সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারের সামনে ছাউনি নেই, নেই বসার ব্যবস্থা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার পাশে বসে আছেন নানা বয়সী মানুষ। কারও মুখে উদ্বেগ, কারও মুখে বিরক্তি। কারাগারে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে একটুখানি দেখা করতে আসা এসব মানুষ প্রতিদিনই পড়ছেন ভোগান্তিতে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলা কারাগারের মূল ফটকের সামনে দেখা যায়, কেউ ছাতা মাথায় দিয়ে বসে আছেন, কেউ ছোট্ট কাগজ বিছিয়ে ভেজা মাটিতে। কেউ এসেছেন ঠাকুরগাঁও শহরের পাশের এলাকা থেকে, কেউ আবার পঞ্চগড় বা হরিপুর থেকে।
আটোয়ারী উপজেলার সরদারপাড়া গ্রামের ৭০ বছর বয়সী পুতুল রানী বলেন, ‘আমার ছেলে এই কারাগারে আছে। সকাল থেকে এখানে বসে আছি। বসার জায়গা নাই, আশপাশে কোনো ছাউনি নেই। খাওয়ার পানি বা বিশ্রামেরও কোনো ব্যবস্থা নাই।’ বোদা উপজেলার শ্যামলী রানী বলেন, ‘স্বামী বন্দী আছেন। তাঁকে দেখতে এসেছি। কিন্তু এত কষ্ট করে এসে বাইরে বসে থাকতে হচ্ছে। বসার বা আশ্রয়ের কোনো ব্যবস্থাই তো নাই।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিসির বাংলো রোডে কারাগারের সামনে প্রায় ৪০-৫০ জন নারী-পুরুষ মাটিতে বসে আছেন। অনেকেই বৃদ্ধ, কেউ কেউ কোলে করে এনেছেন শিশুসন্তান। মুসলিমনগর এলাকার বিপাশা বেগম বলেন, ‘স্বামীকে দেখতে এসেছি। মোবাইল ফোন আর ব্যাগ নিয়ে ভেতরে যেতে দেয় না। বাইরে রাখারও কোনো নিরাপদ ব্যবস্থা নাই। কারও কাছে রেখে যাওয়ার উপায়ও নেই।’
রশিদা বেগম, হরিপুর উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোন আর ব্যাগ খোয়া যাওয়ার ভয়ে স্বামীর সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে গেলাম।’ স্বজনদের দাবি, নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোবাইল ফোন ও ভ্যানিটি ব্যাগ রাখার জন্য টোকেনভিত্তিক একটি নিরাপদ বুথ চালু করা গেলে এই দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হতো।
শুধু বসার জায়গা কিংবা মোবাইল ফোন রাখার সমস্যাই নয়, অভিযোগ রয়েছে কারা ক্যানটিন নিয়েও। ঠাকুরগাঁও শহরের শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কারা ক্যানটিনে যে দামে খাবার দেয়, তা বাইরে বাজারদামের চেয়ে দুই-তিন গুণ বেশি। নিম্নবিত্তদের পক্ষে এসব কেনা অসম্ভব। অনেক সময় বাধ্য হয়ে খালি হাতে চলে যেতে হয়।’
মানবাধিকারকর্মী শারমিন বেগম বলেন, ‘কারাগার যেমন অপরাধীদের সংশোধনের জায়গা, তেমনি তার স্বজনদের প্রতি মানবিক আচরণ করারও দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের রয়েছে। কারা সংস্কারের অংশ হিসেবেই এসব মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারের জেল সুপার মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়গুলো আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। দর্শনার্থীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারের সামনে ছাউনি নেই, নেই বসার ব্যবস্থা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার পাশে বসে আছেন নানা বয়সী মানুষ। কারও মুখে উদ্বেগ, কারও মুখে বিরক্তি। কারাগারে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে একটুখানি দেখা করতে আসা এসব মানুষ প্রতিদিনই পড়ছেন ভোগান্তিতে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলা কারাগারের মূল ফটকের সামনে দেখা যায়, কেউ ছাতা মাথায় দিয়ে বসে আছেন, কেউ ছোট্ট কাগজ বিছিয়ে ভেজা মাটিতে। কেউ এসেছেন ঠাকুরগাঁও শহরের পাশের এলাকা থেকে, কেউ আবার পঞ্চগড় বা হরিপুর থেকে।
আটোয়ারী উপজেলার সরদারপাড়া গ্রামের ৭০ বছর বয়সী পুতুল রানী বলেন, ‘আমার ছেলে এই কারাগারে আছে। সকাল থেকে এখানে বসে আছি। বসার জায়গা নাই, আশপাশে কোনো ছাউনি নেই। খাওয়ার পানি বা বিশ্রামেরও কোনো ব্যবস্থা নাই।’ বোদা উপজেলার শ্যামলী রানী বলেন, ‘স্বামী বন্দী আছেন। তাঁকে দেখতে এসেছি। কিন্তু এত কষ্ট করে এসে বাইরে বসে থাকতে হচ্ছে। বসার বা আশ্রয়ের কোনো ব্যবস্থাই তো নাই।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিসির বাংলো রোডে কারাগারের সামনে প্রায় ৪০-৫০ জন নারী-পুরুষ মাটিতে বসে আছেন। অনেকেই বৃদ্ধ, কেউ কেউ কোলে করে এনেছেন শিশুসন্তান। মুসলিমনগর এলাকার বিপাশা বেগম বলেন, ‘স্বামীকে দেখতে এসেছি। মোবাইল ফোন আর ব্যাগ নিয়ে ভেতরে যেতে দেয় না। বাইরে রাখারও কোনো নিরাপদ ব্যবস্থা নাই। কারও কাছে রেখে যাওয়ার উপায়ও নেই।’
রশিদা বেগম, হরিপুর উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোন আর ব্যাগ খোয়া যাওয়ার ভয়ে স্বামীর সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে গেলাম।’ স্বজনদের দাবি, নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোবাইল ফোন ও ভ্যানিটি ব্যাগ রাখার জন্য টোকেনভিত্তিক একটি নিরাপদ বুথ চালু করা গেলে এই দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হতো।
শুধু বসার জায়গা কিংবা মোবাইল ফোন রাখার সমস্যাই নয়, অভিযোগ রয়েছে কারা ক্যানটিন নিয়েও। ঠাকুরগাঁও শহরের শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কারা ক্যানটিনে যে দামে খাবার দেয়, তা বাইরে বাজারদামের চেয়ে দুই-তিন গুণ বেশি। নিম্নবিত্তদের পক্ষে এসব কেনা অসম্ভব। অনেক সময় বাধ্য হয়ে খালি হাতে চলে যেতে হয়।’
মানবাধিকারকর্মী শারমিন বেগম বলেন, ‘কারাগার যেমন অপরাধীদের সংশোধনের জায়গা, তেমনি তার স্বজনদের প্রতি মানবিক আচরণ করারও দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের রয়েছে। কারা সংস্কারের অংশ হিসেবেই এসব মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারের জেল সুপার মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়গুলো আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। দর্শনার্থীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চার মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ নেই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয়। চলছে শুধু রক্তচাপ পরিমাপ আর পরামর্শ দেওয়ার কার্যক্রম। এতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তারা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়। সিভিল সার্জন অবশ্য আশার বাণী শুনিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেতিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও নতুন করে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ঢেউয়ের আঘাতে নদীতীর, ফসলি জমি ও বসতভিটা ভাঙতে শুরু করেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিস্তাপারের বাসিন্দারা।
২ ঘণ্টা আগেসংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব এনেছে নির্বাচন কমিশন। এর মাধ্যমে বন্দর থানা এলাকা ভাগাভাগি হয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ সংসদীয় এলাকায় পড়তে যাচ্ছে। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী নেতারা। তাঁরা বলছেন, একই এলাকায়
২ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের লড়াই ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পাওয়া স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ইসফেন্দিয়ার জাহিদ হাসান মিলনায়তনে জুলাই অভ্যুত্থানে কালচারাল ফ্রন্ট লেখক, শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিকের
৫ ঘণ্টা আগে