Ajker Patrika

শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুনে পোশাকশিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: বিজিএমইএ

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ১৩
শাহজালাল বিমানবন্দরে পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে বিজিএমইএ নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাহজালাল বিমানবন্দরে পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে বিজিএমইএ নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বিশেষ করে পোশাক শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিনিয়র সহসভাপতি এনামুল হক খান বাবলু।

তিনি বলেন, ‘কার্গো ভিলেজে আগুন অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এ ঘটনায় আমরা বিজিএমইএ বোর্ড গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্য, বিশেষ করে পোশাক শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরে পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বাবলু বলেন, ‘সাধারণত হাই-ভ্যালুড পণ্য এবং জরুরি শিপমেন্টের ক্ষেত্রে আকাশপথে পাঠানো হয় এমন পণ্য কার্গো ভিলেজে ছিল। অগ্নিকাণ্ডের ফলে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’

ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ নেতা বাবলু বলেন, ‘ধ্বংস হওয়া মালামালের মধ্যে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা পোশাক, পোশাক তৈরির মূল্যবান কাঁচামাল এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, অনেক স্যাম্পল (নমুনা) পণ্য ছিল। এই স্যাম্পলগুলো সরাসরি নতুন ব্যবসার পথ উন্মোচন করে এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্টের জন্য অপরিহার্য। এই স্যাম্পলগুলো হারানো মানে ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হওয়া।’

বিজিএমইএ নেতা এনামুল হক খান বাবলু বলেন, ‘আমাদের সদস্যরা প্রায় সবাই এয়ারে পণ্য পাঠান। প্রতিদিন ২০০-২৫০টি কারখানার পণ্য আকাশপথে রপ্তানি হয়। সে হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। তথ্য দ্রুত সংগ্রহ করার জন্য একটি অনলাইন ডেটা কালেকশন পোর্টালও খোলা হয়েছে।’

বিজিএমইএর এই নেতা আরও জানান, বিজিএমইএ খুব দ্রুত সব সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে একটি সমন্বয় সভা করবে।

ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের জন্য সার্বিক সহযোগিতা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান বিজিএমইর এই নেতা। তিনি আরও বলেন, পোশাক শিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার স্বার্থে দ্রুততার সঙ্গে নতুন শিপমেন্টের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বিজিএমই নেতা বাবলু সতর্ক করে বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুম চলছে। এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সবাইকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। দেশের সব শিল্প-কারখানা ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আগুন থেকে সাবধান থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কোটা তুলে দিলে নারীদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না: সামান্তা শারমিন

গ্রাহকের ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ, জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার জেলহাজতে

আন্দোলনের মধ্যেই ফের বাড়ল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা

৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষকদের

মেট্রোরেলের সময় বাড়ল: আজ থেকে নতুন সূচি, ট্রিপ বাড়ল ৭টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত