নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতি কমাতে সহায়তা না করতে পারলেও ঠিকই বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ আটকে দিয়েছে। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, উচ্চ সুদহার এবং তারল্যসংকটের প্রভাব ব্যাংকের ঋণ বিতরণেও দৃশ্যমান হয়েছে। পর্যাপ্ত নগদ টাকা না থাকায় চলতি বছরের এপ্রিলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আগের মাসের তুলনায় কমেছে। এপ্রিলে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, যা বিগত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তার আগে মার্চে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ১০ শতাংশ। সরকারের ঋণের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যের নিচে নেমে এসেছে। আর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ। এরপর টানা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, সাধারণত ঈদকে কেন্দ্র করে ঋণ বিতরণ বেড়েছিল। কিন্তু ঈদের পরেই এপ্রিলে এসে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে। আর অর্থনীতির গতি কমে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা নতুন করে ব্যবসা সম্প্রসারণে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। আবার গত বছরের জুলাইয়ের পরই ঋণের সুদহার বেড়েছে অনেক বেশি। জুনের পর সর্বোচ্চ সুদহারের সীমা ৯ শতাংশ তুলে দেওয়ার পরই তা ক্রমান্বয়ে বেড়ে ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সে জন্য ব্যবসায়ীরা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সুদহারকেও
বিবেচনায় নিয়ে কম ঋণ নিচ্ছেন। আবার অনেক ব্যাংক নগদ টাকার সংকটে ঋণ বন্ধ রেখেছে। এ জন্য ঋণের প্রবৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে কমছে। এ ছাড়া ধারাবাহিকভাবে ডলারের রেট বাড়ছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি করার ক্ষেত্রে নানা হিসাব করছেন; যার কারণে ঋণের প্রবৃদ্ধি হ্রাসে একটা প্রভাব দৃশ্যমান হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এই ঋণ বিতরণের হার কমে মে মাসে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। জুন মাসে প্রবৃদ্ধির হার কমে হয় ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং জুলাই মাসে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। আগস্টে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তবে অক্টোবরে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ১০ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ হয়। পরে নভেম্বরে কমে তা হয় ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। ডিসেম্বরে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশে। এরপর আবার কমতে শুরু করে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশে। কিন্তু মার্চে আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি। মার্চে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। তার পরের মাস এপ্রিলে আবার কমে তা এক ডিজিটের ঘরে নেমে আসে। এ মাসে ঋণের প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, জুন নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার আগপর্যন্ত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে। যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল ও মে মাসের মূল্যস্ফীতি যথাক্রমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতি কমাতে সহায়তা না করতে পারলেও ঠিকই বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ আটকে দিয়েছে। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, উচ্চ সুদহার এবং তারল্যসংকটের প্রভাব ব্যাংকের ঋণ বিতরণেও দৃশ্যমান হয়েছে। পর্যাপ্ত নগদ টাকা না থাকায় চলতি বছরের এপ্রিলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আগের মাসের তুলনায় কমেছে। এপ্রিলে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, যা বিগত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তার আগে মার্চে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ১০ শতাংশ। সরকারের ঋণের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যের নিচে নেমে এসেছে। আর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ। এরপর টানা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, সাধারণত ঈদকে কেন্দ্র করে ঋণ বিতরণ বেড়েছিল। কিন্তু ঈদের পরেই এপ্রিলে এসে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে। আর অর্থনীতির গতি কমে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা নতুন করে ব্যবসা সম্প্রসারণে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। আবার গত বছরের জুলাইয়ের পরই ঋণের সুদহার বেড়েছে অনেক বেশি। জুনের পর সর্বোচ্চ সুদহারের সীমা ৯ শতাংশ তুলে দেওয়ার পরই তা ক্রমান্বয়ে বেড়ে ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সে জন্য ব্যবসায়ীরা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সুদহারকেও
বিবেচনায় নিয়ে কম ঋণ নিচ্ছেন। আবার অনেক ব্যাংক নগদ টাকার সংকটে ঋণ বন্ধ রেখেছে। এ জন্য ঋণের প্রবৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে কমছে। এ ছাড়া ধারাবাহিকভাবে ডলারের রেট বাড়ছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি করার ক্ষেত্রে নানা হিসাব করছেন; যার কারণে ঋণের প্রবৃদ্ধি হ্রাসে একটা প্রভাব দৃশ্যমান হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এই ঋণ বিতরণের হার কমে মে মাসে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। জুন মাসে প্রবৃদ্ধির হার কমে হয় ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং জুলাই মাসে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। আগস্টে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তবে অক্টোবরে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ১০ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ হয়। পরে নভেম্বরে কমে তা হয় ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। ডিসেম্বরে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশে। এরপর আবার কমতে শুরু করে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশে। কিন্তু মার্চে আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি। মার্চে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। তার পরের মাস এপ্রিলে আবার কমে তা এক ডিজিটের ঘরে নেমে আসে। এ মাসে ঋণের প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, জুন নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার আগপর্যন্ত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে। যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল ও মে মাসের মূল্যস্ফীতি যথাক্রমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
পশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেগার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
২১ ঘণ্টা আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
২১ ঘণ্টা আগেসরকারের ব্যাপক চাল আমদানি এবং দেশের ৬৪ জেলায় ওএমএসের (খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয়) মাধ্যমে সুলভ মূল্যে চাল বিক্রির ঘোষণার প্রভাব বাজারে ইতিবাচকভাবে পড়তে শুরু করেছে। গত মাসের শেষ দিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া চালের দাম এখন নিম্নমুখী।
২১ ঘণ্টা আগে