Ajker Patrika

নিত্যপণ্যের দাম বছরজুড়ে যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে কাজ চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিত্যপণ্যের দাম বছরজুড়ে যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে কাজ চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

নিত্যপণ্যগুলোর দাম যাতে সারা বছরই যৌক্তিক পর্যায়ে থাকে আগামী বাজেটের আগেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এনবিআরের সঙ্গে কথা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। আজ রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান তিনি। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বাজেটের আগেই এসেনশিয়াল কমোডিটিগুলো (নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য) যেন সারা বছর একটা যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে পারি সে বিষয়ে এনবিআরের সঙ্গে কথা হয়েছে; যাতে শেষ মুহূর্তে এসে আমাদের পরিকল্পনার কারেকশন করতে না হয়। একই সঙ্গে আমাদের আমদানিকারক ও উৎপাদক যারা আছেন তাদের জন্য ১২ মাসের একটা পরিকল্পনা হলে সুবিধা হয়।’ 

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারের যে অবস্থাই হোক—আগামী দুই থেকে তিন মাস অর্থাৎ কোরবানির ঈদ পর্যন্ত আমাদের পণ্যের সরবরাহ বিশেষ করে ভোজ্য তেল যথেষ্ট পরিমাণে আমদানি করা হয়েছে, চিনি নিয়েও কোনো সমস্যা নেই, চিনি নিয়ে সব মিল মালিক ও পাইকারি বিক্রেতার আশ্বস্ত করেছেন—নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়েও কোনো সমস্যা হবে না।’ 

উৎপাদিত কৃষি পণ্যের বাজারদরও অনেকটা যৌক্তিক পর্যায়ে চলে এসেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু পণ্যের যৌক্তিক যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তার থেকেও কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এটা রমজানে অনেকের জন্য সাশ্রয়ী।’ তিনি আরও বলেন, ‘টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি পরিবারকে যে চাল, চিনি, তেল, ডাল ও ছোলা দেওয়া হচ্ছে এটাতে উপজেলা শহরগুলোতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। একই সঙ্গে বাজারে নতুন সবজি ওঠায় সবজির বাজারেও স্বস্তি এসেছে।’ 

প্রতিমন্ত্রী জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আজ রোববার রাতেই ট্রেন বাংলাদেশে আসবে। প্রথম চালানে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসবে। তিনি বলেন, ‘ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রামে এই পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। যেহেতু পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য সেহেতু আমরা ধরে রাখব না। কাল থেকে আমরা ডিলারদের কাছ থেকে জমা নেওয়া শুরু করব।’ 

আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘গত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম ২৫ শতাংশ বাড়লেও দেশের বাজারে ২-৪ শতাংশের বেশি দাম বাড়েনি। গত এক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম ওয়েলের দাম ১১-১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেলেও আমদানিকারক ও মিল মালিকদের সহযোগিতায় কমে বিক্রি করতে সমর্থ হয়েছি।’ 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরু চাল, চিকন চাল ও মোটা চাল—এই পদ্ধতি থেকে বের হয়ে এসে জাতভিত্তিক চাল মিল পর্যায়ে, পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রির একটি রূপরেখা তৈরি হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মিলে এটা কার্যকর করে জানিয়ে দেওয়া হবে। আগামী পয়লা বৈশাখ থেকে এটা কার্যকর হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত