আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো। কীভাবে এত সীমিত সম্পদের মধ্যেও এই দেশগুলো থেকে উঠে এসেছে এত উদ্ভাবনী ও টেকসই করপোরেট প্রতিষ্ঠান? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই উঠে এসেছে একাধিক ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান; যা শুধু নর্ডিক অঞ্চলের নয়, বরং যেকোনো দেশের জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে।
এ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনের শুরুতেই ডেনমার্কের কার্লসবার্গ কোম্পানির সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোপেনহেগেনের ‘কার্লস ভিলা’ আজও এক অক্ষত ধ্রুপদি ভাস্কর্য। ১৮৯২ সালে আর্ট নুভো ধাঁচে তৈরি বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন কার্লসবার্গ প্রতিষ্ঠাতার ছেলে কার্ল জ্যাকবসেন। এখন এটি বৈঠক কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয় কার্লসবার্গ কোম্পানির, যা আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিয়ার প্রস্তুতকারক।
বর্তমানে কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি স্বীকার করেছেন, কোম্পানির এই সাফল্য ডেনিশ কোম্পানিগুলোর একটি বৃহৎ ধাঁধার অংশ। তিনি বলেন, কেউ একজন তাঁকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলেন—এত ছোট একটি দেশ কীভাবে এত বড় বড় কোম্পানি তৈরি করেছে? তিনিও ব্যাপারটি নিয়ে পরে বেশ ভেবেছেন।
ডেনমার্কের ক্ষেত্রে যা সত্য, সেটি ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনের ক্ষেত্রেও। চারটি বড় নর্ডিক দেশ বিশ্ব অর্থনীতির মাত্র ১ শতাংশ এবং জনসংখ্যার মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ হলেও তারা তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত করপোরেট জায়ান্টদের এক বিস্ময়কর তালিকা। লেগো এখন রাজস্বের ভিত্তিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেলনা কোম্পানি। আইকিয়া বিশ্বের বৃহত্তম আসবাব প্রস্তুতকারী এবং সুইডিশ মিটবল বিক্রির সুবাদে এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম রেস্তোরাঁ।
এই অঞ্চলেই তৈরি হয় মেশিনারি (অ্যাটলাস কপকো), টেলিকম যন্ত্রপাতি (নোকিয়া ও এরিকসন), সিটবেল্ট (অটোলিভ) এবং এলিভেটর (কোনে)। এখান থেকেই এসেছে বিশ্বসেরা মিউজিক স্ট্রিমিং কোম্পানি স্পটিফাই এবং সবচেয়ে বড় ‘বাই-নাউ-পে-লেটার’ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ক্লারনা। ওজন কমানোর ওষুধ তৈরিতে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান নোভো নর্ডিস্ক। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির একটি নতুন ওষুধের ট্রায়াল ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় শেয়ারের দর কমে যায়। এরপরও ইউরোপের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি নোভো নর্ডিস্ক।
গত এক দশকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় নর্ডিক কোম্পানিগুলো বেশি লাভ করেছে। এই চারটি দেশে তালিকাভুক্ত অ-আর্থিক কোম্পানিগুলো গত ১০ বছরে ইউরোপীয় গড়ের চেয়ে বেশি শেয়ারহোল্ডার রিটার্ন দিয়েছে। বর্তমানে এমএসসিআই ইউরোপ সূচকে নর্ডিক কোম্পানির অংশ ১৩ শতাংশ, যা পাঁচ বছর আগেও ছিল ১০ শতাংশ। এটি এখন জার্মান কোম্পানিগুলোর অংশের সমান।
এই অঞ্চলের শীর্ষ ২০টি কোম্পানিকে তাদের বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, তারা গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ২০২৩ সালে ৭ শতাংশ বেশি অপারেটিং মার্জিন এবং ৫ শতাংশ বেশি রিটার্ন অন ইনভেস্টেড ক্যাপিটাল পেয়েছে। ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির ঋণের পরিমাণ ছিল তুলনামূলক কম। বার্ষিক বিক্রি বৃদ্ধিও ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীদের সমান।
অবশ্য সব নর্ডিক কোম্পানি সফল হয়নি। ব্যাটারি প্রস্তুতকারী নর্থভোল্ট সম্প্রতি দেউলিয়া হয়ে গেছে। নোকিয়ার হ্যান্ডসেট ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে আইফোনের কারণে। নর্ডিক দেশগুলোর এই সাফল্যে ভাগ্যেরও একটা ভূমিকা আছে। এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। কাঠ, লোহা (বিশেষ করে নরওয়েতে) তেল ও গ্যাস। তবে তা সত্ত্বেও তাদের সফলতা নজরকাড়া।
এই সাফল্যের পেছনের প্রথম কারণ নর্ডিক ব্যবসায়ীরা পূর্বসূরি ভাইকিংদের মতোই বিদেশমুখী বলে মনে করেন কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ক্ষুদ্র আয়তন আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমুখী করতে বাধ্য করেছে।’ এই অঞ্চলের শীর্ষ ১০টি কোম্পানির গড় রাজস্বের মাত্র ২ শতাংশ আসে নিজ দেশ থেকে, বাকিটা বহির্বিশ্ব থেকে; যেখানে ইউরোপীয় কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি ১২ শতাংশ আর আমেরিকায় ৪৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় কারণ, দ্রুত প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে নেওয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই লেগোর প্রতিষ্ঠাতা কাঠের বদলে প্লাস্টিক ব্যবহার শুরু করেন। আজও সেই উদ্ভাবনী চেতনা আছে। ইউরো স্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ জনের বেশি কর্মীসংবলিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে গড়ে ৪৫ শতাংশ ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা নেয়, অথচ নর্ডিক দেশগুলোয় এই হার ৭৩ শতাংশ।
এই প্রযুক্তিভিত্তিক মানসিকতার প্রভাব স্টার্টআপ সংস্কৃতিতেও রয়েছে। লন্ডন, প্যারিস ও বার্লিন ছাড়া ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আসে স্টকহোমে, যদিও এর জনসংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। হেলসিংকিও গেম ডেভেলপারদের কেন্দ্র—রোভিও (অ্যাংরি বার্ডস) ও সুপারসেলের (ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস) জন্মভূমি। উদ্ভাবনে ব্যর্থ হলেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সুরক্ষার কারণে ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেন তাঁরা।
তৃতীয় কারণ, সরকারি নীতিমালা। ব্যক্তিগত করের হার বেশি হলেও কোম্পানি করের হার যুক্তরাষ্ট্রের সমান। মার্কিন থিংকট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন—সব দেশই শীর্ষ দশে। ডেনমার্কে নিয়োগ ও ছাঁটাই সহজ; ভ্যাট নম্বরও পাওয়া যায় এক দিনে—যেখানে ফ্রান্সে এতে মাস লেগে যায়।
চতুর্থ কারণ, ধৈর্যশীল শেয়ারহোল্ডার। ম্যাকিন্সির মতে, ইউরোপে ৬০ শতাংশ এবং আমেরিকায় মাত্র ২০ শতাংশ কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি মালিকানার বিপরীতে নর্ডিক অঞ্চলে এটি ৮০ শতাংশ। এখানকার অনেক কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করে পরিবার বা ফাউন্ডেশন। উদাহরণস্বরূপ মায়ার্স্ক, লেগো, অ্যাটলাস কপকো ও এরিকসন।
এই ধৈর্যই কোম্পানিগুলোকে সময় দেয় ধীরে ধীরে বড় হওয়ার এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করার। ম্যাকিন্সির মতে, তালিকাভুক্ত নর্ডিক কোম্পানিগুলোর ৮০ শতাংশই গবেষণা ও উন্নয়নে প্রতিযোগীদের তুলনায় বেশি ব্যয় করে। নোভো নর্ডিস্কের প্রধান নির্বাহী লারস ফ্রুয়েরগার্ড জর্জেনসেন বলেন, তাঁর মূল ফোকাস হলো আগামী ১০-২০ বছরে কোম্পানির চেহারা কেমন হবে, তা নিয়ে কাজ করা।
তবে ভবিষ্যতে এই মডেল চাপের মুখে পড়তে পারে। বৈশ্বিক জিওপলিটিক অস্থিরতায় এই কোম্পানিগুলো বেশি ঝুঁকিতে। যেমন ২০২৩ সালে রাশিয়ায় কার্লসবার্গের ব্যবসা জব্দ করে ‘অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায়’ নেওয়া হয়। ডিসেম্বর মাসে কোম্পানিটি তাদের রুশ ব্যবসা বিশাল ছাড়ে স্থানীয় দুই কর্মীর কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
মায়ার্স্কের জাহাজ ও কনটেইনার টার্মিনাল হুথি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে জন্য তারা সুয়েজ খাল এড়িয়ে চলছে, যা সময় ও ব্যয়ের চাপ বাড়াচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ায় বৈদেশিক বাণিজ্য আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি সব আমদানির ওপর চড়া ট্যারিফ বসিয়েছেন। যদিও তিনি মূলত মেক্সিকো, কানাডা ও চীনকে লক্ষ্যবস্তু করছেন, তবুও তাঁর এই শুল্কনীতির প্রভাব পড়ছে সমগ্র বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর। শীর্ষ ১০টি নর্ডিক কোম্পানির এক-তৃতীয়াংশ বিক্রিই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই অবস্থায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে নর্ডিক জায়ান্টরা।
এসব মোকাবিলায় নর্ডিক কোম্পানিগুলোর দরকার হবে আরও বেশি অভিযোজন ক্ষমতা। লেগোর সিইও নিলস ক্রিশ্চিয়ানসেন ডারউইনের একটি উক্তি তুলে ধরে বলেছেন, ‘সবচেয়ে শক্তিশালী নয়, বরং যে পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, সেই টিকে থাকে।’ বিশ্বজুড়ে যখন কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, তখন এই কথা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো। কীভাবে এত সীমিত সম্পদের মধ্যেও এই দেশগুলো থেকে উঠে এসেছে এত উদ্ভাবনী ও টেকসই করপোরেট প্রতিষ্ঠান? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই উঠে এসেছে একাধিক ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান; যা শুধু নর্ডিক অঞ্চলের নয়, বরং যেকোনো দেশের জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে।
এ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনের শুরুতেই ডেনমার্কের কার্লসবার্গ কোম্পানির সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোপেনহেগেনের ‘কার্লস ভিলা’ আজও এক অক্ষত ধ্রুপদি ভাস্কর্য। ১৮৯২ সালে আর্ট নুভো ধাঁচে তৈরি বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন কার্লসবার্গ প্রতিষ্ঠাতার ছেলে কার্ল জ্যাকবসেন। এখন এটি বৈঠক কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয় কার্লসবার্গ কোম্পানির, যা আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিয়ার প্রস্তুতকারক।
বর্তমানে কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি স্বীকার করেছেন, কোম্পানির এই সাফল্য ডেনিশ কোম্পানিগুলোর একটি বৃহৎ ধাঁধার অংশ। তিনি বলেন, কেউ একজন তাঁকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলেন—এত ছোট একটি দেশ কীভাবে এত বড় বড় কোম্পানি তৈরি করেছে? তিনিও ব্যাপারটি নিয়ে পরে বেশ ভেবেছেন।
ডেনমার্কের ক্ষেত্রে যা সত্য, সেটি ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনের ক্ষেত্রেও। চারটি বড় নর্ডিক দেশ বিশ্ব অর্থনীতির মাত্র ১ শতাংশ এবং জনসংখ্যার মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ হলেও তারা তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত করপোরেট জায়ান্টদের এক বিস্ময়কর তালিকা। লেগো এখন রাজস্বের ভিত্তিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেলনা কোম্পানি। আইকিয়া বিশ্বের বৃহত্তম আসবাব প্রস্তুতকারী এবং সুইডিশ মিটবল বিক্রির সুবাদে এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম রেস্তোরাঁ।
এই অঞ্চলেই তৈরি হয় মেশিনারি (অ্যাটলাস কপকো), টেলিকম যন্ত্রপাতি (নোকিয়া ও এরিকসন), সিটবেল্ট (অটোলিভ) এবং এলিভেটর (কোনে)। এখান থেকেই এসেছে বিশ্বসেরা মিউজিক স্ট্রিমিং কোম্পানি স্পটিফাই এবং সবচেয়ে বড় ‘বাই-নাউ-পে-লেটার’ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ক্লারনা। ওজন কমানোর ওষুধ তৈরিতে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান নোভো নর্ডিস্ক। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির একটি নতুন ওষুধের ট্রায়াল ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় শেয়ারের দর কমে যায়। এরপরও ইউরোপের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি নোভো নর্ডিস্ক।
গত এক দশকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় নর্ডিক কোম্পানিগুলো বেশি লাভ করেছে। এই চারটি দেশে তালিকাভুক্ত অ-আর্থিক কোম্পানিগুলো গত ১০ বছরে ইউরোপীয় গড়ের চেয়ে বেশি শেয়ারহোল্ডার রিটার্ন দিয়েছে। বর্তমানে এমএসসিআই ইউরোপ সূচকে নর্ডিক কোম্পানির অংশ ১৩ শতাংশ, যা পাঁচ বছর আগেও ছিল ১০ শতাংশ। এটি এখন জার্মান কোম্পানিগুলোর অংশের সমান।
এই অঞ্চলের শীর্ষ ২০টি কোম্পানিকে তাদের বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, তারা গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ২০২৩ সালে ৭ শতাংশ বেশি অপারেটিং মার্জিন এবং ৫ শতাংশ বেশি রিটার্ন অন ইনভেস্টেড ক্যাপিটাল পেয়েছে। ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির ঋণের পরিমাণ ছিল তুলনামূলক কম। বার্ষিক বিক্রি বৃদ্ধিও ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীদের সমান।
অবশ্য সব নর্ডিক কোম্পানি সফল হয়নি। ব্যাটারি প্রস্তুতকারী নর্থভোল্ট সম্প্রতি দেউলিয়া হয়ে গেছে। নোকিয়ার হ্যান্ডসেট ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে আইফোনের কারণে। নর্ডিক দেশগুলোর এই সাফল্যে ভাগ্যেরও একটা ভূমিকা আছে। এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। কাঠ, লোহা (বিশেষ করে নরওয়েতে) তেল ও গ্যাস। তবে তা সত্ত্বেও তাদের সফলতা নজরকাড়া।
এই সাফল্যের পেছনের প্রথম কারণ নর্ডিক ব্যবসায়ীরা পূর্বসূরি ভাইকিংদের মতোই বিদেশমুখী বলে মনে করেন কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ক্ষুদ্র আয়তন আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমুখী করতে বাধ্য করেছে।’ এই অঞ্চলের শীর্ষ ১০টি কোম্পানির গড় রাজস্বের মাত্র ২ শতাংশ আসে নিজ দেশ থেকে, বাকিটা বহির্বিশ্ব থেকে; যেখানে ইউরোপীয় কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি ১২ শতাংশ আর আমেরিকায় ৪৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় কারণ, দ্রুত প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে নেওয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই লেগোর প্রতিষ্ঠাতা কাঠের বদলে প্লাস্টিক ব্যবহার শুরু করেন। আজও সেই উদ্ভাবনী চেতনা আছে। ইউরো স্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ জনের বেশি কর্মীসংবলিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে গড়ে ৪৫ শতাংশ ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা নেয়, অথচ নর্ডিক দেশগুলোয় এই হার ৭৩ শতাংশ।
এই প্রযুক্তিভিত্তিক মানসিকতার প্রভাব স্টার্টআপ সংস্কৃতিতেও রয়েছে। লন্ডন, প্যারিস ও বার্লিন ছাড়া ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আসে স্টকহোমে, যদিও এর জনসংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। হেলসিংকিও গেম ডেভেলপারদের কেন্দ্র—রোভিও (অ্যাংরি বার্ডস) ও সুপারসেলের (ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস) জন্মভূমি। উদ্ভাবনে ব্যর্থ হলেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সুরক্ষার কারণে ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেন তাঁরা।
তৃতীয় কারণ, সরকারি নীতিমালা। ব্যক্তিগত করের হার বেশি হলেও কোম্পানি করের হার যুক্তরাষ্ট্রের সমান। মার্কিন থিংকট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন—সব দেশই শীর্ষ দশে। ডেনমার্কে নিয়োগ ও ছাঁটাই সহজ; ভ্যাট নম্বরও পাওয়া যায় এক দিনে—যেখানে ফ্রান্সে এতে মাস লেগে যায়।
চতুর্থ কারণ, ধৈর্যশীল শেয়ারহোল্ডার। ম্যাকিন্সির মতে, ইউরোপে ৬০ শতাংশ এবং আমেরিকায় মাত্র ২০ শতাংশ কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি মালিকানার বিপরীতে নর্ডিক অঞ্চলে এটি ৮০ শতাংশ। এখানকার অনেক কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করে পরিবার বা ফাউন্ডেশন। উদাহরণস্বরূপ মায়ার্স্ক, লেগো, অ্যাটলাস কপকো ও এরিকসন।
এই ধৈর্যই কোম্পানিগুলোকে সময় দেয় ধীরে ধীরে বড় হওয়ার এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করার। ম্যাকিন্সির মতে, তালিকাভুক্ত নর্ডিক কোম্পানিগুলোর ৮০ শতাংশই গবেষণা ও উন্নয়নে প্রতিযোগীদের তুলনায় বেশি ব্যয় করে। নোভো নর্ডিস্কের প্রধান নির্বাহী লারস ফ্রুয়েরগার্ড জর্জেনসেন বলেন, তাঁর মূল ফোকাস হলো আগামী ১০-২০ বছরে কোম্পানির চেহারা কেমন হবে, তা নিয়ে কাজ করা।
তবে ভবিষ্যতে এই মডেল চাপের মুখে পড়তে পারে। বৈশ্বিক জিওপলিটিক অস্থিরতায় এই কোম্পানিগুলো বেশি ঝুঁকিতে। যেমন ২০২৩ সালে রাশিয়ায় কার্লসবার্গের ব্যবসা জব্দ করে ‘অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায়’ নেওয়া হয়। ডিসেম্বর মাসে কোম্পানিটি তাদের রুশ ব্যবসা বিশাল ছাড়ে স্থানীয় দুই কর্মীর কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
মায়ার্স্কের জাহাজ ও কনটেইনার টার্মিনাল হুথি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে জন্য তারা সুয়েজ খাল এড়িয়ে চলছে, যা সময় ও ব্যয়ের চাপ বাড়াচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ায় বৈদেশিক বাণিজ্য আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি সব আমদানির ওপর চড়া ট্যারিফ বসিয়েছেন। যদিও তিনি মূলত মেক্সিকো, কানাডা ও চীনকে লক্ষ্যবস্তু করছেন, তবুও তাঁর এই শুল্কনীতির প্রভাব পড়ছে সমগ্র বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর। শীর্ষ ১০টি নর্ডিক কোম্পানির এক-তৃতীয়াংশ বিক্রিই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই অবস্থায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে নর্ডিক জায়ান্টরা।
এসব মোকাবিলায় নর্ডিক কোম্পানিগুলোর দরকার হবে আরও বেশি অভিযোজন ক্ষমতা। লেগোর সিইও নিলস ক্রিশ্চিয়ানসেন ডারউইনের একটি উক্তি তুলে ধরে বলেছেন, ‘সবচেয়ে শক্তিশালী নয়, বরং যে পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, সেই টিকে থাকে।’ বিশ্বজুড়ে যখন কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, তখন এই কথা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো। কীভাবে এত সীমিত সম্পদের মধ্যেও এই দেশগুলো থেকে উঠে এসেছে এত উদ্ভাবনী ও টেকসই করপোরেট প্রতিষ্ঠান? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই উঠে এসেছে একাধিক ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান; যা শুধু নর্ডিক অঞ্চলের নয়, বরং যেকোনো দেশের জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে।
এ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনের শুরুতেই ডেনমার্কের কার্লসবার্গ কোম্পানির সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোপেনহেগেনের ‘কার্লস ভিলা’ আজও এক অক্ষত ধ্রুপদি ভাস্কর্য। ১৮৯২ সালে আর্ট নুভো ধাঁচে তৈরি বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন কার্লসবার্গ প্রতিষ্ঠাতার ছেলে কার্ল জ্যাকবসেন। এখন এটি বৈঠক কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয় কার্লসবার্গ কোম্পানির, যা আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিয়ার প্রস্তুতকারক।
বর্তমানে কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি স্বীকার করেছেন, কোম্পানির এই সাফল্য ডেনিশ কোম্পানিগুলোর একটি বৃহৎ ধাঁধার অংশ। তিনি বলেন, কেউ একজন তাঁকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলেন—এত ছোট একটি দেশ কীভাবে এত বড় বড় কোম্পানি তৈরি করেছে? তিনিও ব্যাপারটি নিয়ে পরে বেশ ভেবেছেন।
ডেনমার্কের ক্ষেত্রে যা সত্য, সেটি ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনের ক্ষেত্রেও। চারটি বড় নর্ডিক দেশ বিশ্ব অর্থনীতির মাত্র ১ শতাংশ এবং জনসংখ্যার মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ হলেও তারা তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত করপোরেট জায়ান্টদের এক বিস্ময়কর তালিকা। লেগো এখন রাজস্বের ভিত্তিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেলনা কোম্পানি। আইকিয়া বিশ্বের বৃহত্তম আসবাব প্রস্তুতকারী এবং সুইডিশ মিটবল বিক্রির সুবাদে এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম রেস্তোরাঁ।
এই অঞ্চলেই তৈরি হয় মেশিনারি (অ্যাটলাস কপকো), টেলিকম যন্ত্রপাতি (নোকিয়া ও এরিকসন), সিটবেল্ট (অটোলিভ) এবং এলিভেটর (কোনে)। এখান থেকেই এসেছে বিশ্বসেরা মিউজিক স্ট্রিমিং কোম্পানি স্পটিফাই এবং সবচেয়ে বড় ‘বাই-নাউ-পে-লেটার’ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ক্লারনা। ওজন কমানোর ওষুধ তৈরিতে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান নোভো নর্ডিস্ক। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির একটি নতুন ওষুধের ট্রায়াল ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় শেয়ারের দর কমে যায়। এরপরও ইউরোপের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি নোভো নর্ডিস্ক।
গত এক দশকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় নর্ডিক কোম্পানিগুলো বেশি লাভ করেছে। এই চারটি দেশে তালিকাভুক্ত অ-আর্থিক কোম্পানিগুলো গত ১০ বছরে ইউরোপীয় গড়ের চেয়ে বেশি শেয়ারহোল্ডার রিটার্ন দিয়েছে। বর্তমানে এমএসসিআই ইউরোপ সূচকে নর্ডিক কোম্পানির অংশ ১৩ শতাংশ, যা পাঁচ বছর আগেও ছিল ১০ শতাংশ। এটি এখন জার্মান কোম্পানিগুলোর অংশের সমান।
এই অঞ্চলের শীর্ষ ২০টি কোম্পানিকে তাদের বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, তারা গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ২০২৩ সালে ৭ শতাংশ বেশি অপারেটিং মার্জিন এবং ৫ শতাংশ বেশি রিটার্ন অন ইনভেস্টেড ক্যাপিটাল পেয়েছে। ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির ঋণের পরিমাণ ছিল তুলনামূলক কম। বার্ষিক বিক্রি বৃদ্ধিও ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীদের সমান।
অবশ্য সব নর্ডিক কোম্পানি সফল হয়নি। ব্যাটারি প্রস্তুতকারী নর্থভোল্ট সম্প্রতি দেউলিয়া হয়ে গেছে। নোকিয়ার হ্যান্ডসেট ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে আইফোনের কারণে। নর্ডিক দেশগুলোর এই সাফল্যে ভাগ্যেরও একটা ভূমিকা আছে। এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। কাঠ, লোহা (বিশেষ করে নরওয়েতে) তেল ও গ্যাস। তবে তা সত্ত্বেও তাদের সফলতা নজরকাড়া।
এই সাফল্যের পেছনের প্রথম কারণ নর্ডিক ব্যবসায়ীরা পূর্বসূরি ভাইকিংদের মতোই বিদেশমুখী বলে মনে করেন কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ক্ষুদ্র আয়তন আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমুখী করতে বাধ্য করেছে।’ এই অঞ্চলের শীর্ষ ১০টি কোম্পানির গড় রাজস্বের মাত্র ২ শতাংশ আসে নিজ দেশ থেকে, বাকিটা বহির্বিশ্ব থেকে; যেখানে ইউরোপীয় কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি ১২ শতাংশ আর আমেরিকায় ৪৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় কারণ, দ্রুত প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে নেওয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই লেগোর প্রতিষ্ঠাতা কাঠের বদলে প্লাস্টিক ব্যবহার শুরু করেন। আজও সেই উদ্ভাবনী চেতনা আছে। ইউরো স্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ জনের বেশি কর্মীসংবলিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে গড়ে ৪৫ শতাংশ ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা নেয়, অথচ নর্ডিক দেশগুলোয় এই হার ৭৩ শতাংশ।
এই প্রযুক্তিভিত্তিক মানসিকতার প্রভাব স্টার্টআপ সংস্কৃতিতেও রয়েছে। লন্ডন, প্যারিস ও বার্লিন ছাড়া ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আসে স্টকহোমে, যদিও এর জনসংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। হেলসিংকিও গেম ডেভেলপারদের কেন্দ্র—রোভিও (অ্যাংরি বার্ডস) ও সুপারসেলের (ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস) জন্মভূমি। উদ্ভাবনে ব্যর্থ হলেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সুরক্ষার কারণে ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেন তাঁরা।
তৃতীয় কারণ, সরকারি নীতিমালা। ব্যক্তিগত করের হার বেশি হলেও কোম্পানি করের হার যুক্তরাষ্ট্রের সমান। মার্কিন থিংকট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন—সব দেশই শীর্ষ দশে। ডেনমার্কে নিয়োগ ও ছাঁটাই সহজ; ভ্যাট নম্বরও পাওয়া যায় এক দিনে—যেখানে ফ্রান্সে এতে মাস লেগে যায়।
চতুর্থ কারণ, ধৈর্যশীল শেয়ারহোল্ডার। ম্যাকিন্সির মতে, ইউরোপে ৬০ শতাংশ এবং আমেরিকায় মাত্র ২০ শতাংশ কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি মালিকানার বিপরীতে নর্ডিক অঞ্চলে এটি ৮০ শতাংশ। এখানকার অনেক কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করে পরিবার বা ফাউন্ডেশন। উদাহরণস্বরূপ মায়ার্স্ক, লেগো, অ্যাটলাস কপকো ও এরিকসন।
এই ধৈর্যই কোম্পানিগুলোকে সময় দেয় ধীরে ধীরে বড় হওয়ার এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করার। ম্যাকিন্সির মতে, তালিকাভুক্ত নর্ডিক কোম্পানিগুলোর ৮০ শতাংশই গবেষণা ও উন্নয়নে প্রতিযোগীদের তুলনায় বেশি ব্যয় করে। নোভো নর্ডিস্কের প্রধান নির্বাহী লারস ফ্রুয়েরগার্ড জর্জেনসেন বলেন, তাঁর মূল ফোকাস হলো আগামী ১০-২০ বছরে কোম্পানির চেহারা কেমন হবে, তা নিয়ে কাজ করা।
তবে ভবিষ্যতে এই মডেল চাপের মুখে পড়তে পারে। বৈশ্বিক জিওপলিটিক অস্থিরতায় এই কোম্পানিগুলো বেশি ঝুঁকিতে। যেমন ২০২৩ সালে রাশিয়ায় কার্লসবার্গের ব্যবসা জব্দ করে ‘অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায়’ নেওয়া হয়। ডিসেম্বর মাসে কোম্পানিটি তাদের রুশ ব্যবসা বিশাল ছাড়ে স্থানীয় দুই কর্মীর কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
মায়ার্স্কের জাহাজ ও কনটেইনার টার্মিনাল হুথি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে জন্য তারা সুয়েজ খাল এড়িয়ে চলছে, যা সময় ও ব্যয়ের চাপ বাড়াচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ায় বৈদেশিক বাণিজ্য আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি সব আমদানির ওপর চড়া ট্যারিফ বসিয়েছেন। যদিও তিনি মূলত মেক্সিকো, কানাডা ও চীনকে লক্ষ্যবস্তু করছেন, তবুও তাঁর এই শুল্কনীতির প্রভাব পড়ছে সমগ্র বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর। শীর্ষ ১০টি নর্ডিক কোম্পানির এক-তৃতীয়াংশ বিক্রিই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই অবস্থায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে নর্ডিক জায়ান্টরা।
এসব মোকাবিলায় নর্ডিক কোম্পানিগুলোর দরকার হবে আরও বেশি অভিযোজন ক্ষমতা। লেগোর সিইও নিলস ক্রিশ্চিয়ানসেন ডারউইনের একটি উক্তি তুলে ধরে বলেছেন, ‘সবচেয়ে শক্তিশালী নয়, বরং যে পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, সেই টিকে থাকে।’ বিশ্বজুড়ে যখন কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, তখন এই কথা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো। কীভাবে এত সীমিত সম্পদের মধ্যেও এই দেশগুলো থেকে উঠে এসেছে এত উদ্ভাবনী ও টেকসই করপোরেট প্রতিষ্ঠান? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই উঠে এসেছে একাধিক ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান; যা শুধু নর্ডিক অঞ্চলের নয়, বরং যেকোনো দেশের জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে।
এ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনের শুরুতেই ডেনমার্কের কার্লসবার্গ কোম্পানির সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোপেনহেগেনের ‘কার্লস ভিলা’ আজও এক অক্ষত ধ্রুপদি ভাস্কর্য। ১৮৯২ সালে আর্ট নুভো ধাঁচে তৈরি বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন কার্লসবার্গ প্রতিষ্ঠাতার ছেলে কার্ল জ্যাকবসেন। এখন এটি বৈঠক কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয় কার্লসবার্গ কোম্পানির, যা আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিয়ার প্রস্তুতকারক।
বর্তমানে কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি স্বীকার করেছেন, কোম্পানির এই সাফল্য ডেনিশ কোম্পানিগুলোর একটি বৃহৎ ধাঁধার অংশ। তিনি বলেন, কেউ একজন তাঁকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলেন—এত ছোট একটি দেশ কীভাবে এত বড় বড় কোম্পানি তৈরি করেছে? তিনিও ব্যাপারটি নিয়ে পরে বেশ ভেবেছেন।
ডেনমার্কের ক্ষেত্রে যা সত্য, সেটি ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনের ক্ষেত্রেও। চারটি বড় নর্ডিক দেশ বিশ্ব অর্থনীতির মাত্র ১ শতাংশ এবং জনসংখ্যার মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ হলেও তারা তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত করপোরেট জায়ান্টদের এক বিস্ময়কর তালিকা। লেগো এখন রাজস্বের ভিত্তিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেলনা কোম্পানি। আইকিয়া বিশ্বের বৃহত্তম আসবাব প্রস্তুতকারী এবং সুইডিশ মিটবল বিক্রির সুবাদে এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম রেস্তোরাঁ।
এই অঞ্চলেই তৈরি হয় মেশিনারি (অ্যাটলাস কপকো), টেলিকম যন্ত্রপাতি (নোকিয়া ও এরিকসন), সিটবেল্ট (অটোলিভ) এবং এলিভেটর (কোনে)। এখান থেকেই এসেছে বিশ্বসেরা মিউজিক স্ট্রিমিং কোম্পানি স্পটিফাই এবং সবচেয়ে বড় ‘বাই-নাউ-পে-লেটার’ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ক্লারনা। ওজন কমানোর ওষুধ তৈরিতে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান নোভো নর্ডিস্ক। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির একটি নতুন ওষুধের ট্রায়াল ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় শেয়ারের দর কমে যায়। এরপরও ইউরোপের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি নোভো নর্ডিস্ক।
গত এক দশকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় নর্ডিক কোম্পানিগুলো বেশি লাভ করেছে। এই চারটি দেশে তালিকাভুক্ত অ-আর্থিক কোম্পানিগুলো গত ১০ বছরে ইউরোপীয় গড়ের চেয়ে বেশি শেয়ারহোল্ডার রিটার্ন দিয়েছে। বর্তমানে এমএসসিআই ইউরোপ সূচকে নর্ডিক কোম্পানির অংশ ১৩ শতাংশ, যা পাঁচ বছর আগেও ছিল ১০ শতাংশ। এটি এখন জার্মান কোম্পানিগুলোর অংশের সমান।
এই অঞ্চলের শীর্ষ ২০টি কোম্পানিকে তাদের বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, তারা গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ২০২৩ সালে ৭ শতাংশ বেশি অপারেটিং মার্জিন এবং ৫ শতাংশ বেশি রিটার্ন অন ইনভেস্টেড ক্যাপিটাল পেয়েছে। ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির ঋণের পরিমাণ ছিল তুলনামূলক কম। বার্ষিক বিক্রি বৃদ্ধিও ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীদের সমান।
অবশ্য সব নর্ডিক কোম্পানি সফল হয়নি। ব্যাটারি প্রস্তুতকারী নর্থভোল্ট সম্প্রতি দেউলিয়া হয়ে গেছে। নোকিয়ার হ্যান্ডসেট ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে আইফোনের কারণে। নর্ডিক দেশগুলোর এই সাফল্যে ভাগ্যেরও একটা ভূমিকা আছে। এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। কাঠ, লোহা (বিশেষ করে নরওয়েতে) তেল ও গ্যাস। তবে তা সত্ত্বেও তাদের সফলতা নজরকাড়া।
এই সাফল্যের পেছনের প্রথম কারণ নর্ডিক ব্যবসায়ীরা পূর্বসূরি ভাইকিংদের মতোই বিদেশমুখী বলে মনে করেন কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ক্ষুদ্র আয়তন আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমুখী করতে বাধ্য করেছে।’ এই অঞ্চলের শীর্ষ ১০টি কোম্পানির গড় রাজস্বের মাত্র ২ শতাংশ আসে নিজ দেশ থেকে, বাকিটা বহির্বিশ্ব থেকে; যেখানে ইউরোপীয় কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি ১২ শতাংশ আর আমেরিকায় ৪৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় কারণ, দ্রুত প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে নেওয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই লেগোর প্রতিষ্ঠাতা কাঠের বদলে প্লাস্টিক ব্যবহার শুরু করেন। আজও সেই উদ্ভাবনী চেতনা আছে। ইউরো স্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ জনের বেশি কর্মীসংবলিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে গড়ে ৪৫ শতাংশ ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা নেয়, অথচ নর্ডিক দেশগুলোয় এই হার ৭৩ শতাংশ।
এই প্রযুক্তিভিত্তিক মানসিকতার প্রভাব স্টার্টআপ সংস্কৃতিতেও রয়েছে। লন্ডন, প্যারিস ও বার্লিন ছাড়া ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আসে স্টকহোমে, যদিও এর জনসংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। হেলসিংকিও গেম ডেভেলপারদের কেন্দ্র—রোভিও (অ্যাংরি বার্ডস) ও সুপারসেলের (ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস) জন্মভূমি। উদ্ভাবনে ব্যর্থ হলেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সুরক্ষার কারণে ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেন তাঁরা।
তৃতীয় কারণ, সরকারি নীতিমালা। ব্যক্তিগত করের হার বেশি হলেও কোম্পানি করের হার যুক্তরাষ্ট্রের সমান। মার্কিন থিংকট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন—সব দেশই শীর্ষ দশে। ডেনমার্কে নিয়োগ ও ছাঁটাই সহজ; ভ্যাট নম্বরও পাওয়া যায় এক দিনে—যেখানে ফ্রান্সে এতে মাস লেগে যায়।
চতুর্থ কারণ, ধৈর্যশীল শেয়ারহোল্ডার। ম্যাকিন্সির মতে, ইউরোপে ৬০ শতাংশ এবং আমেরিকায় মাত্র ২০ শতাংশ কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি মালিকানার বিপরীতে নর্ডিক অঞ্চলে এটি ৮০ শতাংশ। এখানকার অনেক কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করে পরিবার বা ফাউন্ডেশন। উদাহরণস্বরূপ মায়ার্স্ক, লেগো, অ্যাটলাস কপকো ও এরিকসন।
এই ধৈর্যই কোম্পানিগুলোকে সময় দেয় ধীরে ধীরে বড় হওয়ার এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করার। ম্যাকিন্সির মতে, তালিকাভুক্ত নর্ডিক কোম্পানিগুলোর ৮০ শতাংশই গবেষণা ও উন্নয়নে প্রতিযোগীদের তুলনায় বেশি ব্যয় করে। নোভো নর্ডিস্কের প্রধান নির্বাহী লারস ফ্রুয়েরগার্ড জর্জেনসেন বলেন, তাঁর মূল ফোকাস হলো আগামী ১০-২০ বছরে কোম্পানির চেহারা কেমন হবে, তা নিয়ে কাজ করা।
তবে ভবিষ্যতে এই মডেল চাপের মুখে পড়তে পারে। বৈশ্বিক জিওপলিটিক অস্থিরতায় এই কোম্পানিগুলো বেশি ঝুঁকিতে। যেমন ২০২৩ সালে রাশিয়ায় কার্লসবার্গের ব্যবসা জব্দ করে ‘অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায়’ নেওয়া হয়। ডিসেম্বর মাসে কোম্পানিটি তাদের রুশ ব্যবসা বিশাল ছাড়ে স্থানীয় দুই কর্মীর কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
মায়ার্স্কের জাহাজ ও কনটেইনার টার্মিনাল হুথি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে জন্য তারা সুয়েজ খাল এড়িয়ে চলছে, যা সময় ও ব্যয়ের চাপ বাড়াচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ায় বৈদেশিক বাণিজ্য আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি সব আমদানির ওপর চড়া ট্যারিফ বসিয়েছেন। যদিও তিনি মূলত মেক্সিকো, কানাডা ও চীনকে লক্ষ্যবস্তু করছেন, তবুও তাঁর এই শুল্কনীতির প্রভাব পড়ছে সমগ্র বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর। শীর্ষ ১০টি নর্ডিক কোম্পানির এক-তৃতীয়াংশ বিক্রিই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই অবস্থায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে নর্ডিক জায়ান্টরা।
এসব মোকাবিলায় নর্ডিক কোম্পানিগুলোর দরকার হবে আরও বেশি অভিযোজন ক্ষমতা। লেগোর সিইও নিলস ক্রিশ্চিয়ানসেন ডারউইনের একটি উক্তি তুলে ধরে বলেছেন, ‘সবচেয়ে শক্তিশালী নয়, বরং যে পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, সেই টিকে থাকে।’ বিশ্বজুড়ে যখন কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, তখন এই কথা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
৩০ এপ্রিল ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
৩০ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১০ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
৩০ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
৩০ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে