মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
দুপুর গড়িয়ে বিকেল। হাওরে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় জেলেরা। তাঁদের ভিড়ে হাওরের বিভিন্ন প্রান্তে আরও কয়েকজনকে হাতে ব্যাগ নিয়ে কাদাভরা নিচু জায়গায় হেঁটে হেঁটে কিছু একটা খুঁজতে দেখা যায়। তাঁরা হাওরের দেশীয় মাছ শিকার করতে আসেননি। তাঁরা হাওরের জমির কাদামাটির গর্তে হাত ঢুকিয়ে কুঁচিয়া মাছ শিকার করছেন। এমন দৃশ্য মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পতনঊষার ইউনিয়নের কেওলার হাওরে চোখে পড়ে।
শুভাশ উড়াং, অবুজ উড়াং, রাজন উড়াংসহ কয়েকজন কেওলার হাওরে কাদামাটিতে কুঁচিয়া শিকার করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা সবাই কমলগঞ্জের মির্তিঙ্গা, দেওড়াছড়া চা-বাগানের শ্রমিক। পরিবারের একজন সদস্য ১৭০ টাকা মজুরিতে চা-বাগানে কাজ করেন। এই টাকা দিয়ে সংসার চলে না। এ জন্য কিশোর বয়স থেকে তাঁরা কুঁচিয়া মাছ শিকার করছেন। তাঁরা জানান, প্রতিদিন সকালে কুঁচিয়া শিকারের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। সারা দিন খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, নদী-নালা চষে বেড়িয়ে কুঁচিয়া সংগ্রহ করেন। গড়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার পথ তাঁদের হাঁটতে হয়। তাঁরা আরও জানান, প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে পাঁচ কেজি কুঁচিয়া মাছ শিকার করতে পারেন। এই মাছ শ্রীমঙ্গল শহরে বিক্রি হয়। প্রতি কেজি কুঁচিয়া ৩০০ টাকা করে বিক্রি করেন। সারা বছর তাঁরা কুঁচিয়া মাছ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই অঞ্চলে চা-শ্রমিক পরিবারের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম উপায় কুঁচিয়া মাছ শিকার করে বিক্রি করা। বেশির ভাগ চা-বাগানে ৫০-৮০টি পরিবার কুঁচিয়া মাছ বেচে সংসার চালান। যুগের পর যুগ এই পেশায় তাঁরা নিয়োজিত। আগে জলাশয়ে অনেক কুঁচিয়া পাওয়া গেলেও এখন এর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। তবে আগের চেয়ে বাজারে এর দাম বেড়েছে।
চা-শ্রমিক নেতারা বলেন, বাগানের অনেক শ্রমিক আছেন, তাঁদের পেশা কুঁচিয়া সংগ্রহ করে বিক্রি করা। এই কাজ করতে তাঁদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। সারা দিন কাদা মাটিতে হাঁটতে হয়। তাঁরা অভিযোগ করেন, সরকারিভাবে কুঁচিয়া চাষের জন্য অনেক সময় ঋণ দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঋণ কোনো সময় চা-শ্রমিকেরা পাননি, বরং যাঁরা কুঁচিয়া চাষ করেননি তাঁদের দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এই পেশায় নিয়োজিত, কুঁচিয়া চাষের জন্য সরকারি ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার মির্তিঙ্গা চা-বাগানের শুভাশ উড়াং জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে হাওর, ডোবা, নদী, খাল-বিল, পুকুরসহ বিভিন্ন স্থানে কুঁচিয়া ধরেন। তাঁর পরিবারে পাঁচ সদস্য আছেন। স্ত্রী বাগানে কাজ করেন। কিন্তু বাগানের টাকা দিয়ে তাঁদের সংসার চলে না। এ জন্য তিনি কুঁচিয়া সংগ্রহ করে বিক্রি করেন। তিনি জানান, কাদামাটিতে অনেক পথ হাঁটতে হয়। প্রতিদিন ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকার কুঁচিয়া শিকার করা যায়। এগুলো শ্রীমঙ্গল নিয়ে বিক্রি হয়। বাগানের কাজের চেয়ে এই পেশায় ভালো আছেন বলে তিনি জানান।
মৌলভীবাজার মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আরিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেখানে কুঁচিয়া চাষ হচ্ছে, সেই জায়গা সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে বড়লেখা, রাজনগর, শ্রীমঙ্গক ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাম পাঠিয়েছি। কমলগঞ্জ উপজেলার নাম যুক্ত করা হবে।’
দুপুর গড়িয়ে বিকেল। হাওরে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় জেলেরা। তাঁদের ভিড়ে হাওরের বিভিন্ন প্রান্তে আরও কয়েকজনকে হাতে ব্যাগ নিয়ে কাদাভরা নিচু জায়গায় হেঁটে হেঁটে কিছু একটা খুঁজতে দেখা যায়। তাঁরা হাওরের দেশীয় মাছ শিকার করতে আসেননি। তাঁরা হাওরের জমির কাদামাটির গর্তে হাত ঢুকিয়ে কুঁচিয়া মাছ শিকার করছেন। এমন দৃশ্য মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পতনঊষার ইউনিয়নের কেওলার হাওরে চোখে পড়ে।
শুভাশ উড়াং, অবুজ উড়াং, রাজন উড়াংসহ কয়েকজন কেওলার হাওরে কাদামাটিতে কুঁচিয়া শিকার করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা সবাই কমলগঞ্জের মির্তিঙ্গা, দেওড়াছড়া চা-বাগানের শ্রমিক। পরিবারের একজন সদস্য ১৭০ টাকা মজুরিতে চা-বাগানে কাজ করেন। এই টাকা দিয়ে সংসার চলে না। এ জন্য কিশোর বয়স থেকে তাঁরা কুঁচিয়া মাছ শিকার করছেন। তাঁরা জানান, প্রতিদিন সকালে কুঁচিয়া শিকারের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। সারা দিন খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, নদী-নালা চষে বেড়িয়ে কুঁচিয়া সংগ্রহ করেন। গড়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার পথ তাঁদের হাঁটতে হয়। তাঁরা আরও জানান, প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে পাঁচ কেজি কুঁচিয়া মাছ শিকার করতে পারেন। এই মাছ শ্রীমঙ্গল শহরে বিক্রি হয়। প্রতি কেজি কুঁচিয়া ৩০০ টাকা করে বিক্রি করেন। সারা বছর তাঁরা কুঁচিয়া মাছ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই অঞ্চলে চা-শ্রমিক পরিবারের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম উপায় কুঁচিয়া মাছ শিকার করে বিক্রি করা। বেশির ভাগ চা-বাগানে ৫০-৮০টি পরিবার কুঁচিয়া মাছ বেচে সংসার চালান। যুগের পর যুগ এই পেশায় তাঁরা নিয়োজিত। আগে জলাশয়ে অনেক কুঁচিয়া পাওয়া গেলেও এখন এর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। তবে আগের চেয়ে বাজারে এর দাম বেড়েছে।
চা-শ্রমিক নেতারা বলেন, বাগানের অনেক শ্রমিক আছেন, তাঁদের পেশা কুঁচিয়া সংগ্রহ করে বিক্রি করা। এই কাজ করতে তাঁদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। সারা দিন কাদা মাটিতে হাঁটতে হয়। তাঁরা অভিযোগ করেন, সরকারিভাবে কুঁচিয়া চাষের জন্য অনেক সময় ঋণ দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঋণ কোনো সময় চা-শ্রমিকেরা পাননি, বরং যাঁরা কুঁচিয়া চাষ করেননি তাঁদের দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এই পেশায় নিয়োজিত, কুঁচিয়া চাষের জন্য সরকারি ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার মির্তিঙ্গা চা-বাগানের শুভাশ উড়াং জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে হাওর, ডোবা, নদী, খাল-বিল, পুকুরসহ বিভিন্ন স্থানে কুঁচিয়া ধরেন। তাঁর পরিবারে পাঁচ সদস্য আছেন। স্ত্রী বাগানে কাজ করেন। কিন্তু বাগানের টাকা দিয়ে তাঁদের সংসার চলে না। এ জন্য তিনি কুঁচিয়া সংগ্রহ করে বিক্রি করেন। তিনি জানান, কাদামাটিতে অনেক পথ হাঁটতে হয়। প্রতিদিন ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকার কুঁচিয়া শিকার করা যায়। এগুলো শ্রীমঙ্গল নিয়ে বিক্রি হয়। বাগানের কাজের চেয়ে এই পেশায় ভালো আছেন বলে তিনি জানান।
মৌলভীবাজার মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আরিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেখানে কুঁচিয়া চাষ হচ্ছে, সেই জায়গা সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে বড়লেখা, রাজনগর, শ্রীমঙ্গক ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাম পাঠিয়েছি। কমলগঞ্জ উপজেলার নাম যুক্ত করা হবে।’
কর্মশালায় আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘সরকার আইএসপি থেকে ৬০ শতাংশ রাজস্ব নেয়। সেই জায়গা থেকে সাশ্রয়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট পাওয়া সম্ভব নয়। তারপরও আমরা কম দামে ভালো ইন্টারনেট সেবা দিতে চাই। এ জন্য একটি ভালো নীতি দরকার।’
১৮ মিনিট আগেগাজীপুরের কালীগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রকে বস্তায় ভেতরে ভরে রেলিংবিহীন ছাদে ফেলে রেখে শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আজ শনিবার (২৮ জুন) সকালে উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী দাওদাপাড়া গ্রামের একটি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা মাদ্রাসায় গিয়ে ছাত্রটিকে
১৯ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে ডোবার পানিতে পড়ে দুই শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গীর এরশাদনগর গোদারাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুই শিশু হচ্ছে টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার মফিজ মিয়ার ছেলে আবু রায়হান (১২) এবং একই এলাকার তোফায়েলের ছেলে ওসমান গনী (১১)।
২৫ মিনিট আগেআগামী আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহযোগিতায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের তিন এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে যাচ্ছে ই–রিকশা। রাজধানীর উত্তরা, ধানমন্ডি ও পল্টন এলাকায় ই–রিকশা চালু হবে। আজ শনিবার (২৮ জুন) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য
৩৬ মিনিট আগে