Ajker Patrika

আমদানি-রপ্তানি সহজ করতে যত প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ জুন ২০২৫, ১৮: ০৬
আমদানি-রপ্তানি সহজ করতে যত প্রস্তাব

দেশে আমদানি-রপ্তানির জটিলতা কমিয়ে আনতে এবং সংশ্লিষ্টদের সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানিতে আগাম কর হ্রাস, বিভিন্ন জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে আনা, শুল্ক কাঠামোর পুনর্বিন্যাস, ট্যারিফ ভ্যালু যৌক্তিকীকরণসহ বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে। সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের সময় এসব জানান অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

অর্থ উপদেষ্টা বাজেট প্রস্তাবনায় শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে আগাম করের হার ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছেন। বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজনের পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি না হলে ব্যবসায়ী পর্যায়ে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে পুনরায় ভ্যাট আরোপ না করার বিধান করার কথা বলেছেন।

এ ছাড়া, আমদানিকারকেদের জন্য জরিমানা কমানোর কথাও বলা হয়েছে। প্রস্তাবনায় বলা হয়, বিধি বহির্ভূত রেয়াত গ্রহণের ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ ৫০-১০০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০-৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্মাণ সংস্থা, জোগানদার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের রিটার্ন দাখিলের মেয়াদ প্রতি মাসের পরিবর্তে প্রতি ৬ (ছয়) মাস করা হয়েছে। তবে আগাম কর সমন্বয়, রিফান্ড আবেদন ও রেয়াত গ্রহণের সময়সীমা ৪ মাসের পরিবর্তে ৬ মাস করা হয়েছে।

শুল্ক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। এর বাইরে আগামী অর্থবছরে বিদ্যমান ৬ স্তর বিশিষ্ট শুল্ক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করে ৩ শতাংশের নতুন একটি স্তর যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বর্তমানে আমদানি পর্যায়ে ০,১, ৫,১০, ১৫ ও ২৫ শতাংশ—শুল্কের এই ছয়টি স্তর রয়েছে। একই সঙ্গে আমদানি পর্যায়ে ১২ স্তর বিশিষ্ট সম্পূরক শুল্কহারের সঙ্গে ৪০ শতাংশের নতুন আরও একটি সম্পূরক শুল্কহার তৈরি করা প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিদ্যমান সব ট্যারিফ মূল্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে অর্থ উপদেষ্টা। বিদ্যমান ন্যূনতম ও ট্যারিফ মূল্য পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করার অংশ হিসেবে বিদ্যমান সব ট্যারিফ মূল্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর পরিবর্তে আমদানি মূল্যই হবে পণ্যের ট্যারিফ মূল্য। যদি তাই হয় তবে যেসব পণ্যের ওপর কয়েক গুন মূল্য ধরে শুল্ক নির্ধারণ করা হয় সেসব পণ্যের শুল্ক কমে আসবে।

ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি করে আসছিলেন। তারাও চাইছেন পণ্যের প্রকৃত আমদানি মূল্যের ওপর শুল্ক দিতে। যদিও কিছু কিছু পণ্যে ইতিমধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। একই সঙ্গে ৮৪টি পণ্যের ন্যূনতম মূল্য প্রত্যাহার এবং ২৩টি পণ্যের ন্যূনতম মূল্য বৃদ্ধি করে শুল্ক মূল্য যৌক্তিক করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা মনে করছেন, ট্যারিফ যৌক্তিকিকরণের অন্যতম শর্ত হলো বলবৎ ন্যূনতম ও ট্যারিফ মূল্য পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করা। এই লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। এতে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তীতে বিদ্যমান ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে বাতিলের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হবে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ.লীগের এমপি শাম্মীর বাসায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ভাগ-বাঁটোয়ারার বিবরণ দিলেন রিয়াদ

কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা: কে এই ফ্লাইট এক্সপার্ট এমডি সালমান, বাবার হাত ধরে যাঁর উত্থান

গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লিতে হামলাকারীদের উসকানি, স্থানীয় সাংবাদিক গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জে হর্টিকালচারের উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ‘সমকামিতার’ অভিযোগ, মামলা বাবুর্চির

অতিরিক্ত ফি দাবি করায় বিমানবন্দর স্টাফের চোয়াল ভেঙে দিলেন যাত্রী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত