Ajker Patrika

যশোরের অভয়নগর

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকায় কয়লা ডাম্পিং

  • প্রতিকার চেয়ে যশোরে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরে গণ পিটিশন দাখিল
  • কয়লার ধুলাবালুতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে পাশের মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীরা
  • কয়লা ডাম্পিং বন্ধে প্রশাসন নির্দেশ দিলেও অমান্য করে চলছে কার্যক্রম
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৫, ১০: ২৯
যশোরের অভয়নগরে আবাসিক এলাকার মধ্যে গড়ে তোলা কয়লা ডাম্পিং স্টেশন। নওয়াপাড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপুরে। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোরের অভয়নগরে আবাসিক এলাকার মধ্যে গড়ে তোলা কয়লা ডাম্পিং স্টেশন। নওয়াপাড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপুরে। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের অভয়নগরে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকায় কয়লা ডাম্পিং অব্যাহত রয়েছে। এতে ফুঁসে উঠেছেন অভিভাবকসহ সচেতন এলাকাবাসী। এর প্রতিকার চেয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরে গণ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের অভিযোগে জানা যায়, নওয়াপাড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপুরে যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে একটি কয়লা রাখার ডাম্প গড়ে উঠেছে। আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি ওই জায়গায় কয়লার ডাম্প করার জন্য আইআরএস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে ভাড়া দেন। দিনরাত খোলা জায়গায় কয়লা ডাম্পিং করে সেখান থেকে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এর পাশে রয়েছে দারুল কোরআন মাদ্রাসা, মসজিদসহ অসংখ্য বাড়িঘর। কয়লার ধুলাবালুতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া আবাসিক এলাকায় কয়লা মজুত করায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এমনকি মরে যাচ্ছে গাছপালা।

কয়লা ডাম্পিং নীতিমালায় রয়েছে, চারদিকে প্রাচীর দিয়ে ওপরে ছাউনির মাধ্যমে কয়লা ডাম্পিং করতে হবে। তা ছাড়া আবাসিক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকা এলাকায় কয়লা ডাম্পিং করা যাবে না। সেই নীতিমালা না মেনে নওয়াপাড়া পৌরসভার আলীপুরে চলছে কয়লা ডাম্পিং কার্যক্রম। স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা শিশু শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কয়লার ডাম্প সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে গত বুধবার মানববন্ধন করা হয়।

প্রতিকার চেয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে লিখিত গণ পিটিশন দাখিল করা হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও পার্থ প্রতিম শীল জমির মালিক আব্দুর রহিমকে সেখানে কয়লা ডাম্পিং বন্ধ করার নির্দেশ দেন এবং সাত দিনের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতিপত্র আনতে বলেন। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে সেখানে আরও বড় পরিসরে কয়লা মজুত করা হচ্ছে। কয়লার স্তূপের পাশে লাগানো হয়েছে সাইনবোর্ড। এলাকাবাসী বলছেন, আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে গায়ের জোরে জমির মালিক এ ধরনের কাজ করছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার যশোরের জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরে গণ পিটিশন দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে চানতে চাইলে জমির মালিক আব্দুর রহিম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যে শর্ত দিয়ে ডাম্পিংয়ের কথা বলেছেন, সেটি কয়লার মালিককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গা ঘেঁষে কয়লা রাখার জন্য বৃহত্তর ডাম্প করা হয়। এই কয়লার ডাম্প থেকে ধুলাবালু ক্লাসরুমে প্রবেশ করে। এতে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা এ থেকে মুক্তি চাই।’

এ বিষয়ে কথা বলতে পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক মো. এমদাদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওই জমির মালিক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রুয়া নির্বাচন: বিএনপিপন্থীদের বর্জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জামায়াতপন্থী ২৭ জন নির্বাচিত

‘পাপ কাহিনী’র হাত ধরে দেশের ওটিটিতে ফিরল অশ্লীলতা

সৌদি আরবের কেনা ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলকে দেওয়ার অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্রের, প্রত্যাখ্যান করে কিসের ইঙ্গিত দিল রিয়াদ

সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, আটক ৫

আগের তিন ভোটের নির্বাচনী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পাবেন না

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত