Ajker Patrika

বকেয়া বেতন, কাজে যোগদানের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২২, ১৬: ০৪
বকেয়া বেতন, কাজে যোগদানের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

বকেয়া বেতন ও কাজে যোগদানের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকেরা। শুক্রবার খনির কয়লা সরবরাহ গেটের ভেতরে ও বাইরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন শত শত শ্রমিক। 

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রিল বুধবার দুপুর ১২টা থেকে খনির মূল ফটকে তাঁরা অবস্থান ও বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল রোববার তাঁরা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর দুই দফা দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি দিয়ে দাবি মেনে নিতে বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। দাবি না মানায় এই অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।

খনিতে কাজ করা শ্রমিকদের দেখতে এসে তাঁদের কয়েকজনের স্ত্রী নাসরিন আক্তার, শিরিনা, শায়লা আক্তার জানালেন, ‘সামনে ঈদ। আমাদের স্বামীরা ভেতরে কাজ করছেন, তাঁদের বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।’

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দাবি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে খনিতে মোট ১ হাজার ১৪৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছিলেন। দুই বছর আগে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে কর্মরত ১ হাজার ১৪৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪০০ জন শ্রমিককে কাজ করার শর্তে ফেরত নেয়। বাকি ৭৪৭ জনকে কাজে যোগদানের সুযোগ না দিয়ে বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। সামনে ঈদ। ভেতরের শ্রমিকদের খনির বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।’

মো. রবিউল ইসলাম আরও বলেন, ‘ছুটি দেওয়ার সময় প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতি মাসে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। ওই টাকা দেওয়াও শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত আট মাস ধরে তা আর দেওয়া হচ্ছে না। তবে কর্মরত শ্রমিকদের নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে।’

এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে এরই মধ্যে বাইরের ৮৫০ জন শ্রমিককে জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে মোট ৫৫ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে খনির একটি ফেস চালু রয়েছে, যা শেষের পথে। তাই জনবল কম লাগছে, সেই সঙ্গে থাকার জায়গাও কম। আরও একটি ফেস চালু করার প্রস্তুতি চলছে, যা মাস দু-এক সময় লাগবে। ওই ফেস চালু হলেই বাইরের শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে কাজে নেওয়া হবে।’

ভেতরের শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘তাঁরা খনির বাইরে বের হয়ে বাড়ি থেকে কাজ করতে চান।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত