জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
মোবাইল ফোনের কয়েকটি ট্যাপেই এখন বিদ্যুৎ বিল দেওয়া যায়, গ্রামে মায়ের হাতে টাকা পৌঁছে যায়, শহরের দোকানে কেনাকাটা করা যায়—সবকিছুই সহজ হয়ে গেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কারণে। নগদ টাকা হাতে রাখার প্রয়োজন কমে আসছে, ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে মানুষ। টাকা পাঠানো ছাড়াও দৈনন্দিন কেনাকাটা থেকে শুরু করে নানা লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিং এখন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক বেড়েছে ১ কোটির বেশি, যদিও একই সময় লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নিবন্ধিত গ্রাহক ছিল ২৩ কোটি ৯৩ লাখ। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ কোটির বেশি, মাত্র এক মাসে নতুন যোগ হয় ১ কোটি ১৪ লাখ গ্রাহক। তবে গ্রাহক বাড়লেও ফেব্রুয়ারিতে লেনদেন কমেছে। জানুয়ারিতে যেখানে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারিতে তা কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮০ কোটি টাকায়।
লেনদেনের ধরন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে ক্যাশ ইন বা জমা হয়েছে ৪৫ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা, যা জানুয়ারির তুলনায় ৩ হাজার ২৬১ কোটি টাকা কম। একই সময়ে ক্যাশ আউট বা উত্তোলন হয়েছে ৫১ হাজার ২১২ কোটি টাকা, যা জানুয়ারির তুলনায় ৪ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা কম। ইউটিলিটি বিল পরিশোধে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা, বেতন-ভাতা বিতরণে ৫ হাজার ৭৫ কোটি টাকা এবং মার্চেন্ট পেমেন্ট বা কেনাকাটায় লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা। বিদেশ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এসেছে ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকার রেমিট্যান্স।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘আমরা দেশকে ক্যাশলেস সোসাইটিতে রূপান্তর করার লক্ষ্যে কাজ করছি। এ যাত্রায় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস একটি বড় ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে ব্যাংকিং সেবার আওতার বাইরে থাকা দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ এমএফএস ব্যবহার করে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যুক্ত হচ্ছেন।’
প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বিস্তৃতি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। গাড়িচালক, নিরাপত্তাকর্মী, গৃহকর্মী থেকে শুরু করে পোশাকশ্রমিকেরাও এখন বেতন-ভাতা গ্রহণ ও নিজ গ্রামে অর্থ পাঠাতে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করছেন। নগদ টাকার ওপর নির্ভরতা কমে আসায় দেশের অর্থনীতিতে গতি এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, টাকা লেনদেনের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং সাধারণ মানুষের কাছে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে এটি ব্যবহার করা সম্ভব। শুধু লেনদেন নয়, বর্তমানে সঞ্চয়, ঋণ গ্রহণ ও প্রবাসী আয় পাঠানোর মতো পরিষেবাও এমএফএসের আওতায় আসায় এ খাতের সম্ভাবনা আরও বেড়েছে।
২০১০ সালে বাংলাদেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস চালু হয়। পরের বছর ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা শুরু করে, আর একই সময় ব্র্যাক ব্যাংকের সহায়তায় বিকাশ যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ ১৩টি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে বিকাশ এখনো বাজারের সবচেয়ে বড় অংশীদার। নগদ রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
মোবাইল ফোনের কয়েকটি ট্যাপেই এখন বিদ্যুৎ বিল দেওয়া যায়, গ্রামে মায়ের হাতে টাকা পৌঁছে যায়, শহরের দোকানে কেনাকাটা করা যায়—সবকিছুই সহজ হয়ে গেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কারণে। নগদ টাকা হাতে রাখার প্রয়োজন কমে আসছে, ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে মানুষ। টাকা পাঠানো ছাড়াও দৈনন্দিন কেনাকাটা থেকে শুরু করে নানা লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিং এখন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক বেড়েছে ১ কোটির বেশি, যদিও একই সময় লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নিবন্ধিত গ্রাহক ছিল ২৩ কোটি ৯৩ লাখ। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ কোটির বেশি, মাত্র এক মাসে নতুন যোগ হয় ১ কোটি ১৪ লাখ গ্রাহক। তবে গ্রাহক বাড়লেও ফেব্রুয়ারিতে লেনদেন কমেছে। জানুয়ারিতে যেখানে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারিতে তা কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮০ কোটি টাকায়।
লেনদেনের ধরন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে ক্যাশ ইন বা জমা হয়েছে ৪৫ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা, যা জানুয়ারির তুলনায় ৩ হাজার ২৬১ কোটি টাকা কম। একই সময়ে ক্যাশ আউট বা উত্তোলন হয়েছে ৫১ হাজার ২১২ কোটি টাকা, যা জানুয়ারির তুলনায় ৪ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা কম। ইউটিলিটি বিল পরিশোধে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা, বেতন-ভাতা বিতরণে ৫ হাজার ৭৫ কোটি টাকা এবং মার্চেন্ট পেমেন্ট বা কেনাকাটায় লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা। বিদেশ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এসেছে ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকার রেমিট্যান্স।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘আমরা দেশকে ক্যাশলেস সোসাইটিতে রূপান্তর করার লক্ষ্যে কাজ করছি। এ যাত্রায় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস একটি বড় ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে ব্যাংকিং সেবার আওতার বাইরে থাকা দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ এমএফএস ব্যবহার করে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যুক্ত হচ্ছেন।’
প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বিস্তৃতি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। গাড়িচালক, নিরাপত্তাকর্মী, গৃহকর্মী থেকে শুরু করে পোশাকশ্রমিকেরাও এখন বেতন-ভাতা গ্রহণ ও নিজ গ্রামে অর্থ পাঠাতে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করছেন। নগদ টাকার ওপর নির্ভরতা কমে আসায় দেশের অর্থনীতিতে গতি এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, টাকা লেনদেনের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং সাধারণ মানুষের কাছে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে এটি ব্যবহার করা সম্ভব। শুধু লেনদেন নয়, বর্তমানে সঞ্চয়, ঋণ গ্রহণ ও প্রবাসী আয় পাঠানোর মতো পরিষেবাও এমএফএসের আওতায় আসায় এ খাতের সম্ভাবনা আরও বেড়েছে।
২০১০ সালে বাংলাদেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস চালু হয়। পরের বছর ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা শুরু করে, আর একই সময় ব্র্যাক ব্যাংকের সহায়তায় বিকাশ যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ ১৩টি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে বিকাশ এখনো বাজারের সবচেয়ে বড় অংশীদার। নগদ রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পুরস্কার হিসেবে শিল্প খাতের অন্যতম সম্মাননা ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ পেয়েছে দেশসেরা কসমেটিকস, স্কিন কেয়ার ও হোম কেয়ার পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবি লিমিটেড।
২ ঘণ্টা আগেবার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে দেশীয় অর্থায়নের ঘাটতি পূরণে সরকার প্রতিবছর বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে শর্তযুক্ত ঋণ নিচ্ছে। প্রতি মাসে এসব ঋণের একটি অংশ সুদ-আসলসহ পরিশোধও করা হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অস্থিরতায় ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় এই পরিশোধ এখন সরকারের জন্য...
১৩ ঘণ্টা আগেগত কোরবানির ঈদে ঢাকার হেমায়েতপুরের ট্যানারিগুলো যে চামড়া সংগ্রহ করেছে, তার ৯৮ শতাংশেই ছিল দাগ, আর ৬৮ শতাংশে ছিল ছোট-বড় কাটা। এমনকি ১৮ শতাংশ চামড়া পচে গেছে সম্পূর্ণভাবে। চামড়ার গুণগত মানহীনতার এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণায়, যা দেশের...
১৩ ঘণ্টা আগেদেশের শিল্পখাতকে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৩০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন...
১৫ ঘণ্টা আগে