Ajker Patrika

শাবিপ্রবিতে সেই শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চলছেই

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি 
প্রভাষক মো. তাজবিউল ইসলামের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে পিএমই বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রভাষক মো. তাজবিউল ইসলামের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে পিএমই বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) মো. তাজবিউল ইসলাম নামের এক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছেই। অনিয়মের মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের প্রভাষক পদে তাজবিউল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পরও তাঁকে বিভাগে যোগদানের চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই বিভাগে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এমনকি ওই শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল না করা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে বিভাগটির শিক্ষা কার্যক্রম।

গত শনিবার বিকেলে শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপরে নিয়োগ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিভাগে তালা দেন তাঁরা। আজ মঙ্গলবার সারা দিন পর্যন্ত কোনো একাডেমিক কার্যক্রম হয়নি বিভাগটিতে।

জানা গেছে, গত বছরের জুনে মো. তাজবিউল ইসলাম নামের এক প্রার্থীকে পিএমই বিভাগে নিয়োগ দেন তৎকালীন প্রশাসন। তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুর থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী। স্নাতকে তিনি সিজিপিএ-৭.৩৫ অর্জন করেন। ভারতের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট সিজিপিএ-১০ পয়েন্টে হিসাব করা হলেও শাবিপ্রবিসহ দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৪ পয়েন্টের। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনকারীর যোগ্যতা চাওয়া হয় স্নাতক সিজিপিএ কমপক্ষে ৩.৫০। কিন্তু তাজবিউলের স্নাতকের সিজিপিএ-৭.৩৫ কে সিজিপিএ ৪-এ কনভার্ট করলে তা ৩.৫০-এর চেয়ে কম হয়। তবে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই ওই বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় তাজবিউলকে।

এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে গত বছরের ১১ জুন ‘কম যোগ্য প্রার্থীকেও ডাকা হলো শাবির ভাইভায়’ এবং ২২ আগস্ট ‘আবেদনের যোগ্যতা না থাকা সেই প্রার্থী এখন শাবির শিক্ষক’ এবং ১৭ মে ‘শাবিপ্রবির পিএমই বিভাগ নিয়োগে অনিয়ম প্রমাণিত, তবু শিক্ষককে যোগদানের চিঠি’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এ নিয়ে গত বছরের ৯ অক্টোবর তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্তে এবং ২৩৫তম সিন্ডিকেটে অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ার পরেও নিজ পদে বহাল আছেন এই শিক্ষক। ফলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

পিএমই বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বকর বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছি, এই অযোগ্য শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করার জন্য। দ্রুত তার নিয়োগ বাতিল করার দাবি জানিয়ে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছি। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য আমরা গত রোববার উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।’

এ ব্যাপারে পিএমই বিভাগের প্রধান ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত প্রমাণিত ও সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও এই ক্যান্ডিডেটকে চিঠি দিয়েছে বিভাগে যোগদান করার জন্য। দীর্ঘদিন আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরাও দাবি জানিয়ে আসছে; কিন্তু কিছুই হচ্ছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান

১৭ বছর খাইনি, এবার খাব—টেন্ডার জমা দেওয়া ঠিকাদারকে বললেন বিএনপি নেতা

দেশে এল স্টারলিংক: কতগুলো ডিভাইস যুক্ত করা যাবে, কীভাবে করবেন

যৌথ পরিবারে কোরবানি কার ওপর ওয়াজিব

মধ্যরাতে হাক্কানীর মালিকের বাসায় মবের হানা, আটক তিন সমন্বয়ককে ছাড়িয়ে নিলেন হান্নান মাসউদ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত