Ajker Patrika

ইয়েনের দরপতনের চাপে জাপানের ‘উচ্চাভিলাষী’ সামরিক বাজেটে ঘা

আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ১৬: ৩০
ইয়েনের দরপতনের চাপে জাপানের ‘উচ্চাভিলাষী’ সামরিক বাজেটে ঘা

জাপানের অর্থনীতি বেশ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতির হাত ধরে দেশটির মুদ্রা ইয়েনের দাম ডলারের বিপরীতে কমে গেছে। এই অবস্থায় দেশটি নতুন করে সামরিকায়নের লক্ষ্যে যে উচ্চাভিলাষী বাজেট দিয়েছিল, তাতে কাটছাঁট করতে যাচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আট ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

চীনের প্রভাব ঠেকাতে এবং তাইওয়ানকে চীনা আক্রমণ থেকে রক্ষা ও নিজ স্বার্থ সংরক্ষণে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ৪৩ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ৩২০ বিলিয়ন ডলারের বাজেট প্রণয়ন করেছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। এর পর থেকে নানা কারণে ডলারের বিপরীতে ইয়েনের মান অন্তত ১০ শতাংশ কমেছে। 

জাপানের সামরিক ক্রয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ২০২৪ সাল থেকে সামরিক বাহিনীর জন্য বিমান কেনার ক্ষেত্রে জাপানের যে বাজেট ছিল তা কমানো হবে। এর কারণ হিসেবে ওই তিন কর্মকর্তা জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দাম পড়ে যাওয়াকে উল্লেখ করেন। তবে মুদ্রার দামের ওঠানামা কীভাবে জাপানের সামরিকায়ন অভিলাষকে বাধাগ্রস্ত করছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তাঁরা। 
 
জাপান ২০২১ সালের গ্রীষ্মকালে সর্বশেষ প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৮ ইয়েন করে মূল্য পরিশোধ করেছিল। কিন্তু তার পর থেকেই ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দাম ক্রমাগত কমেছে। চলতি নভেম্বরের শুরুতে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১৫১ ইয়েন করে পরিশোধ করতে হচ্ছে। 

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার ক্রমবর্ধমান মূল্যের প্রভাব মোকাবিলায় আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছে জাপান সরকার। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জাপানি মুদ্রায় ১৭ লাখ কোটি ইয়েন বা মার্কিন মুদ্রায় ১১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের এই প্যাকেজের ঘোষণা দেন। এই সহায়তা প্যাকেজের আওতায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে করও কমানো হবে। 

কিশিদা সাংবাদিকদের বলেছেন, সরকারি ব্যয়ের কিছু অংশ মেটাতে চলতি অর্থবছরে সরকার বর্তমান বাজেটের সঙ্গে ১৩ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলারের একটি সম্পূরক বাজেট দেবে। গত বুধবার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জাপান সরকার সহায়তা প্যাকেজের আওতায় ১৭ ট্রিলিয়ন বা ১৭ লাখ কোটি ইয়েনেরও বেশি ব্যয় করার কথা বিবেচনা করছে। এই প্যাকেজের আওতায় সাময়িকভাবে আয়কর, আবাসিক কর কামানো হবে। পাশাপাশি পেট্রল এবং অন্যান্য সেবা খাতের ব্যয় নিয়ন্ত্রণে ভর্তুকি দেওয়া অব্যাহত থাকবে। 

কাঁচামালের ক্রমবর্ধমান মূল্যের কারণে জাপানে মূল্যস্ফীতি ঘটছে। বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতির হার ২ শতাংশের ওপরে বলে জানিয়ে আসছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত