সুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোংলা ইপিজেডে বর্তমানে চলমান কারখানার সংখ্যা ৩০টি। আবার মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে ২০টির বেশি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় মোংলা উপজেলা এবং খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করেন। দাকোপের শ্রমিকদের শিল্পাঞ্চলে আসার জন্য পশুর নদ এবং মোংলার শ্রমিকদের আসার জন্য মোংলা নদী পার হতে হয়। যাত্রী পারাপারের জন্য মোংলায় একটি ট্রলার ঘাট এবং দাকোপে পশুর নদের তীরে তিনটি ট্রলার ঘাট রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এই দুটি নদীতে ট্রলারগুলো অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে পারাপার করে। যাত্রীরাও সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে পার হন।
গত শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা মোংলা ট্রলার ঘাটে অবস্থান করে দুই হাজারের বেশি শ্রমিক-কর্মচারীকে মোংলা নদী পার হতে দেখা যায়। সব ট্রলারেই অতিরিক্ত বোঝাই। জায়গা না থাকলেও অনেক পুরুষ শ্রমিক সাইকেল নিয়ে ট্রলারে উঠে যাচ্ছেন। সবার মধ্যেই চরম ব্যস্ততা। ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠার সময়ও কেউ প্রতিবাদ করছেন না; বরং আগে ট্রলারে ওঠার জন্য হুড়াহুড়ি করছেন। ট্রলারচালকেরাও বেশি আয়ের লোভে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন।
এভাবে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করার কারণে ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব ঘাট থেকে পশুর নদ পার হয়ে মোংলা হোলসিম ঘাটে আসার সময় যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে দাকোপ উপজেলার বাজুয়া গ্রামের সুন্দর বিশ্বাস (৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়।
মোংলার শেহালাবুনিয়া এলাকার নাসিমা, জাহানারা; মিঠাখালী গ্রামের হনুফা, পারভীন; চাঁদপাই গ্রামের সেলিনা ও সানজিদা বলেন, ‘সকালে কারখানায় যাওয়ার সময় ও ফেরার সময় নৌকায় উঠতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে নদীতেও পড়ে যায়। তা ছাড়া নৌকাডুবির ঝুঁকিও থাকে। এভাবে ঝুঁকি থাকলেও আমাদের নদী পার হয়ে নির্ধারিত সময়েই কারখানায় পৌঁছাতে হয়। তা না হলে কারখানায় অনুপস্থিত দেখিয়ে বেতন কেটে নেওয়া হয়। আমরা তো পেটের দায়েই কারখানায় কাজ করি। প্রশাসন বা আমাদের মালিকপক্ষ যদি নদী পারাপারের জন্য বেশি ট্রলারের ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে এ সমস্যা আর থাকত না।’
বাইসাইকেল নিয়ে ট্রলারে ওঠা জয়খা গ্রামের শ্যামল, তপন চাপড়া গ্রামের মিঠুন ও কৃষ্ণ বলেন, ‘মোংলা নদীতে কোনো সেতু নেই। এই নদী পার হওয়ার জন্য একটিমাত্র ফেরি রয়েছে। সেটি আবার ভাটার সময় চলে না। আবার কোনো পরিবহন পারাপারের জন্য না এলে ফেরি ছাড়েও না। ফলে নদী পারাপারে আমাদের একমাত্র উপায় হলো এই ট্রলার। তার সংখ্যাও আবার হাতে গোনা। আর সকালে নির্ধারিত সময়ের আগে কর্মস্থলে যাওয়ার চাপের কারণে আমাদের এভাবে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়। ট্রলারমালিক সমিতি যদি এখানে পর্যাপ্তসংখ্যক ট্রলারের ব্যবস্থা রাখত, তাহলে এ সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হতো।’ তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রশাসন ও ট্রলারমালিক সমিতি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। অনেক বছর ধরে এ রকম অবস্থা চলে এলেও, এখনো এ সমস্যা সমাধানে কোনো ব্যবস্থা কেউ নেয়নি।
মোংলা বন্দর যন্ত্রচালিত মাঝিমাল্লা সংঘের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সকালে ১ ঘণ্টা এবং সন্ধ্যায় ১ ঘণ্টা মোংলা ইপিজেড ও বন্দরের শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের পারাপারের জন্য ঘাটে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। তখন আমরা প্রতি ট্রলারে ৪০-৪৫ জন যাত্রী পারাপার করি। দিনের অন্যান্য সময় প্রতি ট্রলারে ২০ জনের বেশি যাত্রী কোনো ট্রলারে উঠানো হয় না। আমাদের ট্রলারের সংখ্যা ২২টি এবং প্রতিটিতে ৭০-৭৫ জন যাত্রী পারাপার করা যায়। যাত্রী পারাপারের চাপ কমানোর জন্য তিন মাস পরপর আমরা একটি নতুন ট্রলার নদীতে নামাই। আর সকালে এবং সন্ধ্যায় শ্রমিক পারাপারের সময় আমাদের সমিতির নেতা-কর্মীরা দায়িত্ব পালন করেন, যাতে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী না ওঠে।’ তাঁর দাবি, সকালে যাত্রীরা নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত হয়ে ট্রলারে উঠে যান। তখন যাত্রীরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না। যেটা আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পৌর প্রশাসক শারমিন আক্তার সুমি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। যাত্রী পারাপারের সঠিক নিয়ম ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই আমরা মাঝিমাল্লা সংঘের নেতাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে বসব।’

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোংলা ইপিজেডে বর্তমানে চলমান কারখানার সংখ্যা ৩০টি। আবার মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে ২০টির বেশি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় মোংলা উপজেলা এবং খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করেন। দাকোপের শ্রমিকদের শিল্পাঞ্চলে আসার জন্য পশুর নদ এবং মোংলার শ্রমিকদের আসার জন্য মোংলা নদী পার হতে হয়। যাত্রী পারাপারের জন্য মোংলায় একটি ট্রলার ঘাট এবং দাকোপে পশুর নদের তীরে তিনটি ট্রলার ঘাট রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এই দুটি নদীতে ট্রলারগুলো অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে পারাপার করে। যাত্রীরাও সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে পার হন।
গত শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা মোংলা ট্রলার ঘাটে অবস্থান করে দুই হাজারের বেশি শ্রমিক-কর্মচারীকে মোংলা নদী পার হতে দেখা যায়। সব ট্রলারেই অতিরিক্ত বোঝাই। জায়গা না থাকলেও অনেক পুরুষ শ্রমিক সাইকেল নিয়ে ট্রলারে উঠে যাচ্ছেন। সবার মধ্যেই চরম ব্যস্ততা। ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠার সময়ও কেউ প্রতিবাদ করছেন না; বরং আগে ট্রলারে ওঠার জন্য হুড়াহুড়ি করছেন। ট্রলারচালকেরাও বেশি আয়ের লোভে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন।
এভাবে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করার কারণে ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব ঘাট থেকে পশুর নদ পার হয়ে মোংলা হোলসিম ঘাটে আসার সময় যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে দাকোপ উপজেলার বাজুয়া গ্রামের সুন্দর বিশ্বাস (৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়।
মোংলার শেহালাবুনিয়া এলাকার নাসিমা, জাহানারা; মিঠাখালী গ্রামের হনুফা, পারভীন; চাঁদপাই গ্রামের সেলিনা ও সানজিদা বলেন, ‘সকালে কারখানায় যাওয়ার সময় ও ফেরার সময় নৌকায় উঠতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে নদীতেও পড়ে যায়। তা ছাড়া নৌকাডুবির ঝুঁকিও থাকে। এভাবে ঝুঁকি থাকলেও আমাদের নদী পার হয়ে নির্ধারিত সময়েই কারখানায় পৌঁছাতে হয়। তা না হলে কারখানায় অনুপস্থিত দেখিয়ে বেতন কেটে নেওয়া হয়। আমরা তো পেটের দায়েই কারখানায় কাজ করি। প্রশাসন বা আমাদের মালিকপক্ষ যদি নদী পারাপারের জন্য বেশি ট্রলারের ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে এ সমস্যা আর থাকত না।’
বাইসাইকেল নিয়ে ট্রলারে ওঠা জয়খা গ্রামের শ্যামল, তপন চাপড়া গ্রামের মিঠুন ও কৃষ্ণ বলেন, ‘মোংলা নদীতে কোনো সেতু নেই। এই নদী পার হওয়ার জন্য একটিমাত্র ফেরি রয়েছে। সেটি আবার ভাটার সময় চলে না। আবার কোনো পরিবহন পারাপারের জন্য না এলে ফেরি ছাড়েও না। ফলে নদী পারাপারে আমাদের একমাত্র উপায় হলো এই ট্রলার। তার সংখ্যাও আবার হাতে গোনা। আর সকালে নির্ধারিত সময়ের আগে কর্মস্থলে যাওয়ার চাপের কারণে আমাদের এভাবে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়। ট্রলারমালিক সমিতি যদি এখানে পর্যাপ্তসংখ্যক ট্রলারের ব্যবস্থা রাখত, তাহলে এ সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হতো।’ তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রশাসন ও ট্রলারমালিক সমিতি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। অনেক বছর ধরে এ রকম অবস্থা চলে এলেও, এখনো এ সমস্যা সমাধানে কোনো ব্যবস্থা কেউ নেয়নি।
মোংলা বন্দর যন্ত্রচালিত মাঝিমাল্লা সংঘের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সকালে ১ ঘণ্টা এবং সন্ধ্যায় ১ ঘণ্টা মোংলা ইপিজেড ও বন্দরের শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের পারাপারের জন্য ঘাটে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। তখন আমরা প্রতি ট্রলারে ৪০-৪৫ জন যাত্রী পারাপার করি। দিনের অন্যান্য সময় প্রতি ট্রলারে ২০ জনের বেশি যাত্রী কোনো ট্রলারে উঠানো হয় না। আমাদের ট্রলারের সংখ্যা ২২টি এবং প্রতিটিতে ৭০-৭৫ জন যাত্রী পারাপার করা যায়। যাত্রী পারাপারের চাপ কমানোর জন্য তিন মাস পরপর আমরা একটি নতুন ট্রলার নদীতে নামাই। আর সকালে এবং সন্ধ্যায় শ্রমিক পারাপারের সময় আমাদের সমিতির নেতা-কর্মীরা দায়িত্ব পালন করেন, যাতে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী না ওঠে।’ তাঁর দাবি, সকালে যাত্রীরা নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত হয়ে ট্রলারে উঠে যান। তখন যাত্রীরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না। যেটা আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পৌর প্রশাসক শারমিন আক্তার সুমি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। যাত্রী পারাপারের সঠিক নিয়ম ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই আমরা মাঝিমাল্লা সংঘের নেতাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে বসব।’
সুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোংলা ইপিজেডে বর্তমানে চলমান কারখানার সংখ্যা ৩০টি। আবার মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে ২০টির বেশি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় মোংলা উপজেলা এবং খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করেন। দাকোপের শ্রমিকদের শিল্পাঞ্চলে আসার জন্য পশুর নদ এবং মোংলার শ্রমিকদের আসার জন্য মোংলা নদী পার হতে হয়। যাত্রী পারাপারের জন্য মোংলায় একটি ট্রলার ঘাট এবং দাকোপে পশুর নদের তীরে তিনটি ট্রলার ঘাট রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এই দুটি নদীতে ট্রলারগুলো অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে পারাপার করে। যাত্রীরাও সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে পার হন।
গত শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা মোংলা ট্রলার ঘাটে অবস্থান করে দুই হাজারের বেশি শ্রমিক-কর্মচারীকে মোংলা নদী পার হতে দেখা যায়। সব ট্রলারেই অতিরিক্ত বোঝাই। জায়গা না থাকলেও অনেক পুরুষ শ্রমিক সাইকেল নিয়ে ট্রলারে উঠে যাচ্ছেন। সবার মধ্যেই চরম ব্যস্ততা। ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠার সময়ও কেউ প্রতিবাদ করছেন না; বরং আগে ট্রলারে ওঠার জন্য হুড়াহুড়ি করছেন। ট্রলারচালকেরাও বেশি আয়ের লোভে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন।
এভাবে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করার কারণে ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব ঘাট থেকে পশুর নদ পার হয়ে মোংলা হোলসিম ঘাটে আসার সময় যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে দাকোপ উপজেলার বাজুয়া গ্রামের সুন্দর বিশ্বাস (৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়।
মোংলার শেহালাবুনিয়া এলাকার নাসিমা, জাহানারা; মিঠাখালী গ্রামের হনুফা, পারভীন; চাঁদপাই গ্রামের সেলিনা ও সানজিদা বলেন, ‘সকালে কারখানায় যাওয়ার সময় ও ফেরার সময় নৌকায় উঠতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে নদীতেও পড়ে যায়। তা ছাড়া নৌকাডুবির ঝুঁকিও থাকে। এভাবে ঝুঁকি থাকলেও আমাদের নদী পার হয়ে নির্ধারিত সময়েই কারখানায় পৌঁছাতে হয়। তা না হলে কারখানায় অনুপস্থিত দেখিয়ে বেতন কেটে নেওয়া হয়। আমরা তো পেটের দায়েই কারখানায় কাজ করি। প্রশাসন বা আমাদের মালিকপক্ষ যদি নদী পারাপারের জন্য বেশি ট্রলারের ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে এ সমস্যা আর থাকত না।’
বাইসাইকেল নিয়ে ট্রলারে ওঠা জয়খা গ্রামের শ্যামল, তপন চাপড়া গ্রামের মিঠুন ও কৃষ্ণ বলেন, ‘মোংলা নদীতে কোনো সেতু নেই। এই নদী পার হওয়ার জন্য একটিমাত্র ফেরি রয়েছে। সেটি আবার ভাটার সময় চলে না। আবার কোনো পরিবহন পারাপারের জন্য না এলে ফেরি ছাড়েও না। ফলে নদী পারাপারে আমাদের একমাত্র উপায় হলো এই ট্রলার। তার সংখ্যাও আবার হাতে গোনা। আর সকালে নির্ধারিত সময়ের আগে কর্মস্থলে যাওয়ার চাপের কারণে আমাদের এভাবে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়। ট্রলারমালিক সমিতি যদি এখানে পর্যাপ্তসংখ্যক ট্রলারের ব্যবস্থা রাখত, তাহলে এ সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হতো।’ তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রশাসন ও ট্রলারমালিক সমিতি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। অনেক বছর ধরে এ রকম অবস্থা চলে এলেও, এখনো এ সমস্যা সমাধানে কোনো ব্যবস্থা কেউ নেয়নি।
মোংলা বন্দর যন্ত্রচালিত মাঝিমাল্লা সংঘের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সকালে ১ ঘণ্টা এবং সন্ধ্যায় ১ ঘণ্টা মোংলা ইপিজেড ও বন্দরের শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের পারাপারের জন্য ঘাটে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। তখন আমরা প্রতি ট্রলারে ৪০-৪৫ জন যাত্রী পারাপার করি। দিনের অন্যান্য সময় প্রতি ট্রলারে ২০ জনের বেশি যাত্রী কোনো ট্রলারে উঠানো হয় না। আমাদের ট্রলারের সংখ্যা ২২টি এবং প্রতিটিতে ৭০-৭৫ জন যাত্রী পারাপার করা যায়। যাত্রী পারাপারের চাপ কমানোর জন্য তিন মাস পরপর আমরা একটি নতুন ট্রলার নদীতে নামাই। আর সকালে এবং সন্ধ্যায় শ্রমিক পারাপারের সময় আমাদের সমিতির নেতা-কর্মীরা দায়িত্ব পালন করেন, যাতে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী না ওঠে।’ তাঁর দাবি, সকালে যাত্রীরা নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত হয়ে ট্রলারে উঠে যান। তখন যাত্রীরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না। যেটা আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পৌর প্রশাসক শারমিন আক্তার সুমি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। যাত্রী পারাপারের সঠিক নিয়ম ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই আমরা মাঝিমাল্লা সংঘের নেতাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে বসব।’

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোংলা ইপিজেডে বর্তমানে চলমান কারখানার সংখ্যা ৩০টি। আবার মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে ২০টির বেশি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় মোংলা উপজেলা এবং খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করেন। দাকোপের শ্রমিকদের শিল্পাঞ্চলে আসার জন্য পশুর নদ এবং মোংলার শ্রমিকদের আসার জন্য মোংলা নদী পার হতে হয়। যাত্রী পারাপারের জন্য মোংলায় একটি ট্রলার ঘাট এবং দাকোপে পশুর নদের তীরে তিনটি ট্রলার ঘাট রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এই দুটি নদীতে ট্রলারগুলো অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে পারাপার করে। যাত্রীরাও সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে পার হন।
গত শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা মোংলা ট্রলার ঘাটে অবস্থান করে দুই হাজারের বেশি শ্রমিক-কর্মচারীকে মোংলা নদী পার হতে দেখা যায়। সব ট্রলারেই অতিরিক্ত বোঝাই। জায়গা না থাকলেও অনেক পুরুষ শ্রমিক সাইকেল নিয়ে ট্রলারে উঠে যাচ্ছেন। সবার মধ্যেই চরম ব্যস্ততা। ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠার সময়ও কেউ প্রতিবাদ করছেন না; বরং আগে ট্রলারে ওঠার জন্য হুড়াহুড়ি করছেন। ট্রলারচালকেরাও বেশি আয়ের লোভে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন।
এভাবে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করার কারণে ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব ঘাট থেকে পশুর নদ পার হয়ে মোংলা হোলসিম ঘাটে আসার সময় যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে দাকোপ উপজেলার বাজুয়া গ্রামের সুন্দর বিশ্বাস (৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়।
মোংলার শেহালাবুনিয়া এলাকার নাসিমা, জাহানারা; মিঠাখালী গ্রামের হনুফা, পারভীন; চাঁদপাই গ্রামের সেলিনা ও সানজিদা বলেন, ‘সকালে কারখানায় যাওয়ার সময় ও ফেরার সময় নৌকায় উঠতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে নদীতেও পড়ে যায়। তা ছাড়া নৌকাডুবির ঝুঁকিও থাকে। এভাবে ঝুঁকি থাকলেও আমাদের নদী পার হয়ে নির্ধারিত সময়েই কারখানায় পৌঁছাতে হয়। তা না হলে কারখানায় অনুপস্থিত দেখিয়ে বেতন কেটে নেওয়া হয়। আমরা তো পেটের দায়েই কারখানায় কাজ করি। প্রশাসন বা আমাদের মালিকপক্ষ যদি নদী পারাপারের জন্য বেশি ট্রলারের ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে এ সমস্যা আর থাকত না।’
বাইসাইকেল নিয়ে ট্রলারে ওঠা জয়খা গ্রামের শ্যামল, তপন চাপড়া গ্রামের মিঠুন ও কৃষ্ণ বলেন, ‘মোংলা নদীতে কোনো সেতু নেই। এই নদী পার হওয়ার জন্য একটিমাত্র ফেরি রয়েছে। সেটি আবার ভাটার সময় চলে না। আবার কোনো পরিবহন পারাপারের জন্য না এলে ফেরি ছাড়েও না। ফলে নদী পারাপারে আমাদের একমাত্র উপায় হলো এই ট্রলার। তার সংখ্যাও আবার হাতে গোনা। আর সকালে নির্ধারিত সময়ের আগে কর্মস্থলে যাওয়ার চাপের কারণে আমাদের এভাবে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়। ট্রলারমালিক সমিতি যদি এখানে পর্যাপ্তসংখ্যক ট্রলারের ব্যবস্থা রাখত, তাহলে এ সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হতো।’ তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রশাসন ও ট্রলারমালিক সমিতি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। অনেক বছর ধরে এ রকম অবস্থা চলে এলেও, এখনো এ সমস্যা সমাধানে কোনো ব্যবস্থা কেউ নেয়নি।
মোংলা বন্দর যন্ত্রচালিত মাঝিমাল্লা সংঘের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সকালে ১ ঘণ্টা এবং সন্ধ্যায় ১ ঘণ্টা মোংলা ইপিজেড ও বন্দরের শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের পারাপারের জন্য ঘাটে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। তখন আমরা প্রতি ট্রলারে ৪০-৪৫ জন যাত্রী পারাপার করি। দিনের অন্যান্য সময় প্রতি ট্রলারে ২০ জনের বেশি যাত্রী কোনো ট্রলারে উঠানো হয় না। আমাদের ট্রলারের সংখ্যা ২২টি এবং প্রতিটিতে ৭০-৭৫ জন যাত্রী পারাপার করা যায়। যাত্রী পারাপারের চাপ কমানোর জন্য তিন মাস পরপর আমরা একটি নতুন ট্রলার নদীতে নামাই। আর সকালে এবং সন্ধ্যায় শ্রমিক পারাপারের সময় আমাদের সমিতির নেতা-কর্মীরা দায়িত্ব পালন করেন, যাতে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী না ওঠে।’ তাঁর দাবি, সকালে যাত্রীরা নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত হয়ে ট্রলারে উঠে যান। তখন যাত্রীরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না। যেটা আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পৌর প্রশাসক শারমিন আক্তার সুমি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। যাত্রী পারাপারের সঠিক নিয়ম ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই আমরা মাঝিমাল্লা সংঘের নেতাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে বসব।’

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাকে আটক করে।
১১ মিনিট আগে
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৫ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৬ ঘণ্টা আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেশাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাকে আটক করে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার বেজোড়া দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ‘বেজোড়া যুবসংঘ’ শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল।
আয়োজক কমিটির সদস্য রুবেল হোসেন বলেন, ‘দাওয়াত না পাওয়ায় রাত ১১টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা সনি এসে মোটরসাইকেল আমাদের সাউন্ড বক্সের উপরে তুলে দেন। তখন উপস্থিত লোকজন বাধা দিলে সনি পাশেই নিজের বাড়িতে গিয়ে পিস্তল হাতে ফিরে এসে আমাকে গুলি করার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয় শত শত জনতা সনিকে পিস্তলসহ আটক করে পিটুনি দেয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়ার কৈগাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পিস্তলসহ সনিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয়রা বলছেন, সনি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধে জড়িত।
ঘটনাস্থলে থাকা কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবু সুফিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিস্তলসহ সনিকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। পিস্তলটি সম্ভবত আসল না। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাকে আটক করে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার বেজোড়া দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ‘বেজোড়া যুবসংঘ’ শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল।
আয়োজক কমিটির সদস্য রুবেল হোসেন বলেন, ‘দাওয়াত না পাওয়ায় রাত ১১টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা সনি এসে মোটরসাইকেল আমাদের সাউন্ড বক্সের উপরে তুলে দেন। তখন উপস্থিত লোকজন বাধা দিলে সনি পাশেই নিজের বাড়িতে গিয়ে পিস্তল হাতে ফিরে এসে আমাকে গুলি করার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয় শত শত জনতা সনিকে পিস্তলসহ আটক করে পিটুনি দেয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়ার কৈগাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পিস্তলসহ সনিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয়রা বলছেন, সনি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধে জড়িত।
ঘটনাস্থলে থাকা কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবু সুফিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিস্তলসহ সনিকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। পিস্তলটি সম্ভবত আসল না। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০ অক্টোবর ২০২৫
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৫ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৬ ঘণ্টা আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেগুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা

নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা চাঁচকৈড় রসুনহাট, গরুর হাট ও গুরুদাসপুর বাজারঘাট এলাকার আবর্জনা গাড়িতে তুলে এনে নদীর তীরে বা সরাসরি পানিতে ফেলে দিচ্ছে। শুধু ঘরবাড়ির বর্জ্য নয়, বিভিন্ন কারখানা ও ক্লিনিক থেকে আসা রাসায়নিক বর্জ্য এবং পয়োনিষ্কাশনের নালা-পাইপের বর্জ্যও নন্দকুঁজা নদীতে পড়ছে। এতে নদীর পানি যেমন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। তবু পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।
রসুনহাটসংলগ্ন নদীপাড়ের ব্যবসায়ীরা বলেন, শহরজুড়ে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের ফেলা নানান আবর্জনা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জমে থাকে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেসব বর্জ্য সংগ্রহ করে পৌরসভার গাড়িতে করে এনে নদীর ধারে ফেলে রাখেন। এতে এতটাই দুর্গন্ধ ছড়ায় যে আশপাশে বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন নদীপারের বাসিন্দা জানান, একসময় এই নদীতে দল বেঁধে গোসল করতেন তাঁরা, মাছ ধরতেন, শিশুদের খেলাধুলার জায়গা ছিল এটি। এখন নদীতে নামাই যায় না। দূষিত পানিতে শরীর চুলকায়, আগের মতো মাছও আর মেলে না। নদীর প্রতি মানুষের নির্ভরতা কমে যাচ্ছে, তারা চান, আগের সেই স্বাভাবিক নদী ফিরে আসুক।
জানতে চাইলে গুরুদাসপুর উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, ‘নদী রক্ষায় বহুবার আন্দোলন করেছি, পৌর মেয়রকেও অনুরোধ জানিয়েছিলাম; তবু নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ আজকের পত্রিকাকে জানান, ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি তাঁর নজরে আসেনি। এখন তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশ দেবেন, যেন নদীতে আর আবর্জনা ফেলা না হয়।

নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা চাঁচকৈড় রসুনহাট, গরুর হাট ও গুরুদাসপুর বাজারঘাট এলাকার আবর্জনা গাড়িতে তুলে এনে নদীর তীরে বা সরাসরি পানিতে ফেলে দিচ্ছে। শুধু ঘরবাড়ির বর্জ্য নয়, বিভিন্ন কারখানা ও ক্লিনিক থেকে আসা রাসায়নিক বর্জ্য এবং পয়োনিষ্কাশনের নালা-পাইপের বর্জ্যও নন্দকুঁজা নদীতে পড়ছে। এতে নদীর পানি যেমন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। তবু পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।
রসুনহাটসংলগ্ন নদীপাড়ের ব্যবসায়ীরা বলেন, শহরজুড়ে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের ফেলা নানান আবর্জনা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জমে থাকে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেসব বর্জ্য সংগ্রহ করে পৌরসভার গাড়িতে করে এনে নদীর ধারে ফেলে রাখেন। এতে এতটাই দুর্গন্ধ ছড়ায় যে আশপাশে বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন নদীপারের বাসিন্দা জানান, একসময় এই নদীতে দল বেঁধে গোসল করতেন তাঁরা, মাছ ধরতেন, শিশুদের খেলাধুলার জায়গা ছিল এটি। এখন নদীতে নামাই যায় না। দূষিত পানিতে শরীর চুলকায়, আগের মতো মাছও আর মেলে না। নদীর প্রতি মানুষের নির্ভরতা কমে যাচ্ছে, তারা চান, আগের সেই স্বাভাবিক নদী ফিরে আসুক।
জানতে চাইলে গুরুদাসপুর উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, ‘নদী রক্ষায় বহুবার আন্দোলন করেছি, পৌর মেয়রকেও অনুরোধ জানিয়েছিলাম; তবু নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ আজকের পত্রিকাকে জানান, ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি তাঁর নজরে আসেনি। এখন তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশ দেবেন, যেন নদীতে আর আবর্জনা ফেলা না হয়।

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০ অক্টোবর ২০২৫
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাকে আটক করে।
১১ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৬ ঘণ্টা আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেমুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, সুবর্ণচর (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। এক সপ্তাহে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েক শ শিশু জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে উপজেলায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চলতি (ডিসেম্বর) মাসের প্রথম আট দিনে (১ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত) মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৮৪ জনের মধ্যে শিশু ৬৭২ জন। এদের সবাই ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এই আট দিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬১৯টি শিশু। গতকাল সোমবার ভর্তি ছিল ৪৮ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের মেঝেতেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নার্সরা ব্যস্ত রোগীর চাপ সামলাতে। শিশু ওয়ার্ডে কথা হয় গৃহবধূ আসমা আক্তারের সঙ্গে। চার দিন ধরে তাঁর সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে মুনতাহা জ্বরে আক্রান্ত। প্রথমে বাড়িতে রেখে পল্লিচিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা দিলেও জ্বর কমেনি। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে আসেন। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে রেখে মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন।
আসমা বলেন, ‘বাচ্চাটা চার দিনের জ্বরে কাহিল হয়ে গেছে। ঘাড় তুলতে পারছে না। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ঠান্ডাজনিত রোগ (নিউমোনিয়া) প্রতিদিন অনেক শিশু ভর্তি হচ্ছে। এখন ইনজেকশন ও অন্যান্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছে। শয্যা পাচ্ছি না। বলতে পারছি না কবে সন্তানকে সুস্থ করে বাড়িতে ফিরতে পারব।’
চর আলাউদ্দিনের বাসিন্দা শেফালী আক্তারের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সৈকত ছয় দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে জোসনার চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। তিনি জানান, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে, আগে বুঝতে পারেননি। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন সাধারণ জ্বর। কিন্তু হাসপাতালে দুই দফায় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসা চলছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. সোহেল সারওয়ার জানান, সুবর্ণচরের চরাঞ্চল থেকে শিশুরা বেশি আসছে। প্রতিবছরের মতো এ বছর তীব্র ঠান্ডা পড়েছে। ফলে ঠান্ডাজনিত রোগও দেখা দিয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হয়। তিনি বলেন, ‘যে শিশুগুলো মারা যাচ্ছে, বেশির ভাগ নবজাতক ও পাঁচ বছরের মধ্যে। পল্লিচিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে তাদের অবস্থা যখন বেশি খারাপ হয়, তখন হাসপাতালে আসেন এতে আমাদেরও কিছু করার থাকে না। আমরা সাধ্য অনুযায়ী এ হাসপাতালে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করছি।’
এদিকে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলামের কাছে তাপমাত্রা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আবহাওয়ার কোনো রেকর্ড আমাদের কাছে নেই। আগামীকাল (৯ ডিসেম্বর) জানাতে পারব।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে অনেক শিশুকে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় নিয়ে আসে। আমরা সেসব শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠাই। অনেক রোগীর অভিভাবক আছেন, জেলা হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান। তখন সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে মারা যায়।’

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। এক সপ্তাহে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েক শ শিশু জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে উপজেলায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চলতি (ডিসেম্বর) মাসের প্রথম আট দিনে (১ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত) মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৮৪ জনের মধ্যে শিশু ৬৭২ জন। এদের সবাই ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এই আট দিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬১৯টি শিশু। গতকাল সোমবার ভর্তি ছিল ৪৮ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের মেঝেতেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নার্সরা ব্যস্ত রোগীর চাপ সামলাতে। শিশু ওয়ার্ডে কথা হয় গৃহবধূ আসমা আক্তারের সঙ্গে। চার দিন ধরে তাঁর সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে মুনতাহা জ্বরে আক্রান্ত। প্রথমে বাড়িতে রেখে পল্লিচিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা দিলেও জ্বর কমেনি। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে আসেন। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে রেখে মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন।
আসমা বলেন, ‘বাচ্চাটা চার দিনের জ্বরে কাহিল হয়ে গেছে। ঘাড় তুলতে পারছে না। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ঠান্ডাজনিত রোগ (নিউমোনিয়া) প্রতিদিন অনেক শিশু ভর্তি হচ্ছে। এখন ইনজেকশন ও অন্যান্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছে। শয্যা পাচ্ছি না। বলতে পারছি না কবে সন্তানকে সুস্থ করে বাড়িতে ফিরতে পারব।’
চর আলাউদ্দিনের বাসিন্দা শেফালী আক্তারের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সৈকত ছয় দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে জোসনার চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। তিনি জানান, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে, আগে বুঝতে পারেননি। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন সাধারণ জ্বর। কিন্তু হাসপাতালে দুই দফায় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসা চলছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. সোহেল সারওয়ার জানান, সুবর্ণচরের চরাঞ্চল থেকে শিশুরা বেশি আসছে। প্রতিবছরের মতো এ বছর তীব্র ঠান্ডা পড়েছে। ফলে ঠান্ডাজনিত রোগও দেখা দিয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হয়। তিনি বলেন, ‘যে শিশুগুলো মারা যাচ্ছে, বেশির ভাগ নবজাতক ও পাঁচ বছরের মধ্যে। পল্লিচিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে তাদের অবস্থা যখন বেশি খারাপ হয়, তখন হাসপাতালে আসেন এতে আমাদেরও কিছু করার থাকে না। আমরা সাধ্য অনুযায়ী এ হাসপাতালে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করছি।’
এদিকে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলামের কাছে তাপমাত্রা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আবহাওয়ার কোনো রেকর্ড আমাদের কাছে নেই। আগামীকাল (৯ ডিসেম্বর) জানাতে পারব।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে অনেক শিশুকে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় নিয়ে আসে। আমরা সেসব শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠাই। অনেক রোগীর অভিভাবক আছেন, জেলা হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান। তখন সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে মারা যায়।’

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০ অক্টোবর ২০২৫
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাকে আটক করে।
১১ মিনিট আগে
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৫ ঘণ্টা আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বজিত রায়, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত শুক্রবার তাহিরপুরের শনির হাওর এবং জামালগঞ্জের হালি হাওর ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গা দিয়ে পানি নামছে নদীতে। অধিকাংশ বাঁধ এলাকায় কাজ শুরুর মতো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। শনির হাওরের সাহেবনগর, জালালপুর, নয়ানগর, মারালা, ইগ্রামপুর, নিশ্চিন্তপুর, মুরাদনগর, শ্রীপুর হয়ে তাহিরপুর পর্যন্ত যেসব জায়গায় প্রতিবছর বাঁধের কাজ হয়, সেসব জায়গায় বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার মতো কোনো আলামত চোখে পড়েনি। শুধু তা-ই নয়, হালি হাওরের একাংশ ঘুরে একই রকম পরিস্থিতি দেখা গেছে।
হাওর-সচেতন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাওরের রাজধানীখ্যাত সুনামগঞ্জ বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। ওই বোরো ফসল হাতছাড়া হলে দুঃখের সীমা থাকে না এখানকার মানুষের। টেকসই ঝুঁকিমুক্ত বাঁধই পারে এক ফসলি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ রাখতে। এর মধ্যে বাঁধের কাজে ব্যত্যয় ঘটলে গোটা হাওরাঞ্চল ঝুঁকিতে পড়বে।
কথা হয় তাহিরপুরের শনির হাওর পারের নয়ানগর গ্রামের কৃষক বাপ্পি মিয়ার সঙ্গে। বাঁধের প্রাক্কলন-জরিপের কাজ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরার গেরামের আশপাশে প্রতিবছরই পিআইসিরা বাঁধের কাজ করে। এই বছর জরিপের কাজ এখনো হইছে না, কয়দিনের মধ্যে হয়তো করব। সময় তো চইল্যা যাইতাছে (চলে যাচ্ছে)। তাড়াতাড়ি (দ্রুত) কাজ না করলে তো পরে আমরার দৌড়াদৌড়ি করন (করা) লাগে।’
জানা যায়, ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জে ভয়াবহ হাওর বিপর্যয়ের পর নড়েচড়ে বসে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ওই বছর ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। সেই দুর্নীতি ঠেকাতে নতুন কাবিটা নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকার। এই নীতিমালার আলোকে বিলুপ্ত হয় আগের ঠিকাদারি প্রথা। হাওরপারের কৃষিজীবী মানুষের সমন্বয়ে পিআইসি গঠন করে বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার নতুন নির্দেশনা জারি করা হয় নীতিমালায়। কিন্তু পুরোনো প্রথাই বলবৎ আছে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে।
নীতিমালায় ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন; ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার কথা বলা আছে। কিন্তু পিআইসি গঠন দূরের কথা, এখন পর্যন্ত প্রাক্কলন ও জরিপের কাজই শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে কৃষক ও হাওর-সচেতন মানুষের মাঝে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার ও মেরামতে এ বছর ৬৯০টি পিআইসি গঠন করা হতে পারে। এ কাজে প্রাথমিক বরাদ্দ হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। জেলার ৯৫টি হাওরের মধ্যে বাঁধের কাজ হবে ৫৩টি হাওরে। চলতি বছরে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার বাঁধ এলাকায় সংস্কার ও মেরামতের কাজ হবে। ধর্মপাশা ও শাল্লায় বাঁধের কাজ সবচেয়ে বেশি।
শাল্লা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি তরুণ কান্তি দাস বলেন, ‘২০১৭ সালের প্রলয়ংকরী হাওর বিপর্যয়ের পর বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ আসেনি। যে কারণে বাঁধ হওয়া না হওয়া নিয়ে তেমন প্রভাব পড়েনি। যদি অকালবন্যা পেয়ে বসে, তাহলে কৃষকের সর্বনাশ হবে। এখনো প্রাক্কলন-জরিপের কাজই চলছে। কাজের এই মন্থরগতি বিপদে ফেলতে পারে হাওরবাসীকে।’
পিআইসি গঠনপ্রক্রিয়া চলমান আছে জানিয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, হাওরে এখন পর্যন্ত ৮৬টি ক্লোজার (বাঁধের বড় ভাঙা) শনাক্ত করা হয়েছে। এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জেলার ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার বাঁধে জরিপ কাজ শেষ হয়েছে। প্রাক্কলনের কাজও ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত শুক্রবার তাহিরপুরের শনির হাওর এবং জামালগঞ্জের হালি হাওর ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গা দিয়ে পানি নামছে নদীতে। অধিকাংশ বাঁধ এলাকায় কাজ শুরুর মতো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। শনির হাওরের সাহেবনগর, জালালপুর, নয়ানগর, মারালা, ইগ্রামপুর, নিশ্চিন্তপুর, মুরাদনগর, শ্রীপুর হয়ে তাহিরপুর পর্যন্ত যেসব জায়গায় প্রতিবছর বাঁধের কাজ হয়, সেসব জায়গায় বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার মতো কোনো আলামত চোখে পড়েনি। শুধু তা-ই নয়, হালি হাওরের একাংশ ঘুরে একই রকম পরিস্থিতি দেখা গেছে।
হাওর-সচেতন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাওরের রাজধানীখ্যাত সুনামগঞ্জ বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। ওই বোরো ফসল হাতছাড়া হলে দুঃখের সীমা থাকে না এখানকার মানুষের। টেকসই ঝুঁকিমুক্ত বাঁধই পারে এক ফসলি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ রাখতে। এর মধ্যে বাঁধের কাজে ব্যত্যয় ঘটলে গোটা হাওরাঞ্চল ঝুঁকিতে পড়বে।
কথা হয় তাহিরপুরের শনির হাওর পারের নয়ানগর গ্রামের কৃষক বাপ্পি মিয়ার সঙ্গে। বাঁধের প্রাক্কলন-জরিপের কাজ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরার গেরামের আশপাশে প্রতিবছরই পিআইসিরা বাঁধের কাজ করে। এই বছর জরিপের কাজ এখনো হইছে না, কয়দিনের মধ্যে হয়তো করব। সময় তো চইল্যা যাইতাছে (চলে যাচ্ছে)। তাড়াতাড়ি (দ্রুত) কাজ না করলে তো পরে আমরার দৌড়াদৌড়ি করন (করা) লাগে।’
জানা যায়, ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জে ভয়াবহ হাওর বিপর্যয়ের পর নড়েচড়ে বসে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ওই বছর ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। সেই দুর্নীতি ঠেকাতে নতুন কাবিটা নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকার। এই নীতিমালার আলোকে বিলুপ্ত হয় আগের ঠিকাদারি প্রথা। হাওরপারের কৃষিজীবী মানুষের সমন্বয়ে পিআইসি গঠন করে বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার নতুন নির্দেশনা জারি করা হয় নীতিমালায়। কিন্তু পুরোনো প্রথাই বলবৎ আছে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে।
নীতিমালায় ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন; ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার কথা বলা আছে। কিন্তু পিআইসি গঠন দূরের কথা, এখন পর্যন্ত প্রাক্কলন ও জরিপের কাজই শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে কৃষক ও হাওর-সচেতন মানুষের মাঝে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার ও মেরামতে এ বছর ৬৯০টি পিআইসি গঠন করা হতে পারে। এ কাজে প্রাথমিক বরাদ্দ হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। জেলার ৯৫টি হাওরের মধ্যে বাঁধের কাজ হবে ৫৩টি হাওরে। চলতি বছরে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার বাঁধ এলাকায় সংস্কার ও মেরামতের কাজ হবে। ধর্মপাশা ও শাল্লায় বাঁধের কাজ সবচেয়ে বেশি।
শাল্লা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি তরুণ কান্তি দাস বলেন, ‘২০১৭ সালের প্রলয়ংকরী হাওর বিপর্যয়ের পর বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ আসেনি। যে কারণে বাঁধ হওয়া না হওয়া নিয়ে তেমন প্রভাব পড়েনি। যদি অকালবন্যা পেয়ে বসে, তাহলে কৃষকের সর্বনাশ হবে। এখনো প্রাক্কলন-জরিপের কাজই চলছে। কাজের এই মন্থরগতি বিপদে ফেলতে পারে হাওরবাসীকে।’
পিআইসি গঠনপ্রক্রিয়া চলমান আছে জানিয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, হাওরে এখন পর্যন্ত ৮৬টি ক্লোজার (বাঁধের বড় ভাঙা) শনাক্ত করা হয়েছে। এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জেলার ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার বাঁধে জরিপ কাজ শেষ হয়েছে। প্রাক্কলনের কাজও ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০ অক্টোবর ২০২৫
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাকে আটক করে।
১১ মিনিট আগে
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৫ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৬ ঘণ্টা আগে