ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ
মোহাম্মদ হাতেম
যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ করে যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল, এটা আমাদের কাছে অনেকটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো এসেছে। আমরা মনে করি, এতে পোশাকশিল্প রপ্তানি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা থেকে কিছু সুবিধা (অ্যাডভানটেজ) নেওয়ার পরিস্থিতিও এখানে আছে, যদি আমরা আলোচনা-সমঝোতা করে সেটা নিতে পারি। যেমন, আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমরা প্রধানত কপার, সালফেট এই জাতীয় ধাতু আমদানি করি ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের মতো সয়াবিন আমদানি করি, এটা শুল্কমুক্ত। তৃতীয় সর্বোচ্চ আমদানি করি সুতা (কটন), সেটাও ২ বিলিয়নের ওপরে এবং সেটাও শুল্কমুক্ত। এর পরে আছে অ্যালকোহল। আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করলে তার মধ্যে সাড়ে ১০ বা ১১ বিলিয়নের মতো থাকে শুল্কমুক্ত। কিন্তু আমেরিকাতে বাংলাদেশের যে প্রধান রপ্তানি পণ্য, সেখানে কিন্তু শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নেই, কখনোই ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে সাড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক এত দিন ছিল। সেখানে নতুন করে ৩৭ শতাংশ যোগ হয়েছে। মোট সাড়ে ৫২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে হবে এখন। এই জায়গাতে আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝাতে পারি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রপ্তানি পণ্য, অর্থাৎ বাংলাদেশ যেসব আমদানি করে, তার প্রধান তিনটি আইটেমই কিন্তু শুল্কমুক্ত আসে। তোমরা আমাদের সেই আলোকে দিতে পারো কি না?
বাংলাদেশের মোট ট্যারিফ কাঠামো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র হিসাব করেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যে ৭৪ শতাংশ মতো গড় ট্যারিফ কাঠামো আছে। সেটার হিসাব আমলে নিয়ে তার অর্ধেক ৩৭ শতাংশ আরোপ করেছে। এখন কেন বাংলাদেশের গড় ট্যারিফ কাঠামো ৭৪ শতাংশ? এর মধ্যে বেশ কিছু আইটেম আছে, যেগুলোয় ১০০ থেকে ২০০ শতাংশ শুল্ক আছে। গাড়ির ওপর ৬০০ থেকে ৮০০ শতাংশ শুল্ক আছে। বাংলাদেশে টি-শার্ট আমদানিতে বড় ধরনের শুল্ক দেওয়া আছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো লাভ-ক্ষতি নেই। পাটের ওপর বড় ধরনের ট্যারিফ দেওয়া আছে। পাটও বাংলাদেশে আমদানি হবে না। এখন এনবিআর বসে যদি বিশ্লেষণ করে অপ্রয়োজনীয় বড় ধরনের কোথায় ট্যারিফ বসানো আছে এবং যদি ওই সমস্ত ট্যারিফ কোথাও প্রত্যাহার করা হয়, কোথাও কমিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না। এতে ট্যারিফের গড় অনেকখানি নামিয়ে আনা সম্ভব। তখন এটা নিয়ে আলোচনায় যেতে পারব।
আমরা দীর্ঘদিন ধরে বড় ধরনের নেগোসিয়েশন করার চেষ্টা করছি। ডোনাল্ড ট্রাম্পও কিন্তু এটা উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা কাঁচামাল দিয়ে তৈরি করা পণ্য যদি সেখানে রপ্তানি করা হয়, তাহলে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া নিয়ে একটা নেগোসিয়েশন করতে পারি, এটা একটা বড় সুযোগ। আমরা যেহেতু অন্যতম প্রধান সুতা আমদানিকারক। ফলে বিশেষ করে নিটওয়্যার খাত এখানে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারে। কটন দিয়ে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করলে আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাই, তাহলে সেটা হবে আমাদের জন্য বড় ধরনের সুযোগ। আমরা বিশ্বাস করি, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই নেগোসিয়েশন করা সম্ভব। তাঁর যোগ্যতা, দক্ষতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে উনার সম্পর্ক রয়েছে। আমরা চাই, উনার ব্র্যান্ড ইমেজটাকে কাজে লাগিয়ে এই ধরনের দ্বিপক্ষীয় প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টে যদি কিছু করতে পারি, তাহলে এই পরিস্থিতিতেও আমরা সুযোগ নিতে পারি।
সভাপতি, বিকেএমইএ
যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ করে যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল, এটা আমাদের কাছে অনেকটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো এসেছে। আমরা মনে করি, এতে পোশাকশিল্প রপ্তানি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা থেকে কিছু সুবিধা (অ্যাডভানটেজ) নেওয়ার পরিস্থিতিও এখানে আছে, যদি আমরা আলোচনা-সমঝোতা করে সেটা নিতে পারি। যেমন, আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমরা প্রধানত কপার, সালফেট এই জাতীয় ধাতু আমদানি করি ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের মতো সয়াবিন আমদানি করি, এটা শুল্কমুক্ত। তৃতীয় সর্বোচ্চ আমদানি করি সুতা (কটন), সেটাও ২ বিলিয়নের ওপরে এবং সেটাও শুল্কমুক্ত। এর পরে আছে অ্যালকোহল। আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করলে তার মধ্যে সাড়ে ১০ বা ১১ বিলিয়নের মতো থাকে শুল্কমুক্ত। কিন্তু আমেরিকাতে বাংলাদেশের যে প্রধান রপ্তানি পণ্য, সেখানে কিন্তু শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নেই, কখনোই ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে সাড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক এত দিন ছিল। সেখানে নতুন করে ৩৭ শতাংশ যোগ হয়েছে। মোট সাড়ে ৫২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে হবে এখন। এই জায়গাতে আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝাতে পারি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রপ্তানি পণ্য, অর্থাৎ বাংলাদেশ যেসব আমদানি করে, তার প্রধান তিনটি আইটেমই কিন্তু শুল্কমুক্ত আসে। তোমরা আমাদের সেই আলোকে দিতে পারো কি না?
বাংলাদেশের মোট ট্যারিফ কাঠামো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র হিসাব করেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যে ৭৪ শতাংশ মতো গড় ট্যারিফ কাঠামো আছে। সেটার হিসাব আমলে নিয়ে তার অর্ধেক ৩৭ শতাংশ আরোপ করেছে। এখন কেন বাংলাদেশের গড় ট্যারিফ কাঠামো ৭৪ শতাংশ? এর মধ্যে বেশ কিছু আইটেম আছে, যেগুলোয় ১০০ থেকে ২০০ শতাংশ শুল্ক আছে। গাড়ির ওপর ৬০০ থেকে ৮০০ শতাংশ শুল্ক আছে। বাংলাদেশে টি-শার্ট আমদানিতে বড় ধরনের শুল্ক দেওয়া আছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো লাভ-ক্ষতি নেই। পাটের ওপর বড় ধরনের ট্যারিফ দেওয়া আছে। পাটও বাংলাদেশে আমদানি হবে না। এখন এনবিআর বসে যদি বিশ্লেষণ করে অপ্রয়োজনীয় বড় ধরনের কোথায় ট্যারিফ বসানো আছে এবং যদি ওই সমস্ত ট্যারিফ কোথাও প্রত্যাহার করা হয়, কোথাও কমিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না। এতে ট্যারিফের গড় অনেকখানি নামিয়ে আনা সম্ভব। তখন এটা নিয়ে আলোচনায় যেতে পারব।
আমরা দীর্ঘদিন ধরে বড় ধরনের নেগোসিয়েশন করার চেষ্টা করছি। ডোনাল্ড ট্রাম্পও কিন্তু এটা উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা কাঁচামাল দিয়ে তৈরি করা পণ্য যদি সেখানে রপ্তানি করা হয়, তাহলে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া নিয়ে একটা নেগোসিয়েশন করতে পারি, এটা একটা বড় সুযোগ। আমরা যেহেতু অন্যতম প্রধান সুতা আমদানিকারক। ফলে বিশেষ করে নিটওয়্যার খাত এখানে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারে। কটন দিয়ে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করলে আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাই, তাহলে সেটা হবে আমাদের জন্য বড় ধরনের সুযোগ। আমরা বিশ্বাস করি, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই নেগোসিয়েশন করা সম্ভব। তাঁর যোগ্যতা, দক্ষতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে উনার সম্পর্ক রয়েছে। আমরা চাই, উনার ব্র্যান্ড ইমেজটাকে কাজে লাগিয়ে এই ধরনের দ্বিপক্ষীয় প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টে যদি কিছু করতে পারি, তাহলে এই পরিস্থিতিতেও আমরা সুযোগ নিতে পারি।
সভাপতি, বিকেএমইএ
মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩২ গুণ বেড়েছে। ২০২৩ সালে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ১৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, ২০২৪ সালে তা লাফিয়ে গিয়ে পৌঁছেছে ৫৮৯.৫৪ মিলিয়ন ফ্রাঁতে, যার বাংলাদেশি মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেকয়েক বছর আগেও গাড়ি আমদানিতে দেশের রেকর্ড গড়েছিল মোংলা বন্দর। ২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রামকেও ছাড়িয়ে এখানে ঢুকেছিল ২১ হাজারের বেশি গাড়ি। তখন সবাই তাকিয়ে ছিল মোংলার দিকে। কিন্তু সেই গতির ছন্দ এখন অনেকটাই ম্লান। টানা তিন অর্থবছর ধরে কমছে আমদানির সংখ্যা। ডলার-সংকট, দাম বেড়ে যাওয়া আর ক্রেতার আগ্রহ কমে...
১৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরীর হারিকেন ফ্যাক্টরি এলাকার পরিচ্ছন্নতাকর্মী আনোয়ারা বেগম। দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে রাস্তাঘাট, অলিগলি, ফ্লাইওভারের নিচে পড়ে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য কুড়িয়ে। বছর দুয়েক আগেও তাঁর জীবনে ছিল শুধুই টানাপোড়েন—পরিশ্রমের বিনিময়ে মজুরি ছিল সামান্য। খাবার জুটত না ঠিকমতো, চিকিৎসা ছিল বিলাসিতা...
১৩ ঘণ্টা আগেড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত ১০ মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) মোট ১০টি সভা করেছে। এসব সভায় সারা দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। এই উন্নয়ন বরাদ্দের অর্ধেকই ব্যয়..
১৪ ঘণ্টা আগে