আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য তৈরি হয় চাল থেকে। কিন্তু এই মৌলিক খাদ্যশস্য এখন সংকটে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। কিন্তু অঞ্চলটি খরাপ্রবণ। এর পাশাপাশি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে দিন দিন কমছে ফলন। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে চালের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। মোটকথা চাল নিয়ে তৈরি হয়েছে বৈশ্বিক সংকট।
জাপানে প্রায় প্রতি বেলার খাবারে ‘ডনবুরি’ (ভাতের বাটি) অত্যাবশ্যকীয়, সেখানে ক্রমেই মূল্যবান হয়ে উঠছে চাল। ঊর্ধ্বমুখী এই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশটির সরকার তাদের জরুরি মজুতের ১ লাখ ৬৫ হাজার টন চাল নিলামে তুলেছে।
ফিলিপাইনেও ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি খাদ্য সংকটাবস্থা (ফুড সিকিউরিটি ইমার্জেন্সি)। সরকারের সংরক্ষিত চালও ছাড়া হয়েছে বাজারে।
বিশ্বজুড়ে চাহিদা মেটাতে ইন্দোনেশিয়ার সরকার নতুন করে আরও ১ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে ধান চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার পরিমাণ বৃহৎ লন্ডন শহরের ছয় গুণের সমান।
বিশ্বজুড়ে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়নের বেশি মানুষ চালের ওপর নির্ভরশীল। বিপুল এই জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগ বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর বাসিন্দা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চালের এই ঘাটতি যদি চলতে থাকে, তাহলে সবচেয়ে বেশি ভুগবে দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিরূপ পরিবেশে টিকে থাকতে পারে, এমন নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন গবেষকেরা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই ধারায় এক ধরনের বিপ্লব শুরু হয়েছে। যেখানে নতুন প্রযুক্তি চালের উৎপাদনকে আরও টেকসই ও প্রতিকূল পরিবেশে সহনশীল করে তুলছে। ২০২১ সালে প্রথম দেশ হিসেবে ফিলিপাইন পুষ্টিবর্ধক গোল্ডেন রাইসের অনুমোদন দেয়। গোল্ডেন রাইস হলো জিনগতভাবে পরিবর্তিত এক বিশেষ ধরনের ধান, যাতে ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে।
ধানের জিনগত পরিবর্তনের প্রযুক্তি এখন আরও অনেক দূর এগিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডের উদ্ভিদ কোষ সংকেত বিষয়ক গবেষক ও অধ্যাপক জুলি গ্রে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের রাইস রিসার্চ কনসোর্টিয়ামের জন্য খরা ও তাপসহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে কাজ করছেন।
অধ্যাপক জুলি গ্রে ও তাঁর সহকর্মীরা এমন ধানের গাছ তৈরি করছেন, যেগুলোর স্টোমাটা (পাতার ক্ষুদ্র রন্ধ্র, যার মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইড প্রবেশ করে ও পানি বেরিয়ে যায়) তুলনামূলক কম। এর লক্ষ্য হলো, এগুলো যাতে শুষ্ক পরিবেশে আরও সহনশীল হয়। ধানের মতো শস্য সাধারণত পরিবেশগত পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে না, কিন্তু বর্তমানে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অধ্যাপক গ্রে বলেন, শুধু ধান নয়, বেশির ভাগ শস্যজাতীয় গাছের স্টোমাটা খুব বেশি। যে কারণে তাদের পানি বেশি প্রয়োজন হয়। স্টোমাটার সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারলে গাছগুলো ভবিষ্যতের জলবায়ুর জন্য আরও উপযোগী হতে পারে।
এখনো অনেক মানুষ জিনগতভাবে পরিবর্তিত খাদ্যের প্রতি সংশয়ী। তাই সরাসরি জিনগত পরিবর্তনের পরিবর্তে সিলেক্টিভ ব্রিডিং পদ্ধতিতে নতুন জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন গ্রে। মূলত থাইল্যান্ডের গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে এ গবেষণা করছেন তিনি। তবে নতুন এই চাল এখনো তেমন সুস্বাদু নয়। এর স্বাদ প্রাকৃতিক চালের কাছাকাছি আনতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুধু ধানের জাত নয়, বদলে যাচ্ছে ধান চাষের পদ্ধতিও। ধান রোপণ থেকে শুরু করে সার ছিটানো, আগাছা চিহ্নিতকরণ এমনকি জমির পুষ্টিমান নির্ণয়ের কাজেও আজকাল ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। এতে চাষের পুরো প্রক্রিয়া আরও নিখুঁত ও কার্যকর হচ্ছে। কৃষিকাজে ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার পেছনে আরেকটি বড় কারণ হলো শ্রমিকের সংকট। এখন বেশির ভাগ মানুষ শহরমুখী। তাই মানুষের কাজ এখন প্রযুক্তিকে দিয়ে করিয়ে নিতে হচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রে খরচ একটি বড় বাধা।
ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটের ভারতীয় কো-অর্ডিনেটর জয়াহরি কে এম বলেন, ‘ভারতের প্রান্তিক মানুষেরা কৃষিকাজ করেন। তাঁদের আসলে এই খাতের জন্য প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের সামর্থ্য নেই। যদিও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা সংস্থা (ইআরআরআই) প্রান্তিক কৃষকদের জন্য ড্রোন ফর রাইস নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু বিশ্বের সব প্রান্তের সব কৃষকদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা একটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। প্রাথমিকভাবে গত বছর থেকে ফিলিপাইনে চালু হয়েছে এ প্রকল্প এবং একে সফল বলছেন স্থানীয় কৃষকেরা।’
এ ছাড়া ধানখেত চিহ্নিতকরণ, মিথেন নির্গমন অনুমান এমনকি ফলনের পূর্বাভাস পেতে ব্যবহার করা হচ্ছে স্যাটেলাইটও। সারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথিবী পর্যবেক্ষণ ও জলবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বেলেন মার্টি-কারডোনা বলেন, ‘আমাদের অনেক ধরনের প্যারামিটার প্রয়োজন, যেমন মাটির প্রকার, আবহাওয়ার তথ্য, তাপমাত্রা ও খেতের জলাবদ্ধতার অবস্থা। এসব নিরীক্ষায় সাহায্য করে স্যাটেলাইট।’
ধানের উৎপাদন হ্রাসের পেছনে একটি বড় কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। তবে গবেষণায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। ধান চাষের চিরাচরিত/প্রাচীন প্রক্রিয়াও জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, চিরাচরিত পদ্ধতিতে ধান চাষে ১২ শতাংশ পর্যন্ত মিথেন গ্যাসের নির্গমন হয়। এই মিথেন গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে ২৫ গুণ দ্রুত পৃথিবীকে উষ্ণ করে তোলে। এর পাশাপাশি ধান চাষে প্রচুর পরিমাণে পানি ব্যবহৃত হয়, প্রতি কিলোগ্রাম ধানের পেছনে প্রায় আড়াই হাজার লিটার, যা প্রায় ১৬টি বাথটাবভর্তি পানির সমান।
টেকসই ধান চাষের জন্য হাই-টেক সমাধান অপরিহার্য নয়, শুধু চাষের পদ্ধতি পরিবর্তন করলে তা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে—বলছেন গবেষকেরা। ধান চাষের একটি পরিবেশবান্ধব নতুন পদ্ধতি হচ্ছে, ডাইরেক্ট সিডেড রাইস। এখানে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির মতো জমি জলমগ্ন করে তাতে চারা রোপণ না করে সরাসরি মাঠে বীজ বপন করা হয়। এতে পানির ব্যবহার কমে, মাটির ক্ষতি হয় না এবং মিথেন গ্যাসের নির্গমন অনেক কম হয়।
রথামস্টেড রিসার্চ সেন্টারের গবেষক ড. স্মিতা কুরুপ বলেন, ‘ধান আসলে অতটা পানি চায় না, কিন্তু আমরা বছরের পর বছর এমন জাত বেছে নিয়েছি, যেগুলো পানিতে ভিজে থাকা জমিতে ভালো হয়। অথচ ধান শুষ্ক জমিতেও ভালোভাবে চাষ করা সম্ভব।’
স্মিতা কুরুপ শত শত ধানগাছ পরীক্ষা করে এ পদ্ধতির উপযোগী সেরা জাতগুলো নির্বাচন করেছেন, যাতে কৃষকেরা ফলন না কমিয়ে নতুনভাবে চাষ করতে পারেন। তবে চ্যালেঞ্জ হলো—প্রতিটি দেশের ধানের স্বাদ, গুণ ও রান্নার ধরন ভিন্ন, যেমন জেসমিন ধান, স্টিকি রাইস বা লম্বা দানার ধান। তাই প্রতিটি দেশে আলাদাভাবে উপযুক্ত জাত বাছাই করতে হচ্ছে।

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য তৈরি হয় চাল থেকে। কিন্তু এই মৌলিক খাদ্যশস্য এখন সংকটে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। কিন্তু অঞ্চলটি খরাপ্রবণ। এর পাশাপাশি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে দিন দিন কমছে ফলন। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে চালের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। মোটকথা চাল নিয়ে তৈরি হয়েছে বৈশ্বিক সংকট।
জাপানে প্রায় প্রতি বেলার খাবারে ‘ডনবুরি’ (ভাতের বাটি) অত্যাবশ্যকীয়, সেখানে ক্রমেই মূল্যবান হয়ে উঠছে চাল। ঊর্ধ্বমুখী এই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশটির সরকার তাদের জরুরি মজুতের ১ লাখ ৬৫ হাজার টন চাল নিলামে তুলেছে।
ফিলিপাইনেও ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি খাদ্য সংকটাবস্থা (ফুড সিকিউরিটি ইমার্জেন্সি)। সরকারের সংরক্ষিত চালও ছাড়া হয়েছে বাজারে।
বিশ্বজুড়ে চাহিদা মেটাতে ইন্দোনেশিয়ার সরকার নতুন করে আরও ১ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে ধান চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার পরিমাণ বৃহৎ লন্ডন শহরের ছয় গুণের সমান।
বিশ্বজুড়ে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়নের বেশি মানুষ চালের ওপর নির্ভরশীল। বিপুল এই জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগ বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর বাসিন্দা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চালের এই ঘাটতি যদি চলতে থাকে, তাহলে সবচেয়ে বেশি ভুগবে দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিরূপ পরিবেশে টিকে থাকতে পারে, এমন নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন গবেষকেরা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই ধারায় এক ধরনের বিপ্লব শুরু হয়েছে। যেখানে নতুন প্রযুক্তি চালের উৎপাদনকে আরও টেকসই ও প্রতিকূল পরিবেশে সহনশীল করে তুলছে। ২০২১ সালে প্রথম দেশ হিসেবে ফিলিপাইন পুষ্টিবর্ধক গোল্ডেন রাইসের অনুমোদন দেয়। গোল্ডেন রাইস হলো জিনগতভাবে পরিবর্তিত এক বিশেষ ধরনের ধান, যাতে ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে।
ধানের জিনগত পরিবর্তনের প্রযুক্তি এখন আরও অনেক দূর এগিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডের উদ্ভিদ কোষ সংকেত বিষয়ক গবেষক ও অধ্যাপক জুলি গ্রে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের রাইস রিসার্চ কনসোর্টিয়ামের জন্য খরা ও তাপসহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে কাজ করছেন।
অধ্যাপক জুলি গ্রে ও তাঁর সহকর্মীরা এমন ধানের গাছ তৈরি করছেন, যেগুলোর স্টোমাটা (পাতার ক্ষুদ্র রন্ধ্র, যার মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইড প্রবেশ করে ও পানি বেরিয়ে যায়) তুলনামূলক কম। এর লক্ষ্য হলো, এগুলো যাতে শুষ্ক পরিবেশে আরও সহনশীল হয়। ধানের মতো শস্য সাধারণত পরিবেশগত পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে না, কিন্তু বর্তমানে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অধ্যাপক গ্রে বলেন, শুধু ধান নয়, বেশির ভাগ শস্যজাতীয় গাছের স্টোমাটা খুব বেশি। যে কারণে তাদের পানি বেশি প্রয়োজন হয়। স্টোমাটার সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারলে গাছগুলো ভবিষ্যতের জলবায়ুর জন্য আরও উপযোগী হতে পারে।
এখনো অনেক মানুষ জিনগতভাবে পরিবর্তিত খাদ্যের প্রতি সংশয়ী। তাই সরাসরি জিনগত পরিবর্তনের পরিবর্তে সিলেক্টিভ ব্রিডিং পদ্ধতিতে নতুন জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন গ্রে। মূলত থাইল্যান্ডের গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে এ গবেষণা করছেন তিনি। তবে নতুন এই চাল এখনো তেমন সুস্বাদু নয়। এর স্বাদ প্রাকৃতিক চালের কাছাকাছি আনতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুধু ধানের জাত নয়, বদলে যাচ্ছে ধান চাষের পদ্ধতিও। ধান রোপণ থেকে শুরু করে সার ছিটানো, আগাছা চিহ্নিতকরণ এমনকি জমির পুষ্টিমান নির্ণয়ের কাজেও আজকাল ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। এতে চাষের পুরো প্রক্রিয়া আরও নিখুঁত ও কার্যকর হচ্ছে। কৃষিকাজে ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার পেছনে আরেকটি বড় কারণ হলো শ্রমিকের সংকট। এখন বেশির ভাগ মানুষ শহরমুখী। তাই মানুষের কাজ এখন প্রযুক্তিকে দিয়ে করিয়ে নিতে হচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রে খরচ একটি বড় বাধা।
ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটের ভারতীয় কো-অর্ডিনেটর জয়াহরি কে এম বলেন, ‘ভারতের প্রান্তিক মানুষেরা কৃষিকাজ করেন। তাঁদের আসলে এই খাতের জন্য প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের সামর্থ্য নেই। যদিও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা সংস্থা (ইআরআরআই) প্রান্তিক কৃষকদের জন্য ড্রোন ফর রাইস নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু বিশ্বের সব প্রান্তের সব কৃষকদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা একটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। প্রাথমিকভাবে গত বছর থেকে ফিলিপাইনে চালু হয়েছে এ প্রকল্প এবং একে সফল বলছেন স্থানীয় কৃষকেরা।’
এ ছাড়া ধানখেত চিহ্নিতকরণ, মিথেন নির্গমন অনুমান এমনকি ফলনের পূর্বাভাস পেতে ব্যবহার করা হচ্ছে স্যাটেলাইটও। সারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথিবী পর্যবেক্ষণ ও জলবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বেলেন মার্টি-কারডোনা বলেন, ‘আমাদের অনেক ধরনের প্যারামিটার প্রয়োজন, যেমন মাটির প্রকার, আবহাওয়ার তথ্য, তাপমাত্রা ও খেতের জলাবদ্ধতার অবস্থা। এসব নিরীক্ষায় সাহায্য করে স্যাটেলাইট।’
ধানের উৎপাদন হ্রাসের পেছনে একটি বড় কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। তবে গবেষণায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। ধান চাষের চিরাচরিত/প্রাচীন প্রক্রিয়াও জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, চিরাচরিত পদ্ধতিতে ধান চাষে ১২ শতাংশ পর্যন্ত মিথেন গ্যাসের নির্গমন হয়। এই মিথেন গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে ২৫ গুণ দ্রুত পৃথিবীকে উষ্ণ করে তোলে। এর পাশাপাশি ধান চাষে প্রচুর পরিমাণে পানি ব্যবহৃত হয়, প্রতি কিলোগ্রাম ধানের পেছনে প্রায় আড়াই হাজার লিটার, যা প্রায় ১৬টি বাথটাবভর্তি পানির সমান।
টেকসই ধান চাষের জন্য হাই-টেক সমাধান অপরিহার্য নয়, শুধু চাষের পদ্ধতি পরিবর্তন করলে তা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে—বলছেন গবেষকেরা। ধান চাষের একটি পরিবেশবান্ধব নতুন পদ্ধতি হচ্ছে, ডাইরেক্ট সিডেড রাইস। এখানে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির মতো জমি জলমগ্ন করে তাতে চারা রোপণ না করে সরাসরি মাঠে বীজ বপন করা হয়। এতে পানির ব্যবহার কমে, মাটির ক্ষতি হয় না এবং মিথেন গ্যাসের নির্গমন অনেক কম হয়।
রথামস্টেড রিসার্চ সেন্টারের গবেষক ড. স্মিতা কুরুপ বলেন, ‘ধান আসলে অতটা পানি চায় না, কিন্তু আমরা বছরের পর বছর এমন জাত বেছে নিয়েছি, যেগুলো পানিতে ভিজে থাকা জমিতে ভালো হয়। অথচ ধান শুষ্ক জমিতেও ভালোভাবে চাষ করা সম্ভব।’
স্মিতা কুরুপ শত শত ধানগাছ পরীক্ষা করে এ পদ্ধতির উপযোগী সেরা জাতগুলো নির্বাচন করেছেন, যাতে কৃষকেরা ফলন না কমিয়ে নতুনভাবে চাষ করতে পারেন। তবে চ্যালেঞ্জ হলো—প্রতিটি দেশের ধানের স্বাদ, গুণ ও রান্নার ধরন ভিন্ন, যেমন জেসমিন ধান, স্টিকি রাইস বা লম্বা দানার ধান। তাই প্রতিটি দেশে আলাদাভাবে উপযুক্ত জাত বাছাই করতে হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য তৈরি হয় চাল থেকে। কিন্তু এই মৌলিক খাদ্যশস্য এখন সংকটে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। কিন্তু অঞ্চলটি খরাপ্রবণ। এর পাশাপাশি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে দিন দিন কমছে ফলন। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে চালের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। মোটকথা চাল নিয়ে তৈরি হয়েছে বৈশ্বিক সংকট।
জাপানে প্রায় প্রতি বেলার খাবারে ‘ডনবুরি’ (ভাতের বাটি) অত্যাবশ্যকীয়, সেখানে ক্রমেই মূল্যবান হয়ে উঠছে চাল। ঊর্ধ্বমুখী এই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশটির সরকার তাদের জরুরি মজুতের ১ লাখ ৬৫ হাজার টন চাল নিলামে তুলেছে।
ফিলিপাইনেও ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি খাদ্য সংকটাবস্থা (ফুড সিকিউরিটি ইমার্জেন্সি)। সরকারের সংরক্ষিত চালও ছাড়া হয়েছে বাজারে।
বিশ্বজুড়ে চাহিদা মেটাতে ইন্দোনেশিয়ার সরকার নতুন করে আরও ১ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে ধান চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার পরিমাণ বৃহৎ লন্ডন শহরের ছয় গুণের সমান।
বিশ্বজুড়ে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়নের বেশি মানুষ চালের ওপর নির্ভরশীল। বিপুল এই জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগ বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর বাসিন্দা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চালের এই ঘাটতি যদি চলতে থাকে, তাহলে সবচেয়ে বেশি ভুগবে দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিরূপ পরিবেশে টিকে থাকতে পারে, এমন নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন গবেষকেরা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই ধারায় এক ধরনের বিপ্লব শুরু হয়েছে। যেখানে নতুন প্রযুক্তি চালের উৎপাদনকে আরও টেকসই ও প্রতিকূল পরিবেশে সহনশীল করে তুলছে। ২০২১ সালে প্রথম দেশ হিসেবে ফিলিপাইন পুষ্টিবর্ধক গোল্ডেন রাইসের অনুমোদন দেয়। গোল্ডেন রাইস হলো জিনগতভাবে পরিবর্তিত এক বিশেষ ধরনের ধান, যাতে ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে।
ধানের জিনগত পরিবর্তনের প্রযুক্তি এখন আরও অনেক দূর এগিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডের উদ্ভিদ কোষ সংকেত বিষয়ক গবেষক ও অধ্যাপক জুলি গ্রে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের রাইস রিসার্চ কনসোর্টিয়ামের জন্য খরা ও তাপসহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে কাজ করছেন।
অধ্যাপক জুলি গ্রে ও তাঁর সহকর্মীরা এমন ধানের গাছ তৈরি করছেন, যেগুলোর স্টোমাটা (পাতার ক্ষুদ্র রন্ধ্র, যার মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইড প্রবেশ করে ও পানি বেরিয়ে যায়) তুলনামূলক কম। এর লক্ষ্য হলো, এগুলো যাতে শুষ্ক পরিবেশে আরও সহনশীল হয়। ধানের মতো শস্য সাধারণত পরিবেশগত পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে না, কিন্তু বর্তমানে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অধ্যাপক গ্রে বলেন, শুধু ধান নয়, বেশির ভাগ শস্যজাতীয় গাছের স্টোমাটা খুব বেশি। যে কারণে তাদের পানি বেশি প্রয়োজন হয়। স্টোমাটার সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারলে গাছগুলো ভবিষ্যতের জলবায়ুর জন্য আরও উপযোগী হতে পারে।
এখনো অনেক মানুষ জিনগতভাবে পরিবর্তিত খাদ্যের প্রতি সংশয়ী। তাই সরাসরি জিনগত পরিবর্তনের পরিবর্তে সিলেক্টিভ ব্রিডিং পদ্ধতিতে নতুন জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন গ্রে। মূলত থাইল্যান্ডের গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে এ গবেষণা করছেন তিনি। তবে নতুন এই চাল এখনো তেমন সুস্বাদু নয়। এর স্বাদ প্রাকৃতিক চালের কাছাকাছি আনতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুধু ধানের জাত নয়, বদলে যাচ্ছে ধান চাষের পদ্ধতিও। ধান রোপণ থেকে শুরু করে সার ছিটানো, আগাছা চিহ্নিতকরণ এমনকি জমির পুষ্টিমান নির্ণয়ের কাজেও আজকাল ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। এতে চাষের পুরো প্রক্রিয়া আরও নিখুঁত ও কার্যকর হচ্ছে। কৃষিকাজে ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার পেছনে আরেকটি বড় কারণ হলো শ্রমিকের সংকট। এখন বেশির ভাগ মানুষ শহরমুখী। তাই মানুষের কাজ এখন প্রযুক্তিকে দিয়ে করিয়ে নিতে হচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রে খরচ একটি বড় বাধা।
ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটের ভারতীয় কো-অর্ডিনেটর জয়াহরি কে এম বলেন, ‘ভারতের প্রান্তিক মানুষেরা কৃষিকাজ করেন। তাঁদের আসলে এই খাতের জন্য প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের সামর্থ্য নেই। যদিও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা সংস্থা (ইআরআরআই) প্রান্তিক কৃষকদের জন্য ড্রোন ফর রাইস নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু বিশ্বের সব প্রান্তের সব কৃষকদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা একটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। প্রাথমিকভাবে গত বছর থেকে ফিলিপাইনে চালু হয়েছে এ প্রকল্প এবং একে সফল বলছেন স্থানীয় কৃষকেরা।’
এ ছাড়া ধানখেত চিহ্নিতকরণ, মিথেন নির্গমন অনুমান এমনকি ফলনের পূর্বাভাস পেতে ব্যবহার করা হচ্ছে স্যাটেলাইটও। সারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথিবী পর্যবেক্ষণ ও জলবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বেলেন মার্টি-কারডোনা বলেন, ‘আমাদের অনেক ধরনের প্যারামিটার প্রয়োজন, যেমন মাটির প্রকার, আবহাওয়ার তথ্য, তাপমাত্রা ও খেতের জলাবদ্ধতার অবস্থা। এসব নিরীক্ষায় সাহায্য করে স্যাটেলাইট।’
ধানের উৎপাদন হ্রাসের পেছনে একটি বড় কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। তবে গবেষণায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। ধান চাষের চিরাচরিত/প্রাচীন প্রক্রিয়াও জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, চিরাচরিত পদ্ধতিতে ধান চাষে ১২ শতাংশ পর্যন্ত মিথেন গ্যাসের নির্গমন হয়। এই মিথেন গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে ২৫ গুণ দ্রুত পৃথিবীকে উষ্ণ করে তোলে। এর পাশাপাশি ধান চাষে প্রচুর পরিমাণে পানি ব্যবহৃত হয়, প্রতি কিলোগ্রাম ধানের পেছনে প্রায় আড়াই হাজার লিটার, যা প্রায় ১৬টি বাথটাবভর্তি পানির সমান।
টেকসই ধান চাষের জন্য হাই-টেক সমাধান অপরিহার্য নয়, শুধু চাষের পদ্ধতি পরিবর্তন করলে তা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে—বলছেন গবেষকেরা। ধান চাষের একটি পরিবেশবান্ধব নতুন পদ্ধতি হচ্ছে, ডাইরেক্ট সিডেড রাইস। এখানে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির মতো জমি জলমগ্ন করে তাতে চারা রোপণ না করে সরাসরি মাঠে বীজ বপন করা হয়। এতে পানির ব্যবহার কমে, মাটির ক্ষতি হয় না এবং মিথেন গ্যাসের নির্গমন অনেক কম হয়।
রথামস্টেড রিসার্চ সেন্টারের গবেষক ড. স্মিতা কুরুপ বলেন, ‘ধান আসলে অতটা পানি চায় না, কিন্তু আমরা বছরের পর বছর এমন জাত বেছে নিয়েছি, যেগুলো পানিতে ভিজে থাকা জমিতে ভালো হয়। অথচ ধান শুষ্ক জমিতেও ভালোভাবে চাষ করা সম্ভব।’
স্মিতা কুরুপ শত শত ধানগাছ পরীক্ষা করে এ পদ্ধতির উপযোগী সেরা জাতগুলো নির্বাচন করেছেন, যাতে কৃষকেরা ফলন না কমিয়ে নতুনভাবে চাষ করতে পারেন। তবে চ্যালেঞ্জ হলো—প্রতিটি দেশের ধানের স্বাদ, গুণ ও রান্নার ধরন ভিন্ন, যেমন জেসমিন ধান, স্টিকি রাইস বা লম্বা দানার ধান। তাই প্রতিটি দেশে আলাদাভাবে উপযুক্ত জাত বাছাই করতে হচ্ছে।

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য তৈরি হয় চাল থেকে। কিন্তু এই মৌলিক খাদ্যশস্য এখন সংকটে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। কিন্তু অঞ্চলটি খরাপ্রবণ। এর পাশাপাশি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে দিন দিন কমছে ফলন। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে চালের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। মোটকথা চাল নিয়ে তৈরি হয়েছে বৈশ্বিক সংকট।
জাপানে প্রায় প্রতি বেলার খাবারে ‘ডনবুরি’ (ভাতের বাটি) অত্যাবশ্যকীয়, সেখানে ক্রমেই মূল্যবান হয়ে উঠছে চাল। ঊর্ধ্বমুখী এই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশটির সরকার তাদের জরুরি মজুতের ১ লাখ ৬৫ হাজার টন চাল নিলামে তুলেছে।
ফিলিপাইনেও ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি খাদ্য সংকটাবস্থা (ফুড সিকিউরিটি ইমার্জেন্সি)। সরকারের সংরক্ষিত চালও ছাড়া হয়েছে বাজারে।
বিশ্বজুড়ে চাহিদা মেটাতে ইন্দোনেশিয়ার সরকার নতুন করে আরও ১ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে ধান চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার পরিমাণ বৃহৎ লন্ডন শহরের ছয় গুণের সমান।
বিশ্বজুড়ে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়নের বেশি মানুষ চালের ওপর নির্ভরশীল। বিপুল এই জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগ বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর বাসিন্দা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চালের এই ঘাটতি যদি চলতে থাকে, তাহলে সবচেয়ে বেশি ভুগবে দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিরূপ পরিবেশে টিকে থাকতে পারে, এমন নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন গবেষকেরা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই ধারায় এক ধরনের বিপ্লব শুরু হয়েছে। যেখানে নতুন প্রযুক্তি চালের উৎপাদনকে আরও টেকসই ও প্রতিকূল পরিবেশে সহনশীল করে তুলছে। ২০২১ সালে প্রথম দেশ হিসেবে ফিলিপাইন পুষ্টিবর্ধক গোল্ডেন রাইসের অনুমোদন দেয়। গোল্ডেন রাইস হলো জিনগতভাবে পরিবর্তিত এক বিশেষ ধরনের ধান, যাতে ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে।
ধানের জিনগত পরিবর্তনের প্রযুক্তি এখন আরও অনেক দূর এগিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডের উদ্ভিদ কোষ সংকেত বিষয়ক গবেষক ও অধ্যাপক জুলি গ্রে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের রাইস রিসার্চ কনসোর্টিয়ামের জন্য খরা ও তাপসহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে কাজ করছেন।
অধ্যাপক জুলি গ্রে ও তাঁর সহকর্মীরা এমন ধানের গাছ তৈরি করছেন, যেগুলোর স্টোমাটা (পাতার ক্ষুদ্র রন্ধ্র, যার মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইড প্রবেশ করে ও পানি বেরিয়ে যায়) তুলনামূলক কম। এর লক্ষ্য হলো, এগুলো যাতে শুষ্ক পরিবেশে আরও সহনশীল হয়। ধানের মতো শস্য সাধারণত পরিবেশগত পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে না, কিন্তু বর্তমানে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অধ্যাপক গ্রে বলেন, শুধু ধান নয়, বেশির ভাগ শস্যজাতীয় গাছের স্টোমাটা খুব বেশি। যে কারণে তাদের পানি বেশি প্রয়োজন হয়। স্টোমাটার সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারলে গাছগুলো ভবিষ্যতের জলবায়ুর জন্য আরও উপযোগী হতে পারে।
এখনো অনেক মানুষ জিনগতভাবে পরিবর্তিত খাদ্যের প্রতি সংশয়ী। তাই সরাসরি জিনগত পরিবর্তনের পরিবর্তে সিলেক্টিভ ব্রিডিং পদ্ধতিতে নতুন জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন গ্রে। মূলত থাইল্যান্ডের গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে এ গবেষণা করছেন তিনি। তবে নতুন এই চাল এখনো তেমন সুস্বাদু নয়। এর স্বাদ প্রাকৃতিক চালের কাছাকাছি আনতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুধু ধানের জাত নয়, বদলে যাচ্ছে ধান চাষের পদ্ধতিও। ধান রোপণ থেকে শুরু করে সার ছিটানো, আগাছা চিহ্নিতকরণ এমনকি জমির পুষ্টিমান নির্ণয়ের কাজেও আজকাল ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। এতে চাষের পুরো প্রক্রিয়া আরও নিখুঁত ও কার্যকর হচ্ছে। কৃষিকাজে ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার পেছনে আরেকটি বড় কারণ হলো শ্রমিকের সংকট। এখন বেশির ভাগ মানুষ শহরমুখী। তাই মানুষের কাজ এখন প্রযুক্তিকে দিয়ে করিয়ে নিতে হচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রে খরচ একটি বড় বাধা।
ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটের ভারতীয় কো-অর্ডিনেটর জয়াহরি কে এম বলেন, ‘ভারতের প্রান্তিক মানুষেরা কৃষিকাজ করেন। তাঁদের আসলে এই খাতের জন্য প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের সামর্থ্য নেই। যদিও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা সংস্থা (ইআরআরআই) প্রান্তিক কৃষকদের জন্য ড্রোন ফর রাইস নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু বিশ্বের সব প্রান্তের সব কৃষকদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা একটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। প্রাথমিকভাবে গত বছর থেকে ফিলিপাইনে চালু হয়েছে এ প্রকল্প এবং একে সফল বলছেন স্থানীয় কৃষকেরা।’
এ ছাড়া ধানখেত চিহ্নিতকরণ, মিথেন নির্গমন অনুমান এমনকি ফলনের পূর্বাভাস পেতে ব্যবহার করা হচ্ছে স্যাটেলাইটও। সারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথিবী পর্যবেক্ষণ ও জলবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বেলেন মার্টি-কারডোনা বলেন, ‘আমাদের অনেক ধরনের প্যারামিটার প্রয়োজন, যেমন মাটির প্রকার, আবহাওয়ার তথ্য, তাপমাত্রা ও খেতের জলাবদ্ধতার অবস্থা। এসব নিরীক্ষায় সাহায্য করে স্যাটেলাইট।’
ধানের উৎপাদন হ্রাসের পেছনে একটি বড় কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। তবে গবেষণায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। ধান চাষের চিরাচরিত/প্রাচীন প্রক্রিয়াও জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, চিরাচরিত পদ্ধতিতে ধান চাষে ১২ শতাংশ পর্যন্ত মিথেন গ্যাসের নির্গমন হয়। এই মিথেন গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে ২৫ গুণ দ্রুত পৃথিবীকে উষ্ণ করে তোলে। এর পাশাপাশি ধান চাষে প্রচুর পরিমাণে পানি ব্যবহৃত হয়, প্রতি কিলোগ্রাম ধানের পেছনে প্রায় আড়াই হাজার লিটার, যা প্রায় ১৬টি বাথটাবভর্তি পানির সমান।
টেকসই ধান চাষের জন্য হাই-টেক সমাধান অপরিহার্য নয়, শুধু চাষের পদ্ধতি পরিবর্তন করলে তা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে—বলছেন গবেষকেরা। ধান চাষের একটি পরিবেশবান্ধব নতুন পদ্ধতি হচ্ছে, ডাইরেক্ট সিডেড রাইস। এখানে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির মতো জমি জলমগ্ন করে তাতে চারা রোপণ না করে সরাসরি মাঠে বীজ বপন করা হয়। এতে পানির ব্যবহার কমে, মাটির ক্ষতি হয় না এবং মিথেন গ্যাসের নির্গমন অনেক কম হয়।
রথামস্টেড রিসার্চ সেন্টারের গবেষক ড. স্মিতা কুরুপ বলেন, ‘ধান আসলে অতটা পানি চায় না, কিন্তু আমরা বছরের পর বছর এমন জাত বেছে নিয়েছি, যেগুলো পানিতে ভিজে থাকা জমিতে ভালো হয়। অথচ ধান শুষ্ক জমিতেও ভালোভাবে চাষ করা সম্ভব।’
স্মিতা কুরুপ শত শত ধানগাছ পরীক্ষা করে এ পদ্ধতির উপযোগী সেরা জাতগুলো নির্বাচন করেছেন, যাতে কৃষকেরা ফলন না কমিয়ে নতুনভাবে চাষ করতে পারেন। তবে চ্যালেঞ্জ হলো—প্রতিটি দেশের ধানের স্বাদ, গুণ ও রান্নার ধরন ভিন্ন, যেমন জেসমিন ধান, স্টিকি রাইস বা লম্বা দানার ধান। তাই প্রতিটি দেশে আলাদাভাবে উপযুক্ত জাত বাছাই করতে হচ্ছে।

বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
১২ ঘণ্টা আগে
রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড।
১২ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীরা এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্রেস্ট হেলথ অ্যাসেসমেন্ট রুমে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চেকআপ করাতে পারবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আগাম জাতের শিম, মুলা, ফুলকপি ও লাউয়ের সরবরাহ গত এক সপ্তাহে ব্যাপক বেড়েছে। এতে অন্যান্য সবজির চাহিদা ও দাম দুটোই কমছে। আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে টমেটো, শালগম, গাজর, ব্রোকলি ও লালশাকসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাবে, তখন দাম আরও কমে আসবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, মুগদা, মানিকনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগেও এটি বিক্রি হয়েছিল ২২০-২৪০ টাকা কেজি।
গত সপ্তাহে যে ফুলকপি প্রতিটি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, গতকাল তা ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া গেছে। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫০-৬০ টাকা। ভালো মানের লাউ এখন পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি ৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারের অন্যান্য সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা কেজি। বেগুন ৮০, যা ছিল ১০০ টাকা কেজি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০, যা ছিল ৮০ টাকা কেজি। বরবটি ৭০-৮০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০-১০০ টাকা কেজি। কমেছে জলপাইয়ের দামও। জলপাই পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজিতে, গত সপ্তাহে যা ছিল ১০০ টাকার আশপাশে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শীত মৌসুমে দেশে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, শালগম, টমেটো, আলু, গাজর, বেগুন, মুলা, লাউ, শিম, পালংশাক, লালশাকসহ ৩০ ধরনের সবজি উৎপাদন হয়। আর গ্রীষ্মকালে হয় ১৬ ধরনের সবজি। দেশে শীত এবং গ্রীষ্ম মিলে বছরে মোট ৫৫ দশমিক ৫০ লাখ টনের বেশি সবজি উৎপাদন হয়, যার মধ্যে প্রায় ৪০ লাখ টনই উৎপাদন হয় শীত মৌসুমে। বাকিটা গ্রীষ্মকালে।
অপরিবর্তিত রয়েছে কাঁচা মরিচ, টমেটো, কচুর মুখীসহ কিছু সবজির দাম। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০, টমেটো-১২০ ও কচুর মুখী প্রতি কেজি ৫০ টাকায়। কিছুটা বেশি দেখা গেছে শসার দাম। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই বেশি ছিল। তার ওপর এখন আবার একটু একটু করে বাড়ছে। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনতে এখন ৮৫-৯০ টাকা কেজি লাগছে, যা এক সপ্তাহ আগে ৮০-৮৫ টাকায় পাওয়া যেত। অবশ্য আকারে কিছুটা ছোট পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজি, যা ৭০-৭৫ টাকা ছিল।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. খলিলুর রহমান বলেন, পাবনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা গত বছরের পেঁয়াজ বিক্রি করে নতুন আবাদ করছেন। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদি আমদানি না হয়, তবে আগামী এক-দেড় মাস দাম বেশিই থাকবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশে দুই ধরনের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে প্রধান পেঁয়াজ হলো ‘হালি’ পেঁয়াজ, যা সংরক্ষণ করা যায় এবং সারা বছরের চাহিদা পূরণ হয়। ডিসেম্বরে এই পেঁয়াজের আবাদ হয়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাজারে আসে। এর আগে অক্টোবরে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়. যা ডিসেম্বরের শুরুতেই বাজারে আসে। এই পেঁয়াজের উৎপাদন অল্প হলেও মধ্যবর্তী চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে গত মৌসুমের হালি পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষের দিকে। আগামী ডিসেম্বরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসার আগপর্যন্ত দাম কিছুটা চড়া থাকবে।
সবজি ও পেঁয়াজ ছাড়া ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, আটা ও ময়দাসহ অন্যান্য মুদিপণ্য গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে।
এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিক্রেতারা। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা ডজন।

বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আগাম জাতের শিম, মুলা, ফুলকপি ও লাউয়ের সরবরাহ গত এক সপ্তাহে ব্যাপক বেড়েছে। এতে অন্যান্য সবজির চাহিদা ও দাম দুটোই কমছে। আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে টমেটো, শালগম, গাজর, ব্রোকলি ও লালশাকসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাবে, তখন দাম আরও কমে আসবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, মুগদা, মানিকনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগেও এটি বিক্রি হয়েছিল ২২০-২৪০ টাকা কেজি।
গত সপ্তাহে যে ফুলকপি প্রতিটি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, গতকাল তা ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া গেছে। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫০-৬০ টাকা। ভালো মানের লাউ এখন পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি ৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারের অন্যান্য সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা কেজি। বেগুন ৮০, যা ছিল ১০০ টাকা কেজি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০, যা ছিল ৮০ টাকা কেজি। বরবটি ৭০-৮০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০-১০০ টাকা কেজি। কমেছে জলপাইয়ের দামও। জলপাই পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজিতে, গত সপ্তাহে যা ছিল ১০০ টাকার আশপাশে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শীত মৌসুমে দেশে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, শালগম, টমেটো, আলু, গাজর, বেগুন, মুলা, লাউ, শিম, পালংশাক, লালশাকসহ ৩০ ধরনের সবজি উৎপাদন হয়। আর গ্রীষ্মকালে হয় ১৬ ধরনের সবজি। দেশে শীত এবং গ্রীষ্ম মিলে বছরে মোট ৫৫ দশমিক ৫০ লাখ টনের বেশি সবজি উৎপাদন হয়, যার মধ্যে প্রায় ৪০ লাখ টনই উৎপাদন হয় শীত মৌসুমে। বাকিটা গ্রীষ্মকালে।
অপরিবর্তিত রয়েছে কাঁচা মরিচ, টমেটো, কচুর মুখীসহ কিছু সবজির দাম। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০, টমেটো-১২০ ও কচুর মুখী প্রতি কেজি ৫০ টাকায়। কিছুটা বেশি দেখা গেছে শসার দাম। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই বেশি ছিল। তার ওপর এখন আবার একটু একটু করে বাড়ছে। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনতে এখন ৮৫-৯০ টাকা কেজি লাগছে, যা এক সপ্তাহ আগে ৮০-৮৫ টাকায় পাওয়া যেত। অবশ্য আকারে কিছুটা ছোট পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজি, যা ৭০-৭৫ টাকা ছিল।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. খলিলুর রহমান বলেন, পাবনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা গত বছরের পেঁয়াজ বিক্রি করে নতুন আবাদ করছেন। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদি আমদানি না হয়, তবে আগামী এক-দেড় মাস দাম বেশিই থাকবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশে দুই ধরনের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে প্রধান পেঁয়াজ হলো ‘হালি’ পেঁয়াজ, যা সংরক্ষণ করা যায় এবং সারা বছরের চাহিদা পূরণ হয়। ডিসেম্বরে এই পেঁয়াজের আবাদ হয়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাজারে আসে। এর আগে অক্টোবরে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়. যা ডিসেম্বরের শুরুতেই বাজারে আসে। এই পেঁয়াজের উৎপাদন অল্প হলেও মধ্যবর্তী চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে গত মৌসুমের হালি পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষের দিকে। আগামী ডিসেম্বরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসার আগপর্যন্ত দাম কিছুটা চড়া থাকবে।
সবজি ও পেঁয়াজ ছাড়া ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, আটা ও ময়দাসহ অন্যান্য মুদিপণ্য গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে।
এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিক্রেতারা। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা ডজন।

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য তৈরি হয় চাল থেকে। কিন্তু এই মৌলিক খাদ্যশস্য এখন সংকটে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। কিন্তু অঞ্চলটি খরাপ্রবণ। এর পাশাপাশি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে দিন দিন কমছে ফলন। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে চালের দাম এখন
৩০ এপ্রিল ২০২৫
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
১২ ঘণ্টা আগে
রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড।
১২ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীরা এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্রেস্ট হেলথ অ্যাসেসমেন্ট রুমে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চেকআপ করাতে পারবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না। বিমা কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
বিমা কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ বিমা মূলত শুধু বিমানে পরিবহনের সময়কার ঝুঁকি; যেমন বিমান দুর্ঘটনা, হাইজ্যাক বা জোরপূর্বক অবতরণজনিত ক্ষতি কভার করে। ফলে কার্গো ভিলেজে পুড়ে যাওয়া মালামালের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ পাওয়া সম্ভব নয়।
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে জানালেন, অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানিকারকদের আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, ‘আইনের কারণে আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু অধিকাংশই ক্ষতিপূরণ পাবেন না। সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা, কারণ সরকারি জিম্মায় মালামাল পুড়ে তাঁরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।’
রংপুরের মেসার্স মহুবর রহমান পার্টিকেল মিলস লিমিটেড ৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার মালামাল চীন থেকে আমদানি করেছিল। এলসি শর্ত অনুযায়ী বিমা বাধ্যতামূলক হওয়ায় তিনি ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজের আওতায় বিমা করেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংকের মাধ্যমে বিমা করা হয়। দালালেরাই করিয়ে দেয়, আমরা সবটা জানি না।’
একই অবস্থায় আছে টাঙ্গাইলের ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। তাদের ৯৪ হাজার টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কায়সার আলম জানান, বিমা কোম্পানি প্রিমিয়াম কম হওয়ায় ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজে বিমা দিয়েছে, ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ নেই।
সিএনএফ এজেন্ট ও এসজিএস কোম্পানির মাসুদ বকুল বলেন, ‘এ ধরনের দুর্ঘটনা আগে হয়নি। খরচ কমাতে আমরা এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজই ব্যবহার করি।’
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, সেক্টরে এখন পর্যন্ত ৩০০ চালানের কনসাইনমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু বিমা কোম্পানিগুলো গোপন শর্তে দাবি পরিশোধ করছে না। ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাচ্ছে না।’
আইন অনুযায়ী, আমদানিকারকেরা স্থানীয়ভাবে বিমা করা বাধ্যতামূলক হলেও ব্যবসায়ীরা প্রিমিয়াম কমাতে বিদেশে, বিশেষত সরবরাহকারীর দেশে বিমা করেন। ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্সের সিইও হাসান তারেক বলেন, ‘কম প্রিমিয়ামের কারণে অনেকে এয়ার রিস্ক অনলি নেন, কিন্তু এতে কভারেজ সীমিত। নিরাপত্তার জন্য এয়ার অল রিস্ক পলিসি নেওয়াই উত্তম।’
বিমা বিশেষজ্ঞ এ কে এম এহসানুল হক (এফসিআইআই) বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সাধারণত ইনস্টিটিউট কার্গো ক্লজ (এয়ার) ব্যবহৃত হয়, যেখানে ওয়্যারহাউস টু ওয়্যারহাউস পর্যন্ত কভারেজ থাকে। ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত নয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলম বলেন, ‘আগুনে পোড়ার ঘটনায় হয়তো ১০০-১৫০ কোটি টাকার বিমা দাবি হতে পারে। কোনোভাবে এটা ১০-১২ হাজার কোটি টাকা হবে না।’ এ ছাড়া বেবিচকের কার্গো ভিলেজে সর্বোচ্চ বিমা রয়েছে মাত্র ২০ লাখ টাকা।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) জানায়, অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কেউ বিমা দাবি করতে পারবে না। আইডিআরএর মুখপাত্র সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, ‘বিমা দাবি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য বিমা কোম্পানিগুলোকে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।’

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না। বিমা কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
বিমা কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ বিমা মূলত শুধু বিমানে পরিবহনের সময়কার ঝুঁকি; যেমন বিমান দুর্ঘটনা, হাইজ্যাক বা জোরপূর্বক অবতরণজনিত ক্ষতি কভার করে। ফলে কার্গো ভিলেজে পুড়ে যাওয়া মালামালের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ পাওয়া সম্ভব নয়।
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে জানালেন, অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানিকারকদের আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, ‘আইনের কারণে আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু অধিকাংশই ক্ষতিপূরণ পাবেন না। সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা, কারণ সরকারি জিম্মায় মালামাল পুড়ে তাঁরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।’
রংপুরের মেসার্স মহুবর রহমান পার্টিকেল মিলস লিমিটেড ৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার মালামাল চীন থেকে আমদানি করেছিল। এলসি শর্ত অনুযায়ী বিমা বাধ্যতামূলক হওয়ায় তিনি ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজের আওতায় বিমা করেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংকের মাধ্যমে বিমা করা হয়। দালালেরাই করিয়ে দেয়, আমরা সবটা জানি না।’
একই অবস্থায় আছে টাঙ্গাইলের ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। তাদের ৯৪ হাজার টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কায়সার আলম জানান, বিমা কোম্পানি প্রিমিয়াম কম হওয়ায় ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজে বিমা দিয়েছে, ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ নেই।
সিএনএফ এজেন্ট ও এসজিএস কোম্পানির মাসুদ বকুল বলেন, ‘এ ধরনের দুর্ঘটনা আগে হয়নি। খরচ কমাতে আমরা এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজই ব্যবহার করি।’
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, সেক্টরে এখন পর্যন্ত ৩০০ চালানের কনসাইনমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু বিমা কোম্পানিগুলো গোপন শর্তে দাবি পরিশোধ করছে না। ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাচ্ছে না।’
আইন অনুযায়ী, আমদানিকারকেরা স্থানীয়ভাবে বিমা করা বাধ্যতামূলক হলেও ব্যবসায়ীরা প্রিমিয়াম কমাতে বিদেশে, বিশেষত সরবরাহকারীর দেশে বিমা করেন। ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্সের সিইও হাসান তারেক বলেন, ‘কম প্রিমিয়ামের কারণে অনেকে এয়ার রিস্ক অনলি নেন, কিন্তু এতে কভারেজ সীমিত। নিরাপত্তার জন্য এয়ার অল রিস্ক পলিসি নেওয়াই উত্তম।’
বিমা বিশেষজ্ঞ এ কে এম এহসানুল হক (এফসিআইআই) বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সাধারণত ইনস্টিটিউট কার্গো ক্লজ (এয়ার) ব্যবহৃত হয়, যেখানে ওয়্যারহাউস টু ওয়্যারহাউস পর্যন্ত কভারেজ থাকে। ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত নয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলম বলেন, ‘আগুনে পোড়ার ঘটনায় হয়তো ১০০-১৫০ কোটি টাকার বিমা দাবি হতে পারে। কোনোভাবে এটা ১০-১২ হাজার কোটি টাকা হবে না।’ এ ছাড়া বেবিচকের কার্গো ভিলেজে সর্বোচ্চ বিমা রয়েছে মাত্র ২০ লাখ টাকা।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) জানায়, অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কেউ বিমা দাবি করতে পারবে না। আইডিআরএর মুখপাত্র সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, ‘বিমা দাবি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য বিমা কোম্পানিগুলোকে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।’

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য তৈরি হয় চাল থেকে। কিন্তু এই মৌলিক খাদ্যশস্য এখন সংকটে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। কিন্তু অঞ্চলটি খরাপ্রবণ। এর পাশাপাশি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে দিন দিন কমছে ফলন। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে চালের দাম এখন
৩০ এপ্রিল ২০২৫
বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড।
১২ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীরা এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্রেস্ট হেলথ অ্যাসেসমেন্ট রুমে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চেকআপ করাতে পারবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড। একই দিনে খোলাবাজারে ডলারের ক্রয়মূল্য ছিল ১২৪ টাকা, বিক্রয়মূল্য ১২৫ টাকা ২০ পয়সা। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন পর ব্যাংক ও খোলাবাজারের ডলারের রেট কাছাকাছি অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ন্যাশনাল ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, আইএফআইসি, কমিউনিটি ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংকের নগদ ডলার বিক্রিমূল্য ছিল ১২৪ টাকা। আর এবি ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংকের রেট যথাক্রমে ১২৩ টাকা ৯৫ পয়সা ও ১২৩ টাকা ৯০ পয়সা। অন্যদিকে অগ্রণী ব্যাংকের বিক্রিমূল্য সর্বোচ্চ ১২২ টাকা ৯০ পয়সা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বিক্রিমূল্য ছিল ১২২ টাকা ৭০ পয়সা। একই সময়ে আন্তব্যাংক রেট ছিল ১২২ টাকা ৫০ পয়সা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘সাময়িক হলেও হঠাৎ প্রবাসীদের রেমিট্যান্স কিছুটা মন্থর হয়ে গেছে অথচ রমজানকে কেন্দ্র করে এলসি খোলার চাপ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ডলারের দরে। বিষয়টির প্রতি আমরা নজর রাখছি, জানান তিনি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি তিন মাসে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার কিনেছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন,ডলারের দাম কিছুটা বেশি রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকই ইঙ্গিত দিয়েছে। এ ছাড়া আমদানির ও সরকারি পেমেন্ট বেড়ে যাওয়ায় দরও বেড়েছে।

রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড। একই দিনে খোলাবাজারে ডলারের ক্রয়মূল্য ছিল ১২৪ টাকা, বিক্রয়মূল্য ১২৫ টাকা ২০ পয়সা। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন পর ব্যাংক ও খোলাবাজারের ডলারের রেট কাছাকাছি অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ন্যাশনাল ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, আইএফআইসি, কমিউনিটি ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংকের নগদ ডলার বিক্রিমূল্য ছিল ১২৪ টাকা। আর এবি ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংকের রেট যথাক্রমে ১২৩ টাকা ৯৫ পয়সা ও ১২৩ টাকা ৯০ পয়সা। অন্যদিকে অগ্রণী ব্যাংকের বিক্রিমূল্য সর্বোচ্চ ১২২ টাকা ৯০ পয়সা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বিক্রিমূল্য ছিল ১২২ টাকা ৭০ পয়সা। একই সময়ে আন্তব্যাংক রেট ছিল ১২২ টাকা ৫০ পয়সা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘সাময়িক হলেও হঠাৎ প্রবাসীদের রেমিট্যান্স কিছুটা মন্থর হয়ে গেছে অথচ রমজানকে কেন্দ্র করে এলসি খোলার চাপ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ডলারের দরে। বিষয়টির প্রতি আমরা নজর রাখছি, জানান তিনি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি তিন মাসে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার কিনেছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন,ডলারের দাম কিছুটা বেশি রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকই ইঙ্গিত দিয়েছে। এ ছাড়া আমদানির ও সরকারি পেমেন্ট বেড়ে যাওয়ায় দরও বেড়েছে।

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য তৈরি হয় চাল থেকে। কিন্তু এই মৌলিক খাদ্যশস্য এখন সংকটে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। কিন্তু অঞ্চলটি খরাপ্রবণ। এর পাশাপাশি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে দিন দিন কমছে ফলন। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে চালের দাম এখন
৩০ এপ্রিল ২০২৫
বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
১২ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীরা এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্রেস্ট হেলথ অ্যাসেসমেন্ট রুমে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চেকআপ করাতে পারবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা মাস উপলক্ষে নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বিনা মূল্যে ব্রেস্ট হেলথ চেকআপ ক্যাম্পেইন। ২৩-৩১ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইনটি চলবে।
বর্তমানে নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীরা এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্রেস্ট হেলথ অ্যাসেসমেন্ট রুমে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চেকআপ করাতে পারবেন। চেকআপ ছাড়াও এখানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনে পরবর্তী চিকিৎসাসংক্রান্ত পরামর্শ গ্রহণেরও সুযোগ থাকবে।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের মেডিকেল ও রেডিয়েশন অনকোলোজি বিভাগের ভিজিটিং সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ব্রেস্ট ক্যানসার এমন একটি রোগ, যা রোগীরা প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রেস্ট সেলফ এক্সামিনেশন (Breast Self-Examination পদ্ধতিতে নিজেরাই শনাক্ত করতে পারবেন। সেটি করা গেলে ব্রেস্ট ক্যানসার চিকিৎসাযোগ্য ও প্রতিরোধযোগ্য। তাই সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্র থেকে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, কোনো প্রকার অবহেলা না করে বরং ব্রেস্ট ক্যানসার রোগীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। হাসপাতালগুলোয় স্ক্রিনিং ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে, লক্ষণ দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে রোগীকে ডায়াগনসিসের আওতায় আনতে হবে এবং পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, দেশের মা-বোনেরা যদি সুস্থ থাকে, তবে আপনিও ভালো থাকবেন, আর সুস্থ সমাজ গঠনও সম্ভব হবে।’
হসপিটালের বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবছর বাংলাদেশে ১২ থেকে ১৪ হাজারের বেশি নারী ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তবে বেশির ভাগ রোগীই চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসা শুরু করেন। অথচ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক পর্যায়ে চেকআপের মাধ্যমে এই রোগের ঝুঁকি কমানো ও জীবন বাঁচানো সম্ভব।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বরাবরই নারীদের সুস্থতার জন্য কাজ করে থাকে। রোগীরা এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় চেকআপ, ক্যানসার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পাবেন। এ ছাড়া রোগীদের নিয়মিতভাবে চিকিৎসা-পরবর্তী মনিটরিং সেবাও এখানে দেওয়া হয়ে থাকে।
সমাজের সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের অংশ হিসেবে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বছরব্যাপী বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবামূলক ক্যাম্পেইন আয়োজন করে। এসব উদ্যোগের লক্ষ্য শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, একই সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুস্থ সমাজ গঠন করা।
ফ্রি ব্রেস্ট হেলথ চেকআপ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে কিংবা অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগ করুন ০৯৬১০-৮০০৪৪৪ হটলাইন নম্বরে।

ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা মাস উপলক্ষে নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বিনা মূল্যে ব্রেস্ট হেলথ চেকআপ ক্যাম্পেইন। ২৩-৩১ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইনটি চলবে।
বর্তমানে নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীরা এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্রেস্ট হেলথ অ্যাসেসমেন্ট রুমে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চেকআপ করাতে পারবেন। চেকআপ ছাড়াও এখানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনে পরবর্তী চিকিৎসাসংক্রান্ত পরামর্শ গ্রহণেরও সুযোগ থাকবে।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের মেডিকেল ও রেডিয়েশন অনকোলোজি বিভাগের ভিজিটিং সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ব্রেস্ট ক্যানসার এমন একটি রোগ, যা রোগীরা প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রেস্ট সেলফ এক্সামিনেশন (Breast Self-Examination পদ্ধতিতে নিজেরাই শনাক্ত করতে পারবেন। সেটি করা গেলে ব্রেস্ট ক্যানসার চিকিৎসাযোগ্য ও প্রতিরোধযোগ্য। তাই সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্র থেকে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, কোনো প্রকার অবহেলা না করে বরং ব্রেস্ট ক্যানসার রোগীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। হাসপাতালগুলোয় স্ক্রিনিং ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে, লক্ষণ দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে রোগীকে ডায়াগনসিসের আওতায় আনতে হবে এবং পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, দেশের মা-বোনেরা যদি সুস্থ থাকে, তবে আপনিও ভালো থাকবেন, আর সুস্থ সমাজ গঠনও সম্ভব হবে।’
হসপিটালের বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবছর বাংলাদেশে ১২ থেকে ১৪ হাজারের বেশি নারী ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তবে বেশির ভাগ রোগীই চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসা শুরু করেন। অথচ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক পর্যায়ে চেকআপের মাধ্যমে এই রোগের ঝুঁকি কমানো ও জীবন বাঁচানো সম্ভব।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বরাবরই নারীদের সুস্থতার জন্য কাজ করে থাকে। রোগীরা এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় চেকআপ, ক্যানসার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পাবেন। এ ছাড়া রোগীদের নিয়মিতভাবে চিকিৎসা-পরবর্তী মনিটরিং সেবাও এখানে দেওয়া হয়ে থাকে।
সমাজের সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের অংশ হিসেবে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বছরব্যাপী বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবামূলক ক্যাম্পেইন আয়োজন করে। এসব উদ্যোগের লক্ষ্য শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, একই সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুস্থ সমাজ গঠন করা।
ফ্রি ব্রেস্ট হেলথ চেকআপ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে কিংবা অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগ করুন ০৯৬১০-৮০০৪৪৪ হটলাইন নম্বরে।

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য তৈরি হয় চাল থেকে। কিন্তু এই মৌলিক খাদ্যশস্য এখন সংকটে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। কিন্তু অঞ্চলটি খরাপ্রবণ। এর পাশাপাশি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে দিন দিন কমছে ফলন। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে চালের দাম এখন
৩০ এপ্রিল ২০২৫
বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
১২ ঘণ্টা আগে
রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড।
১২ ঘণ্টা আগে