Ajker Patrika

জি কে শামীমে ৬ বছর আটকা চট্টগ্রাম বিএসটিআই ভবন, ৭৯ পণ্য খালাসে ভোগান্তি 

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪: ১৪
জি কে শামীমে ৬ বছর আটকা চট্টগ্রাম বিএসটিআই ভবন, ৭৯ পণ্য খালাসে ভোগান্তি 

চট্টগ্রাম বিএসটিআইর (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) আঞ্চলিক কার্যালয়ের নির্মাণকাজ ছয় বছরেও শেষ হয়নি। অথচ একই ধরনের প্রকল্প খুলনায় সম্পন্ন হয়েছে দুই বছর আগে। ঢাকার আলোচিত জি কে শামীমের কারণেই চট্টগ্রামের প্রকল্পের এ অবস্থা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এখানে পূর্ণাঙ্গ ল্যাব সুবিধাসম্পন্ন আঞ্চলিক কার্যালয় না থাকায় আমদানি করা ৭৯ ধরনের পণ্যের অধিকাংশ পরীক্ষার জন্য ছুটতে হয় ঢাকায়। ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষায় ভোগান্তির পাশাপাশি পণ্য খালাসে দীর্ঘসূত্রতার কবলে পড়তে হয়। এতে আমদানিকারকেরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।

তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্যের অধিকাংশ ঢাকা থেকে বিএসটিআইর ল্যাব টেস্টের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় থাকতে হয়। এরপর পণ্যের শুল্কায়ন সম্পন্ন করে খালাস করা হয়। 

বিএসটিআই থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ সালে বন্দর থেকে দ্রুত পণ্য ছাড় করার কথা মাথায় রেখে সরকার চট্টগ্রাম ও খুলনায় বিএসটিআইর পূর্ণাঙ্গ ল্যাবসহ ১০তলা ভবন নির্মাণে পৃথক প্রকল্প নেয়। খুলনার প্রকল্পটি শেষ হয় দুই বছর আগে। এখন পুরোদমে কাজ চলছে সেখানে। কিন্তু চট্টগ্রাম বিএসটিআইর ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি ছয় বছর পার করেছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তিনতলা ছাদ ঢালাই করার পর আর এগোয়নি। এতে সার্বিকভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

এ প্রসঙ্গে বিএসটিআই চট্টগ্রামের পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে ৫৫ ধরনের আমদানি পণ্যের মান পরীক্ষার জন্য ব্যবসায়ীদের এখানে আসতে হতো। এখন ৭৯ ধরনের পণ্যের মান পরীক্ষার জন্য এখানে আসতে হয়। তবে ল্যাব সমস্যার কারণে বেশ কিছু পণ্য মান পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠাতে হয়। এতে সময় ও অর্থ দুটোই নষ্ট হয়। ভোগান্তিতে পড়েন ব্যবসায়ীরা।  
নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিএসটিআই ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ল্যাবের কাজ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।’ 

প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রতা সম্পর্কে ভবন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আবু তারেক বলেন, ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু ২০১৭ সালে। ৬ বছরে ১০তলা ভবনের মাত্র তিনতলার ছাদ ঢালাই হয়েছে। এ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স ও বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকেবিএল (জেভি)। ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ ও ঘুষ প্রদানসংক্রান্ত ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে আটকে রাখার ঘটনায় এই প্রকল্পের কাজ থমকে যায়। এরপর তাঁর কার্যাদেশ বাতিল করে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা গণপূর্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম। 

প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, বর্তমানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন ঠিকাদার নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। 
 
এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা গণপূর্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের (জোন-৪) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়নে যে ঠিকাদার কাজ পেয়েছিলেন, তাঁরা কাজটি করতে পারেননি। তাই আমরা এ কাজের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করে পুনঃ টেন্ডার করেছি।’ 

আমদানির সঙ্গে জড়িত মেসার্স তাকি এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫১ বছরেও চট্টগ্রামে একটি বিএসটিআইর ল্যাব হয়নি। আমরা ফ্রিজের আমদানি চালান খালাস করি। প্রতিবেদনে জন্য বন্দর থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান দিয়ে ফ্রিজের নমুনা হিসেবে ফ্রিজ পাঠাতে হয় ঢাকার তেজগাঁওয়ের বিএসটিআই ভবনে। নমুনা পাঠানো থেকে শুরু করে প্রতিবেদন আসা পর্যন্ত অনেক সময় ও অর্থ নষ্ট হয়। ভোগান্তিরও শেষ থাকে না।’ 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এখন থেকে ফুডিতে পাওয়া যাবে বেঙ্গল মিটের সব পণ্য

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

এখন থেকে ফুডি শপ প্ল্যাটফর্মে বেঙ্গল মিটের সব ধরনের পণ্য পাওয়া যাবে। গ্রাহকরা নিজেদের ঘরে বসে আরও দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ও ঝামেলামুক্ত অনলাইন শপিং উপভোগ করতে পারবেন।

দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রিমিয়াম বুচারি চেইন বেঙ্গল মিট এবং কিউ-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের মধ্যে একটি ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি হয়।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বেঙ্গল মিট টিমের পক্ষ থেকে ছিলেন—হেড অব রিটেইল সেলস শেখ ইমরান আজিজ, সিনিয়র ম্যানেজার মো. তালাত মাহমুদ ও সহকারী ম্যানেজার মো. মুনতাজুল ইসলাম।

ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেড টিমের পক্ষ থেকে ছিলেন—ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. শাহনেওয়াজ মান্নান এবং ফুডি শপের ম্যানেজার হৃদিতা শাওন, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার তাজওয়ার রিজভী ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সৈয়দ আবদুল্লাহ আল বাকী।

উভয় প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে যে, দেশের অনলাইন গ্রোসারি শপিং খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এই অংশীদারত্ব। সারা দেশের গ্রাহকদের জন্য আরও সহজলভ্য ও উন্নতমানের সেবা নিশ্চিত করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মথ ডালে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে মুগ ডাল তৈরি, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সতর্কতা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ৩৬
মথ ডাল ‘মুগ’ ডাল নামে বিপণন করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ছবি: সংগৃহীত
মথ ডাল ‘মুগ’ ডাল নামে বিপণন করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ছবি: সংগৃহীত

‘মথ’ ডালে হলুদ রং মিশিয়ে ‘মুগ’ ডালের নামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক পর্যবেক্ষণে বিষয়টি উঠে এসেছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, টারট্রেইজিন (Tartrazine) রংটি ডালে ব্যবহারের অনুমোদন নেই। ওই রং খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহার করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশে মুগ ডালের তুলনায় মথ ডাল দ্বিগুণ পরিমাণে আমদানি হলেও বাজারে মথ নামে কোনো ডাল পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাজারে মুগ ডাল নামে বিক্রীত ডালের সংগৃহীত নমুনার অর্ধেকের বেশি রংমিশ্রিত পাওয়া গেছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অননুমোদিতভাবে কোনো রং খাদ্যে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্তি বা এরূপ রংমিশ্রিত খাদ্য আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ বা বিক্রয় নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর ২৭ ধারা মতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সব খাদ্য ব্যবসায়ীদের রংযুক্ত ডাল আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ বা বিক্রয় থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেছে, সর্বসাধারণকে ‘মুগ’ ডাল ক্রয়ের সময় মুগ ডালের বিশুদ্ধতা এবং ওই ডালে রং মিশ্রিত করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হয়ে ডাল ক্রয়ের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতের তৈরি পোশাক শিল্পের একটি কারখানা। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের তৈরি পোশাক শিল্পের একটি কারখানা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বস্ত্র খাতকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে দেশটি একটি বিস্তৃত ‘ব্যয় রূপরেখা’ প্রস্তুত করছে। মূল্য প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ক্রমে অবস্থান হারাচ্ছে ভারত। এই রূপরেখায় থাকবে দুই বছরের স্বল্পমেয়াদি, পাঁচ বছরের মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। যেখানে কাঁচামাল, নীতি-অনুবর্তিতা ও কর কাঠামোসহ উৎপাদন খরচের বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করা হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ব্যয়বহুল কাঁচামালের পাশাপাশি ভারতের বস্ত্র খাতকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে উচ্চ পরিবহন ব্যয় ও জ্বালানির খরচ। এক সরকারি কর্মকর্তার ভাষায়, ‘লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ভারতের ব্যয় কাঠামোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা এবং উৎপাদন ও রপ্তানি খরচ কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অপচয় হ্রাসের উদ্যোগ নেওয়া।’

ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে বস্ত্র রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়, যা বর্তমানে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের শ্রম উৎপাদনশীলতা তুলনামূলকভাবে বেশি। তাদের শ্রম আইনও বেশি নমনীয়। তা ছাড়া, উন্নত বিশ্বের অনেক অঞ্চল থেকে তারা শুল্কমুক্ত কাঁচামাল সংগ্রহ করতে পারে এবং ইউরোপীয় বাজারে বাণিজ্য সুবিধাও পায়। ভিয়েতনাম আবার চীনা বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুবিধাও ভোগ করে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি ভারতের তুলনায় অনেক কম, যা তাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দিয়েছে।

ভারতীয় বস্ত্র শিল্প খাতের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর শ্রম উৎপাদনশীলতা ভারতের তুলনায় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বস্ত্র মন্ত্রণালয় তন্তু, কাপড়, প্রযুক্তিনির্ভর বস্ত্র, টেকসই উপাদান ও ডিজিটাল ট্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবন জোরদার করার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে।

এ ছাড়া, বৈশ্বিক বাজারের জন্য ব্র্যান্ডিং ও ডিজাইনে উদ্ভাবন সংযুক্ত করার উপায় খুঁজতে এবং নবীন বস্ত্র-স্টার্টআপ ও ডিজাইন হাউসগুলোর বিকাশে সহায়তা করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, ‘শিল্প সংগঠন, ব্যাংক, ইনোভেশন ল্যাব, স্টার্টআপ ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ব্যাপক পরামর্শ প্রক্রিয়া চালানো হবে।’

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ভারতের বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ০.৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ভারতের চেম্বার অব কমার্সের টেক্সটাইল বিষয়ক জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় জৈন বলেন, ‘কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার বাতিল, শ্রম আইনের সংস্কার এবং ইউরোপের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি খরচ কমাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’

২০২৪-২৫ অর্থবছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বৈশ্বিকভাবে টেকসই উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহের প্রবণতা বাড়ার কারণে আগামী বছরগুলোতে ভারতের বস্ত্রশিল্পের খরচ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোনার দাম ২ লাখের নিচে নামল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ০১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিশ্ববাজারের দাপটে দেশের ইতিহাসে সোনার দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। টানা তিন দিনের মধ্যে সোনার দাম মোট ১৫ হাজার ১৮৭ টাকা কমল। যার ফলে ভালো মানের সোনার ভরি ২ লাখ টাকার নিচে নেমে এসেছে। জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে এই বিশাল দরপতনের ঘোষণা দিয়েছে। নতুন দাম আজ বুধবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

বাজুসের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম একলাফে ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা কমানো হয়েছে। ফলে আজ থেকে ভালো মানের এই সোনার দাম কমে দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা।

জুয়েলার্স সমিতি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেজাবি সোনা বা পিওর গোল্ডের দাম কমে যাওয়ার কারণেই স্থানীয় বাজারে এই সমন্বয় করা হয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

গত কয়েক দিনে সোনার দাম কমানোর ঘটনা ছিল নজিরবিহীন। এই নিয়ে চার দফায় সোনার দাম কমল, যেখানে মোট হ্রাসের পরিমাণ ২৩ হাজার ৫৭৩ টাকা প্রতি ভরিতে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে প্রতি ভরিতে কমানো হলো ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা, এর আগের দিন প্রতি ভরিতে কমানো হয় ৩ হাজার ৬৭৪ টাকা। এ ছাড়া ২৭ অক্টোবর কমানো হয়েছিল ১ হাজার ৩৯ টাকা এবং ২৪ অক্টোবর প্রথম দফায় বড় দরপতন ঘটে, কমানো হয় ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা।

আজ বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া নতুন দাম অনুযায়ী, বিভিন্ন মানের সোনার ভরিপ্রতি মূল্য নিম্নরূপ:

সোনার দামে বড়সড় ধস নামলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত