মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে এসে দেখা গেল, দেশে ১ হাজার ৯৯৯টি কারখানার শ্রমিক এখনো ঈদুল আজহার বোনাস পাননি। শুধু তা-ই নয়, ৩৭৫টি কারখানায় এখনো এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া। সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা মে মাসের ২৮ তারিখ শেষ হলেও তা মানেননি বহু মালিক; অথচ আর দুই দিন পরই ঈদ।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদন বলছে, দেশে তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, বেপজা, পাটসহ নানা খাতে ৯ হাজার ৬৮৩টি কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৮৪ কারখানায় বোনাস দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ২১ শতাংশ বা প্রায় এক-পঞ্চমাংশ কারখানা বোনাস দেয়নি। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সবচেয়ে বেশি বোনাস বকেয়া রয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএভুক্ত কারখানাগুলোয়। সংস্থাটির ১ হাজার ৫৪৭ সদস্য কারখানার মধ্যে বোনাস দেয়নি ২৭৯টি—প্রায় ১৮ শতাংশ। বিকেএমইএর ৫৮০টির মধ্যে বোনাস দেয়নি ১৩০টি, বিটিএমইএর ৩৩০টির মধ্যে ৮১টি, আর বেপজার ৪৩১টির মধ্যে বোনাস দেয়নি ৭টি কারখানা।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো, বোনাস বাকি রাখা কারখানাগুলোর অধিকাংশই কোনো সংগঠনের সদস্য নয়। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ বা বেপজার বাইরের ১ হাজার ৫০০টির মতো কারখানায় শ্রমিকেরা এখনো বোনাসের টাকা পাননি। এ অবস্থায় শ্রমিকদের ঈদের আনন্দ ম্লান হয়েছে।
শুধু বোনাস নয়, এপ্রিলের বেতন বকেয়া রয়েছে ৩৭৫টি কারখানার। এর মধ্যে ৮২টি তৈরি পোশাক ও বেপজার আওতাধীন, যেখানে বিজিএমইএর ৫৬টি, বিকেএমইএর ১১, বিটিএমইএর ১৩ ও বেপজার ২টি কারখানা রয়েছে। বাকি ২৯৩টি কারখানা অন্যান্য খাতের, যেগুলোর একটি বড় অংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক বা সংগঠনের আওতার বাইরে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট, চলমান উৎপাদনে ঘাটতি, ব্যাংকিং সহযোগিতার অভাব এবং শ্রমিক আন্দোলনের কারণে তাঁরা বড় ধরনের আর্থিক চাপে পড়েছেন। অনেকে চাইলেও বেতন-বোনাস দিতে পারেননি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এসব যুক্তি অজুহাত। বছরব্যাপী ব্যবসা করে ঈদের মৌসুমে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা না দেওয়া অমানবিক ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ প্রেক্ষাপটে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, তা কার্যকর হয়নি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। গত ২১ মে শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২৮ মের মধ্যে সব বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধ না করলে মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা—গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গ্রহণ করা হবে। ওই দিন জানানো হয়েছিল, পাঁচ মালিকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বাস্তব চিত্র বলছে, এসব হুঁশিয়ারি মাঠপর্যায়ে তেমন প্রভাব ফেলেনি। বোনাস ও বেতন বকেয়া রেখে বহু কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে ঈদের আগে এবং শ্রমিকেরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে এসে দেখা গেল, দেশে ১ হাজার ৯৯৯টি কারখানার শ্রমিক এখনো ঈদুল আজহার বোনাস পাননি। শুধু তা-ই নয়, ৩৭৫টি কারখানায় এখনো এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া। সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা মে মাসের ২৮ তারিখ শেষ হলেও তা মানেননি বহু মালিক; অথচ আর দুই দিন পরই ঈদ।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদন বলছে, দেশে তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, বেপজা, পাটসহ নানা খাতে ৯ হাজার ৬৮৩টি কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৮৪ কারখানায় বোনাস দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ২১ শতাংশ বা প্রায় এক-পঞ্চমাংশ কারখানা বোনাস দেয়নি। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সবচেয়ে বেশি বোনাস বকেয়া রয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএভুক্ত কারখানাগুলোয়। সংস্থাটির ১ হাজার ৫৪৭ সদস্য কারখানার মধ্যে বোনাস দেয়নি ২৭৯টি—প্রায় ১৮ শতাংশ। বিকেএমইএর ৫৮০টির মধ্যে বোনাস দেয়নি ১৩০টি, বিটিএমইএর ৩৩০টির মধ্যে ৮১টি, আর বেপজার ৪৩১টির মধ্যে বোনাস দেয়নি ৭টি কারখানা।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো, বোনাস বাকি রাখা কারখানাগুলোর অধিকাংশই কোনো সংগঠনের সদস্য নয়। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ বা বেপজার বাইরের ১ হাজার ৫০০টির মতো কারখানায় শ্রমিকেরা এখনো বোনাসের টাকা পাননি। এ অবস্থায় শ্রমিকদের ঈদের আনন্দ ম্লান হয়েছে।
শুধু বোনাস নয়, এপ্রিলের বেতন বকেয়া রয়েছে ৩৭৫টি কারখানার। এর মধ্যে ৮২টি তৈরি পোশাক ও বেপজার আওতাধীন, যেখানে বিজিএমইএর ৫৬টি, বিকেএমইএর ১১, বিটিএমইএর ১৩ ও বেপজার ২টি কারখানা রয়েছে। বাকি ২৯৩টি কারখানা অন্যান্য খাতের, যেগুলোর একটি বড় অংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক বা সংগঠনের আওতার বাইরে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট, চলমান উৎপাদনে ঘাটতি, ব্যাংকিং সহযোগিতার অভাব এবং শ্রমিক আন্দোলনের কারণে তাঁরা বড় ধরনের আর্থিক চাপে পড়েছেন। অনেকে চাইলেও বেতন-বোনাস দিতে পারেননি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এসব যুক্তি অজুহাত। বছরব্যাপী ব্যবসা করে ঈদের মৌসুমে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা না দেওয়া অমানবিক ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ প্রেক্ষাপটে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, তা কার্যকর হয়নি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। গত ২১ মে শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২৮ মের মধ্যে সব বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধ না করলে মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা—গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গ্রহণ করা হবে। ওই দিন জানানো হয়েছিল, পাঁচ মালিকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বাস্তব চিত্র বলছে, এসব হুঁশিয়ারি মাঠপর্যায়ে তেমন প্রভাব ফেলেনি। বোনাস ও বেতন বকেয়া রেখে বহু কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে ঈদের আগে এবং শ্রমিকেরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে এসে দেখা গেল, দেশে ১ হাজার ৯৯৯টি কারখানার শ্রমিক এখনো ঈদুল আজহার বোনাস পাননি। শুধু তা-ই নয়, ৩৭৫টি কারখানায় এখনো এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া। সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা মে মাসের ২৮ তারিখ শেষ হলেও তা মানেননি বহু মালিক; অথচ আর দুই দিন পরই ঈদ।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদন বলছে, দেশে তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, বেপজা, পাটসহ নানা খাতে ৯ হাজার ৬৮৩টি কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৮৪ কারখানায় বোনাস দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ২১ শতাংশ বা প্রায় এক-পঞ্চমাংশ কারখানা বোনাস দেয়নি। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সবচেয়ে বেশি বোনাস বকেয়া রয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএভুক্ত কারখানাগুলোয়। সংস্থাটির ১ হাজার ৫৪৭ সদস্য কারখানার মধ্যে বোনাস দেয়নি ২৭৯টি—প্রায় ১৮ শতাংশ। বিকেএমইএর ৫৮০টির মধ্যে বোনাস দেয়নি ১৩০টি, বিটিএমইএর ৩৩০টির মধ্যে ৮১টি, আর বেপজার ৪৩১টির মধ্যে বোনাস দেয়নি ৭টি কারখানা।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো, বোনাস বাকি রাখা কারখানাগুলোর অধিকাংশই কোনো সংগঠনের সদস্য নয়। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ বা বেপজার বাইরের ১ হাজার ৫০০টির মতো কারখানায় শ্রমিকেরা এখনো বোনাসের টাকা পাননি। এ অবস্থায় শ্রমিকদের ঈদের আনন্দ ম্লান হয়েছে।
শুধু বোনাস নয়, এপ্রিলের বেতন বকেয়া রয়েছে ৩৭৫টি কারখানার। এর মধ্যে ৮২টি তৈরি পোশাক ও বেপজার আওতাধীন, যেখানে বিজিএমইএর ৫৬টি, বিকেএমইএর ১১, বিটিএমইএর ১৩ ও বেপজার ২টি কারখানা রয়েছে। বাকি ২৯৩টি কারখানা অন্যান্য খাতের, যেগুলোর একটি বড় অংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক বা সংগঠনের আওতার বাইরে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট, চলমান উৎপাদনে ঘাটতি, ব্যাংকিং সহযোগিতার অভাব এবং শ্রমিক আন্দোলনের কারণে তাঁরা বড় ধরনের আর্থিক চাপে পড়েছেন। অনেকে চাইলেও বেতন-বোনাস দিতে পারেননি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এসব যুক্তি অজুহাত। বছরব্যাপী ব্যবসা করে ঈদের মৌসুমে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা না দেওয়া অমানবিক ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ প্রেক্ষাপটে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, তা কার্যকর হয়নি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। গত ২১ মে শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২৮ মের মধ্যে সব বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধ না করলে মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা—গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গ্রহণ করা হবে। ওই দিন জানানো হয়েছিল, পাঁচ মালিকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বাস্তব চিত্র বলছে, এসব হুঁশিয়ারি মাঠপর্যায়ে তেমন প্রভাব ফেলেনি। বোনাস ও বেতন বকেয়া রেখে বহু কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে ঈদের আগে এবং শ্রমিকেরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে এসে দেখা গেল, দেশে ১ হাজার ৯৯৯টি কারখানার শ্রমিক এখনো ঈদুল আজহার বোনাস পাননি। শুধু তা-ই নয়, ৩৭৫টি কারখানায় এখনো এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া। সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা মে মাসের ২৮ তারিখ শেষ হলেও তা মানেননি বহু মালিক; অথচ আর দুই দিন পরই ঈদ।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদন বলছে, দেশে তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, বেপজা, পাটসহ নানা খাতে ৯ হাজার ৬৮৩টি কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৮৪ কারখানায় বোনাস দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ২১ শতাংশ বা প্রায় এক-পঞ্চমাংশ কারখানা বোনাস দেয়নি। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সবচেয়ে বেশি বোনাস বকেয়া রয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএভুক্ত কারখানাগুলোয়। সংস্থাটির ১ হাজার ৫৪৭ সদস্য কারখানার মধ্যে বোনাস দেয়নি ২৭৯টি—প্রায় ১৮ শতাংশ। বিকেএমইএর ৫৮০টির মধ্যে বোনাস দেয়নি ১৩০টি, বিটিএমইএর ৩৩০টির মধ্যে ৮১টি, আর বেপজার ৪৩১টির মধ্যে বোনাস দেয়নি ৭টি কারখানা।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো, বোনাস বাকি রাখা কারখানাগুলোর অধিকাংশই কোনো সংগঠনের সদস্য নয়। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ বা বেপজার বাইরের ১ হাজার ৫০০টির মতো কারখানায় শ্রমিকেরা এখনো বোনাসের টাকা পাননি। এ অবস্থায় শ্রমিকদের ঈদের আনন্দ ম্লান হয়েছে।
শুধু বোনাস নয়, এপ্রিলের বেতন বকেয়া রয়েছে ৩৭৫টি কারখানার। এর মধ্যে ৮২টি তৈরি পোশাক ও বেপজার আওতাধীন, যেখানে বিজিএমইএর ৫৬টি, বিকেএমইএর ১১, বিটিএমইএর ১৩ ও বেপজার ২টি কারখানা রয়েছে। বাকি ২৯৩টি কারখানা অন্যান্য খাতের, যেগুলোর একটি বড় অংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক বা সংগঠনের আওতার বাইরে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট, চলমান উৎপাদনে ঘাটতি, ব্যাংকিং সহযোগিতার অভাব এবং শ্রমিক আন্দোলনের কারণে তাঁরা বড় ধরনের আর্থিক চাপে পড়েছেন। অনেকে চাইলেও বেতন-বোনাস দিতে পারেননি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এসব যুক্তি অজুহাত। বছরব্যাপী ব্যবসা করে ঈদের মৌসুমে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা না দেওয়া অমানবিক ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ প্রেক্ষাপটে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, তা কার্যকর হয়নি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। গত ২১ মে শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২৮ মের মধ্যে সব বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধ না করলে মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা—গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গ্রহণ করা হবে। ওই দিন জানানো হয়েছিল, পাঁচ মালিকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বাস্তব চিত্র বলছে, এসব হুঁশিয়ারি মাঠপর্যায়ে তেমন প্রভাব ফেলেনি। বোনাস ও বেতন বকেয়া রেখে বহু কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে ঈদের আগে এবং শ্রমিকেরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাণিজ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে আমাদের পণ্যকে বৈচিত্র্যময় করা, সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।’
২ ঘণ্টা আগে
সরকার পরিবর্তনের পর ঋণ দেওয়া-সংক্রান্ত শর্তাবলি শিথিল হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু সেই আমানত বিনিয়োগে রূপান্তরিত না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর হাতে জমা তারল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এই অতিরিক্ত তারল্য ৩ লাখ কোটি টাকার ওপর পৌঁছেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ডিজেল, অকটেন, পেট্রল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি দুই টাকা বাড়িয়েছে সরকার। নতুন এই দাম ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। প্রতি লিটারে দুই টাকা করে দাম বাড়ায় ডিজেলের দাম ১০৪ টাকা, অকটেন ১২৪ টাকা, পেট্রল ১২০ টাকা ও কেরোসিনের দাম ১১৬ টাকা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই–অক্টোবর) বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি অস্বাভাবিকভাবে কম। পুরোনো প্রকল্পে ঋণছাড় চলমান থাকলেও লক্ষ্যের চেয়ে অনেক পিছিয়ে; প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বেশ মন্থর। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে।
১৭ ঘণ্টা আগেদেশে প্রথম গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাণিজ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে আমাদের পণ্যকে বৈচিত্র্যময় করা, সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।’
আজ সোমবার সকালে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫ ঢাকা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ, নির্মাতা, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী এবং উদ্ভাবকদের আইডিয়া শেয়ার, অর্থপূর্ণ আলোচনা, সহযোগিতা এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক অংশীদারত্বের দ্বার উন্মুক্ত করবে।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ করতে চলেছে। এই মাইলফলক আমাদের অগ্রগতি তুলে ধরেছে। কিন্তু এটি নতুন চ্যালেঞ্জও নিয়ে এসেছে। আমরা বর্তমানে যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা এবং ছাড় সুবিধা ভোগ করছি তা ধীরে ধীরে হারাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই রূপান্তর সফলভাবে মোকাবিলার জন্য আমাদের পণ্য এবং রপ্তানি বাজার বৈচিত্র্যকরণ, প্রতিযোগিতা উন্নত করা এবং দূরদর্শী বাণিজ্য নীতি গ্রহণে দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো আয়োজন কেবল সময়োপযোগীই নয়; এটি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই-এর প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান এবং বিকেএমই-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনা তুলে ধরতে ঢাকায় প্রথমবারের মতো সরকারি উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো’।
আজ থেকে শুরু হয়ে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী আয়োজন করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এবারের সোর্সিং এক্সপোতে বাংলাদেশের আটটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতের পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। খাতগুলো হচ্ছে—তৈরিপোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি)। প্রদর্শনীতে এসব খাতের শতাধিক প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি, পাইকারি ব্যবসায়ী ও সরবরাহ খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
এক্সপোতে আফগানিস্তান, চীন, ইরান, জাপান, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতা, বিনিয়োগকারী ও সোর্সিং প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তারা পণ্য ও সেবা নিয়ে সভা (বিটুবি), পণ্য কেনা বেচা ও চুক্তি করতে পারবে। সোর্সিং এক্সপোতে বিষয়ভিত্তিক ১০টি বিশেষ সেমিনার, অনলাইন ও অফলাইন বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) বৈঠক, দেড় শতাধিক স্টল, নেটওয়ার্কিং, ফ্যাশন শোসহ নানা আয়োজন থাকছে।

বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাণিজ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে আমাদের পণ্যকে বৈচিত্র্যময় করা, সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।’
আজ সোমবার সকালে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫ ঢাকা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ, নির্মাতা, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী এবং উদ্ভাবকদের আইডিয়া শেয়ার, অর্থপূর্ণ আলোচনা, সহযোগিতা এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক অংশীদারত্বের দ্বার উন্মুক্ত করবে।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ করতে চলেছে। এই মাইলফলক আমাদের অগ্রগতি তুলে ধরেছে। কিন্তু এটি নতুন চ্যালেঞ্জও নিয়ে এসেছে। আমরা বর্তমানে যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা এবং ছাড় সুবিধা ভোগ করছি তা ধীরে ধীরে হারাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই রূপান্তর সফলভাবে মোকাবিলার জন্য আমাদের পণ্য এবং রপ্তানি বাজার বৈচিত্র্যকরণ, প্রতিযোগিতা উন্নত করা এবং দূরদর্শী বাণিজ্য নীতি গ্রহণে দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো আয়োজন কেবল সময়োপযোগীই নয়; এটি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই-এর প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান এবং বিকেএমই-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনা তুলে ধরতে ঢাকায় প্রথমবারের মতো সরকারি উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো’।
আজ থেকে শুরু হয়ে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী আয়োজন করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এবারের সোর্সিং এক্সপোতে বাংলাদেশের আটটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতের পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। খাতগুলো হচ্ছে—তৈরিপোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি)। প্রদর্শনীতে এসব খাতের শতাধিক প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি, পাইকারি ব্যবসায়ী ও সরবরাহ খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
এক্সপোতে আফগানিস্তান, চীন, ইরান, জাপান, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতা, বিনিয়োগকারী ও সোর্সিং প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তারা পণ্য ও সেবা নিয়ে সভা (বিটুবি), পণ্য কেনা বেচা ও চুক্তি করতে পারবে। সোর্সিং এক্সপোতে বিষয়ভিত্তিক ১০টি বিশেষ সেমিনার, অনলাইন ও অফলাইন বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) বৈঠক, দেড় শতাধিক স্টল, নেটওয়ার্কিং, ফ্যাশন শোসহ নানা আয়োজন থাকছে।

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে এসে দেখা গেল, দেশে ১ হাজার ৯৯৯টি কারখানার শ্রমিক এখনো ঈদুল আজহার বোনাস পাননি। শুধু তা-ই নয়, ৩৭৫টি কারখানায় এখনো এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া। সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা মে মাসের ২৮ তারিখ শেষ হলেও তা মানেননি বহু মালিক; অথচ আর দুই দিন পরই ঈদ।
০৫ জুন ২০২৫
সরকার পরিবর্তনের পর ঋণ দেওয়া-সংক্রান্ত শর্তাবলি শিথিল হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু সেই আমানত বিনিয়োগে রূপান্তরিত না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর হাতে জমা তারল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এই অতিরিক্ত তারল্য ৩ লাখ কোটি টাকার ওপর পৌঁছেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ডিজেল, অকটেন, পেট্রল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি দুই টাকা বাড়িয়েছে সরকার। নতুন এই দাম ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। প্রতি লিটারে দুই টাকা করে দাম বাড়ায় ডিজেলের দাম ১০৪ টাকা, অকটেন ১২৪ টাকা, পেট্রল ১২০ টাকা ও কেরোসিনের দাম ১১৬ টাকা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই–অক্টোবর) বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি অস্বাভাবিকভাবে কম। পুরোনো প্রকল্পে ঋণছাড় চলমান থাকলেও লক্ষ্যের চেয়ে অনেক পিছিয়ে; প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বেশ মন্থর। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে।
১৭ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

সরকার পরিবর্তনের পর ঋণ দেওয়া-সংক্রান্ত শর্তাবলি শিথিল হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু সেই আমানত বিনিয়োগে রূপান্তরিত না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর হাতে জমা তারল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এই অতিরিক্ত তারল্য ৩ লাখ কোটি টাকার ওপর পৌঁছেছে। এ অবস্থায় ব্যাংকগুলো বাধ্য হয়ে আমানতকারীদের উচ্চ সুদ দিতে হচ্ছে, যা তাদের ব্যয়কে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যাংকগুলো এই অতিরিক্ত টাকা সঞ্চয়কারীদের ৮-১০ শতাংশ হারে সুদ প্রদানে ব্যয় করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের আগস্টে ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য পৌঁছেছে ৩ লাখ ৬ হাজার ১১২ কোটি টাকায়। একই সময়ে গত বছর এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি কিছু ব্যাংক প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত অর্থ সংরক্ষণ করায় মোট তারল্য দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা, যদিও আগস্টে প্রকৃত চাহিদা ছিল ২ লাখ ২৬ হাজার ৭০২ কোটি টাকা।
ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলেন, ‘সরকারের পালাবদলের পর ব্যাংক খাতে কিছু সংস্কার ও পদক্ষেপ নেওয়া হলেও দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ এখনো স্থিতিশীল হয়নি। উচ্চ সুদের হার, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বিনিয়োগের পূর্ব হিসাবনিকাশ মিলিয়ে অনেকে ঋণ নিতে সাহস পাচ্ছেন না। ফলে ব্যাংকে মোটা অঙ্কের টাকা অলস পড়ে রয়েছে। এসব টাকার কোনো অর্থনৈতিক বা উৎপাদনশীল ব্যবহার হচ্ছে না। অথচ গ্রাহকের অর্থ জমা হওয়ার বিপরীতে বা আমানতকারীদের ঠিকই সুদ দিতে বাধ্য ব্যাংকগুলো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, আশা করা যায়, সামনে ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙা হবে, তখন বিনিয়োগ বাড়বে। এতে ঋণের চাহিদা বাড়বে এবং তারল্য স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে। ব্যাংকের সুদদণ্ডও একটা পর্যায়ে আর থাকবে না।’
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আগস্ট শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৩ কোটি টাকা। প্রচলিত ধারার ৪৩ বেসরকারি ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। ১০টি ইসলামি ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য ৬ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা এবং ৯টি বিদেশি ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য ৩২ হাজার ১১৮ কোটি টাকা।
ব্যাংকভিত্তিক অবস্থান অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য সর্বোচ্চ ৬২ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের ১৮ হাজার ৮৭৭ কোটি, পূবালী ব্যাংকের ১৮ হাজার ৩৯৮ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকের ১৮ হাজার ৩৫১ কোটি, ব্যাংক এশিয়ার ১৭ হাজার ৯০৫ কোটি, ডাচ্-বাংলার ১৬ হাজার ২২০ কোটি, যমুনা ব্যাংকের ১৪ হাজার ৮০১ কোটি, রূপালী ব্যাংকের ১২ হাজার ৫৫৩ কোটি, সিটি ব্যাংকের ১২ হাজার ৪৮১ কোটি এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ১২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা।

অতিরিক্ত তারল্য হিসাব করা হয় স্ট্যাটুটরি লিকুইডিটি রেশিও (এসএলআর) এবং ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (সিআরআর) বজায় রাখার পর। ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকে মোট আমানতের ৪ শতাংশ নগদে এবং ১৩ শতাংশ ট্রেজারি বিল-বন্ডের মাধ্যমে রাখতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অপর হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের আগস্টে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আমানতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২ শতাংশ এবং ঋণে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ সময় ব্যাংকগুলো আমানতের বিপরীতে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দেয়। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৮৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিক বলেন, ‘বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কম হওয়ায় ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য বাড়ছে। যদিও তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিনিয়োগ অবস্থায় রয়েছে। ব্যাংকগুলো ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চেষ্টা করছে। একটা সময় পর বিনিয়োগ বাড়লে ঋণের প্রবৃদ্ধিও বাড়বে।’

পরিস্থিতি বদলালেই ঋণের চাহিদা বাড়বে, সুদ ব্যয় কমবে
মো. শওকত আলী খান
ব্যবস্থাপনা পরিচালক. সোনালী ব্যাংক
পরিস্থিতি বদলালেই উদ্যোক্তারা ঋণ নিতে আগ্রহী হবেন, এতে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের প্রবৃদ্ধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমবে অতিরিক্ত তারল্যের বোঝা। এভাবে ব্যাংক যখন স্বাভাবিক ঋণচক্রে ফিরে আসবে, তখন আমানতের বিপরীতে যে বড় অঙ্কের সুদ দিচ্ছে, সেই ব্যয়ও শূন্যে নেমে আসবে।
অন্যদিকে ব্যাংকের শক্তির মূল ভরসাই গ্রাহক। রাজনৈতিক পালাবদলের পর দুর্বল ব্যাংকগুলোর নানান দুর্বলতা প্রকাশ্যে চলে আসায় অনেক আমানতকারী তাঁদের টাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। ফলে এসব ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের আমানত সরতে থাকে এবং তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলোয় জমা হতে থাকে। এতে কম সময়ে ভালো ব্যাংকগুলোর তারল্য দ্রুত ফুলে ওঠে। কিন্তু এই প্রবাহ যত দ্রুত বাড়ছে, সেই গতিতে ঋণ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে যথাযথ যাচাই-বাছাই, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং ভালো গ্রাহক চিহ্নিত করতে সময় লাগে। এতে ঋণপ্রবাহ কিছুটা শ্লথ হলেও আমানত সংগ্রহের ধারাবাহিকতা কিন্তু থেমে থাকে না। সেই কারণে তারল্যের পাহাড় তৈরি হয়, যা বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ না থাকলে ব্যাংকের জন্য চাপ হয়ে দাঁড়ায়।
সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ব্যাংক ঋণ বিতরণ বাড়াতে না পারলেও অলস পড়ে থাকা আমানত যেন অকার্যকর না হয়, এ জন্য তারা অগ্রাধিকার খাতে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি সিকিউরিটিজ, ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করছে। কারণ, আমানতকারীদের সঞ্চয়ের অর্থ ব্যাংক যতক্ষণ ধরে রাখে, ততক্ষণই তাদের সুদ দিতে হয়। ফলে বিনিয়োগ স্থবির থাকলে এই সুদই পরিণত হয় ব্যাংকের বাড়তি ব্যয়ে।
তবে অর্থনীতিতে আবার গতি ফিরলে এবং বিনিয়োগের পরিবেশ পরিষ্কার হলে এখন ব্যাংকগুলোর হাতে জমে থাকা এই তারল্যই আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করবে। অতএব পরিস্থিতি বদলালে অর্থাৎ নতুন বিনিয়োগ এলে, ঋণের চাহিদা বাড়লে বর্তমান উদ্বৃত্ত তারল্য আর থাকবে না; বরং ব্যাংকিং খাতকে স্বস্তির জায়গায় ফিরিয়ে আনবে।

সরকার পরিবর্তনের পর ঋণ দেওয়া-সংক্রান্ত শর্তাবলি শিথিল হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু সেই আমানত বিনিয়োগে রূপান্তরিত না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর হাতে জমা তারল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এই অতিরিক্ত তারল্য ৩ লাখ কোটি টাকার ওপর পৌঁছেছে। এ অবস্থায় ব্যাংকগুলো বাধ্য হয়ে আমানতকারীদের উচ্চ সুদ দিতে হচ্ছে, যা তাদের ব্যয়কে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যাংকগুলো এই অতিরিক্ত টাকা সঞ্চয়কারীদের ৮-১০ শতাংশ হারে সুদ প্রদানে ব্যয় করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের আগস্টে ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য পৌঁছেছে ৩ লাখ ৬ হাজার ১১২ কোটি টাকায়। একই সময়ে গত বছর এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি কিছু ব্যাংক প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত অর্থ সংরক্ষণ করায় মোট তারল্য দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা, যদিও আগস্টে প্রকৃত চাহিদা ছিল ২ লাখ ২৬ হাজার ৭০২ কোটি টাকা।
ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলেন, ‘সরকারের পালাবদলের পর ব্যাংক খাতে কিছু সংস্কার ও পদক্ষেপ নেওয়া হলেও দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ এখনো স্থিতিশীল হয়নি। উচ্চ সুদের হার, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বিনিয়োগের পূর্ব হিসাবনিকাশ মিলিয়ে অনেকে ঋণ নিতে সাহস পাচ্ছেন না। ফলে ব্যাংকে মোটা অঙ্কের টাকা অলস পড়ে রয়েছে। এসব টাকার কোনো অর্থনৈতিক বা উৎপাদনশীল ব্যবহার হচ্ছে না। অথচ গ্রাহকের অর্থ জমা হওয়ার বিপরীতে বা আমানতকারীদের ঠিকই সুদ দিতে বাধ্য ব্যাংকগুলো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, আশা করা যায়, সামনে ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙা হবে, তখন বিনিয়োগ বাড়বে। এতে ঋণের চাহিদা বাড়বে এবং তারল্য স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে। ব্যাংকের সুদদণ্ডও একটা পর্যায়ে আর থাকবে না।’
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আগস্ট শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৩ কোটি টাকা। প্রচলিত ধারার ৪৩ বেসরকারি ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। ১০টি ইসলামি ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য ৬ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা এবং ৯টি বিদেশি ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য ৩২ হাজার ১১৮ কোটি টাকা।
ব্যাংকভিত্তিক অবস্থান অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য সর্বোচ্চ ৬২ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের ১৮ হাজার ৮৭৭ কোটি, পূবালী ব্যাংকের ১৮ হাজার ৩৯৮ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকের ১৮ হাজার ৩৫১ কোটি, ব্যাংক এশিয়ার ১৭ হাজার ৯০৫ কোটি, ডাচ্-বাংলার ১৬ হাজার ২২০ কোটি, যমুনা ব্যাংকের ১৪ হাজার ৮০১ কোটি, রূপালী ব্যাংকের ১২ হাজার ৫৫৩ কোটি, সিটি ব্যাংকের ১২ হাজার ৪৮১ কোটি এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ১২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা।

অতিরিক্ত তারল্য হিসাব করা হয় স্ট্যাটুটরি লিকুইডিটি রেশিও (এসএলআর) এবং ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (সিআরআর) বজায় রাখার পর। ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকে মোট আমানতের ৪ শতাংশ নগদে এবং ১৩ শতাংশ ট্রেজারি বিল-বন্ডের মাধ্যমে রাখতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অপর হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের আগস্টে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আমানতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২ শতাংশ এবং ঋণে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ সময় ব্যাংকগুলো আমানতের বিপরীতে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দেয়। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৮৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিক বলেন, ‘বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কম হওয়ায় ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য বাড়ছে। যদিও তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিনিয়োগ অবস্থায় রয়েছে। ব্যাংকগুলো ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চেষ্টা করছে। একটা সময় পর বিনিয়োগ বাড়লে ঋণের প্রবৃদ্ধিও বাড়বে।’

পরিস্থিতি বদলালেই ঋণের চাহিদা বাড়বে, সুদ ব্যয় কমবে
মো. শওকত আলী খান
ব্যবস্থাপনা পরিচালক. সোনালী ব্যাংক
পরিস্থিতি বদলালেই উদ্যোক্তারা ঋণ নিতে আগ্রহী হবেন, এতে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের প্রবৃদ্ধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমবে অতিরিক্ত তারল্যের বোঝা। এভাবে ব্যাংক যখন স্বাভাবিক ঋণচক্রে ফিরে আসবে, তখন আমানতের বিপরীতে যে বড় অঙ্কের সুদ দিচ্ছে, সেই ব্যয়ও শূন্যে নেমে আসবে।
অন্যদিকে ব্যাংকের শক্তির মূল ভরসাই গ্রাহক। রাজনৈতিক পালাবদলের পর দুর্বল ব্যাংকগুলোর নানান দুর্বলতা প্রকাশ্যে চলে আসায় অনেক আমানতকারী তাঁদের টাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। ফলে এসব ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের আমানত সরতে থাকে এবং তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলোয় জমা হতে থাকে। এতে কম সময়ে ভালো ব্যাংকগুলোর তারল্য দ্রুত ফুলে ওঠে। কিন্তু এই প্রবাহ যত দ্রুত বাড়ছে, সেই গতিতে ঋণ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে যথাযথ যাচাই-বাছাই, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং ভালো গ্রাহক চিহ্নিত করতে সময় লাগে। এতে ঋণপ্রবাহ কিছুটা শ্লথ হলেও আমানত সংগ্রহের ধারাবাহিকতা কিন্তু থেমে থাকে না। সেই কারণে তারল্যের পাহাড় তৈরি হয়, যা বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ না থাকলে ব্যাংকের জন্য চাপ হয়ে দাঁড়ায়।
সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ব্যাংক ঋণ বিতরণ বাড়াতে না পারলেও অলস পড়ে থাকা আমানত যেন অকার্যকর না হয়, এ জন্য তারা অগ্রাধিকার খাতে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি সিকিউরিটিজ, ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করছে। কারণ, আমানতকারীদের সঞ্চয়ের অর্থ ব্যাংক যতক্ষণ ধরে রাখে, ততক্ষণই তাদের সুদ দিতে হয়। ফলে বিনিয়োগ স্থবির থাকলে এই সুদই পরিণত হয় ব্যাংকের বাড়তি ব্যয়ে।
তবে অর্থনীতিতে আবার গতি ফিরলে এবং বিনিয়োগের পরিবেশ পরিষ্কার হলে এখন ব্যাংকগুলোর হাতে জমে থাকা এই তারল্যই আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করবে। অতএব পরিস্থিতি বদলালে অর্থাৎ নতুন বিনিয়োগ এলে, ঋণের চাহিদা বাড়লে বর্তমান উদ্বৃত্ত তারল্য আর থাকবে না; বরং ব্যাংকিং খাতকে স্বস্তির জায়গায় ফিরিয়ে আনবে।

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে এসে দেখা গেল, দেশে ১ হাজার ৯৯৯টি কারখানার শ্রমিক এখনো ঈদুল আজহার বোনাস পাননি। শুধু তা-ই নয়, ৩৭৫টি কারখানায় এখনো এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া। সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা মে মাসের ২৮ তারিখ শেষ হলেও তা মানেননি বহু মালিক; অথচ আর দুই দিন পরই ঈদ।
০৫ জুন ২০২৫
বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাণিজ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে আমাদের পণ্যকে বৈচিত্র্যময় করা, সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।’
২ ঘণ্টা আগে
ডিজেল, অকটেন, পেট্রল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি দুই টাকা বাড়িয়েছে সরকার। নতুন এই দাম ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। প্রতি লিটারে দুই টাকা করে দাম বাড়ায় ডিজেলের দাম ১০৪ টাকা, অকটেন ১২৪ টাকা, পেট্রল ১২০ টাকা ও কেরোসিনের দাম ১১৬ টাকা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই–অক্টোবর) বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি অস্বাভাবিকভাবে কম। পুরোনো প্রকল্পে ঋণছাড় চলমান থাকলেও লক্ষ্যের চেয়ে অনেক পিছিয়ে; প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বেশ মন্থর। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে।
১৭ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ডিজেল, অকটেন, পেট্রল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি দুই টাকা বাড়িয়েছে সরকার। নতুন এই দাম ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। প্রতি লিটারে দুই টাকা করে দাম বাড়ায় ডিজেলের দাম ১০৪ টাকা, অকটেন ১২৪ টাকা, পেট্রল ১২০ টাকা ও কেরোসিনের দাম ১১৬ টাকা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে হেরফেরের কারণে সংশোধিত প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে ভোক্তা পর্যায়ে ডিসেম্বর মাসের জন্য জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডিজেল, অকটেন, পেট্রল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি দুই টাকা বাড়িয়েছে সরকার। নতুন এই দাম ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। প্রতি লিটারে দুই টাকা করে দাম বাড়ায় ডিজেলের দাম ১০৪ টাকা, অকটেন ১২৪ টাকা, পেট্রল ১২০ টাকা ও কেরোসিনের দাম ১১৬ টাকা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে হেরফেরের কারণে সংশোধিত প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে ভোক্তা পর্যায়ে ডিসেম্বর মাসের জন্য জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে এসে দেখা গেল, দেশে ১ হাজার ৯৯৯টি কারখানার শ্রমিক এখনো ঈদুল আজহার বোনাস পাননি। শুধু তা-ই নয়, ৩৭৫টি কারখানায় এখনো এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া। সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা মে মাসের ২৮ তারিখ শেষ হলেও তা মানেননি বহু মালিক; অথচ আর দুই দিন পরই ঈদ।
০৫ জুন ২০২৫
বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাণিজ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে আমাদের পণ্যকে বৈচিত্র্যময় করা, সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।’
২ ঘণ্টা আগে
সরকার পরিবর্তনের পর ঋণ দেওয়া-সংক্রান্ত শর্তাবলি শিথিল হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু সেই আমানত বিনিয়োগে রূপান্তরিত না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর হাতে জমা তারল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এই অতিরিক্ত তারল্য ৩ লাখ কোটি টাকার ওপর পৌঁছেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই–অক্টোবর) বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি অস্বাভাবিকভাবে কম। পুরোনো প্রকল্পে ঋণছাড় চলমান থাকলেও লক্ষ্যের চেয়ে অনেক পিছিয়ে; প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বেশ মন্থর। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে।
১৭ ঘণ্টা আগেইআরডির প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই–অক্টোবর) বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি অস্বাভাবিকভাবে কম। পুরোনো প্রকল্পে ঋণছাড় চলমান থাকলেও লক্ষ্যের চেয়ে অনেক পিছিয়ে; প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বেশ মন্থর। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে। আজ রোববার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বৈদেশিক ঋণ, অনুদান, প্রকল্প সহায়তা ও ঋণ পরিশোধের পূর্ণাঙ্গ চিত্র মিলেছে।
ইআরডির চার মাসের প্রতিবেদন থেকে যে সার্বিক চিত্র পাওয়া যায়, তা হলো— প্রকল্প বাস্তবায়ন মন্থর এবং ঋণ পরিশোধের বোঝা বাড়ছে। বড় অংশীদারেরা (রাশিয়া, চীন, জাপান ও ভারত) নতুন করে কোনো চুক্তি না করলেও পুরোনো প্রকল্পে অর্থছাড় অব্যাহত রেখেছে। বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিশ্রুতি অস্বাভাবিকভাবে কম। আর ঋণ পরিশোধের চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে, যা রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশ প্রায় ১২০ কোটি ৯০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে । গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল মাত্র ২৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। অর্থাৎ সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রায় পাঁচ গুণ বেড়েছে। এখানে সবচেয়ে বড় অবদান এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি)।
এডিবি মোট ৫৮ কোটি ১৭ লাখ ডলারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা মোট প্রতিশ্রুতির প্রায় ৪৮ শতাংশ। এর বাইরে ইউরোপীয় অংশীদারদের প্রতিশ্রুতি ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার আর এশিয়া, জাপান ইকোনমিক কো-অপারেশন জেইসি ও ফ্রেন্ডশিপ অ্যান্ড ফ্রেমওয়ার্ক উইং ৩২ কোটি ৫৯ কোটি ডলার।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাংক (আইডিএ) থেকে নতুন প্রতিশ্রুতি এসেছে মাত্র ১ কোটি ২৪ লাখ ডলার, যা অস্বাভাবিকভাবে কম। এর মধ্য দিয়ে আলোচনাধীন প্রকল্পগুলোতে ধীরগতি বা নতুন চুক্তির স্বল্পতার ইঙ্গিত মেলে।
ছাড় বাড়লেও লক্ষ্য থেকে অনেক পিছিয়ে
বিদেশি সহায়তার মোট অর্থছাড় হয়েছে ১৬৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে পাওয়া ১২০ কোটি ২০ লাখ ডলারের চেয়ে বেশি।
কিন্তু সমস্যা হলো—এ বছরের মোট বাজেট লক্ষ্য ছিল ৯২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। তার বিপরীতে চার মাসে বাস্তবায়ন মাত্র ১৮ শতাংশ।
উইং-ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, আমেরিকা ও জাপান থেকে বাজেটে বরাদ্দ ছিল ১৫৮ কোটি ২০ লাখ ডলার, পাওয়া গেছে মাত্র ৮ কোটি ডলার। আর এডিবি থেকে বরাদ্দ ২২০ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বিপরীতে এসেছে ২৪ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।
তবে ইউরোপ তুলনামূলক ভালো করেছে। বাজেটে ধরা ১৭২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের বিপরীতে ছাড় হয়েছে ৪৯ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। আর বিশ্বব্যাংকের (আইডিএ) ১৯০ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বিপরীতে ছাড় ৪০ কোটি ৫২ ডলার। অর্থাৎ বড় অংশীদারদের কাছ থেকে অর্থছাড়ের গতি কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নেই।
পুরোনো বড় প্রকল্পে রাশিয়া, চীন ও ভারতের অর্থছাড়ে নতুন প্রতিশ্রুতি না এলেও আগের প্রকল্পগুলো থেকে রাশিয়া, চীন, ভারত ও জাপানের অর্থছাড় চলমান রয়েছে। হালনাগাদ হিসাবে দেখা যায়, এই চার মাসে রাশিয়া ৪০ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, চীন ১৯ কোটি ৪০ লাখ, ভারত ৮ কোটি ১৮ লাখ ও জাপান ৮ কোটি ডলার ছাড় করেছে।
এই চার দেশ থেকে এ সময়ের মধ্যে কোনো নতুন ঋণসহায়তার প্রতিশ্রুতি আসেনি; সবই পুরোনো অবকাঠামো প্রকল্পের ছাড়।
ঋণ পরিশোধ বেড়েছে, রিজার্ভে চাপ বাড়ার ইঙ্গিত
ইআরডির প্রতিবেদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসেই সুদ ও আসল মিলিয়ে বাংলাদেশকে ১৫৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে।
গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ ঋণ পরিশোধ প্রায় ১০ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হার বৃদ্ধির চাপও বেড়েছে।

চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই–অক্টোবর) বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি অস্বাভাবিকভাবে কম। পুরোনো প্রকল্পে ঋণছাড় চলমান থাকলেও লক্ষ্যের চেয়ে অনেক পিছিয়ে; প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বেশ মন্থর। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে। আজ রোববার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বৈদেশিক ঋণ, অনুদান, প্রকল্প সহায়তা ও ঋণ পরিশোধের পূর্ণাঙ্গ চিত্র মিলেছে।
ইআরডির চার মাসের প্রতিবেদন থেকে যে সার্বিক চিত্র পাওয়া যায়, তা হলো— প্রকল্প বাস্তবায়ন মন্থর এবং ঋণ পরিশোধের বোঝা বাড়ছে। বড় অংশীদারেরা (রাশিয়া, চীন, জাপান ও ভারত) নতুন করে কোনো চুক্তি না করলেও পুরোনো প্রকল্পে অর্থছাড় অব্যাহত রেখেছে। বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিশ্রুতি অস্বাভাবিকভাবে কম। আর ঋণ পরিশোধের চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে, যা রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশ প্রায় ১২০ কোটি ৯০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে । গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল মাত্র ২৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। অর্থাৎ সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রায় পাঁচ গুণ বেড়েছে। এখানে সবচেয়ে বড় অবদান এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি)।
এডিবি মোট ৫৮ কোটি ১৭ লাখ ডলারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা মোট প্রতিশ্রুতির প্রায় ৪৮ শতাংশ। এর বাইরে ইউরোপীয় অংশীদারদের প্রতিশ্রুতি ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার আর এশিয়া, জাপান ইকোনমিক কো-অপারেশন জেইসি ও ফ্রেন্ডশিপ অ্যান্ড ফ্রেমওয়ার্ক উইং ৩২ কোটি ৫৯ কোটি ডলার।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাংক (আইডিএ) থেকে নতুন প্রতিশ্রুতি এসেছে মাত্র ১ কোটি ২৪ লাখ ডলার, যা অস্বাভাবিকভাবে কম। এর মধ্য দিয়ে আলোচনাধীন প্রকল্পগুলোতে ধীরগতি বা নতুন চুক্তির স্বল্পতার ইঙ্গিত মেলে।
ছাড় বাড়লেও লক্ষ্য থেকে অনেক পিছিয়ে
বিদেশি সহায়তার মোট অর্থছাড় হয়েছে ১৬৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে পাওয়া ১২০ কোটি ২০ লাখ ডলারের চেয়ে বেশি।
কিন্তু সমস্যা হলো—এ বছরের মোট বাজেট লক্ষ্য ছিল ৯২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। তার বিপরীতে চার মাসে বাস্তবায়ন মাত্র ১৮ শতাংশ।
উইং-ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, আমেরিকা ও জাপান থেকে বাজেটে বরাদ্দ ছিল ১৫৮ কোটি ২০ লাখ ডলার, পাওয়া গেছে মাত্র ৮ কোটি ডলার। আর এডিবি থেকে বরাদ্দ ২২০ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বিপরীতে এসেছে ২৪ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।
তবে ইউরোপ তুলনামূলক ভালো করেছে। বাজেটে ধরা ১৭২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের বিপরীতে ছাড় হয়েছে ৪৯ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। আর বিশ্বব্যাংকের (আইডিএ) ১৯০ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বিপরীতে ছাড় ৪০ কোটি ৫২ ডলার। অর্থাৎ বড় অংশীদারদের কাছ থেকে অর্থছাড়ের গতি কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নেই।
পুরোনো বড় প্রকল্পে রাশিয়া, চীন ও ভারতের অর্থছাড়ে নতুন প্রতিশ্রুতি না এলেও আগের প্রকল্পগুলো থেকে রাশিয়া, চীন, ভারত ও জাপানের অর্থছাড় চলমান রয়েছে। হালনাগাদ হিসাবে দেখা যায়, এই চার মাসে রাশিয়া ৪০ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, চীন ১৯ কোটি ৪০ লাখ, ভারত ৮ কোটি ১৮ লাখ ও জাপান ৮ কোটি ডলার ছাড় করেছে।
এই চার দেশ থেকে এ সময়ের মধ্যে কোনো নতুন ঋণসহায়তার প্রতিশ্রুতি আসেনি; সবই পুরোনো অবকাঠামো প্রকল্পের ছাড়।
ঋণ পরিশোধ বেড়েছে, রিজার্ভে চাপ বাড়ার ইঙ্গিত
ইআরডির প্রতিবেদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসেই সুদ ও আসল মিলিয়ে বাংলাদেশকে ১৫৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে।
গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ ঋণ পরিশোধ প্রায় ১০ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হার বৃদ্ধির চাপও বেড়েছে।

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে এসে দেখা গেল, দেশে ১ হাজার ৯৯৯টি কারখানার শ্রমিক এখনো ঈদুল আজহার বোনাস পাননি। শুধু তা-ই নয়, ৩৭৫টি কারখানায় এখনো এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া। সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা মে মাসের ২৮ তারিখ শেষ হলেও তা মানেননি বহু মালিক; অথচ আর দুই দিন পরই ঈদ।
০৫ জুন ২০২৫
বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাণিজ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে আমাদের পণ্যকে বৈচিত্র্যময় করা, সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।’
২ ঘণ্টা আগে
সরকার পরিবর্তনের পর ঋণ দেওয়া-সংক্রান্ত শর্তাবলি শিথিল হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু সেই আমানত বিনিয়োগে রূপান্তরিত না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর হাতে জমা তারল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এই অতিরিক্ত তারল্য ৩ লাখ কোটি টাকার ওপর পৌঁছেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ডিজেল, অকটেন, পেট্রল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি দুই টাকা বাড়িয়েছে সরকার। নতুন এই দাম ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। প্রতি লিটারে দুই টাকা করে দাম বাড়ায় ডিজেলের দাম ১০৪ টাকা, অকটেন ১২৪ টাকা, পেট্রল ১২০ টাকা ও কেরোসিনের দাম ১১৬ টাকা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে