ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ১৯টি মধ্যে ৫টি আসনে গত নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত এমপিদের বাদ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি-অনিয়মসহ নানাভাবে সমালোচিত হওয়ায় তাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আসনের দলীয় নেতা-কর্মীরা। আর নতুন মুখ হিসেবে ৮ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে মনোনয়ন চাননি সিলেট-৫ আসনের বর্তমান এমপি হাফিজ আহমদ মজুমদার। বাকি তিনটিতে আছেন অন্য দলের এমপিরা। তবে দলীয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯টি আসনে দুই এমপিসহ ২২ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী হতে পারেন। এরই মধ্যে অনেকেই প্রার্থীতা ঘোষণাও দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ: জেলার ৫টি আসনের মধ্যে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা বাদ পড়েছেন। তাঁরা দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
২০০৮ সালের নির্বাচনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমপি হওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন রতন। জমিদখল ছাড়াও অর্থ আত্মসাৎ, নানা প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির পাশাপাশি ক্যাসিনো কাণ্ডেও নাম জড়ায় তাঁর। এসব অভিযোগ নিয়ে তদন্তে নামে দুদক। তাঁকে দেওয়া হয় বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা। এ ছাড়া কিছুদিন আগে যাদুকাটায় রতনের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসলে সংকটে পড়েন। অন্যদিকে সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা বাদ পড়ার বিষয়টিকে বার্ধক্যজনিত কারণেই মনে করছেন স্থানীয় ও দলীয় নেতা-কর্মীরা।
মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিতুষ সরকার বলেন, ‘এমপি রতন বিভিন্ন দুর্নীতি ও ক্যাসিনো কাণ্ডে আলোচনায় ছিলেন, সব মিলিয়ে একজন বির্তর্কিত এমপি ছিলেন তিনি। তাই দলের এই নতুন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।’
এই আসনে নতুন মুখ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত চন্দ্র সরকার। সুনামগঞ্জ-২ আসনে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ছোট ভাই, ও শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন চৌধুরী) মনোনয়ন পেয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নতুন মুখ পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ও কবি ড. মুহাম্মদ সাদিক। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন বলেন, ‘দল আমাদের সুনামগঞ্জের ৫টি আসনের প্রার্থীতা সিলেকশন করে দিয়েছেন, আমরা সেই মোতাবেক কাজ করব। তবে দলে কোনো বির্তর্কিত কিছু থাকুক সেটা নেত্রী চাননি বিধায় কেউ কেউ দলীয় টিকিট পাননি।’
সিলেট: ৬টি আসনের মধ্যে একটিতে প্রার্থী বদল হয়েছে। আসনটির বর্তমান এমপি হাফিজ আহমদ মজুমদার বয়সের কারণে এবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। এই আসনে (সিলেট-৫) নতুন মুখ হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ।
সিলেট-২ আসনে বর্তমান এমপি গণফোরামের মোকাব্বির খান। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি এর আগে গত দুই নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীর জন্য আসনটি ছেড়ে দিতে হয়।
মৌলভীবাজার: ৪টি আসনের দুটিতে নতুন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। মৌলভীবাজার-৩ আসনের বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদের বদলে নতুন মুখ এসেছেন শিল্পপতি জিল্লুর রহমান। সম্প্রতি নেছারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় জেলাজুড়ে। এমন কী সাংবাদিকের জমি দখলেরও অভিযোগ উঠে তাঁর স্বজনদের প্রতি।
মৌলভীবাজার-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মুহাম্মদ মনসুর বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি ধানের শীষ নিয়ে গত নির্বাচনে জয়ী হন। এবার তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ‘গ্রিন সিগন্যাল’ না পাওয়ায় মনোনয়ন চাননি। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। এই আসনে আওয়ামী লীগের গ্রুপিং তুঙ্গে, যা নাদেলের পথ সহজ করে দিয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখনই কোনো মন্তব্য করব না। আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব।’
হবিগঞ্জ: ৪ টির মধ্যে দুটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। হবিগঞ্জ-১ আসনে বর্তমান সাংসদ শাহনওয়াজ মোহাম্মদ মিলাদ গাজীর বদলে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে নতুন মুখ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীকে। হবিগঞ্জ-২ আসনে টানা তিনবারের এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের বদলে বেছে নেওয়া হয়েছে তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েলকে। আর এই পরিবর্তনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকাকেই কারণ হিসেবে দেখছেন দুটি আসনের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রিজভী আহমেদ খালেদ বলেন, ‘বর্তমানে মিলাদ গাজীর নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলার জনসাধারণের সঙ্গে তেমন একটা সম্পৃক্ততা নেই। এ ছাড়া দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একেবারে যোগাযোগ ছিল না বললেই চলে। তাঁর পছন্দের নেতা-কর্মীদের বাইরে আর কারও সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল না। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলোও তাঁর পছন্দের লোকদের নিয়েই করেছেন। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এসব নিয়ে তিনি কখনো কোনো আলোচনা করেননি।’
বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান বলেন, ‘এমপি মজিদ খানের সঙ্গে দলীয় নেতা-র্মীদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। এ বিষয়টি সভানেত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত অবগত। গত ১১ নভেম্বর বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর ইউনিয়নে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা দুটির আওয়ামী নেতা-কর্মীরা ‘মজিদ খান হটাও’ শীর্ষক একটি সমাবেশও করেন। এসব কারণে তাঁকে বাদ দিয়েছেন।’
এদিকে, এরই মধ্যে দুজন এমপিসহ ২২ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে অনেকেই প্রার্থীতা ঘোষণাও দিয়েছেন। তাঁরা হলেন—সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহমদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব বিনয় ভুষণ তালুকদার, সুনামগঞ্জ-২ আসনে সাবেক যুগ্ম সচিব মিজানুর রহমান ও সাবেক শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামীম চৌধুরী, সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী ও বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান, সিলেট-৩ আসনে বিএমএ’র মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক, সাবেক সংসদ সদস্য পীর হবিবুর রহমানের ছোট ছেলে ওলিউর রহমান, সিলেট-৫ আসনে ড. আহমদ আল কবীর, সিলেট-৬ আসনে কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন, মৌলভীবাজার-২ আসনে কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সলমান আহমদ, মৌলভীবাজার-৩ আসনে মোলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার সুয়েব, হবিগঞ্জ-১ আসনে নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যাপক তফাজ্জুল হোসেন চৌধুরী, হবিগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান এমপি আব্দুল মজিদ খান, হবিগঞ্জ-৪ আসনে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও মাধবপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসিম।
সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ১৯টি মধ্যে ৫টি আসনে গত নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত এমপিদের বাদ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি-অনিয়মসহ নানাভাবে সমালোচিত হওয়ায় তাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আসনের দলীয় নেতা-কর্মীরা। আর নতুন মুখ হিসেবে ৮ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে মনোনয়ন চাননি সিলেট-৫ আসনের বর্তমান এমপি হাফিজ আহমদ মজুমদার। বাকি তিনটিতে আছেন অন্য দলের এমপিরা। তবে দলীয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯টি আসনে দুই এমপিসহ ২২ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী হতে পারেন। এরই মধ্যে অনেকেই প্রার্থীতা ঘোষণাও দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ: জেলার ৫টি আসনের মধ্যে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা বাদ পড়েছেন। তাঁরা দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
২০০৮ সালের নির্বাচনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমপি হওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন রতন। জমিদখল ছাড়াও অর্থ আত্মসাৎ, নানা প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির পাশাপাশি ক্যাসিনো কাণ্ডেও নাম জড়ায় তাঁর। এসব অভিযোগ নিয়ে তদন্তে নামে দুদক। তাঁকে দেওয়া হয় বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা। এ ছাড়া কিছুদিন আগে যাদুকাটায় রতনের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসলে সংকটে পড়েন। অন্যদিকে সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা বাদ পড়ার বিষয়টিকে বার্ধক্যজনিত কারণেই মনে করছেন স্থানীয় ও দলীয় নেতা-কর্মীরা।
মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিতুষ সরকার বলেন, ‘এমপি রতন বিভিন্ন দুর্নীতি ও ক্যাসিনো কাণ্ডে আলোচনায় ছিলেন, সব মিলিয়ে একজন বির্তর্কিত এমপি ছিলেন তিনি। তাই দলের এই নতুন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।’
এই আসনে নতুন মুখ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত চন্দ্র সরকার। সুনামগঞ্জ-২ আসনে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ছোট ভাই, ও শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন চৌধুরী) মনোনয়ন পেয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নতুন মুখ পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ও কবি ড. মুহাম্মদ সাদিক। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন বলেন, ‘দল আমাদের সুনামগঞ্জের ৫টি আসনের প্রার্থীতা সিলেকশন করে দিয়েছেন, আমরা সেই মোতাবেক কাজ করব। তবে দলে কোনো বির্তর্কিত কিছু থাকুক সেটা নেত্রী চাননি বিধায় কেউ কেউ দলীয় টিকিট পাননি।’
সিলেট: ৬টি আসনের মধ্যে একটিতে প্রার্থী বদল হয়েছে। আসনটির বর্তমান এমপি হাফিজ আহমদ মজুমদার বয়সের কারণে এবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। এই আসনে (সিলেট-৫) নতুন মুখ হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ।
সিলেট-২ আসনে বর্তমান এমপি গণফোরামের মোকাব্বির খান। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি এর আগে গত দুই নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীর জন্য আসনটি ছেড়ে দিতে হয়।
মৌলভীবাজার: ৪টি আসনের দুটিতে নতুন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। মৌলভীবাজার-৩ আসনের বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদের বদলে নতুন মুখ এসেছেন শিল্পপতি জিল্লুর রহমান। সম্প্রতি নেছারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় জেলাজুড়ে। এমন কী সাংবাদিকের জমি দখলেরও অভিযোগ উঠে তাঁর স্বজনদের প্রতি।
মৌলভীবাজার-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মুহাম্মদ মনসুর বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি ধানের শীষ নিয়ে গত নির্বাচনে জয়ী হন। এবার তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ‘গ্রিন সিগন্যাল’ না পাওয়ায় মনোনয়ন চাননি। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। এই আসনে আওয়ামী লীগের গ্রুপিং তুঙ্গে, যা নাদেলের পথ সহজ করে দিয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখনই কোনো মন্তব্য করব না। আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব।’
হবিগঞ্জ: ৪ টির মধ্যে দুটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। হবিগঞ্জ-১ আসনে বর্তমান সাংসদ শাহনওয়াজ মোহাম্মদ মিলাদ গাজীর বদলে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে নতুন মুখ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীকে। হবিগঞ্জ-২ আসনে টানা তিনবারের এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের বদলে বেছে নেওয়া হয়েছে তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েলকে। আর এই পরিবর্তনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকাকেই কারণ হিসেবে দেখছেন দুটি আসনের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রিজভী আহমেদ খালেদ বলেন, ‘বর্তমানে মিলাদ গাজীর নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলার জনসাধারণের সঙ্গে তেমন একটা সম্পৃক্ততা নেই। এ ছাড়া দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একেবারে যোগাযোগ ছিল না বললেই চলে। তাঁর পছন্দের নেতা-কর্মীদের বাইরে আর কারও সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল না। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলোও তাঁর পছন্দের লোকদের নিয়েই করেছেন। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এসব নিয়ে তিনি কখনো কোনো আলোচনা করেননি।’
বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান বলেন, ‘এমপি মজিদ খানের সঙ্গে দলীয় নেতা-র্মীদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। এ বিষয়টি সভানেত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত অবগত। গত ১১ নভেম্বর বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর ইউনিয়নে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা দুটির আওয়ামী নেতা-কর্মীরা ‘মজিদ খান হটাও’ শীর্ষক একটি সমাবেশও করেন। এসব কারণে তাঁকে বাদ দিয়েছেন।’
এদিকে, এরই মধ্যে দুজন এমপিসহ ২২ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে অনেকেই প্রার্থীতা ঘোষণাও দিয়েছেন। তাঁরা হলেন—সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহমদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব বিনয় ভুষণ তালুকদার, সুনামগঞ্জ-২ আসনে সাবেক যুগ্ম সচিব মিজানুর রহমান ও সাবেক শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামীম চৌধুরী, সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী ও বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান, সিলেট-৩ আসনে বিএমএ’র মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক, সাবেক সংসদ সদস্য পীর হবিবুর রহমানের ছোট ছেলে ওলিউর রহমান, সিলেট-৫ আসনে ড. আহমদ আল কবীর, সিলেট-৬ আসনে কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন, মৌলভীবাজার-২ আসনে কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সলমান আহমদ, মৌলভীবাজার-৩ আসনে মোলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার সুয়েব, হবিগঞ্জ-১ আসনে নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যাপক তফাজ্জুল হোসেন চৌধুরী, হবিগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান এমপি আব্দুল মজিদ খান, হবিগঞ্জ-৪ আসনে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও মাধবপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসিম।
ডাকাতি মামলার আসামি শফি গাজীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী একজোট হয়ে তাঁর বাড়িসহ দুই দোকানে আগুন দিয়েছে। এ সময় তাঁর বাড়ি থেকে দা, ছুরি, চায়নিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে পুলিশে দেওয়া হয়।
৪ মিনিট আগেনান্দাইল, ময়মনসিংহ, নছিমন, মেটা: নান্দাইলে বাসের ধাক্কায় গরুবাহী নছিমন পানিতে পড়ে ছয় গরু মারা গেছে। আজ রোববার বিকেলের দিকে নান্দাইল-তাড়াইল সড়কের গাংগাইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে গরু ব্যবসায়ী আবুল বাশার ও নছিমনচালক মালেক আহত হয়েছেন।
২৪ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেবে। মানুষ বহু বছর পরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে উৎসবের মধ্য দিয়ে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। আমরা আশা করি, আল্লাহর রহমতে মানুষের ভালোবাসার ম্যান্ডেট নিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।
১ ঘণ্টা আগেমতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির নেতা কর্মীদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর সরকারের উদ্যোগে এই পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে