নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে করমুক্ত সুবিধা নিয়ে সুযোগ নিয়ে আওতায় এক করদাতা ৭৩০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ও গণমাধ্যমের সঙ্গে বিসিএস কর ক্যাডারদের মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
দেশে প্রত্যক্ষ কর বাড়লেও অর্থনৈতিক বৈষম্য না কমে বাড়ছে কেন— এই প্রশ্নের ব্যাখ্যায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আইন করলাম যে আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা যারা কঠোর পরিশ্রম করে বিদেশ থেকে টাকা উপার্জন করে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। আমরা বললাম, তাঁদের এই আয়টা ট্যাক্স ফ্রি হবে বাংলাদেশে। এটা প্রবাসী কর্মীদের উৎসাহিত করবে এবং তাঁরা যাতে করে বিদেশের রোজগারটা বাংলাদেশে ফরমাল চ্যানেলে পাঠায়। আমাদের রিজার্ভে কন্ট্রিবিউট করবে।’
কিন্তু এই সুযোগের অপব্যবহার হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু আপনারা শুনলে আশ্চর্য হবেন, এমন ট্যাক্সপেয়ার পাওয়া গেল, যিনি ৭৩০ কোটি টাকা নিয়ে আসলেন এবং তিনি বলছেন, এটা উনার ওয়েজ আর্নার্স এবং এটা ট্যাক্স ফ্রি।
এনবিআর চেয়ারম্যান যোগ করেন, ‘এই যে আপনারা প্রশ্ন করলেন কেন গিনি কোইফিশিয়েন্ট উল্টো দিকে হাঁটছে, তার কারণ হচ্ছে এই। হয় আমরা এগুলো দেখি নাই, অথবা বুঝি নাই। অথবা দেখেও না দেখার ভান করছি। তাদের আমরা এলাউ করেছি। এগুলোই আমাদের বড় প্রবলেম।’
সেই করদাতার নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নাম না বলাই ভালো। একশনগুলো তো নিতে হবে। অ্যাকশনগুলো নেওয়ার পরে তখন অটোমেটিক্যালি আপনারা নাম জেনে যাবেন। যখন আপনি দেখবেন যে, লাইমলাইটে চলে আসছে, তখন আপনারা জানবেন।’
তাঁর ভাষ্য, ‘আইনকানুন যেভাবে হয়েছে সেভাবে ইমপ্লিমেন্ট হয় নাই। আমাদের এখন ১ কোটি ১৩ লাখ ট্যাক্সপেয়ারের সংখ্যা আছে। আপনারা হিসেব করলে দেখবেন। ট্যাক্স রিটার্ন দিবেনই বা কেন, ট্যাক্স রিটার্ন না দিলে যদি শান্তিতে থাকা যায়, কোনো ঝুট-ঝামেলা না হয়, উল্টো যারা রিটার্ন দিচ্ছে, তারাই ঝামেলায়.. খেয়াল করেন।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘আপনি ১ কোটি ১৩ লাখ টিআইএনধারীর মধ্যে ৪০ লাখ রিটার্ন দেয় বাকি ৮০ লাখের ওপর দেয় না। কাছাকাছি। তাহলে রিটার্ন না দিয়েই যদি শান্তিতে থাকা যায় তাহলে যারা রিটার্ন দিচ্ছে, ওদের বরং প্রশ্ন করা উচিৎ, আপনি রিটার্ন দেন কেন! তার মানে হলো, আমাদের যে কাজগুলো করার কথা মাঠ পর্যায়ে, এনফোর্সমেন্ট যেটা করার কথা সেটা আমরা করছি না পুরোপুরি। সেই কারণেই এই প্রবলেমগুলো হচ্ছে এবং সেই কারণেই উল্টো ফল হচ্ছে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান সামনের দিনে ব্যাংকের সাথে এপিআই করে অটোমেটিক কর তথ্য নেওয়ারও আশা তুলে ধরেন। এর মাধ্যমে করদাতার আমানত, কত টাকা উৎসে কর কাটা হয়েছে, তার মৌলিক তথ্য রিটার্ন জমার সময় চলে আসবে।
করদাতার ভয়ভীতি দূর করা, বিভিন্ন সরকারি আন্তঃসংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে এনবিআরের সদিচ্ছা বাড়ানো ও আমদানি-রপ্তানিসহ কর সংক্রান্ত সকল হালনাগাদ তথ্য নিয়মিত অনলাইনে প্রকাশের অনুরোধ করেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালা।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির মহাসচিব সৈয়দ মহিদুল হাসান।
রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে করমুক্ত সুবিধা নিয়ে সুযোগ নিয়ে আওতায় এক করদাতা ৭৩০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ও গণমাধ্যমের সঙ্গে বিসিএস কর ক্যাডারদের মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
দেশে প্রত্যক্ষ কর বাড়লেও অর্থনৈতিক বৈষম্য না কমে বাড়ছে কেন— এই প্রশ্নের ব্যাখ্যায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আইন করলাম যে আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা যারা কঠোর পরিশ্রম করে বিদেশ থেকে টাকা উপার্জন করে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। আমরা বললাম, তাঁদের এই আয়টা ট্যাক্স ফ্রি হবে বাংলাদেশে। এটা প্রবাসী কর্মীদের উৎসাহিত করবে এবং তাঁরা যাতে করে বিদেশের রোজগারটা বাংলাদেশে ফরমাল চ্যানেলে পাঠায়। আমাদের রিজার্ভে কন্ট্রিবিউট করবে।’
কিন্তু এই সুযোগের অপব্যবহার হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু আপনারা শুনলে আশ্চর্য হবেন, এমন ট্যাক্সপেয়ার পাওয়া গেল, যিনি ৭৩০ কোটি টাকা নিয়ে আসলেন এবং তিনি বলছেন, এটা উনার ওয়েজ আর্নার্স এবং এটা ট্যাক্স ফ্রি।
এনবিআর চেয়ারম্যান যোগ করেন, ‘এই যে আপনারা প্রশ্ন করলেন কেন গিনি কোইফিশিয়েন্ট উল্টো দিকে হাঁটছে, তার কারণ হচ্ছে এই। হয় আমরা এগুলো দেখি নাই, অথবা বুঝি নাই। অথবা দেখেও না দেখার ভান করছি। তাদের আমরা এলাউ করেছি। এগুলোই আমাদের বড় প্রবলেম।’
সেই করদাতার নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নাম না বলাই ভালো। একশনগুলো তো নিতে হবে। অ্যাকশনগুলো নেওয়ার পরে তখন অটোমেটিক্যালি আপনারা নাম জেনে যাবেন। যখন আপনি দেখবেন যে, লাইমলাইটে চলে আসছে, তখন আপনারা জানবেন।’
তাঁর ভাষ্য, ‘আইনকানুন যেভাবে হয়েছে সেভাবে ইমপ্লিমেন্ট হয় নাই। আমাদের এখন ১ কোটি ১৩ লাখ ট্যাক্সপেয়ারের সংখ্যা আছে। আপনারা হিসেব করলে দেখবেন। ট্যাক্স রিটার্ন দিবেনই বা কেন, ট্যাক্স রিটার্ন না দিলে যদি শান্তিতে থাকা যায়, কোনো ঝুট-ঝামেলা না হয়, উল্টো যারা রিটার্ন দিচ্ছে, তারাই ঝামেলায়.. খেয়াল করেন।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘আপনি ১ কোটি ১৩ লাখ টিআইএনধারীর মধ্যে ৪০ লাখ রিটার্ন দেয় বাকি ৮০ লাখের ওপর দেয় না। কাছাকাছি। তাহলে রিটার্ন না দিয়েই যদি শান্তিতে থাকা যায় তাহলে যারা রিটার্ন দিচ্ছে, ওদের বরং প্রশ্ন করা উচিৎ, আপনি রিটার্ন দেন কেন! তার মানে হলো, আমাদের যে কাজগুলো করার কথা মাঠ পর্যায়ে, এনফোর্সমেন্ট যেটা করার কথা সেটা আমরা করছি না পুরোপুরি। সেই কারণেই এই প্রবলেমগুলো হচ্ছে এবং সেই কারণেই উল্টো ফল হচ্ছে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান সামনের দিনে ব্যাংকের সাথে এপিআই করে অটোমেটিক কর তথ্য নেওয়ারও আশা তুলে ধরেন। এর মাধ্যমে করদাতার আমানত, কত টাকা উৎসে কর কাটা হয়েছে, তার মৌলিক তথ্য রিটার্ন জমার সময় চলে আসবে।
করদাতার ভয়ভীতি দূর করা, বিভিন্ন সরকারি আন্তঃসংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে এনবিআরের সদিচ্ছা বাড়ানো ও আমদানি-রপ্তানিসহ কর সংক্রান্ত সকল হালনাগাদ তথ্য নিয়মিত অনলাইনে প্রকাশের অনুরোধ করেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালা।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির মহাসচিব সৈয়দ মহিদুল হাসান।
চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের গতি আবারও শ্লথ হয়ে পড়েছে। তিন মাসের ধারাবাহিক ঊর্ধ্বগতির পর ফেব্রুয়ারিতে এডিপি বাস্তবায়নের ব্যয় ২ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা কমেছে, যা চলতি অর্থবছরের শেষ পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)
৬ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর দশমিনায় প্রথমবারের মতো মালচিং পদ্ধতিতে করলা ও শসা চাষ করে অনন্য সাফল্য অর্জন করেছেন সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্ব দশমিনা গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী নারী কৃষি উদ্যোক্তা খাদিজা বেগম (২৮)। স্বল্প খরচে অধিক উৎপাদন, কীটনাশকমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব এই চাষপদ্ধতি উপজেলায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার...
৬ ঘণ্টা আগেকুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতে ঋণের সীমা বাড়ানো হয়েছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক বা প্রান্তিক উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা এবং কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা যথাক্রমে ২০ লাখ, ২ কোটি, ২৫ কোটি ও ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জামানত ছাড়া...
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের শিক্ষা, বিমান পরিবহন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব আরও শক্তিশালী করতে যুক্তরাজ্য নতুন বিনিয়োগ বাড়াবে।
৬ ঘণ্টা আগে