Ajker Patrika

নিষেধাজ্ঞার পর বৈরী আবহাওয়া, হাতিয়ার লক্ষাধিক জেলে পরিবার দুশ্চিন্তায়

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৪: ১৭
বৈরী আবহাওয়ার কারণে খালে মাছ ধরার ট্রলার রেখে দিয়েছেন জেলেরা। আজ রোববার সকালে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সূর্যমুখী ঘাট এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৈরী আবহাওয়ার কারণে খালে মাছ ধরার ট্রলার রেখে দিয়েছেন জেলেরা। আজ রোববার সকালে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সূর্যমুখী ঘাট এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় ভরা মৌসুমে মাছ শিকার করতে যেতে পারছেন না জেলেরা। অলস সময় পার করছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার লক্ষাধিক জেলে পরিবার। প্রায় ১০ হাজার মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তীরে অবস্থান করছে।

জানা গেছে, এ বছর ইলিশ মৌসুমের প্রথম থেকে জেলেদের জালে তেমন একটা মাছ ধরা পড়েনি। এর মধ্যে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ছিল গভীর সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। এরপর জেলেরা জাল, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করলেও আশানুরূপ মাছ জালে ধরা পড়েনি।

এদিকে গত শুক্রবার থেকে সাগরে নিম্নচাপ দেখা দেওয়ায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সাগর খুবই উত্তাল হয়ে পড়েছে। বিশাল বিশাল ঢেউয়ের মধ্যে টিকতে না পেরে সবাই ঘাটে চলে এসেছে।

আজ রোববার সকালে হাতিয়ার সূর্যমুখী ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্য খালের মধ্যে ছোট-বড় সহস্রাধিক মাছ ধরার ট্রলার অবস্থান করছে। এ সময় কথা হয় জেলে পেশার সঙ্গে জড়িত প্রবীণ ব্যক্তি জবিয়ল হকের সঙ্গে।

জবিয়ল জানান, ৪০ বছর ধরে এই ঘাটে তাঁর বিচরণ। আগে মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন বাড়িতে থাকেন। তবে এই ঘাটে এত নৌকা-ট্রলার একসঙ্গে খুব একটা দেখেননি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সবাই ঘাটে চলে এসেছেন। গত শুক্রবার সকাল থেকে মাছ ধরার এসব ট্রলার পর্যায়ক্রমে ঘাটে চলে আসে। সবাই অলস সময় পার করছেন। এখন ভরা মৌসুম, মাছ ধরার সময় সাগর উত্তাল থাকায় কেউ নদীতে যেতে পারছেন না; যা মৌসুম শেষে জেলেদের আর্থিকভাবে বড় দেনার মধ্যে পড়তে হবে।

সূর্যমুখী ঘাটের উত্তর পাশে খালপাড়ে দেখা হয় ভোলার দৌলতখা থেকে আসা নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, ১৫ দিন আগে হাতিয়ার পূর্ব পাশের এই নদীতে এসেছেন মাছ ধরার জন্য। ভালো মাছ পাওয়া যায়নি। প্রতিদিন জ্বালানি তেল খরচসহ বিভিন্ন খরচ মিলিয়ে হিসাবে এখনো ঘাট আড়তে ১ লাখ টাকার মতো দেনার মধ্যে আছেন। এর মধ্যে শুক্রবার ঝড়ের কবলে পড়ে ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গেছে। অন্য একটি ট্রলারের সহযোগিতায় তীরে এসেছেন। এখন ইঞ্জিন মেরামত করে অপেক্ষা করছেন। আবহাওয়া ভালো হলে নদীতে যাবেন।

বুড়িরচর ইউনিয়নের উত্তর রেহানিয়া গ্রামের আব্দুল আলী মাঝি বলেন, নদী খুবই উত্তাল। শুক্রবার সকালে খালের মুখে ছোট ছোট তিনটি নৌকা ডুবে যায়। পরে ঘাট থেকে বড় ট্রলার গিয়ে জেলেদের উদ্ধার করে আনেন। একটি নৌকার জাল, পুলুটসহ সব ভেসে যায়। এ জন্য কোনো ট্রলার সাগরে যেতে সাহস করছে না। সূর্যমুখী ঘাটের প্রায় ১ হাজার নৌকা-ট্রলার ঘাটে রেখে দেওয়া হয়েছে। ট্রলারের মাঝি-মল্লারা সংসার চালাতে দেনায় জড়িয়ে পড়ছেন।

শুধু সূর্যমুখী ঘাটে নয়, একই অবস্থা উপজেলার ছোট-বড় ২০টি ঘাটে। প্রতিটি ঘাটে নিজস্ব ট্রলারগুলো অবস্থান করছে।

হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশে উদ্দিন বলেন, ‘গত বছর ঝড়ের কবলে পড়ে হাতিয়ায় বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে অনেকে মাঝি-মাল্লা অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় তীরে এলেও দুটি ট্রলারের পাঁচজনকে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে নিঝুম দ্বীপ ও জাহাজমারার তিনজনের মৃতদেহ নদীতে পাওয়া যায়। এতে ভয়ে এখন আর কেউ বৈরী আবহাওয়ায় নদীতে থাকতে চান না। হাতিয়ার কাটাখালী খালে বড় বড় ফিশিং ট্রলার বেশি থাকে। শুক্রবার সকাল থেকে গভীর সমুদ্র থেকে এসব ট্রলার ঘাটে ফিরে আসে। কয়েকটি ট্রলার সাগর থেকে চট্টগ্রামে চলে যায়। তবে মালিকপক্ষ থেকে এ অবস্থায় সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য সবাইকে নিষেধ করা হয়েছে।’

হাতিয়া সূর্যমুখী মাছঘাটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফয়জুর রহমান নান্টু বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ায় মাছ ধরার সব ট্রলার ঘাটে। জেলেরা সবাই বাজার-ঘাটে অলস সময় পার করছেন। এতে অনেকের সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। খেয়ে-না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে অনেককে। ইলিশ মৌসুমের প্রথম থেকে মাছ পাওয়া যায়নি। গত কয়েক দিন আগে নদীতে কিছুটা মাছ দেখা দিয়েছে। কিন্তু এখন সাগর উত্তাল থাকায় মাছ শিকারে যাওয়া যাচ্ছে না। বৈরী আবহাওয়ায় কয়েকটি ট্রলার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে কেউ নিখোঁজ হননি।’

হাতিয়ার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল। এ কারণে সাগর উত্তাল। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে জেলেদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার সবাই মাছ ধরতে যেতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৩
নিহত লায়লা আফরোজ ও নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ। ছবি: সংগৃহীত
নিহত লায়লা আফরোজ ও নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ। ছবি: সংগৃহীত

‎রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‎গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

‎মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি 
গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে মজিরুলের নেতৃত্বে কবর খোঁড়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে মজিরুলের নেতৃত্বে কবর খোঁড়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।

দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’

মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে কবর খোঁড়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে কবর খোঁড়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’

গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’

মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আজ সকালে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।

কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’

মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

আজ সকালে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’

কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাছ ধরতে গিয়ে ভারতে আটক ৬ জেলে, ১৩ মাস পর হস্তান্তর

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
১৩ মাস সাজা ভোগের পর হস্তান্তর হওয়া বাংলাদেশি ছয় জেলে। ছবি: আজকের পত্রিকা
১৩ মাস সাজা ভোগের পর হস্তান্তর হওয়া বাংলাদেশি ছয় জেলে। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।

হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।

বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত