Ajker Patrika

শ্রমিক লীগ নেতার জামিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
বহিষ্কৃত শ্রমিক দল নেতা আলী আকবর রাজন ও শ্রমিক লীগ নেতা জাকারিয়া আহমদ। ছবি: সংগৃহীত
বহিষ্কৃত শ্রমিক দল নেতা আলী আকবর রাজন ও শ্রমিক লীগ নেতা জাকারিয়া আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

শ্রমিক লীগ নেতার জামিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় সিলেট জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আকবর রাজনকে সংগঠন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল রোববার জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সিলেট জেলার সদস্যসচিব মো. নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র–জনতার ওপর হামলার ঘটনাসহ ৫ মামলায় গত ২৮ এপ্রিল রাতে শ্রমিক লীগ নেতা জাকারিয়া আহমেদকে আটক করে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন দুপুরে জাকারিয়াকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

অভিযোগ উঠেছে, তখন জাকারিয়ার মুক্তির জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করেন শ্রমিক দল নেতা আলী আকবর রাজন। জাকারিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি মিথ্যা মামলা আখ্যা দিয়ে আলী আকবর রাজন তখন বলেছিলেন, ‘আমাদের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন জাকারিয়া ভাইকে গতকাল রাতে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় আটক করে নিয়ে আসে প্রশাসন।’

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিলেট বিএনপি ও সিলেট জাতীয়তাবাদী আইনজীবীদের নিয়ে নেটিজেনরা সমালোচনা করেন। সমালোচনার মুখে গত ২৯ এপ্রিল রাতে সিলেট জেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শাহ আব্দুল মুকিত ও সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে আলী আকবর রাজনকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিলেট জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আকবর রাজন দলের বিরুদ্ধে গিয়ে শ্রমিক লীগ নেতার জামিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাই সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতাদের সুপারিশক্রমে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যু করা হয়। কিন্তু জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিলেট জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আলী আকবর রাজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া ভাই গ্রেপ্তার হওয়ায় শ্রমিকেরা আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হন। তখন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অনুরোধে সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করি। এরপর জাকারিয়া ভাই গিয়ে তাঁর জামিন নেন। এখন আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আমলে ১৬টি মামলার আসামি হয়েছি দল করার কারণে। বহুবার জেল খেটেছি। নির্যাতনের ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি। তবুও শোকজের তিন পাতার জবাব দিয়েছি। আর শ্রমিক দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলার সদস্যসচিব আমাকে বহিষ্কার করতে পারেন না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত