Ajker Patrika

রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১: ২৪
রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই ইতিবাচক দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ। সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংক বেশি দামে ডলার কেনায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। ফলে চলতি মাসের ২১ দিনে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ফলে প্রায় দেড় মাস পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিপিএম-৬ অনুযায়ী ২০ বিলিয়ন ডলারের সীমা অতিক্রম করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আজ সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বিদেশি মুদ্রার গ্রোস রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম-৬ অনুযায়ী সেই রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৪৩ মার্কিন ডলার। যা প্রায় দেড় মাস ধরে ২০ বিলিয়নের নিচে ছিল। যদিও বর্তমানে দেশে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দেশে মোট রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের সুপারিশকৃত বিপিএম-৬ হিসাবে তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু চলতি মাসের ২১ দিনে ২ বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত বছরের পুরো ডিসেম্বর মাসের চেয়ে বেশি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। এর আগে, গত ৬ নভেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছিল। তবে ধীরে ধীরে তা কমতে শুরু করে এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়।

সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২০ টাকায় ছিল। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছিল। তবে আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে পণ্য আমদানির জন্য অধিক হারে এলসি বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত ডলার নেই। সে জন্য কোন কোন ব্যাংক ১২০ টাকা ঘোষিত দরের চেয়ে ৯ টাকা বাড়িয়ে ১২৯ টাকায় রেমিট্যান্সের ডলার কেনে। আর বাড়তি দর পেয়ে প্রবাসীরা হুমড়ি খেয়ে ডলার পাঠান। এতে মাত্র ২১ দিনে রেমিট্যান্স সংগ্রহ ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর ডিসেম্বরে সাধারণত এলসির বিল পরিশোধ করতে হয়। সে জন্য ডলারের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। কয়েকটি ব্যাংক বেশি দরে ডলার কিনেছে কিনা তা অনুসন্ধান করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত