Ajker Patrika

চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না, টার্মিনাল দিচ্ছি: প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ মে ২০২৫, ১৭: ০৫
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দেওয়া হচ্ছে না। বিনিয়োগ আনার জন্য বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আজ রোববার রাজধানীর পল্টনে পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করা রিপোর্টারদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত এক সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।

সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ‘সিএমজেএফ টক উইথ শফিকুল আলম’ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

শফিকুল আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর আমরা কাউকে দিচ্ছি না। শুধু বন্দরের টার্মিনাল যাতে তারা উন্নতভাবে ব্যবস্থাপনা করতে পারে এবং সেখানে বিনিয়োগ করে, আমরা সেই কাজটি করছি। এখন পর্যন্ত ৩০০ কোটি ডলারের (৩ বিলিয়ন) নিশ্চয়তা পেয়েছি। অর্থাৎ চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে তারা (বিদেশি কোম্পানি) এ অর্থ বিনিয়োগ করবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়লে দেশের পুরো অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের চেয়ে ভালো গন্তব্য পুরো বিশ্বে নেই বলে দাবি করেন প্রেস সচিব। তিনি বলেন, ‘এ জন্য প্রধান উপদেষ্টা চাচ্ছেন বাংলাদেশকে একটি উৎপাদনমুখী কেন্দ্র (ম্যানুফ্যাকচারিং হাব) হিসেবে তৈরি করা। কিন্তু ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরি করার মূল শর্ত হচ্ছে সবার আগে বন্দরকে এফিশিয়েন্ট করতে হবে।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘বন্দরকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার প্রযুক্তি আমাদের কাছে নেই। আমাদের সে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা নেই, দক্ষতাও নেই। এ জন্য আমরা বিদেশের সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে কথা বলছি। দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড, এ পি মোলার মায়ার্সক, পোর্ট অব সিঙ্গাপুর অথোরিটির সঙ্গে কথা বলছি। তারা এলে আমাদের বন্দরের এফিশিয়েন্সি বাড়বে।’

শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনার আমলে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ অর্থনৈতিক অঞ্চলই খালি পড়ে রয়েছে, মহিষের বাথান হয়ে গেছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করে জমি অধিগ্রহণ করে রাখা হয়েছে, কিন্তু কোনো বিনিয়োগকারী আসছেন না। এর অন্যতম প্রধান কারণ বন্দরের কাঙ্ক্ষিত সক্ষমতা নেই।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বর্তমান অন্তরবর্তী সরকারের মেয়াদ যে সময়ে শেষ হবে, তখন বিদেশি বিনিয়োগে (এফডিআই) একটা বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা যাবে। এটার একটা কারণ হচ্ছে আমরা চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের বড় ধরনের সংস্কার (ডিপ রিফর্ম) করতে চাচ্ছি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানিগুলো যেন চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবস্থাপনা করতে পারে সেটি আমরা চাচ্ছি।

প্রেস সচিব জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের অন্যতম ক্ষেত্র হচ্ছে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানো। সেই লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দুই ভাগ করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, আমরা রাজস্ব আয় বাড়াতে পারিনি বলে সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়াতে পারছি না। আপনি যদি শেখ হাসিনার আমলটা দেখেন, তাহলে দেখবেন গত এক দশকের মধ্যে বিধবা ভাতা ৫০০ টাকাই রয়ে গেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার দাম যখন ৭০ টাকা ছিল তখন একজন ৫০০ টাকা ভাতা পেতেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার সময় ডলারের বিপরীতে টাকার মান ছিল ১২০ টাকা, তখনো ভাতা ৫০০ টাকা। সুতরাং রাজস্ব আয় বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

আগামী জুন মাসে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রায় দেড় শ জনের একটি দল বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, চীনের বিনিয়োগকারীরা লো কস্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে পৃথিবীতে সেরা। উনারা এত এফিশিয়েন্ট যে, ইউরোপিয়ান বা নর্থ আমেরিকান এরাও চীনাদের সঙ্গে পারেন না। ফলে চীনেরা বাংলাদেশে আসলে আমাদের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্বে ১৮৬ দেশের মধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ মাত্র একটি: গবেষণা

একচেটিয়া ভাতা লেনদেনের সুবিধা হারাচ্ছে ‘নগদ’

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধান বিচারপতি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগের নাটক সাজানো হয়: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

আপনার ছেলেমানুষি মানায় না: প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে দুদু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত