যেতে হবে। এর ফলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ৬৯০ কোটি টাকার মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার আর থাকবে না।
সম্পদ ব্যবস্থাপকদের অনিয়ম, টাকার নয়-ছয় করা ও দুর্বল বিনিয়োগের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর প্রতি ইউনিটের দাম ফেসভ্যালু বা অভিহিত মূল্যের নিচে অবস্থান করছে। বিনিয়োগকারীরা চাইলেও ন্যায্য দামে ইউনিট বিক্রি করতে পারেন না। এতে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, যা সার্বিকভাবে এ খাতে চরম আস্থার সংকট তৈরি করেছে। তবে অ-মেয়াদি ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা চাইলে ফান্ড ম্যানেজারের কাছেই ইউনিট জমা বা সারেন্ডার করে টাকা তুলতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নতুন ‘মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে। ইতিমধ্যে বিধিমালাটির খসড়া বিএসইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে মতামত আহ্বান করা হয়েছে। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত যে কেউ এর ওপর পরামর্শ, মতামত জানাতে পারবেন।
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন বিধিমালার গেজেট হলে আগামীতে আর কোনো মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন দেওয়া হবে না। উন্নত দেশগুলো ওই চর্চায় যাচ্ছে, আমরাও তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেদিকে যাচ্ছি। তবে যেগুলো মেয়াদি আছে, সেগুলো মেয়াদ পর্যন্ত থাকবে।’
তবে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেয়াদ ফান্ড তুলে দিলে বাজারে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন প্রবাহ কমে যেতে পারে, যা বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁদের মতে, ফান্ড ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা ও স্বচ্ছতা না থাকা বড় সমস্যা। কাঠামো বাতিল নয়, বরং সুশাসন ও তদারকি জোরদার করাই হতে পারে টেকসই সমাধান।
রূপান্তর বা অবসায়নের বিধান
নতুন খসড়া বিধিমালায় বিদ্যমান মেয়াদি স্কিমগুলোর জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ বিধান। নতুন বিধিমালা গেজেট প্রকাশের ছয় মাসের মধ্যে কোনো স্কিমের ইউনিটপ্রতি গড় লেনদেনমূল্য যদি ঘোষিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) বা ক্রয়মূল্যের তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি কমে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ফান্ডের ট্রাস্টি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করতে পারবে। সেখানে তিন-চতুর্থাংশ ভোটে সিদ্ধান্ত হলে বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে ফান্ডটি বেমেয়াদিতে রূপান্তর বা অবসায়ন করা যাবে।
বিনিয়োগ নীতিমালা
প্রস্তাবিত বিধিমালায় ফান্ডগুলোর বিনিয়োগ ক্ষেত্রও সীমিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ফান্ডের অর্থ কেবল স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ, আইপিও, রাইট শেয়ার ও সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে। তালিকাচ্যুত, এসএমই বা এটিবি প্ল্যাটফর্মের শেয়ারে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ থাকবে। বিনিয়োগের পরে কোনো সিকিউরিটিজ মূল বোর্ড থেকে বাদ পড়লে ছয় মাসের মধ্যে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে হবে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত
গত এক দশকে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রায় হারিয়ে গেছে। ৫ হাজার ৬৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার তালিকাভুক্ত ৩৭টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৪টির ইউনিট দর অভিহিত মূল্য ১০ টাকার ওপরে, বাকি সব ফান্ড ৩ থেকে ৮ টাকার মধ্যে লেনদেন হচ্ছে। ২৭টি ফান্ডের রিজার্ভ ঘাটতি রয়েছে, সম্মিলিতভাবে যার পরিমাণ ৬৫৩ কোটি টাকার বেশি। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ঘাটতির পরিমাণ বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
ফান্ডগুলোর মধ্যে ছয়টি গত দুই বছর ধরে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে অনিয়মিত। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে নতুন করে অনিয়মিত হয়েছে আরও ১১টি। অর্থাৎ সর্বশেষ হিসাব বছরে ২০টি ফান্ডের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র চারটি সামান্য পরিমাণ মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি ১৬টি সর্বশেষ হিসাব বছরে লোকসান করেছে। যে ২০টি ফান্ডের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, এর মধ্যে মাত্র দুটির ইউনিটহোল্ডারদের জন্য সামান্য পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। বিপরীতে ১৮টির ইউনিটহোল্ডার লভ্যাংশ বঞ্চিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে ফান্ডগুলোর ইউনিট দর এখন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যের অর্ধেকের নিচে। সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানগুলো অতীতে যেভাবে অর্থ পাচার করেছে, তা উদ্ধার না হলে এই খাতের প্রতি বিশ্বাস ফেরানো সম্ভব নয়।’
নতুন কাঠামোয় স্বচ্ছতা বাড়বে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য আল-আমিন বলেন, ‘নতুন বিধিমালায় বিনিয়োগকে সীমিত করা হয়েছে কেবল “এ’’ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে। সম্পদ ব্যবস্থাপক ও ট্রাস্টিদের অর্থ স্থানান্তরের সুযোগও বন্ধ হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ মিউচুয়াল ফান্ড খাতকে ভবিষ্যতে আরও বিশ্বাসযোগ্য করতে সহায়ক হবে।’
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা এমন বিধান আনছি, যাতে ফান্ডগুলো নিট সম্পদমূল্যের কাছাকাছি দরে লেনদেন হয়। তবু যদি কোনো ফান্ড তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটি বেমেয়াদি ফান্ডে রূপান্তরিত হবে অথবা অবসায়নে যাবে।’
বিএসইসির পরিচালক আরও জানান, নতুন আইনে ট্রাস্টি, কাস্টডিয়ান ও সম্পদ ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব আলাদা করে নির্দিষ্ট করা হয়েছে, যাতে কেউ ফান্ডের অর্থ নিজেদের সম্পদ মনে করে অপব্যবহার করতে না পারে।
তবে মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়াই সঠিক সমাধান বলে মনে করেন না বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ। তিনি বলেন, মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের একটা সুবিধা আছে। সিকিউরড ইনভেস্টমেন্ট। কিন্তু আমাদের এখানে এক-তৃতীয়াংশ কম দামে বিক্রি হচ্ছে। কারণ, সম্পদ ব্যবস্থাপকেরা তহবিল তছরুপ করেছে, তাই আস্থা কমে গেছে। এ জন্য মেয়াদি ফান্ড একেবারে বন্ধ করে দেওয়াটা কি সমাধান? আমার সেটা মনে হয় না।
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

বিশ্বজুড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ হলেও দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এ খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা দূরে থাক, মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েই দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা হচ্ছে। এই বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনো ক্লোজ এন্ড বা মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আসতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া বিদ্যমান মিউচুয়াল ফান্ডগুলো যদি বাজারদর ধরে রাখতে না পারে, তাদেরও অবসায়নের দিকে যেতে হবে। এর ফলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ৬৯০ কোটি টাকার মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার আর থাকবে না।
সম্পদ ব্যবস্থাপকদের অনিয়ম, টাকার নয়-ছয় করা ও দুর্বল বিনিয়োগের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর প্রতি ইউনিটের দাম ফেসভ্যালু বা অভিহিত মূল্যের নিচে অবস্থান করছে। বিনিয়োগকারীরা চাইলেও ন্যায্য দামে ইউনিট বিক্রি করতে পারেন না। এতে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, যা সার্বিকভাবে এ খাতে চরম আস্থার সংকট তৈরি করেছে। তবে অ-মেয়াদি ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা চাইলে ফান্ড ম্যানেজারের কাছেই ইউনিট জমা বা সারেন্ডার করে টাকা তুলতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নতুন ‘মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে। ইতিমধ্যে বিধিমালাটির খসড়া বিএসইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে মতামত আহ্বান করা হয়েছে। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত যে কেউ এর ওপর পরামর্শ, মতামত জানাতে পারবেন।
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন বিধিমালার গেজেট হলে আগামীতে আর কোনো মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন দেওয়া হবে না। উন্নত দেশগুলো ওই চর্চায় যাচ্ছে, আমরাও তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেদিকে যাচ্ছি। তবে যেগুলো মেয়াদি আছে, সেগুলো মেয়াদ পর্যন্ত থাকবে।’
তবে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেয়াদ ফান্ড তুলে দিলে বাজারে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন প্রবাহ কমে যেতে পারে, যা বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁদের মতে, ফান্ড ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা ও স্বচ্ছতা না থাকা বড় সমস্যা। কাঠামো বাতিল নয়, বরং সুশাসন ও তদারকি জোরদার করাই হতে পারে টেকসই সমাধান।
রূপান্তর বা অবসায়নের বিধান
নতুন খসড়া বিধিমালায় বিদ্যমান মেয়াদি স্কিমগুলোর জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ বিধান। নতুন বিধিমালা গেজেট প্রকাশের ছয় মাসের মধ্যে কোনো স্কিমের ইউনিটপ্রতি গড় লেনদেনমূল্য যদি ঘোষিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) বা ক্রয়মূল্যের তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি কমে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ফান্ডের ট্রাস্টি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করতে পারবে। সেখানে তিন-চতুর্থাংশ ভোটে সিদ্ধান্ত হলে বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে ফান্ডটি বেমেয়াদিতে রূপান্তর বা অবসায়ন করা যাবে।
বিনিয়োগ নীতিমালা
প্রস্তাবিত বিধিমালায় ফান্ডগুলোর বিনিয়োগ ক্ষেত্রও সীমিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ফান্ডের অর্থ কেবল স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ, আইপিও, রাইট শেয়ার ও সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে। তালিকাচ্যুত, এসএমই বা এটিবি প্ল্যাটফর্মের শেয়ারে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ থাকবে। বিনিয়োগের পরে কোনো সিকিউরিটিজ মূল বোর্ড থেকে বাদ পড়লে ছয় মাসের মধ্যে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে হবে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত
গত এক দশকে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রায় হারিয়ে গেছে। ৫ হাজার ৬৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার তালিকাভুক্ত ৩৭টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৪টির ইউনিট দর অভিহিত মূল্য ১০ টাকার ওপরে, বাকি সব ফান্ড ৩ থেকে ৮ টাকার মধ্যে লেনদেন হচ্ছে। ২৭টি ফান্ডের রিজার্ভ ঘাটতি রয়েছে, সম্মিলিতভাবে যার পরিমাণ ৬৫৩ কোটি টাকার বেশি। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ঘাটতির পরিমাণ বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
ফান্ডগুলোর মধ্যে ছয়টি গত দুই বছর ধরে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে অনিয়মিত। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে নতুন করে অনিয়মিত হয়েছে আরও ১১টি। অর্থাৎ সর্বশেষ হিসাব বছরে ২০টি ফান্ডের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র চারটি সামান্য পরিমাণ মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি ১৬টি সর্বশেষ হিসাব বছরে লোকসান করেছে। যে ২০টি ফান্ডের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, এর মধ্যে মাত্র দুটির ইউনিটহোল্ডারদের জন্য সামান্য পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। বিপরীতে ১৮টির ইউনিটহোল্ডার লভ্যাংশ বঞ্চিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে ফান্ডগুলোর ইউনিট দর এখন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যের অর্ধেকের নিচে। সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানগুলো অতীতে যেভাবে অর্থ পাচার করেছে, তা উদ্ধার না হলে এই খাতের প্রতি বিশ্বাস ফেরানো সম্ভব নয়।’
নতুন কাঠামোয় স্বচ্ছতা বাড়বে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য আল-আমিন বলেন, ‘নতুন বিধিমালায় বিনিয়োগকে সীমিত করা হয়েছে কেবল “এ’’ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে। সম্পদ ব্যবস্থাপক ও ট্রাস্টিদের অর্থ স্থানান্তরের সুযোগও বন্ধ হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ মিউচুয়াল ফান্ড খাতকে ভবিষ্যতে আরও বিশ্বাসযোগ্য করতে সহায়ক হবে।’
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা এমন বিধান আনছি, যাতে ফান্ডগুলো নিট সম্পদমূল্যের কাছাকাছি দরে লেনদেন হয়। তবু যদি কোনো ফান্ড তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটি বেমেয়াদি ফান্ডে রূপান্তরিত হবে অথবা অবসায়নে যাবে।’
বিএসইসির পরিচালক আরও জানান, নতুন আইনে ট্রাস্টি, কাস্টডিয়ান ও সম্পদ ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব আলাদা করে নির্দিষ্ট করা হয়েছে, যাতে কেউ ফান্ডের অর্থ নিজেদের সম্পদ মনে করে অপব্যবহার করতে না পারে।
তবে মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়াই সঠিক সমাধান বলে মনে করেন না বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ। তিনি বলেন, মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের একটা সুবিধা আছে। সিকিউরড ইনভেস্টমেন্ট। কিন্তু আমাদের এখানে এক-তৃতীয়াংশ কম দামে বিক্রি হচ্ছে। কারণ, সম্পদ ব্যবস্থাপকেরা তহবিল তছরুপ করেছে, তাই আস্থা কমে গেছে। এ জন্য মেয়াদি ফান্ড একেবারে বন্ধ করে দেওয়াটা কি সমাধান? আমার সেটা মনে হয় না।

বিশ্বজুড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ হলেও দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এ খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা দূরে থাক, মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েই দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা হচ্ছে। এই বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনো ক্লোজ এন্ড বা মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আসতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া বিদ্যমান মিউচুয়াল ফান্ডগুলো যদি বাজারদর ধরে রাখতে না পারে, তাদেরও অবসায়নের দিকে যেতে হবে। এর ফলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ৬৯০ কোটি টাকার মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার আর থাকবে না।
সম্পদ ব্যবস্থাপকদের অনিয়ম, টাকার নয়-ছয় করা ও দুর্বল বিনিয়োগের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর প্রতি ইউনিটের দাম ফেসভ্যালু বা অভিহিত মূল্যের নিচে অবস্থান করছে। বিনিয়োগকারীরা চাইলেও ন্যায্য দামে ইউনিট বিক্রি করতে পারেন না। এতে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, যা সার্বিকভাবে এ খাতে চরম আস্থার সংকট তৈরি করেছে। তবে অ-মেয়াদি ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা চাইলে ফান্ড ম্যানেজারের কাছেই ইউনিট জমা বা সারেন্ডার করে টাকা তুলতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নতুন ‘মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে। ইতিমধ্যে বিধিমালাটির খসড়া বিএসইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে মতামত আহ্বান করা হয়েছে। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত যে কেউ এর ওপর পরামর্শ, মতামত জানাতে পারবেন।
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন বিধিমালার গেজেট হলে আগামীতে আর কোনো মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন দেওয়া হবে না। উন্নত দেশগুলো ওই চর্চায় যাচ্ছে, আমরাও তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেদিকে যাচ্ছি। তবে যেগুলো মেয়াদি আছে, সেগুলো মেয়াদ পর্যন্ত থাকবে।’
তবে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেয়াদ ফান্ড তুলে দিলে বাজারে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন প্রবাহ কমে যেতে পারে, যা বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁদের মতে, ফান্ড ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা ও স্বচ্ছতা না থাকা বড় সমস্যা। কাঠামো বাতিল নয়, বরং সুশাসন ও তদারকি জোরদার করাই হতে পারে টেকসই সমাধান।
রূপান্তর বা অবসায়নের বিধান
নতুন খসড়া বিধিমালায় বিদ্যমান মেয়াদি স্কিমগুলোর জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ বিধান। নতুন বিধিমালা গেজেট প্রকাশের ছয় মাসের মধ্যে কোনো স্কিমের ইউনিটপ্রতি গড় লেনদেনমূল্য যদি ঘোষিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) বা ক্রয়মূল্যের তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি কমে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ফান্ডের ট্রাস্টি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করতে পারবে। সেখানে তিন-চতুর্থাংশ ভোটে সিদ্ধান্ত হলে বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে ফান্ডটি বেমেয়াদিতে রূপান্তর বা অবসায়ন করা যাবে।
বিনিয়োগ নীতিমালা
প্রস্তাবিত বিধিমালায় ফান্ডগুলোর বিনিয়োগ ক্ষেত্রও সীমিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ফান্ডের অর্থ কেবল স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ, আইপিও, রাইট শেয়ার ও সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে। তালিকাচ্যুত, এসএমই বা এটিবি প্ল্যাটফর্মের শেয়ারে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ থাকবে। বিনিয়োগের পরে কোনো সিকিউরিটিজ মূল বোর্ড থেকে বাদ পড়লে ছয় মাসের মধ্যে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে হবে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত
গত এক দশকে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রায় হারিয়ে গেছে। ৫ হাজার ৬৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার তালিকাভুক্ত ৩৭টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৪টির ইউনিট দর অভিহিত মূল্য ১০ টাকার ওপরে, বাকি সব ফান্ড ৩ থেকে ৮ টাকার মধ্যে লেনদেন হচ্ছে। ২৭টি ফান্ডের রিজার্ভ ঘাটতি রয়েছে, সম্মিলিতভাবে যার পরিমাণ ৬৫৩ কোটি টাকার বেশি। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ঘাটতির পরিমাণ বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
ফান্ডগুলোর মধ্যে ছয়টি গত দুই বছর ধরে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে অনিয়মিত। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে নতুন করে অনিয়মিত হয়েছে আরও ১১টি। অর্থাৎ সর্বশেষ হিসাব বছরে ২০টি ফান্ডের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র চারটি সামান্য পরিমাণ মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি ১৬টি সর্বশেষ হিসাব বছরে লোকসান করেছে। যে ২০টি ফান্ডের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, এর মধ্যে মাত্র দুটির ইউনিটহোল্ডারদের জন্য সামান্য পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। বিপরীতে ১৮টির ইউনিটহোল্ডার লভ্যাংশ বঞ্চিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে ফান্ডগুলোর ইউনিট দর এখন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যের অর্ধেকের নিচে। সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানগুলো অতীতে যেভাবে অর্থ পাচার করেছে, তা উদ্ধার না হলে এই খাতের প্রতি বিশ্বাস ফেরানো সম্ভব নয়।’
নতুন কাঠামোয় স্বচ্ছতা বাড়বে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য আল-আমিন বলেন, ‘নতুন বিধিমালায় বিনিয়োগকে সীমিত করা হয়েছে কেবল “এ’’ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে। সম্পদ ব্যবস্থাপক ও ট্রাস্টিদের অর্থ স্থানান্তরের সুযোগও বন্ধ হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ মিউচুয়াল ফান্ড খাতকে ভবিষ্যতে আরও বিশ্বাসযোগ্য করতে সহায়ক হবে।’
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা এমন বিধান আনছি, যাতে ফান্ডগুলো নিট সম্পদমূল্যের কাছাকাছি দরে লেনদেন হয়। তবু যদি কোনো ফান্ড তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটি বেমেয়াদি ফান্ডে রূপান্তরিত হবে অথবা অবসায়নে যাবে।’
বিএসইসির পরিচালক আরও জানান, নতুন আইনে ট্রাস্টি, কাস্টডিয়ান ও সম্পদ ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব আলাদা করে নির্দিষ্ট করা হয়েছে, যাতে কেউ ফান্ডের অর্থ নিজেদের সম্পদ মনে করে অপব্যবহার করতে না পারে।
তবে মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়াই সঠিক সমাধান বলে মনে করেন না বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ। তিনি বলেন, মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের একটা সুবিধা আছে। সিকিউরড ইনভেস্টমেন্ট। কিন্তু আমাদের এখানে এক-তৃতীয়াংশ কম দামে বিক্রি হচ্ছে। কারণ, সম্পদ ব্যবস্থাপকেরা তহবিল তছরুপ করেছে, তাই আস্থা কমে গেছে। এ জন্য মেয়াদি ফান্ড একেবারে বন্ধ করে দেওয়াটা কি সমাধান? আমার সেটা মনে হয় না।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বিশ্বজুড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ হলেও দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এ খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা দূরে থাক, মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েই দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা হচ্ছে। এই বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনো ক্লোজ এন্ড বা মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আসতে দেওয়া
২০ অক্টোবর ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বজুড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ হলেও দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এ খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা দূরে থাক, মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েই দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা হচ্ছে। এই বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনো ক্লোজ এন্ড বা মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আসতে দেওয়া
২০ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
৯ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

বিশ্বজুড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ হলেও দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এ খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা দূরে থাক, মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েই দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা হচ্ছে। এই বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনো ক্লোজ এন্ড বা মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আসতে দেওয়া
২০ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

বিশ্বজুড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ হলেও দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এ খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা দূরে থাক, মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েই দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা হচ্ছে। এই বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনো ক্লোজ এন্ড বা মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আসতে দেওয়া
২০ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে