নাজমুল হাসান সাগর, সিলেট থেকে
গোয়াইনঘাট সালুটিকর সড়কে দাঁড়িয়ে দুপাশে তাকালে যত দূর চোখ যায় শুধু ধানখেত। কয়েক দিন আগেও দিগন্ত জোড়া এসব খেতে আধা পাকা ধান দেখে কৃষক আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু সে আশা ধূলিসাৎ হয়েছে অতর্কিত বন্যায়। আধো ডোবা না কাটা এসব ধানের ওপরের অংশ কাদামাটি জড়িয়ে শুকিয়ে ধূসর হয়ে গেছে। পচে গেছে অর্ধেকের বেশি ধান। সেগুলোই কেটে এনে সালুটিকর সড়কে মাড়াই করছিলেন কৃষক সাইদুল ইসলাম।
তিন কানি জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছিলেন সাইদুল। খুব কম করে হলেও এবার ৭৫ মণ ধান পাবেন বলে আশা ছিল। অথচ বন্যার কারণে এখন ১৫ মণ ধানও হবে না বলে তাঁর ধারণা। কথা বলতে বলতেই এক মুঠ ধান নিয়ে দেখালেন তাতে ধানের চেয়ে পাতানই (চিটা) বেশি। ‘এই ধান দিয়ে কী হবে’–এ প্রশ্ন করেই তাকিয়ে রইলেন। আরও হাজারো সাইদুলের একই প্রশ্ন।
নদীঘেঁষা হওয়ায় গোয়াইনঘাট উপজেলা সিলেটে এবারের বন্যায় সব থেকে বেশি প্লাবিত হওয়া এলাকার একটি। বন্যার পানিতে উপজেলার অবকাঠামোগত ক্ষতির পাশাপাশি অন্যান্য সেক্টরের মতো সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষি খাতে। একই কারণে ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে পার্শ্ববর্তী উপজেলা জৈন্তাসহ কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জ। গোয়াইনঘাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, এই উপজেলায় ৮৩২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে এবং সবজি নষ্ট হয়েছে অন্তত ৫০ হেক্টর জমির।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আউশ ধানের বীজতলা। প্রথম বন্যার পরেই আউশ ধানের বীজ বোনা হয়েছিল এই উপজেলায়। তাই এখন আর কোনো বীজ অবশিষ্ট নেই কৃষকের কাছে কিংবা কৃষি অফিসে। গোয়াইনঘাটে প্রায় সাড়ে সাত হাজার একরের বেশি জমিতে আউশ আবাদ হয়। যার মধ্যে শুধু সাড়ে তিন হাজার একর আউশ আবাদ হয় আলীরগাঁও ইউনিয়নেই।
গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘আউশ ধানের বীজতলা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটা পূরণ করা খুবই কঠিন হয়ে যাবে। এই ক্ষতি পূরণের চেষ্টা করছি। তবে কৃষক কিংবা আমাদের হাতে কোনো আউশের বীজ নেই। এদিকে হাতে আর সময়ও নেই যে আবার বীজ রোপণ করা যাবে।’
জৈন্তা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বন্যায় ৩০০ হেক্টর বোরো ধান, ১০০ হেক্টর আউশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বীজতলাতেই নষ্ট হয়েছে ৩৮০ হেক্টর আউশের বীজ। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির সবজি নষ্ট হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমির। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৭১ হেক্টর ফসলি জমি এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। এর মধ্যে বোরো ধান ৫২ হেক্টর, আউশ ধানের বীজতলা ৮৪ হেক্টর, শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল ৩৫ হেক্টর।
তবে এই হিসাব মানতে নারাজ স্থানীয় কৃষকেরা। তাঁদের দাবি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন জীবনপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মিয়া বলেন, গত বছর তিনি ১১০ মণ ধান ঘরে তুলেছিলেন। আশা ছিল, এবার আরও বেশি পাবেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে বন্যায় তাঁর খেতের ধান পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ধানগাছে পচন ধরেছে। ফলে এবার ফসল ঘরে তোলার কোনো আশাই নেই। সরকারি হিসাবের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই বলেও মনে করেন তিনি।
তবে এই ক্ষতিতে খাদ্যসংকট হবে বলে মনে করেন না সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, বন্যায় সিলেট জেলায় ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এখনো কিছুদিন আউশ ধান বোনার সময় রয়েছে। এই কয়েক দিনেও আউশ ধানের ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে পারব।
এদিকে সিলেট নগরীর উপশহর ও তালতলা পয়েন্টের পানি নেমে গেছে। এর মাধ্যমে সিলেট নগরীর মধ্যে ছড়ার পাড়সহ কয়েকটি ছোটখাটো এলাকা বাদে অন্য প্লাবিত এলাকা নেই বললেই চলে। পানিবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি পেলেও এখনো খাবার পানি ও গ্যাসের সংকট রয়েছে। সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পানি বিশুদ্ধকরণ ওষুধ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে ছিল। যদিও পানি অব্যাহতভাবে কমতে শুরু করেছে। সব পয়েন্টেই লুবা, সারি ও ধলা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে আছে। পাউবো সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলেন, যে হারে পানি কমছে, এটা অব্যাহত থাকলে খুব তাড়াতাড়ি সব পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে চলে যাবে।
গোয়াইনঘাট সালুটিকর সড়কে দাঁড়িয়ে দুপাশে তাকালে যত দূর চোখ যায় শুধু ধানখেত। কয়েক দিন আগেও দিগন্ত জোড়া এসব খেতে আধা পাকা ধান দেখে কৃষক আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু সে আশা ধূলিসাৎ হয়েছে অতর্কিত বন্যায়। আধো ডোবা না কাটা এসব ধানের ওপরের অংশ কাদামাটি জড়িয়ে শুকিয়ে ধূসর হয়ে গেছে। পচে গেছে অর্ধেকের বেশি ধান। সেগুলোই কেটে এনে সালুটিকর সড়কে মাড়াই করছিলেন কৃষক সাইদুল ইসলাম।
তিন কানি জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছিলেন সাইদুল। খুব কম করে হলেও এবার ৭৫ মণ ধান পাবেন বলে আশা ছিল। অথচ বন্যার কারণে এখন ১৫ মণ ধানও হবে না বলে তাঁর ধারণা। কথা বলতে বলতেই এক মুঠ ধান নিয়ে দেখালেন তাতে ধানের চেয়ে পাতানই (চিটা) বেশি। ‘এই ধান দিয়ে কী হবে’–এ প্রশ্ন করেই তাকিয়ে রইলেন। আরও হাজারো সাইদুলের একই প্রশ্ন।
নদীঘেঁষা হওয়ায় গোয়াইনঘাট উপজেলা সিলেটে এবারের বন্যায় সব থেকে বেশি প্লাবিত হওয়া এলাকার একটি। বন্যার পানিতে উপজেলার অবকাঠামোগত ক্ষতির পাশাপাশি অন্যান্য সেক্টরের মতো সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষি খাতে। একই কারণে ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে পার্শ্ববর্তী উপজেলা জৈন্তাসহ কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জ। গোয়াইনঘাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, এই উপজেলায় ৮৩২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে এবং সবজি নষ্ট হয়েছে অন্তত ৫০ হেক্টর জমির।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আউশ ধানের বীজতলা। প্রথম বন্যার পরেই আউশ ধানের বীজ বোনা হয়েছিল এই উপজেলায়। তাই এখন আর কোনো বীজ অবশিষ্ট নেই কৃষকের কাছে কিংবা কৃষি অফিসে। গোয়াইনঘাটে প্রায় সাড়ে সাত হাজার একরের বেশি জমিতে আউশ আবাদ হয়। যার মধ্যে শুধু সাড়ে তিন হাজার একর আউশ আবাদ হয় আলীরগাঁও ইউনিয়নেই।
গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘আউশ ধানের বীজতলা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটা পূরণ করা খুবই কঠিন হয়ে যাবে। এই ক্ষতি পূরণের চেষ্টা করছি। তবে কৃষক কিংবা আমাদের হাতে কোনো আউশের বীজ নেই। এদিকে হাতে আর সময়ও নেই যে আবার বীজ রোপণ করা যাবে।’
জৈন্তা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বন্যায় ৩০০ হেক্টর বোরো ধান, ১০০ হেক্টর আউশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বীজতলাতেই নষ্ট হয়েছে ৩৮০ হেক্টর আউশের বীজ। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির সবজি নষ্ট হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমির। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৭১ হেক্টর ফসলি জমি এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। এর মধ্যে বোরো ধান ৫২ হেক্টর, আউশ ধানের বীজতলা ৮৪ হেক্টর, শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল ৩৫ হেক্টর।
তবে এই হিসাব মানতে নারাজ স্থানীয় কৃষকেরা। তাঁদের দাবি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন জীবনপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মিয়া বলেন, গত বছর তিনি ১১০ মণ ধান ঘরে তুলেছিলেন। আশা ছিল, এবার আরও বেশি পাবেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে বন্যায় তাঁর খেতের ধান পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ধানগাছে পচন ধরেছে। ফলে এবার ফসল ঘরে তোলার কোনো আশাই নেই। সরকারি হিসাবের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই বলেও মনে করেন তিনি।
তবে এই ক্ষতিতে খাদ্যসংকট হবে বলে মনে করেন না সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, বন্যায় সিলেট জেলায় ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এখনো কিছুদিন আউশ ধান বোনার সময় রয়েছে। এই কয়েক দিনেও আউশ ধানের ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে পারব।
এদিকে সিলেট নগরীর উপশহর ও তালতলা পয়েন্টের পানি নেমে গেছে। এর মাধ্যমে সিলেট নগরীর মধ্যে ছড়ার পাড়সহ কয়েকটি ছোটখাটো এলাকা বাদে অন্য প্লাবিত এলাকা নেই বললেই চলে। পানিবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি পেলেও এখনো খাবার পানি ও গ্যাসের সংকট রয়েছে। সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পানি বিশুদ্ধকরণ ওষুধ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে ছিল। যদিও পানি অব্যাহতভাবে কমতে শুরু করেছে। সব পয়েন্টেই লুবা, সারি ও ধলা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে আছে। পাউবো সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলেন, যে হারে পানি কমছে, এটা অব্যাহত থাকলে খুব তাড়াতাড়ি সব পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে চলে যাবে।
নাজমুল হাসান সাগর, সিলেট থেকে
গোয়াইনঘাট সালুটিকর সড়কে দাঁড়িয়ে দুপাশে তাকালে যত দূর চোখ যায় শুধু ধানখেত। কয়েক দিন আগেও দিগন্ত জোড়া এসব খেতে আধা পাকা ধান দেখে কৃষক আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু সে আশা ধূলিসাৎ হয়েছে অতর্কিত বন্যায়। আধো ডোবা না কাটা এসব ধানের ওপরের অংশ কাদামাটি জড়িয়ে শুকিয়ে ধূসর হয়ে গেছে। পচে গেছে অর্ধেকের বেশি ধান। সেগুলোই কেটে এনে সালুটিকর সড়কে মাড়াই করছিলেন কৃষক সাইদুল ইসলাম।
তিন কানি জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছিলেন সাইদুল। খুব কম করে হলেও এবার ৭৫ মণ ধান পাবেন বলে আশা ছিল। অথচ বন্যার কারণে এখন ১৫ মণ ধানও হবে না বলে তাঁর ধারণা। কথা বলতে বলতেই এক মুঠ ধান নিয়ে দেখালেন তাতে ধানের চেয়ে পাতানই (চিটা) বেশি। ‘এই ধান দিয়ে কী হবে’–এ প্রশ্ন করেই তাকিয়ে রইলেন। আরও হাজারো সাইদুলের একই প্রশ্ন।
নদীঘেঁষা হওয়ায় গোয়াইনঘাট উপজেলা সিলেটে এবারের বন্যায় সব থেকে বেশি প্লাবিত হওয়া এলাকার একটি। বন্যার পানিতে উপজেলার অবকাঠামোগত ক্ষতির পাশাপাশি অন্যান্য সেক্টরের মতো সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষি খাতে। একই কারণে ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে পার্শ্ববর্তী উপজেলা জৈন্তাসহ কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জ। গোয়াইনঘাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, এই উপজেলায় ৮৩২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে এবং সবজি নষ্ট হয়েছে অন্তত ৫০ হেক্টর জমির।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আউশ ধানের বীজতলা। প্রথম বন্যার পরেই আউশ ধানের বীজ বোনা হয়েছিল এই উপজেলায়। তাই এখন আর কোনো বীজ অবশিষ্ট নেই কৃষকের কাছে কিংবা কৃষি অফিসে। গোয়াইনঘাটে প্রায় সাড়ে সাত হাজার একরের বেশি জমিতে আউশ আবাদ হয়। যার মধ্যে শুধু সাড়ে তিন হাজার একর আউশ আবাদ হয় আলীরগাঁও ইউনিয়নেই।
গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘আউশ ধানের বীজতলা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটা পূরণ করা খুবই কঠিন হয়ে যাবে। এই ক্ষতি পূরণের চেষ্টা করছি। তবে কৃষক কিংবা আমাদের হাতে কোনো আউশের বীজ নেই। এদিকে হাতে আর সময়ও নেই যে আবার বীজ রোপণ করা যাবে।’
জৈন্তা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বন্যায় ৩০০ হেক্টর বোরো ধান, ১০০ হেক্টর আউশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বীজতলাতেই নষ্ট হয়েছে ৩৮০ হেক্টর আউশের বীজ। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির সবজি নষ্ট হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমির। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৭১ হেক্টর ফসলি জমি এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। এর মধ্যে বোরো ধান ৫২ হেক্টর, আউশ ধানের বীজতলা ৮৪ হেক্টর, শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল ৩৫ হেক্টর।
তবে এই হিসাব মানতে নারাজ স্থানীয় কৃষকেরা। তাঁদের দাবি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন জীবনপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মিয়া বলেন, গত বছর তিনি ১১০ মণ ধান ঘরে তুলেছিলেন। আশা ছিল, এবার আরও বেশি পাবেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে বন্যায় তাঁর খেতের ধান পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ধানগাছে পচন ধরেছে। ফলে এবার ফসল ঘরে তোলার কোনো আশাই নেই। সরকারি হিসাবের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই বলেও মনে করেন তিনি।
তবে এই ক্ষতিতে খাদ্যসংকট হবে বলে মনে করেন না সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, বন্যায় সিলেট জেলায় ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এখনো কিছুদিন আউশ ধান বোনার সময় রয়েছে। এই কয়েক দিনেও আউশ ধানের ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে পারব।
এদিকে সিলেট নগরীর উপশহর ও তালতলা পয়েন্টের পানি নেমে গেছে। এর মাধ্যমে সিলেট নগরীর মধ্যে ছড়ার পাড়সহ কয়েকটি ছোটখাটো এলাকা বাদে অন্য প্লাবিত এলাকা নেই বললেই চলে। পানিবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি পেলেও এখনো খাবার পানি ও গ্যাসের সংকট রয়েছে। সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পানি বিশুদ্ধকরণ ওষুধ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে ছিল। যদিও পানি অব্যাহতভাবে কমতে শুরু করেছে। সব পয়েন্টেই লুবা, সারি ও ধলা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে আছে। পাউবো সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলেন, যে হারে পানি কমছে, এটা অব্যাহত থাকলে খুব তাড়াতাড়ি সব পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে চলে যাবে।
গোয়াইনঘাট সালুটিকর সড়কে দাঁড়িয়ে দুপাশে তাকালে যত দূর চোখ যায় শুধু ধানখেত। কয়েক দিন আগেও দিগন্ত জোড়া এসব খেতে আধা পাকা ধান দেখে কৃষক আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু সে আশা ধূলিসাৎ হয়েছে অতর্কিত বন্যায়। আধো ডোবা না কাটা এসব ধানের ওপরের অংশ কাদামাটি জড়িয়ে শুকিয়ে ধূসর হয়ে গেছে। পচে গেছে অর্ধেকের বেশি ধান। সেগুলোই কেটে এনে সালুটিকর সড়কে মাড়াই করছিলেন কৃষক সাইদুল ইসলাম।
তিন কানি জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছিলেন সাইদুল। খুব কম করে হলেও এবার ৭৫ মণ ধান পাবেন বলে আশা ছিল। অথচ বন্যার কারণে এখন ১৫ মণ ধানও হবে না বলে তাঁর ধারণা। কথা বলতে বলতেই এক মুঠ ধান নিয়ে দেখালেন তাতে ধানের চেয়ে পাতানই (চিটা) বেশি। ‘এই ধান দিয়ে কী হবে’–এ প্রশ্ন করেই তাকিয়ে রইলেন। আরও হাজারো সাইদুলের একই প্রশ্ন।
নদীঘেঁষা হওয়ায় গোয়াইনঘাট উপজেলা সিলেটে এবারের বন্যায় সব থেকে বেশি প্লাবিত হওয়া এলাকার একটি। বন্যার পানিতে উপজেলার অবকাঠামোগত ক্ষতির পাশাপাশি অন্যান্য সেক্টরের মতো সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষি খাতে। একই কারণে ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে পার্শ্ববর্তী উপজেলা জৈন্তাসহ কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জ। গোয়াইনঘাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, এই উপজেলায় ৮৩২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে এবং সবজি নষ্ট হয়েছে অন্তত ৫০ হেক্টর জমির।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আউশ ধানের বীজতলা। প্রথম বন্যার পরেই আউশ ধানের বীজ বোনা হয়েছিল এই উপজেলায়। তাই এখন আর কোনো বীজ অবশিষ্ট নেই কৃষকের কাছে কিংবা কৃষি অফিসে। গোয়াইনঘাটে প্রায় সাড়ে সাত হাজার একরের বেশি জমিতে আউশ আবাদ হয়। যার মধ্যে শুধু সাড়ে তিন হাজার একর আউশ আবাদ হয় আলীরগাঁও ইউনিয়নেই।
গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘আউশ ধানের বীজতলা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটা পূরণ করা খুবই কঠিন হয়ে যাবে। এই ক্ষতি পূরণের চেষ্টা করছি। তবে কৃষক কিংবা আমাদের হাতে কোনো আউশের বীজ নেই। এদিকে হাতে আর সময়ও নেই যে আবার বীজ রোপণ করা যাবে।’
জৈন্তা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বন্যায় ৩০০ হেক্টর বোরো ধান, ১০০ হেক্টর আউশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বীজতলাতেই নষ্ট হয়েছে ৩৮০ হেক্টর আউশের বীজ। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির সবজি নষ্ট হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমির। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৭১ হেক্টর ফসলি জমি এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। এর মধ্যে বোরো ধান ৫২ হেক্টর, আউশ ধানের বীজতলা ৮৪ হেক্টর, শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল ৩৫ হেক্টর।
তবে এই হিসাব মানতে নারাজ স্থানীয় কৃষকেরা। তাঁদের দাবি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন জীবনপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মিয়া বলেন, গত বছর তিনি ১১০ মণ ধান ঘরে তুলেছিলেন। আশা ছিল, এবার আরও বেশি পাবেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে বন্যায় তাঁর খেতের ধান পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ধানগাছে পচন ধরেছে। ফলে এবার ফসল ঘরে তোলার কোনো আশাই নেই। সরকারি হিসাবের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই বলেও মনে করেন তিনি।
তবে এই ক্ষতিতে খাদ্যসংকট হবে বলে মনে করেন না সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, বন্যায় সিলেট জেলায় ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এখনো কিছুদিন আউশ ধান বোনার সময় রয়েছে। এই কয়েক দিনেও আউশ ধানের ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে পারব।
এদিকে সিলেট নগরীর উপশহর ও তালতলা পয়েন্টের পানি নেমে গেছে। এর মাধ্যমে সিলেট নগরীর মধ্যে ছড়ার পাড়সহ কয়েকটি ছোটখাটো এলাকা বাদে অন্য প্লাবিত এলাকা নেই বললেই চলে। পানিবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি পেলেও এখনো খাবার পানি ও গ্যাসের সংকট রয়েছে। সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পানি বিশুদ্ধকরণ ওষুধ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে ছিল। যদিও পানি অব্যাহতভাবে কমতে শুরু করেছে। সব পয়েন্টেই লুবা, সারি ও ধলা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে আছে। পাউবো সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলেন, যে হারে পানি কমছে, এটা অব্যাহত থাকলে খুব তাড়াতাড়ি সব পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে চলে যাবে।
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় নোয়াখালীর হাতিয়ায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে মৎস্য বিভাগ। এ সময় ৫টি ট্রলারসহ ৪৬ জন জেলেকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে প্রায় দুই টন ইলিশ।
১ মিনিট আগেদুই মেয়ের পর আবারও মেয়েসন্তান জন্ম নেওয়ায় ওই শিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। মৃত শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৪ মিনিট আগেরাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩০ মিনিট আগেপ্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে মাদারীপুরকে যেন অন্তর্ভুক্ত না করা হয়, সে দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার মস্তফাপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
৩৪ মিনিট আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় নোয়াখালীর হাতিয়ায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে মৎস্য বিভাগ। এ সময় ৫টি ট্রলারসহ ৪৬ জন জেলেকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে প্রায় দুই টন ইলিশ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলাউদ্দিন জব্দ মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করেন।
এর আগে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের ভাসানচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। অভিযানে সহযোগিতা করে নৌ পুলিশের একটি দল।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থেকে আসা ৫টি ট্রলারে থাকা জেলেরা বঙ্গোপসাগরের ভাসানচর এলাকায় মাছ ধরছিলেন। এমন খবর পেয়ে সোমবার দিবাগত রাতে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ভাসানচর এলাকায় মাছ ধরা অবস্থায় পাঁচটি ট্রলারসহ ৪৬ জন জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের ট্রলারগুলো থেকে দুই টন ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জব্দ মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করেন। পরে আটক জেলেদের মধ্যে ৪১ জনকে ২ হাজার টাকা করে ৮২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন জানান, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ও নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় নোয়াখালীর হাতিয়ায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে মৎস্য বিভাগ। এ সময় ৫টি ট্রলারসহ ৪৬ জন জেলেকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে প্রায় দুই টন ইলিশ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলাউদ্দিন জব্দ মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করেন।
এর আগে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের ভাসানচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। অভিযানে সহযোগিতা করে নৌ পুলিশের একটি দল।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থেকে আসা ৫টি ট্রলারে থাকা জেলেরা বঙ্গোপসাগরের ভাসানচর এলাকায় মাছ ধরছিলেন। এমন খবর পেয়ে সোমবার দিবাগত রাতে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ভাসানচর এলাকায় মাছ ধরা অবস্থায় পাঁচটি ট্রলারসহ ৪৬ জন জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের ট্রলারগুলো থেকে দুই টন ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জব্দ মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করেন। পরে আটক জেলেদের মধ্যে ৪১ জনকে ২ হাজার টাকা করে ৮২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন জানান, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ও নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গোয়াইনঘাট সালুটিকর সড়কে দাঁড়িয়ে দুপাশে তাকালে যত দূর চোখ যায় শুধু ধানখেত। কয়েক দিন আগেও দিগন্ত জোড়া এসব খেতে আধা পাকা ধান দেখে কৃষক আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু সে আশা ধূলিসাৎ হয়েছে অতর্কিত বন্যায়।
২৪ মে ২০২২দুই মেয়ের পর আবারও মেয়েসন্তান জন্ম নেওয়ায় ওই শিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। মৃত শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৪ মিনিট আগেরাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩০ মিনিট আগেপ্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে মাদারীপুরকে যেন অন্তর্ভুক্ত না করা হয়, সে দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার মস্তফাপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
৩৪ মিনিট আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পাঁচ দিনের শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগে মা শারমিন খাতুনকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, দুই মেয়ের পর আবারও মেয়েসন্তান জন্ম নেওয়ায় ওই শিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। মৃত শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার শারমিন খাতুন রঘুনাথপুর গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে শিশুটির বাবা ইব্রাহিম খলিল থানায় এসে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করতে চান। নিখোঁজ ডায়েরি করার কারণ হিসেবে ইব্রাহিম বলেন—তাঁদের মেয়েকে নিয়ে মা শারমিন বিকেলে ঘুমিয়ে ছিল। এর পর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি জানান, ইব্রাহিম খলিলের কথা অসংলগ্ন মনে হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শারমিন স্বীকার করে, পাঁচ বছর ও দেড় বছর বয়সী দুই মেয়ে থাকা সত্ত্বেও আবার মেয়েশিশু জন্ম হওয়ায় তাকে বাড়ির পাশের একটি খালে ছুড়ে ফেলা হয়েছে।
এরপর শারমিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খালের কচুরিপনার মধ্য থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় শিশুর দাদি খাদিজা খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। শিশুর মা শারমিনকে গ্রেপ্তার করে আজ সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পাঁচ দিনের শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগে মা শারমিন খাতুনকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, দুই মেয়ের পর আবারও মেয়েসন্তান জন্ম নেওয়ায় ওই শিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। মৃত শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার শারমিন খাতুন রঘুনাথপুর গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে শিশুটির বাবা ইব্রাহিম খলিল থানায় এসে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করতে চান। নিখোঁজ ডায়েরি করার কারণ হিসেবে ইব্রাহিম বলেন—তাঁদের মেয়েকে নিয়ে মা শারমিন বিকেলে ঘুমিয়ে ছিল। এর পর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি জানান, ইব্রাহিম খলিলের কথা অসংলগ্ন মনে হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শারমিন স্বীকার করে, পাঁচ বছর ও দেড় বছর বয়সী দুই মেয়ে থাকা সত্ত্বেও আবার মেয়েশিশু জন্ম হওয়ায় তাকে বাড়ির পাশের একটি খালে ছুড়ে ফেলা হয়েছে।
এরপর শারমিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খালের কচুরিপনার মধ্য থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় শিশুর দাদি খাদিজা খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। শিশুর মা শারমিনকে গ্রেপ্তার করে আজ সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গোয়াইনঘাট সালুটিকর সড়কে দাঁড়িয়ে দুপাশে তাকালে যত দূর চোখ যায় শুধু ধানখেত। কয়েক দিন আগেও দিগন্ত জোড়া এসব খেতে আধা পাকা ধান দেখে কৃষক আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু সে আশা ধূলিসাৎ হয়েছে অতর্কিত বন্যায়।
২৪ মে ২০২২ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় নোয়াখালীর হাতিয়ায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে মৎস্য বিভাগ। এ সময় ৫টি ট্রলারসহ ৪৬ জন জেলেকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে প্রায় দুই টন ইলিশ।
১ মিনিট আগেরাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩০ মিনিট আগেপ্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে মাদারীপুরকে যেন অন্তর্ভুক্ত না করা হয়, সে দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার মস্তফাপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
৩৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আজ সারা দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা ডিএমপির বিভিন্ন থানা-পুলিশ।
এর মধ্যে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশ ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী ছয়, উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ দুই, গুলশান থানা-পুলিশ ২৪, খিলক্ষেত থানা-পুলিশ চার, ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশ তিন, ধানমন্ডি থানা-পুলিশ ছয়, নিউমার্কেট থানা-পুলিশ ছয়, শাহবাগ থানা-পুলিশ তিন, মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ আট, হাতিরঝিল থানা-পুলিশ এক, পল্টন থানা-পুলিশ ছয়, মতিঝিল থানা-পুলিশ ৪০ ও ডিবি, ওয়ারী ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আজ সারা দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা ডিএমপির বিভিন্ন থানা-পুলিশ।
এর মধ্যে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশ ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী ছয়, উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ দুই, গুলশান থানা-পুলিশ ২৪, খিলক্ষেত থানা-পুলিশ চার, ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশ তিন, ধানমন্ডি থানা-পুলিশ ছয়, নিউমার্কেট থানা-পুলিশ ছয়, শাহবাগ থানা-পুলিশ তিন, মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ আট, হাতিরঝিল থানা-পুলিশ এক, পল্টন থানা-পুলিশ ছয়, মতিঝিল থানা-পুলিশ ৪০ ও ডিবি, ওয়ারী ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন।
গোয়াইনঘাট সালুটিকর সড়কে দাঁড়িয়ে দুপাশে তাকালে যত দূর চোখ যায় শুধু ধানখেত। কয়েক দিন আগেও দিগন্ত জোড়া এসব খেতে আধা পাকা ধান দেখে কৃষক আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু সে আশা ধূলিসাৎ হয়েছে অতর্কিত বন্যায়।
২৪ মে ২০২২ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় নোয়াখালীর হাতিয়ায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে মৎস্য বিভাগ। এ সময় ৫টি ট্রলারসহ ৪৬ জন জেলেকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে প্রায় দুই টন ইলিশ।
১ মিনিট আগেদুই মেয়ের পর আবারও মেয়েসন্তান জন্ম নেওয়ায় ওই শিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। মৃত শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৪ মিনিট আগেপ্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে মাদারীপুরকে যেন অন্তর্ভুক্ত না করা হয়, সে দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার মস্তফাপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
৩৪ মিনিট আগেমাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে মাদারীপুরকে যেন অন্তর্ভুক্ত না করা হয়, সে দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার মস্তফাপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা।
খবর পেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা নিয়ে ঘোষণা হতে পারে ফরিদপুর বিভাগ। এই বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে মাদারীপুর জেলাকে। সেই আশঙ্কায় আন্দোলনে নেমেছেন জেলাবাসী।
তাঁদের দাবি, পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাই ফরিদপুর বিভাগে নয়, ঢাকা বিভাগেই থাকতে চান মাদারীপুর জেলাবাসী।
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির মাদারীপুর জেলা শাখার সদস্য রুবেল মৃধা, জহিরুল ইসলাম সানি, আশিকুল ইসলাম, নেয়ামুল হক, কিরণ আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে মাদারীপুরকে যেন অন্তর্ভুক্ত না করা হয়, সে দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার মস্তফাপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা।
খবর পেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা নিয়ে ঘোষণা হতে পারে ফরিদপুর বিভাগ। এই বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে মাদারীপুর জেলাকে। সেই আশঙ্কায় আন্দোলনে নেমেছেন জেলাবাসী।
তাঁদের দাবি, পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাই ফরিদপুর বিভাগে নয়, ঢাকা বিভাগেই থাকতে চান মাদারীপুর জেলাবাসী।
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির মাদারীপুর জেলা শাখার সদস্য রুবেল মৃধা, জহিরুল ইসলাম সানি, আশিকুল ইসলাম, নেয়ামুল হক, কিরণ আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গোয়াইনঘাট সালুটিকর সড়কে দাঁড়িয়ে দুপাশে তাকালে যত দূর চোখ যায় শুধু ধানখেত। কয়েক দিন আগেও দিগন্ত জোড়া এসব খেতে আধা পাকা ধান দেখে কৃষক আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু সে আশা ধূলিসাৎ হয়েছে অতর্কিত বন্যায়।
২৪ মে ২০২২ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় নোয়াখালীর হাতিয়ায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে মৎস্য বিভাগ। এ সময় ৫টি ট্রলারসহ ৪৬ জন জেলেকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে প্রায় দুই টন ইলিশ।
১ মিনিট আগেদুই মেয়ের পর আবারও মেয়েসন্তান জন্ম নেওয়ায় ওই শিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। মৃত শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৪ মিনিট আগেরাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩০ মিনিট আগে