Ajker Patrika

আলোচনায় আরও ১৬টি সীমান্ত হাট

আলোচনায় আরও ১৬টি সীমান্ত হাট

ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে ১৬টি নতুন সীমান্ত হাট স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক স্মিতা পান্ত সম্প্রতি একটি কনফারেন্সে এ তথ্য জানান। সম্প্রতি এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ বিষয়ক এ সভার আয়োজন করে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিন্টের প্রতিবেদনে স্মিতা পান্তকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, এ দুই দেশের মধ্যে ৮টি সীমান্ত হাট চালু আছে। এগুলোর সবকটি ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের মতো উত্তর–পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে অবস্থিত। 

স্মিতা জানান, নতুন সীমান্ত হাট স্থাপন নিয়ে আলোচনা চলছে। এগুলো মিজোরাম ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে হবে। নতুন সীমান্ত হাটগুলো সীমান্তবর্তী মানুষের জন্য ব্যবসা–বাণিজ্যের সুযোগ প্রসারিত করবে। এতে সীমান্তে অবৈধ বাণিজ্য কমানো সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

স্মিতা পান্ত বলেন, বাণিজ্য প্রবাহের উন্নতির জন্য উভয়পক্ষ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। 

নয়াদিল্লি ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সীমান্ত হাটের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, এটি এমন একটি বাজার যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশের স্থানীয়রা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষিজাত ও শিল্পজাত পণ্য সীমান্তেই বেচাকেনা করতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভারত যোগাযোগ উন্নয়নের জন্য এরই মধ্যে বেশ কিছু অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করেছে। কিছু পদক্ষেপে অর্থায়ন করছে জাপান। বাংলাদেশে ২০২৭ সাল নাগাদ মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ শেষ হলে এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পাশাপাশি এশিয়ার বাজারে সহজে পণ্য পাঠাতে পারবে ভারত।

জাপান, ভারত ও বাংলাদেশ মিলে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলে ও বাংলাদেশে শিল্প–কারখানায় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ‘বে অব বেঙ্গল নর্থইস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভেল্যু চেইন কনসেপ্ট’ নিয়ে কাজ করছে। এ ছাড়া নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যেও একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক যৌথ বিবৃতি অনুসারে, ‘এ দুই নেতা যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাইকে স্বাগত জানান। এ সমীক্ষায় সুপারিশ করা হয়েছে, সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তিতে দুই দেশই লাভবান হবে। তাঁরা ২০২২ সালের মধ্যে আলোচনা শুরু করতে উভয় পক্ষের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এবং বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে চূড়ান্ত উত্তরণের আগেই যত দ্রুত সম্ভব আলোচনা সম্পন্ন করতে চান তাঁরা।’

যৌথ বিবৃতিতে ভারত অন্তত একটি বৃহৎ স্থলবন্দর ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে যেটিতে কোনো বিধিনিষেধ বা নেতিবাচক বিধি–নিষেধ তালিকা থাকবে না। উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী সেই স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যের সহজ পরিবহন চায় ভারত। এটি তারা শুরু করতে চান আগরতলা–আখাউড়া সমন্বিত চেক পোস্ট দিয়ে।

এদিকে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও চিলাহাটি–হলদিবাড়ি রেলক্রসিংয়ে ট্রানজিট চেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত