Ajker Patrika

শুল্ক কমে দাম কমে না, লাভ ব্যবসায়ীদের

ফারুক মেহেদী, ঢাকা
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২১, ১১: ১৪
শুল্ক কমে দাম কমে না, লাভ ব্যবসায়ীদের

অস্থির বাজার সহনীয় রাখতে কমানো হচ্ছে নিত্যপণ্য পেঁয়াজ ও চিনির শুল্ক। এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্ক কমানোর ফলে রাজস্ব আয়ে কী প্রভাব পড়বে, ভোক্তারাই-বা কতটা সুবিধা পাবে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে তারা। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, শুল্ক কমানোর সুফল ভোক্তারা পায় না; মূলত এই সুবিধা যায় ব্যবসায়ীদের পকেটে।

এদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠকে পেঁয়াজের শুল্ক কমানোর দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। বৈঠকের পরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শুল্ক কমানোর অনুরোধ জানিয়ে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, যেকোনো পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে প্রথমে ব্যবসায়ী বা আমদানিকারকদের মূল লক্ষ্যই থাকে শুল্ক-কর কমানো। নানাভাবে তাঁরা সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে দেনদরবার করে শুল্ক-কর কমাতে সক্ষম হয়। অথচ যে কারণে শুল্ক-কর কমানো; তার ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করা বা সহনীয় দামে বাজারে পণ্য সরবরাহ বাড়ানো–এটা তেমন একটা দেখা যায় না।

এনবিআরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সরকারকে অনেক বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়। কখনো কখনো রাজস্ব আয়ের চেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়াও সরকারের দায়িত্ব। তারই ধারাবাহিকতায় এনবিআরের কর্মকর্তারা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন আসলে কতটুকু কমবে বা কত দিনের জন্য কমবে ইত্যাদি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুল্ক কমানোর ইতিবাচক প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে আসে না। কিছুটা হয়তো পাইকারি পর্যায়ে পেতে পারে। শুল্ক কমালে ভোক্তাও সুফল পেল না, আবার সরকারও রাজস্ব ছাড় দিল; মাঝখানে লাভ হয় পাইকারদের। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ না করে, অ্যাডহক ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত শুল্ক কমিয়ে বা বাড়িয়ে কোনো লাভ হবে না।’

এ বিষয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতে দাম কমলে, এখানে কমবে। শুল্ক কমালে খুব বেশি হয়তো কমবে না। বড়জোর কেজিতে আড়াই-তিন টাকা কমতে পারে। শুল্ক কমানোর প্রভাব বাজারে পড়ে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাঁচামাল শুল্ক কমালেই দাম কমবে, এটা আশা করা যায় না। এর দাম ওঠা-নামা করতেই পারে।

জানা যায়, কিছুদিন ধরে পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার অজুহাতে বাংলাদেশেও দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। শুধু তা-ই নয়; ভারতে দাম বাড়ার খবর আসতে না আসতেই বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এ পণ্যটির দাম বছরের একটা বিশেষ সময়ে এসে রীতি মেনে বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পণ্যটির শুল্ক চার মাসের জন্য কমাতে চিঠি দেয় এনবিআরকে।

তবে এনবিআর শুধু পেঁয়াজ নয়; চিনির শুল্ক কমানোর বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছে। কারণ, কিছুদিন ধরে চিনির বাজারও অস্থির হয়ে পড়েছে। এ নিত্যপণ্যটির দামও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। চিনির বাজার প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। স্থানীয়ভাবে সামান্য পরিমাণ উৎপাদন হলেও চাহিদার তুলনায় তা খুবই নগণ্য। ফলে চিনির বাজারটি গুটিকয় করপোরেট গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে। তারাও কিছুদিন ধরে সরকারকে শুল্ক কমানোর চাপ দিয়ে আসছিল। ফলে কমছে চিনির শুল্কও।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার শেষ অস্ত্র হিসেবে হয়তো শুল্ক কমায়। তবে শুল্ক কমানোর সুফল যে ভোক্তা পায় না তার প্রমাণ রয়েছে চালের বাজারে। গত বছর চালের সরবরাহ বাড়াতে আমদানির অনুমতি দিয়েও উদ্দেশ্য সফল হয়নি। পরে আমদানি উৎসাহিত করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর চালের আমদানি শুল্ক প্রথমে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়।

তাতেও যখন বাজার সহনীয় হয়নি তখন আরেক দফা চালের শুল্ক আরও ১০ শতাংশ কমানো হয়। যদিও ফলন ওঠার পর সরকার চালের শুল্ক বাড়িয়ে আবারও সাড়ে ৬২ শতাংশ করে। সম্প্রতি আবার চালের বাজারে অস্থিরতা বাড়লে শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামানো হয়েছে। তাতেও বাজার যে খুব সহনীয় অবস্থায় রয়েছে, তা বলা যাবে না। এভাবে শুল্ক কমিয়ে ভোক্তাকে যে এর সুফল দেওয়া যায়নি—ভোক্তা ও বিশ্লেষকেরা প্রতিনিয়তই এ অভিযোগ করে যাচ্ছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো শুরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।

এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক এমডিকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ার। ফাইল ছবি
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ার। ফাইল ছবি

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।

বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মার্কিন তুলায় শুল্কছাড়ে স্পষ্টতা চায় বিজিএমইএ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে বিজিএমইএ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে বিজিএমইএ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।

মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন রাখা নিয়ে প্রশ্ন আইএমএফের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের নজরে এসেছে। তারা ব্যাংক পরিদর্শনপ্রক্রিয়ার ত্রুটি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে।

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা খেলাপি ঋণ বাড়ার নেপথ্যে কর্মকর্তাদের ভূমিকা ও আইনি দুর্বলতা পর্যালোচনার আহ্বান জানান। বৈঠকে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র, ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট ও ঋণ বাড়ার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে আইএমএফ জানিয়েছে, তাদের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির শর্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামানোর প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি উল্টো। সরকার পরিবর্তনের পর গোপন করা প্রকৃত তথ্য প্রকাশিত হলে দেখা গেছে, মাত্র এক বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ কোটি থেকে বেড়ে সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা হয়েছে। সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার ৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে আর বেসরকারি খাতে ঋণহার ১০ শতাংশের ওপরে পৌঁছেছে।

সূত্র জানায়, ব্যাংকে খেলাপি ঋণ গোপন করার বিষয়টি রহস্যজনক। এতে সিস্টেমের দুর্বলতা বা কারচুপি দুটোরই ভূমিকা থাকতে পারে। যাঁরা ব্যাংক ইন্সপেকশন করেছেন, তাঁরা হয়তো দায়সারা পরিদর্শন করেছেন। আইএমএফ দ্রুত প্রকৃত কারণ জানাতে অনুরোধ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত