Ajker Patrika

ঘরে বসেই দাপ্তরিক কাজ করছেন শাবিপ্রবি উপাচার্য

সিলেট ও শাবিপ্রবি প্রতিনিধি 
ঘরে বসেই দাপ্তরিক কাজ করছেন শাবিপ্রবি উপাচার্য

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর গত ২৭ জানুয়ারি থেকে অর্ধ জনবল নিয়ে শুরু হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রশাসনিক কার্যক্রম। তবে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হলেও রেজিস্ট্রার ভবনে উপাচার্যের দপ্তরে এখনো দেখা মেলেনি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের। 

বর্তমানে উপাচার্যের বাসার ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান নেই, ব্যারিকেড নেই, ক্যাম্পাসে বড় কোনো বিক্ষোভও নেই। তবুও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। ১৯ দিন ধরে ঘরবন্দী আছেন তিনি। 

উপাচার্যকে গত ১৬ জানুয়ারি অবরুদ্ধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে উপাচার্যকে মুক্ত করে নিজ বাসভবনে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আর বাসা থেকে বের হননি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন। 

এর মধ্যে টানা নয় দিন উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে তাঁর বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বাসার সামনে অনশনেও বসেন আন্দোলনকারী কয়েকজন। এ সময় এক দিনের জন্য তাঁর (উপাচার্য) বাসার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়াসহ বাসার ভেতরে, বাইরে থেকে কারও প্রবেশ বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা। 

তবে ২৬ জানুয়ারি সকালে অনশন ভাঙার পর উপাচার্যের বাসার সামনে থেকে অবস্থান তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসার ফটকের সামনে থেকে ব্যারিকেডও তুলে নেওয়া হয়। এরপর পেরিয়ে গেছে আরও ৯ দিন। তবে এখন পর্যন্ত বাসা থেকে বের হননি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন। 

তবে ক্যাম্পাসে না এলেও বাসা থেকেই উপাচার্য দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন তাঁরা। পদত্যাগ করার আগে তিনি ক্যাম্পাসে এলে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ আরও বেড়ে যেতে পারে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক ভবনে ১৭ জানুয়ারি তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ওই দিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার পর দিন ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় প্রশাসনিক কার্যক্রম। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলছে। অফিস করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। উপাচার্যের কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নিজ দপ্তরে আসেননি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। 

উপাচার্যের বাসার সামনে গিয়ে দেখা যায়, বাসার ফটকটি তালাবদ্ধ। ভেতরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এই ফটকের সামনের সড়কে রং-তুলি দিয়ে ‘মৃত্যু অথবা মুক্তি’ লিখে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। 

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। 

উপাচার্য কার্যালয়ে না আসা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন বলেন, ‘উপাচার্য মহোদয় নিজ বাসায় আছেন। বাসায় বসেই তিনি দাপ্তরিক কাজ করছেন। জরুরি ফাইলগুলো আমরা তাঁর বাসায় পাঠিয়ে দিচ্ছি।’ 

এদিকে অনশন তুলে নিলেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। গান, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, রোড পেইন্টিং, মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। গত সোমবার ক্যাম্পাসে তাঁরা ‘আলোকচিত্রে এক দফা’ নামে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। যা মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ 

মোহাইমিনুল বাশার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলি ছোড়ার পরই এই উপাচার্যকে আমরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করেছি। কোনো শিক্ষার্থীই তাঁকে ক্যাম্পাসে দেখতে চায় না। আমাদের এক দফা দাবি দ্রুত মেনে নেওয়া হবে এই আশ্বাসে আমরা অনশন ভেঙেছি। আশা করছি আমাদের দাবি মেনে উপাচার্য দ্রুতই পদত্যাগ করবেন।’ 

উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের অব্যবস্থাপনা দূর ও ওই হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন ছাত্রীরা। এই দাবিতে আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জানুয়ারি উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন আন্দোলনকারীরা। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিপেটা করলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। এরপর রাবার বুলেট এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ উপাচার্যকে মুক্ত করে বাসায় নিয়ে যায়। 

রাতে নিজ বাসায় জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ও পরদিন দুপুর ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেন উপাচার্য। তবে শিক্ষার্থীরা ওই সিদ্ধান্ত না মেনে ওই রাত থেকেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। পরদিন থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে টানা অবস্থান নেন তাঁরা। সেখানে অনশনও শুরু করেন ২৯ শিক্ষার্থী। ২০ জানুয়ারি উপাচার্য ভবনের ফটকে ব্যারিকেড দিয়ে বাইরের কারও প্রবেশ বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা। 

গত ২৬ জানুয়ারি সকালে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙে উপাচার্য ভবনের ফটকের ব্যারিকেড তুলে নেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুবাইফেরত ৩২ মামলার আসামি বিমান থেকে নেমেই গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সিলেট বিমানবন্দর থেকে ৩২ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেট বিমানবন্দর থেকে ৩২ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার। ছবি: আজকের পত্রিকা

দুবাইফেরত মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। গতকাল শনিবার সিলেট বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার পটিয়া থানা-পুলিশের হেফাজতে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার রুহুল আমিন পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নগরীর ফিশারিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত সুপার মোহাম্মদ রাসেল বলেন, গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় ২৭টি সিআর মামলা, একটি জিআর মামলা, চারটি সিআর সাজা ওয়ারেন্টসহ ৩২টি ওয়ারেন্ট মুলতবি রয়েছে।

এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কোতোয়ালি থানায় ১৯টি সিআর মামলা রয়েছে। একই থানায় আরও ছয়টি মামলার সাজা ওয়ারেন্ট মুলতবি রয়েছে

পুলিশ জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে অধিকাংশই চেক প্রতারণার মামলা। মামলাগুলো বিচারাধীন অবস্থায় রুহুল আমিন পাঁচ বছর আগে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। সেখানে থাকাবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে ১০টি মামলায় সাজা হয়। আদালত সাজা পরোয়ানা জারির পাশাপাশি তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন। দীর্ঘদিন দুবাইয়ে থাকার পর দেশে ফেরেন ওই ব্যবসায়ী।

এ সময় গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দুবাই থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে না এসে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাউজানে যুবদল কর্মীকে হত্যায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার

রাউজান প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম 
গ্রেপ্তার মো. রাজু। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার মো. রাজু। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের রাউজানে যুবদল কর্মী আলমগীর ওরফে আলম হত্যার ঘটনায় মো. রাজু (২৮) নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রাজু আলমের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবক রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে।

রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। আলম হত্যা মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই।

তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায়।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আলম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আলমকে গুলি করার জন্য সন্ত্রাসীরা কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে আলম হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা রাসেল খান (৪৩) এবং মো. হৃদয় (২৩) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন রশিদরপাড়া সড়কের কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন যুবদল কর্মী আলম। ঘটনার দিন পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন আলম। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। কবরস্থানের ঝোপের মাঝে লুকিয়ে ছিলেন সন্ত্রাসীরা। আলম সেখানে আসতেই গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আলমের আত্মীয় মুহাম্মদ রিয়াদও (২৫) গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় আলমের বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ছয় থেকে সাতজনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্লাসে ছাত্রীদের পেটানোর অভিযোগ, শিক্ষককে অব্যাহতি

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
ক্লাসে ছাত্রীদের পেটানোর অভিযোগ, শিক্ষককে অব্যাহতি

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বিরামপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ক্লাসে তিন ছাত্রীকে পেটানোর অভিযোগে খণ্ডকালীন শিক্ষক স্মরণ তালুকদারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২ নভেম্বর) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল চলাকালে ক্লাসে নবম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রীকে পেটান শিক্ষক স্মরণ তালুকদার।

পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে এক ছাত্রী অচেতন হয়ে গেলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়।

বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলায় নবম শ্রেণির ক্লাস চলাকালে শিক্ষক স্মরণ তালুকদার তিন ছাত্রীকে পেটান। এতে তারা আহত হয়। খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক দ্রুত বিদ্যালয়ে গিয়ে আহত ছাত্রীদের মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

ঘটনা জানাজানি হলে উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকদের কোনো অভিযোগ নেই। তারপরও শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে খণ্ডকালীন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক স্মরণ তালুকদারের মোবাইল ফোনে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই শিক্ষকের কাছে লিখিত বক্তব্য চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা এসি ল্যান্ড এম এ কাদের বলেন, ‘উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২ শিশুকে হত্যা করে বালুচাপা: বিএনপির নেতা কারাগারে

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
আব্দুর রশিদ। ছবি: সংগৃহীত
আব্দুর রশিদ। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ঘাঘট নদীর বালুমহালে দুই শিশুকে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টার মামলায় আব্দুর রশিদ নামের এক ইউপি সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার আসামিকে রংপুরের আদালতে হাজির করে পুলিশ।

শুনানি শেষে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে আদালত এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার আব্দুর রশিদ উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং একই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সকালে গঙ্গাচড়া উপজেলার ঘাঘট নদীর তীরের বালুমহালে পাথর কুড়াতে যায় শিশু আব্দুর রহমান (৮) ও মারুফ (৬। সেখানে তাদের হত্যা করে বালুর নিচে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়।

দুই শিশু সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আজাহারুল ইসলামের বালু উত্তোলনস্থলের নিচ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

পরে ৭ আগস্ট নিহত শিশুদের বাবা আব্দুর রশিদ ও জাকেরুল ইসলাম গঙ্গাচড়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি আজাহারুল ইসলামকে গত শুক্রবার র‍্যাব একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত