নিজস্ব প্রতিবেদক ও উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের মাধ্যমে বোঝা গেছে এলাকাটি কতটুকু অরক্ষিত।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন শেষে আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, বিমানবন্দরের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যদি এ ঘটনা ঘটে, তবে সারা দেশ কি অরক্ষিত।
বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে—এমন একটি কেপিআই (সরকার ঘোষিত কি-পয়েন্ট ইনস্টলেশন) এলাকায়, সেখানে এত বড় একটি অগ্নিদুর্ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে? এলাকাটি যে কতটুকু অরক্ষিত, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এ অগ্নিদুর্ঘটনা।’
বিকেএমইএ সভাপতি হাতেম বলেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকি। দেশের সবচেয়ে বেশি অর্থনীতির দুটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা... প্রথমত চট্টগ্রাম বন্দর এবং অন্যটি বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ। দুটি জায়গাকে আমরা অর্থনীতির প্রাণ বলি... সরকারকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলব। সে সঙ্গে অনুরোধ করব, এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে।’
সিভিল এভিয়েশনের অবহেলা রয়েছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিকেএমইএর এই নেতা বলেন, ‘আমাদের যেমন ইন্ডাস্ট্রিতে ফায়ার এক্সটিংগুয়িশার থাকে, পানির হাইড্রেন সিস্টেম থাকে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগলে আমরা নিজেরাই কন্ট্রোল করতে সক্ষম হই। তাহলে সরকারের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিভিল এভিয়েশনের কি সে প্রস্তুতি ছিল না? তাহলে এর জন্য দায়ী কারা? এটা খুঁজে বের করা দরকার।’
টানা একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে হাতেম বলেন, ‘এর আগেও বিগত বছরগুলোতে দেখেছি প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও আগুন লাগত ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ও পরিকল্পিতভাবে। তাহলে এটিও কি আবার শুরু হয়েছে? এমনভাবেই ঘটতে থাকবে? আমার মনে হয় সরকারের একটু ভেবে দেখা দরকার।’
দেশে বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, ‘বহির্বিশ্বে আমাদের যেসব ক্রেতা রয়েছেন, তাঁরাও বেশ উদ্বিগ্ন। সেই সঙ্গে একটা ইমেজ ক্রাইসিস তো ঘটবেই। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে সারা দেশটাই কি অরক্ষিত?’
বিকেএমইএ সভাপতি হাতেম বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে আমরা আশ্বাস পেয়েছি, যাদের ইনস্যুরেন্স ছিল, তা দিয়ে কাভার করার। কিন্তু যাদের ইনস্যুরেন্স ছিল না তাদের কী হবে? আমরা অনুরোধ করব, তাদেরকে শনাক্ত করে, যেন সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।’
হাতেম বলেন, আমরা মনে করি, এই ইমেজ কাটিয়ে উঠতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সরকার যেমন করবে, সিভিল এভিয়েশন, বিমান মন্ত্রণালয়, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সবাইকে মিলে কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেই উদ্যোগ বা ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটসংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজ হাউসে শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা আড়াইটায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে। প্রায় ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ হয় আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের মাধ্যমে বোঝা গেছে এলাকাটি কতটুকু অরক্ষিত।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন শেষে আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, বিমানবন্দরের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যদি এ ঘটনা ঘটে, তবে সারা দেশ কি অরক্ষিত।
বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে—এমন একটি কেপিআই (সরকার ঘোষিত কি-পয়েন্ট ইনস্টলেশন) এলাকায়, সেখানে এত বড় একটি অগ্নিদুর্ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে? এলাকাটি যে কতটুকু অরক্ষিত, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এ অগ্নিদুর্ঘটনা।’
বিকেএমইএ সভাপতি হাতেম বলেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকি। দেশের সবচেয়ে বেশি অর্থনীতির দুটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা... প্রথমত চট্টগ্রাম বন্দর এবং অন্যটি বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ। দুটি জায়গাকে আমরা অর্থনীতির প্রাণ বলি... সরকারকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলব। সে সঙ্গে অনুরোধ করব, এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে।’
সিভিল এভিয়েশনের অবহেলা রয়েছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিকেএমইএর এই নেতা বলেন, ‘আমাদের যেমন ইন্ডাস্ট্রিতে ফায়ার এক্সটিংগুয়িশার থাকে, পানির হাইড্রেন সিস্টেম থাকে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগলে আমরা নিজেরাই কন্ট্রোল করতে সক্ষম হই। তাহলে সরকারের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিভিল এভিয়েশনের কি সে প্রস্তুতি ছিল না? তাহলে এর জন্য দায়ী কারা? এটা খুঁজে বের করা দরকার।’
টানা একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে হাতেম বলেন, ‘এর আগেও বিগত বছরগুলোতে দেখেছি প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও আগুন লাগত ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ও পরিকল্পিতভাবে। তাহলে এটিও কি আবার শুরু হয়েছে? এমনভাবেই ঘটতে থাকবে? আমার মনে হয় সরকারের একটু ভেবে দেখা দরকার।’
দেশে বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, ‘বহির্বিশ্বে আমাদের যেসব ক্রেতা রয়েছেন, তাঁরাও বেশ উদ্বিগ্ন। সেই সঙ্গে একটা ইমেজ ক্রাইসিস তো ঘটবেই। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে সারা দেশটাই কি অরক্ষিত?’
বিকেএমইএ সভাপতি হাতেম বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে আমরা আশ্বাস পেয়েছি, যাদের ইনস্যুরেন্স ছিল, তা দিয়ে কাভার করার। কিন্তু যাদের ইনস্যুরেন্স ছিল না তাদের কী হবে? আমরা অনুরোধ করব, তাদেরকে শনাক্ত করে, যেন সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।’
হাতেম বলেন, আমরা মনে করি, এই ইমেজ কাটিয়ে উঠতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সরকার যেমন করবে, সিভিল এভিয়েশন, বিমান মন্ত্রণালয়, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সবাইকে মিলে কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেই উদ্যোগ বা ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটসংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজ হাউসে শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা আড়াইটায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে। প্রায় ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ হয় আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে।
দেশের বাজারে সোনার দাম নতুন ইতিহাস গড়ছে। সবশেষ আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। আগামীকাল সোমবার থেকে বাজুসের ঘোষিত নতুন দাম কার্যকর হবে। বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, নতুন দরে প্রতি ভরিতে সোনার দাম বেড়েছে ১ হাজার ৫০ টাকা।
১ ঘণ্টা আগে‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উদ্যাপন উপলক্ষে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উদ্যোগে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ১৯ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ‘গ্রাহক সেবা পক্ষ’ পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ১৯ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক
৬ ঘণ্টা আগেজনতা ব্যাংক পিএলসিতে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ আয়োজিত হয়েছে। এ আয়োজনে জনতা ব্যাংকের গ্রাহক সেবা কক্ষ, এনএফসি সুবিধার ‘টাকা পে কার্ড’ এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঋণ প্রদানের কার্যক্রম ‘ই-ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ উদ্বোধন করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বিশেষ করে পোশাক শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিনিয়র সহসভাপতি এনামুল হক খান বাবলু।
৮ ঘণ্টা আগে