Ajker Patrika

কয়েকটি জেলায় দারিদ্র্য বেশ বেড়েছে: বিআইডিএস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, ০০: ০১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার অবনতি ঘটাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাটির এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের একাধিক জেলায় দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। এর ফলে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।

তবে দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি এবং খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় অবনতির কারণ চিহ্নিত করতে পারেনি বিআইডিএস। কারণ, মূলত মানুষের ধারণার ওপর ভিত্তি করে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিআইডিএস সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ছোট এলাকাভিত্তিক দারিদ্র্য নিরূপণ ২০২২: নির্বাচিত জেলাগুলোর প্রবণতা ও বৈষম্য, ২০২৪’ শীর্ষক গবেষণা তুলে ধরা হয়।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ‘২০২৪ সালে দরিদ্র পরিবারের অনুপাত বেড়ে ২৬ দশমিক ৪৩ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ২০২২ সালে ছিল ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। একই সময়ে চরম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হার ৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ হয়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপির) সহযোগিতায় পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, বেশ কিছু অঞ্চলে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্যের হার দেখা গেছে বান্দরবান, রংপুর ও সিলেট জেলায়। ঢাকায় সামগ্রিক দারিদ্র্যের হার তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও মানুষের ধারণায় অর্থনৈতিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য অবনতি ঘটেছে।

শহরাঞ্চলে চরম দারিদ্র্যের হার ২০২২ সালের ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশে পৌঁছেছে। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে এই হার ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ হয়েছে।

দারিদ্র্যের বৃদ্ধির কারণ হিসেবে মূল্যস্ফীতি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবের কথা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যের প্রভাব শহরের তুলনায় বেশি। কারণ, সেখানে ওপরের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা অভিজ্ঞতা স্কেলে (এফআইইএস) পরিস্থিতির আরও অবনতি ধরা পড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, মাঝারি খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে এবং চরম খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা আরও গভীর সংকট তৈরি করেছে।

এর ফলে পরিবারগুলো নেতিবাচক কৌশল অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছে। যেমন খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া, খাবার বাদ দেওয়া এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা।

গবেষণায় বান্দরবান, ঢাকা, খুলনা, রংপুর ও সিলেট—এই পাঁচটি জেলা পর্যালোচনা করা হয়েছে, যেখানে দারিদ্র্যের প্রবণতায় উল্লেখযোগ্য পার্থক্য পাওয়া গেছে। ঢাকায় তুলনামূলকভাবে কম দারিদ্র্য থাকলেও জনগণের মধ্যে অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি নিয়ে হতাশা বেড়েছে।

অন্যদিকে খুলনা ও রংপুরে নদীভাঙনের মতো জলবায়ুজনিত সমস্যার কারণে দারিদ্র্যের মাত্রা মারাত্মকভাবে বেড়েছে। সিলেটের জকিগঞ্জ নতুন দারিদ্র্যপ্রবণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে, যেখানে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা বেড়েই চলেছে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে এসব অঞ্চলে সামনের বছরগুলোতে গভীর সংকট তৈরি হতে পারে বলে গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে।

বিআইডিএসের মহাপরিচালক এ কে এনামুল হক আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন। লক্ষ্যাভিমুখী নীতি হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ, খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, গ্রামীণ কর্মসংস্থানে বিনিয়োগ এবং মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি আরও বলেন, দারিদ্র্য ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা বেড়ে চলায় নীতিনির্ধারকদের এখনই দ্রুত এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

তবে এই গবেষণা পরিসংখ্যানগত পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এটি সরকার, বেসরকারি সংস্থা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ধারণাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির গবেষণাপ্রধান তাকাহিরো উতসুমি বলেন, তাঁরা ইউরোপীয় পরিসংখ্যান বিশেষজ্ঞ এবং বিআইডিএসের সঙ্গে যৌথভাবে ছোট এলাকার দারিদ্র্য নিরূপণের কৌশল উন্নত করতে কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দারিদ্র্য নিরূপণ ২০২২ সালের গৃহস্থালি আয়ের ও ব্যয় জরিপের ওপর ভিত্তি করে করা হলেও সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দা ও বিভিন্ন ঝাঁকুনির কারণে তথ্যগুলোর হালনাগাদ প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক দারিদ্র্য প্রবণতা বোঝা নীতি প্রণয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারকে ২০২৫ ও পরবর্তী পরিকল্পনায় এই গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

‘এই গবেষণা সরকারি দারিদ্র্য পরিমাপের বিকল্প নয়, তবে এটি নীতিনির্ধারণী আলোচনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্যসূত্র এবং মানবিক সহায়তা কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারে,’ যোগ করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সচিবালয়ে অবরুদ্ধ অর্থ উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫৩
অর্থ উপদেষ্টাকে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
অর্থ উপদেষ্টাকে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

পুলিশ বাহিনীর ঝুঁকি ভাতার মতো সচিবালয় ভাতা চালুর দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদকে তাঁর দপ্তরে অবরুদ্ধ করেছেন কর্মচারীরা। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার পর থেকে সচিবালয়ের শতাধিক কর্মচারী ১১ নম্বর ভবনে অর্থ উপদেষ্টাকে তাঁর দপ্তরে অবরুদ্ধ করেছেন।

সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবিরের নেতৃত্বে কর্মচারীরা অর্থ উপদেষ্টাকে তাঁর দপ্তরে ঘেরাও করে রেখেছেন। উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। সচিবালয় ভাতা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত তাঁরা সরবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

সচিবালয় ভাতা চালুর দাবিতে অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সচিবালয় ভাতা চালুর দাবিতে অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

অর্থ উপদেষ্টাকে তাঁর দপ্তরে অবরুদ্ধ করায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যকে ১১ নম্বর ভবনের নিচতলায় মোতায়েন করা হয়েছে। তবে অর্থ উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি।

একজন কর্মচারী বলেন, ‘সচিবালয়ের কর্মচারীদের অফিস সময়ের বাইরেও ডিউটি করতে হয়। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে কাজ করার জন্য কোনো অর্থ পাওয়া যায় না। এ কারণে আমরা সচিবালয় ভাতা চালুর দাবি জানিয়ে আসছি। ২০ শতাংশ সচিবালয় ভাতা চালু করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সরব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও কর্মীদের সাফল্য উদ্‌যাপনে আবুল খায়ের স্টিলের ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।

এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।

সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‍্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্‌যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।

সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যাংকের নিট মুনাফা ছাড়া উৎসাহ বোনাস বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।

আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত