নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ আট দফা দাবিতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে ক্লাস–পরীক্ষা বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে অবস্থান নিয়ে দিনভর বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার রাত থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার (২৪ অক্টোবর) রাতে সিকৃবি শাখা ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনাকে ‘ছাত্রলীগ সমর্থিত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ’ বলা; তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া এবং ব্যানার ছেঁড়ার ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রতিবাদে এ আট দফা ঘোষণা করে তারা।
আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় ‘তুমি কে আমি কে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী রাষ্ট্রদ্রোহী’ ‘কে বলেছে, কে বলেছে প্রশাসন–প্রশাসন, ‘সিকৃবি প্রশাসন; ভুয়া ভুয়া’ ‘আমরা কেন রাষ্ট্রদ্রোহী; প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে বেলা দেড়টায় ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী ইমাম হাসান শিক্ষার্থীদের পক্ষে আট দফা দাবি উত্থাপন করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদলের ব্যানার ছেঁড়াকে রাষ্ট্রবিরোধী কাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে টানানো ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সহায়তা সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি প্রশাসনের নির্দেশনা সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ভর্তি পরীক্ষা বানচাল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জাতির সামনে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করেছে বলে সিকৃবি প্রশাসন মনে করে।
এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এহেন রাষ্ট্রবিরোধী ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা বিশ্ববিদ্যালয় তথা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।’ এমন বিবৃতি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা শনিবার রাতেই আন্দোলনে নামে।
দাবিগুলো হলো-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, রেজিস্ট্রার ও জনসংযোগ-প্রকাশনা কর্মকর্তাসহ সকলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত আরও জোরালো করতে হবে। ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও ভিসিকে রাজনৈতিক ব্যানারে সম্ভাষণকারীদের শাস্তি নিশ্চিতসহ সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে।
২৪ অক্টোবর রাতের সংঘর্ষ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত ছাত্রদলের হামলার সম্পূর্ণ বিষয় যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে হবে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভুয়া বিবৃতি প্রত্যাহার করে সত্য ও সঠিক বিবৃতি প্রদান করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অ্যানোনিমাস মার্কিং ও পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে কারি বিষয়ের ইজ্জত পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে; শুধু রিক্যারির মাধ্যমে ইয়ার ড্রপ ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই সিকৃবিতে প্রতিটি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরে পাসমার্ক নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সার্বক্ষণিক (২৪ /৭) খোলা রাখতে হবে।
জানতে চাইলে শিক্ষার্থী ইমাম হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সারা দিন একাধিকবার ভিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। সুযোগ হয়নি। এ জন্য কর্মসূচি অর্থাৎ প্রশাসনিক ভবন ও সকল অনুষদে তালাবদ্ধ রেখে ক্লাস–পরীক্ষা বর্জন চলমান রয়েছে। ৮ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। সোমবার সকালে আবার ক্যাম্পাসে অবস্থান করব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আলিমুল ইসলাম সন্ধ্যার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এক প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। আগামীকাল (সোমবার) আলোচনায় বসব। মাধ্যমে যা হয়, আপনাদের জানাব।’
প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ আট দফা দাবিতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে ক্লাস–পরীক্ষা বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে অবস্থান নিয়ে দিনভর বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার রাত থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার (২৪ অক্টোবর) রাতে সিকৃবি শাখা ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনাকে ‘ছাত্রলীগ সমর্থিত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ’ বলা; তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া এবং ব্যানার ছেঁড়ার ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রতিবাদে এ আট দফা ঘোষণা করে তারা।
আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় ‘তুমি কে আমি কে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী রাষ্ট্রদ্রোহী’ ‘কে বলেছে, কে বলেছে প্রশাসন–প্রশাসন, ‘সিকৃবি প্রশাসন; ভুয়া ভুয়া’ ‘আমরা কেন রাষ্ট্রদ্রোহী; প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে বেলা দেড়টায় ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী ইমাম হাসান শিক্ষার্থীদের পক্ষে আট দফা দাবি উত্থাপন করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদলের ব্যানার ছেঁড়াকে রাষ্ট্রবিরোধী কাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে টানানো ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সহায়তা সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি প্রশাসনের নির্দেশনা সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ভর্তি পরীক্ষা বানচাল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জাতির সামনে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করেছে বলে সিকৃবি প্রশাসন মনে করে।
এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এহেন রাষ্ট্রবিরোধী ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা বিশ্ববিদ্যালয় তথা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।’ এমন বিবৃতি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা শনিবার রাতেই আন্দোলনে নামে।
দাবিগুলো হলো-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, রেজিস্ট্রার ও জনসংযোগ-প্রকাশনা কর্মকর্তাসহ সকলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত আরও জোরালো করতে হবে। ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও ভিসিকে রাজনৈতিক ব্যানারে সম্ভাষণকারীদের শাস্তি নিশ্চিতসহ সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে।
২৪ অক্টোবর রাতের সংঘর্ষ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত ছাত্রদলের হামলার সম্পূর্ণ বিষয় যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে হবে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভুয়া বিবৃতি প্রত্যাহার করে সত্য ও সঠিক বিবৃতি প্রদান করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অ্যানোনিমাস মার্কিং ও পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে কারি বিষয়ের ইজ্জত পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে; শুধু রিক্যারির মাধ্যমে ইয়ার ড্রপ ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই সিকৃবিতে প্রতিটি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরে পাসমার্ক নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সার্বক্ষণিক (২৪ /৭) খোলা রাখতে হবে।
জানতে চাইলে শিক্ষার্থী ইমাম হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সারা দিন একাধিকবার ভিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। সুযোগ হয়নি। এ জন্য কর্মসূচি অর্থাৎ প্রশাসনিক ভবন ও সকল অনুষদে তালাবদ্ধ রেখে ক্লাস–পরীক্ষা বর্জন চলমান রয়েছে। ৮ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। সোমবার সকালে আবার ক্যাম্পাসে অবস্থান করব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আলিমুল ইসলাম সন্ধ্যার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এক প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। আগামীকাল (সোমবার) আলোচনায় বসব। মাধ্যমে যা হয়, আপনাদের জানাব।’
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৩ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগে