ডলার-সংকট ও শুল্ক বৃদ্ধির জের
সুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)
কয়েক বছর আগেও গাড়ি আমদানিতে দেশের রেকর্ড গড়েছিল মোংলা বন্দর। ২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রামকেও ছাড়িয়ে এখানে ঢুকেছিল ২১ হাজারের বেশি গাড়ি। তখন সবাই তাকিয়ে ছিল মোংলার দিকে। কিন্তু সেই গতির ছন্দ এখন অনেকটাই ম্লান। টানা তিন অর্থবছর ধরে কমছে আমদানির সংখ্যা। ডলার-সংকট, দাম বেড়ে যাওয়া আর ক্রেতার আগ্রহ কমে যাওয়াই এই ভাটার মূল কারণ।
বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) বলছে, ডলারের উচ্চমূল্য, এলসি খোলায় জটিলতা এবং বাজারে গাড়ির ক্রেতা হ্রাস পাওয়ায় আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে মোংলা বন্দরের গাড়ি আমদানির চিত্রও আগের মতো আর চাঙা নেই।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগের তথ্য বলছে, ২০০৯ সালের ৩ জুন হক’স বে অটোমোবাইলস প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দরে রিকন্ডিশন্ড ও নতুন মিলিয়ে ২৫৫টি গাড়ি আমদানি করে। ওই সময় বন্দরটির গতি ছিল শ্লথ। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে গাড়ি আমদানি ছিল মাত্র ২৫৫টি, ২০০৯-১০ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১১৯টিতে। এরপর দীর্ঘ সময়ে উন্নতি অব্যাহত থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে তা সর্বোচ্চে পৌঁছায়।
কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থবছরে গাড়ি আমদানি কমে নেমে আসে ১৩,৫৭৬টিতে। পরের অর্থবছর ২০২৩-২৪-এ কিছুটা বৃদ্ধিতে পৌঁছে ১৫ হাজার ৩৪০টি গাড়িতে। আর চলতি অর্থবছর ২০২৪-২৫-এর মে মাস পর্যন্ত মোংলা বন্দরে গাড়ি আমদানি হয়েছে ১০ হাজার ৭৪২টি, যা আগের প্রবণতার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক পরিচালক মো. কামাল হোসেন এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমদানির সংখ্যা কমলেও বন্দরের সক্ষমতা বা সুযোগ-সুবিধার কোনো ঘাটতি হয়নি। আমদানিকারকদের জন্য আমরা সময়মতো গাড়ি খালাস, উন্নতমানের শেড ও ইয়ার্ড, নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য সার্বক্ষণিক টহল, সিসি ক্যামেরা মনিটরিংসহ সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। খুলনা কার জোনের স্বত্বাধিকারী পারভেজ হক জানান, গত দুই-তিন বছর ডলার-সংকটে এলসি খোলা যায়নি। তা ছাড়া ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় গাড়ির দাম বেড়েছে। আগে যে এক্সিও গাড়ি ১৫-১৬ লাখে বিক্রি হতো, এখন তা ২৪-২৫ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতা কমেছে, আর আমদানিও হ্রাস পেয়েছে।
বারভিডা সভাপতি ও হক’স বে অটোমোবাইলসের স্বত্বাধিকারী আব্দুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার উৎসাহ দেওয়ার পর প্রথমবার তিনি মোংলা বন্দর ব্যবহার করে গাড়ি আমদানি শুরু করেন। তখনকার চ্যালেঞ্জ ছিল নাব্যতাসংকট ও জাহাজ না আসার অনীহা। ব্যক্তিগতভাবে অনেক বাধা অতিক্রম করে আমরা শুরু করেছিলাম। এরপর অনেকে আগ্রহী হন। তবে গত কয়েক বছরে ডলার-সংকট, মূল্যবৃদ্ধি, শুল্ক বাড়ানো এবং সর্বশেষ গত আগস্টে সরকারের রদবদলের পর অর্থনৈতিক ধীরগতির কারণে গাড়ি আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যাদের হাতে টাকা ছিল, তারাই বাজার থেকে গায়েব। এখন নতুন করে সক্ষমতা তৈরি হতে সময় লাগবে।’
আব্দুল হক জানান, বর্তমানে গাড়ি বিক্রি প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুতর চাপ তৈরি করছে। সরকারের উচিত একটি চাঁদাবাজি ও হয়রানিমুক্ত ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব মাকরুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মোংলা দিয়ে গাড়ি এনে মাত্র চার ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছানো যাচ্ছে। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। এ কারণে আমদানিকারকেরা মোংলা বন্দরকেই বেছে নিচ্ছিলেন। কিন্তু সামগ্রিকভাবে গাড়ির বিক্রি কমে যাওয়ায় আমদানিতেও ভাটা পড়েছে।
মাকরুজ্জামান জানান, বর্তমানে মোংলা বন্দরের অবকাঠামো ও সক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক উন্নত, যা ভবিষ্যতের চাহিদা মেটানোর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
মোংলায় গাড়ি আমদানির এই ভাটা সাময়িক নাকি দীর্ঘমেয়াদি সংকেত, তা নির্ভর করছে মূলত দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বাজার, ভোক্তাশ্রেণির পুনরুদ্ধার এবং সরকারের নীতিগত সহায়তার ওপর।
কয়েক বছর আগেও গাড়ি আমদানিতে দেশের রেকর্ড গড়েছিল মোংলা বন্দর। ২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রামকেও ছাড়িয়ে এখানে ঢুকেছিল ২১ হাজারের বেশি গাড়ি। তখন সবাই তাকিয়ে ছিল মোংলার দিকে। কিন্তু সেই গতির ছন্দ এখন অনেকটাই ম্লান। টানা তিন অর্থবছর ধরে কমছে আমদানির সংখ্যা। ডলার-সংকট, দাম বেড়ে যাওয়া আর ক্রেতার আগ্রহ কমে যাওয়াই এই ভাটার মূল কারণ।
বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) বলছে, ডলারের উচ্চমূল্য, এলসি খোলায় জটিলতা এবং বাজারে গাড়ির ক্রেতা হ্রাস পাওয়ায় আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে মোংলা বন্দরের গাড়ি আমদানির চিত্রও আগের মতো আর চাঙা নেই।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগের তথ্য বলছে, ২০০৯ সালের ৩ জুন হক’স বে অটোমোবাইলস প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দরে রিকন্ডিশন্ড ও নতুন মিলিয়ে ২৫৫টি গাড়ি আমদানি করে। ওই সময় বন্দরটির গতি ছিল শ্লথ। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে গাড়ি আমদানি ছিল মাত্র ২৫৫টি, ২০০৯-১০ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১১৯টিতে। এরপর দীর্ঘ সময়ে উন্নতি অব্যাহত থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে তা সর্বোচ্চে পৌঁছায়।
কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থবছরে গাড়ি আমদানি কমে নেমে আসে ১৩,৫৭৬টিতে। পরের অর্থবছর ২০২৩-২৪-এ কিছুটা বৃদ্ধিতে পৌঁছে ১৫ হাজার ৩৪০টি গাড়িতে। আর চলতি অর্থবছর ২০২৪-২৫-এর মে মাস পর্যন্ত মোংলা বন্দরে গাড়ি আমদানি হয়েছে ১০ হাজার ৭৪২টি, যা আগের প্রবণতার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক পরিচালক মো. কামাল হোসেন এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমদানির সংখ্যা কমলেও বন্দরের সক্ষমতা বা সুযোগ-সুবিধার কোনো ঘাটতি হয়নি। আমদানিকারকদের জন্য আমরা সময়মতো গাড়ি খালাস, উন্নতমানের শেড ও ইয়ার্ড, নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য সার্বক্ষণিক টহল, সিসি ক্যামেরা মনিটরিংসহ সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। খুলনা কার জোনের স্বত্বাধিকারী পারভেজ হক জানান, গত দুই-তিন বছর ডলার-সংকটে এলসি খোলা যায়নি। তা ছাড়া ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় গাড়ির দাম বেড়েছে। আগে যে এক্সিও গাড়ি ১৫-১৬ লাখে বিক্রি হতো, এখন তা ২৪-২৫ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতা কমেছে, আর আমদানিও হ্রাস পেয়েছে।
বারভিডা সভাপতি ও হক’স বে অটোমোবাইলসের স্বত্বাধিকারী আব্দুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার উৎসাহ দেওয়ার পর প্রথমবার তিনি মোংলা বন্দর ব্যবহার করে গাড়ি আমদানি শুরু করেন। তখনকার চ্যালেঞ্জ ছিল নাব্যতাসংকট ও জাহাজ না আসার অনীহা। ব্যক্তিগতভাবে অনেক বাধা অতিক্রম করে আমরা শুরু করেছিলাম। এরপর অনেকে আগ্রহী হন। তবে গত কয়েক বছরে ডলার-সংকট, মূল্যবৃদ্ধি, শুল্ক বাড়ানো এবং সর্বশেষ গত আগস্টে সরকারের রদবদলের পর অর্থনৈতিক ধীরগতির কারণে গাড়ি আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যাদের হাতে টাকা ছিল, তারাই বাজার থেকে গায়েব। এখন নতুন করে সক্ষমতা তৈরি হতে সময় লাগবে।’
আব্দুল হক জানান, বর্তমানে গাড়ি বিক্রি প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুতর চাপ তৈরি করছে। সরকারের উচিত একটি চাঁদাবাজি ও হয়রানিমুক্ত ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব মাকরুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মোংলা দিয়ে গাড়ি এনে মাত্র চার ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছানো যাচ্ছে। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। এ কারণে আমদানিকারকেরা মোংলা বন্দরকেই বেছে নিচ্ছিলেন। কিন্তু সামগ্রিকভাবে গাড়ির বিক্রি কমে যাওয়ায় আমদানিতেও ভাটা পড়েছে।
মাকরুজ্জামান জানান, বর্তমানে মোংলা বন্দরের অবকাঠামো ও সক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক উন্নত, যা ভবিষ্যতের চাহিদা মেটানোর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
মোংলায় গাড়ি আমদানির এই ভাটা সাময়িক নাকি দীর্ঘমেয়াদি সংকেত, তা নির্ভর করছে মূলত দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বাজার, ভোক্তাশ্রেণির পুনরুদ্ধার এবং সরকারের নীতিগত সহায়তার ওপর।
চট্টগ্রাম নগরীর হারিকেন ফ্যাক্টরি এলাকার পরিচ্ছন্নতাকর্মী আনোয়ারা বেগম। দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে রাস্তাঘাট, অলিগলি, ফ্লাইওভারের নিচে পড়ে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য কুড়িয়ে। বছর দুয়েক আগেও তাঁর জীবনে ছিল শুধুই টানাপোড়েন—পরিশ্রমের বিনিময়ে মজুরি ছিল সামান্য। খাবার জুটত না ঠিকমতো, চিকিৎসা ছিল বিলাসিতা...
৮ ঘণ্টা আগেড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত ১০ মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) মোট ১০টি সভা করেছে। এসব সভায় সারা দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। এই উন্নয়ন বরাদ্দের অর্ধেকই ব্যয়..
৮ ঘণ্টা আগেডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসির ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ১১টায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাদিয়া রায়ান আহমেদের সভাপতিত্বে সভাটি পরিচালিত হয়। সভার শুরুতে চেয়ারম্যান শেয়ারহোল্ডারদের শুভেচ্ছা জানান।
১৩ ঘণ্টা আগেবিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. শামশাদ বেগম কোরাইশীকে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের (বাপশক) সদস্য (পরিকল্পনা) পদে চলতি দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে ১৭ জুন জারি করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই নিয়োগের আগে তিনি পরমাণু...
১৩ ঘণ্টা আগে