নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে ড. এম মাসরুর রিয়াজকে চান না প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর কারণ হিসেবে তুলা ধরা হয়েছে, পুঁজিবাজার বিষয়ে দক্ষতার ঘাটতি, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং সালমান এফ রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড।
গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিএসইসির অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব নির্ধারিত সভায় এসব নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে মাসরুর রিয়াজকে চেয়ারম্যান হিসেবে চান কিনা— এমন প্রস্তাবে উপস্থিত প্রায় সবাই হাত তুলে অসম্মতি জানিয়েছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান। এতে নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, কামরুল আনাম খান, রেজাউল করিমসহ বিএসইসির পরিচালক, উপপরিচালক ও সব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসির ওই সভা শুরুর আগে উপসচিব ফরিদা ইয়াসমিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে মাসরুর রিয়াজকে ৪ বছরের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
মাসরুর রিয়াজের নিয়োগ বিষয়ে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে। তাঁদের মতে, ড. মাসরুর সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বিএসইসির রোড শোগুলোতে অংশ নিয়েছেন। শিবলী সাহেবের নানা বিতর্কিত পলিসির সমর্থকও ছিলেন। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও পুঁজিবাজারে বিতর্কিত সালমান এফ রহমানের সঙ্গে মাসরুরের ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি সবার জানা। সালমানের সঙ্গে মিলে তিনি অনেক কাজ করেছেন। তাঁদের একসঙ্গে তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। এমন ব্যক্তিকে কমিশনে যোগদানকে কর্মচারীরা স্বাগত জানাবে না এবং তাঁর নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি তোলা হয়।
বিএসইসির এক কর্মকর্তা বলেন, সভায় মাসরুর রিয়াজকে চেয়ারম্যান হিসেবে চান না কিনা— এমন প্রস্তাবে উপস্থিত প্রায় সবাই অসম্মতি জানিয়েছেন। সেখানে মাসরুর রিয়াজ শেয়ারবাজারের লুটেরা এবং সবচেয়ে বেশি ঘৃণিত ব্যক্তি সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ ও বিগত কমিশনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়।
বিএসইসি কর্মচারীদের দাবি, মাসরুর রিয়াজ সামষ্টিক অর্থনীতি বিষয়ে অগাধ জ্ঞান রাখেন। তবে পুঁজিবাজারকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যথেষ্ট দক্ষতা ও যোগ্যতা রাখেন না। তিনি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের গবেষণার কাজ নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য পেতে সরকারের প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য ও সম্পর্ক রেখেছেন। তবে বিএসইসির কর্মকর্তারা একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান চান, যা মাসরুর রিয়াজ নন।
অ্যাসোসিয়েশনের সভা শেষে তিনটি সিদ্ধান্ত হয়। আর তা লিখিতভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো হয়। ওই চিঠির কপি এসেছে আজকের পত্রিকার কাছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সদ্য বিদায়ী সরকার এবং সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান হিসেবে কমিশনে যোগদানকে কমিশনের কর্মচারীগণ স্বাগত জানাবে না।
সভার দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হলো, ‘কোনো প্রকার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা তাঁদের ছত্রচ্ছায়ায় বা সম্পৃক্ত থাকা কোনো ব্যক্তিকে কমিশনের চেয়ারম্যান বা কমিশনার পদে নিয়োগ প্রদান করে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার সুযোগ না দেওয়া। তাঁদের কৃতকর্মের দায় কমিশনের কর্মকর্তাগণের ওপর চাপিয়ে কমিশনকে হেয় প্রতিপন্ন করা তথা পুঁজিবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস থেকে বিরত রাখা।’
আর তৃতীয় সিদ্ধান্তে ড. মাশরুরের নিয়োগ বাতিলের দাবি তোলা হয়। এতে বলা হয়, ‘ড. এম. মাশরুর রিয়াজের মতো বিতর্কিত ব্যক্তির জন্য কমিশনের কর্মপরিবেশ অনুকূল হবে না, বিধায় ইতিমধ্যে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাতিল করার দাবি উত্থাপনের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।’
এমতাবস্থায় সার্বিক বিবেচনায় প্রজ্ঞাপন বাতিলপূর্বক সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য, পুঁজিবাজার বিষয়ে অভিজ্ঞ, অরাজনৈতিক ও অবিতর্কিত ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদানের কথা বলা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আমি ওই অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র নই। তবে বিএসইসির মুখপাত্র হিসেবে সরকার যেহেতু মাসরুর রিয়াজকে নিয়োগ দিয়েছে, সেহেতু আমরা তাকে নিয়ে কাজ করতে চাই। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে চাই।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে ড. এম মাসরুর রিয়াজকে চান না প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর কারণ হিসেবে তুলা ধরা হয়েছে, পুঁজিবাজার বিষয়ে দক্ষতার ঘাটতি, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং সালমান এফ রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড।
গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিএসইসির অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব নির্ধারিত সভায় এসব নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে মাসরুর রিয়াজকে চেয়ারম্যান হিসেবে চান কিনা— এমন প্রস্তাবে উপস্থিত প্রায় সবাই হাত তুলে অসম্মতি জানিয়েছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান। এতে নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, কামরুল আনাম খান, রেজাউল করিমসহ বিএসইসির পরিচালক, উপপরিচালক ও সব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসির ওই সভা শুরুর আগে উপসচিব ফরিদা ইয়াসমিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে মাসরুর রিয়াজকে ৪ বছরের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
মাসরুর রিয়াজের নিয়োগ বিষয়ে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে। তাঁদের মতে, ড. মাসরুর সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বিএসইসির রোড শোগুলোতে অংশ নিয়েছেন। শিবলী সাহেবের নানা বিতর্কিত পলিসির সমর্থকও ছিলেন। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও পুঁজিবাজারে বিতর্কিত সালমান এফ রহমানের সঙ্গে মাসরুরের ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি সবার জানা। সালমানের সঙ্গে মিলে তিনি অনেক কাজ করেছেন। তাঁদের একসঙ্গে তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। এমন ব্যক্তিকে কমিশনে যোগদানকে কর্মচারীরা স্বাগত জানাবে না এবং তাঁর নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি তোলা হয়।
বিএসইসির এক কর্মকর্তা বলেন, সভায় মাসরুর রিয়াজকে চেয়ারম্যান হিসেবে চান না কিনা— এমন প্রস্তাবে উপস্থিত প্রায় সবাই অসম্মতি জানিয়েছেন। সেখানে মাসরুর রিয়াজ শেয়ারবাজারের লুটেরা এবং সবচেয়ে বেশি ঘৃণিত ব্যক্তি সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ ও বিগত কমিশনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়।
বিএসইসি কর্মচারীদের দাবি, মাসরুর রিয়াজ সামষ্টিক অর্থনীতি বিষয়ে অগাধ জ্ঞান রাখেন। তবে পুঁজিবাজারকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যথেষ্ট দক্ষতা ও যোগ্যতা রাখেন না। তিনি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের গবেষণার কাজ নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য পেতে সরকারের প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য ও সম্পর্ক রেখেছেন। তবে বিএসইসির কর্মকর্তারা একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান চান, যা মাসরুর রিয়াজ নন।
অ্যাসোসিয়েশনের সভা শেষে তিনটি সিদ্ধান্ত হয়। আর তা লিখিতভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো হয়। ওই চিঠির কপি এসেছে আজকের পত্রিকার কাছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সদ্য বিদায়ী সরকার এবং সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান হিসেবে কমিশনে যোগদানকে কমিশনের কর্মচারীগণ স্বাগত জানাবে না।
সভার দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হলো, ‘কোনো প্রকার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা তাঁদের ছত্রচ্ছায়ায় বা সম্পৃক্ত থাকা কোনো ব্যক্তিকে কমিশনের চেয়ারম্যান বা কমিশনার পদে নিয়োগ প্রদান করে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার সুযোগ না দেওয়া। তাঁদের কৃতকর্মের দায় কমিশনের কর্মকর্তাগণের ওপর চাপিয়ে কমিশনকে হেয় প্রতিপন্ন করা তথা পুঁজিবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস থেকে বিরত রাখা।’
আর তৃতীয় সিদ্ধান্তে ড. মাশরুরের নিয়োগ বাতিলের দাবি তোলা হয়। এতে বলা হয়, ‘ড. এম. মাশরুর রিয়াজের মতো বিতর্কিত ব্যক্তির জন্য কমিশনের কর্মপরিবেশ অনুকূল হবে না, বিধায় ইতিমধ্যে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাতিল করার দাবি উত্থাপনের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।’
এমতাবস্থায় সার্বিক বিবেচনায় প্রজ্ঞাপন বাতিলপূর্বক সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য, পুঁজিবাজার বিষয়ে অভিজ্ঞ, অরাজনৈতিক ও অবিতর্কিত ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদানের কথা বলা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আমি ওই অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র নই। তবে বিএসইসির মুখপাত্র হিসেবে সরকার যেহেতু মাসরুর রিয়াজকে নিয়োগ দিয়েছে, সেহেতু আমরা তাকে নিয়ে কাজ করতে চাই। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে চাই।
বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও দেশের বাজারে তার কোনো প্রভাব পড়ছে না; বরং পুরোনো সিন্ডিকেটের সক্রিয় কারসাজিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
২ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করছে ভুটানের কৃষি খাত। ভারত-বাংলাদেশের মতো প্রধান অংশীদার ছাড়াও আরও ১৭টি দেশে কৃষিপণ্য রপ্তানি করছে দেশটি। আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে ভুটানের প্রধান হাতিয়ার দেশটিতে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত কর্ডিসেপস। এটি হলো একধরনের ভেষজ ছত্রাক বা মাশরুম, যা নানা রোগের নিরাময়কারী বলে ধ
৭ ঘণ্টা আগেসুইজারল্যান্ডের বেসরকারি ব্যাংক ইএফজি লন্ডনে একটি নতুন একটি টিম গঠন করছে। এই টিম গঠনের লক্ষ্য এশিয়ার ধনকুবেরদের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা। এই উদ্যোগ এমন এক সময়ে নেওয়া হলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কারণে বাণিজ্য যুদ্ধ ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। এর ফলে, এশিয়ার গ্রাহকেরাও তাদের
৭ ঘণ্টা আগেভারতের অন্যান্য অংশে গত ডিসেম্বরেই চালের দাম কমেছিল। কিন্তু বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে রপ্তানি চালু থাকায় পূর্বাঞ্চলে দাম বেশি ছিল।
৯ ঘণ্টা আগে