Ajker Patrika

হঠাৎ সবজির দাম দ্বিগুণ

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৪, ১০: ৩৭
হঠাৎ সবজির দাম দ্বিগুণ

সিলেট নগরীতে রমজান শুরু হতেই এক লাফে সবজির দাম দ্বিগুণ বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত রবি বা সোমবার যে সবজির কেজি ৩৫-৪০ টাকা ছিল, গতকাল মঙ্গলবার তা বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকায়। হঠাৎ এত মূল্য বাড়িয়ে দেওয়ায় বাজারে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় ক্রেতাদের। এদিকে নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন পাঁচটি বাজার তদারকি কমিটি গঠন করেছে। 

গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে নগরের চৌকিদেখী ও আম্বরখানা এলাকার বিভিন্ন সবজি, ফল, মাছ, মাংস ও ইফতারসামগ্রীর দোকান পরিদর্শন করে একটি দল। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিক্রেতাদের মূল্যতালিকা প্রদর্শন, কাঁচা-পাকা রসিদ সংরক্ষণ এবং ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশ দেন। 

নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, যে টমেটো দুই দিন আগে প্রতি কেজি বিক্রি হতো ৩৫-৪০ টাকায়, তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০-৭০ টাকায়। আর রমজান এলেই বেগুনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুবিধা কাজে লাগাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ৩০ টাকা কেজির বেগুন বিক্রি হয় ৬০-৮০ টাকায়। শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি; যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ৪০-৫০ টাকা। গাজরের কেজি ৭০-৮০ টাকা। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা করে কেজি দরে, যা দুই দিন আগেও ছিল ৬০-৭০ টাকা। যে ধনেপাতা আগে আঁটি ধরে বিক্রি হতো, তা এখন কেজি ধরে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ছিল ১৫-২০ টাকা, তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ৪০-৬০ টাকা হালির লেবুর বিক্রি হয় ১২০ টাকায়। পেঁপে ও ফুলকপির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-১৫ টাকা করে। আর অপরিবর্তিত রয়েছে বাঁধাকপির দাম, যা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা করে। 

এদিকে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৩৫ টাকায়। দেশি মুরগির কেজি ৭০০ টাকা। গরুর মাংসের মূল্য ৭৫০ টাকা করে। খোলা খেজুর ২০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১০০-১২০ টাকা কেজি। 

মাহবুব নামের এক সবজি বিক্রেতা দাবি করছেন, ‘সোমবার সবজির মূল্য আরও বেশি ছিল। বর্তমানে কিছুটা কম। রোজা এলে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মালপত্র দিয়ে ক্রেতাদের সামাল দেওয়া যায় না। আর চাহিদা বেড়ে গেলে আমাদেরও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়, যে কারণে বেশি দামেই বিক্রি করি আমরা।’ 

মোহাম্মদ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘গত পরশু যে বেগুন নিলাম ৩৫ টাকা কেজি দরে, আজ (মঙ্গলবার) তার দাম ৭০ টাকা। এভাবে বাড়তে থাকলে বেগুন খাওয়া বাদ দিতে হবে। আর বাকি সবজি বা জিনিসপত্রের দাম বাদই দিলাম। যে ব্রয়লার আগে ভরসা ছিল, তার দামও ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা খাব কী?’ 

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং তদারকি-সংক্রান্ত বিশেষ সভা হয়েছে। সেখানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঁচটি বাজার তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি করছি। খুচরা ব্যবসায়ীদের পাকা রসিদ রাখার জন্য বলেছি। কোথা থেকে দাম বাড়ে, সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি। এতে করে যদি দেখি কোথাও দাম বাড়ছে, তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত